• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিংয়ের সহজ পাঠ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মাসুম হোসেন ভূঁইয়া
মোট লেখা:১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৭ - ডিসেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
প্রযুক্তি
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিংয়ের সহজ পাঠ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিংয়ের সহজ পাঠ
মো: মাসুম হোসেন ভূঁইয়া
বুদ্ধি ও বুদ্ধিমত্তা কী?
প্রাণিকূলের মধ্যে মানুষ প্রাকৃতিকভাবেই সবচেয়ে বুদ্ধিমান। একই সাথে স্বাধীন চিমত্মার অধিকারী। ‘বুদ্ধি’ হচ্ছে বোধ, বিচারশক্তি বা বিবেক। অর্থাৎ মনের যে বৃত্তির মাধ্যমে সিদ্ধামেত্ম উপনীত হওয়া যায়, তাকেই ‘বুদ্ধি’ বলা হয়ে থাকে।
আবার শুধু বুদ্ধি থাকলেই হয় না, তার স্বাভাবিক ও পরিপূর্ণ বিকাশ থাকতে হয়। সেটি অবশ্য অন্য এবং বিশদ আলোচনার বিষয়, যা এই লেখার জন্য উপযুক্ত নয়।
আর ‘বুদ্ধিমত্তা’ হচ্ছে বুদ্ধিযুক্ত, বুদ্ধিশীল, মনীষা বা অতীব ধীশক্তিসম্পন্ন হওয়া। একজন বুদ্ধিমান ও বিকাশসমৃদ্ধ মানুষ প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যেকোনো কাজ করতে পারে। আবার একজন নিরক্ষর মানুষের শারীরিক পরিশ্রমনির্ভর কাজের জন্য প্রশিক্ষণের দরকার হয় না। কিন্তু প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেও বিশেষ বিশেষ কাজ করতে সক্ষম।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাপিস্নকেশন বা সফটওয়্যার তৈরি করে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তা যন্ত্রে স্থাপন করা হয়। যে যন্ত্রের ‘বুদ্ধিমত্তা’ থাকে সেটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
যে যন্ত্র মানুষের মতো কাজ করতে পারে, আমরা যাকে ‘রোবট’ বলে অভিহিত করে থাকি।
এ জন্য যন্ত্রকে বুদ্ধিমত্তার উপযুক্ত করে তৈরি করা হয়। যন্ত্রকে দিয়ে তখন মানুষ যেসব সহজ ও জটিল কাজ করতে পারে, সেসব কাজের এক বা একাধিক কাজ সুনির্দিষ্টভাবে করানো যায়।
‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র জন্য এসব অ্যাপিস্নকেশন বা সফটওয়্যার কীভাবে তৈরি করা হয়, তা সুদীর্ঘ আলোচনার বিষয়। মানব মসিত্মষ্কের মতো বিষয়টি অনেক জটিল।
মেশিন লার্নিং
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য যেসব অ্যাপিস্নকেশন বা সফটওয়্যার তৈরি করা হয়, সেসব অ্যাপিস্নকেশনকেই ‘মেশিন লার্নিং’ বলা হয়ে থাকে। যাকে আমরা যন্ত্রের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণমূলক (যান্ত্রিক শিক্ষাগ্রহণ) সফটওয়্যার বলতে পারি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বাধীন চিমত্মার অধিকারী নয়। তবে এসব নিয়ে গবেষণা চলছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা রোবট সাধারণত সুনির্দিষ্ট কাজের উপযুক্ত করে তৈরি করা হয়।
মানুষ একই ধরনের কাজ একনাগাড়ে করে ক্লান্ত হয়। মানুষ কাজে ফাঁকি দেয়, আবার দিনের শুরম্ন এবং শেষ দিকের উৎপাদন একই হারে হয় না। বর্তমানে অনেক দেশেই রোবট দিয়ে এ ধরনের কাজ করানো হয়। এর ফলে উৎপাদন বেশি হচ্ছে। জটিল ও সূক্ষ্ম অস্ত্রোপচারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত ভার বহনের কাজ যেমন- সমুদ্রবন্দর, বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। বিশাল আকারের জরিপ, পরিসংখ্যান বা হিসাব-নিকাশে নির্ভুল কাজের জন্যও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
পরিশেষে ছোট্ট একটি বাসত্মব উদাহরণ
রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় চালু হয়েছে ‘রোবট রেস্টুরেন্ট’। যেখানে ‘ইয়োইদং’ নামে নারী ও পুরম্নষের আদলে তৈরি দুটি রোবট অতিথিদের টেবিলে শুধু খাবার পরিবেশন করে, অর্ডার নেয় না। রোবট আপনার টেবিলের সামনে এসে বলবে- ‘ওয়েলকাম স্যার, টেক ইয়োর ফুড’।
রোবটের মেমরিতে রেসেত্মারাঁর প্রতিটি টেবিলের নম্বর দেয়া আছে। একসাথে একাধিক টেবিলের খাবার পরিবেশন করতে পারে। কোনো গ্রাহক তার অর্ডারের খাবারের পরিমাণের চেয়ে কম বা বেশি খাবার নিলে রোবটটি সঙ্কেত দেয়। রোবটগুলোর চলার পথে কেউ দাঁড়ালে বা চলার পথে বাধাপ্রাপ্ত হলে রোবট হাঁটা থামিয়ে দেয় এবং সরে যাওয়ার জন্য শব্দ করে। রোবট দুটি তৈরি করেছে চীনের রোবট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘এইচজেডএক্স টেকনোলজি’



পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৭ - ডিসেম্বর সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস