• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন : ২০১৯ আপডেট!
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: নাজমুল হাসান মজুমদার
মোট লেখা:৩১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৯ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
প্রযুক্তি
তথ্যসূত্র:
প্রযুক্তি
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন : ২০১৯ আপডেট!
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন : ২০১৯ আপডেট!
নাজমুল হাসান মজুমদার

ইন্টারনেট লাইভ স্ট্যাটাসের তথ্য মতে, সার্চ ইঞ্জিন গুগলে প্রতিদিন তথ্য জানার প্রয়োজনে বিশ্বজুড়ে ৩.৫ বিলিয়ন এবং বছরে ১.২ ট্রিলিয়নের ওপরে সার্চ করা হয়। প্রতি সেকেন্ডে ৪০ হাজারের ওপর সার্চ কোয়েরি বা তথ্য জানার চেষ্টা চলে গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে। অপরদিকে ডাটা অ্যানালাইসিস প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিসটা ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ওপর এক গবেষণা করে এবং প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ২০১৯ সালে সম্ভাব্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৫০.৮ শতাংশ, ২০২০ সালে ৫২.৪ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৫৩.৭ শতাংশ হবে, যেখানে ২০১৭ সালে ৪৬.৮ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে ব্যবহারকারী ৪৮.৯ শতাংশ ছিল। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪১০ কোটি। অর্থাৎ, বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশ ভালো অনুপাতে বাড়ছে।

এসইওর ক্ষেত্রে এ ফ্যাক্টরগুলো ২০১৯ সালে কী রকম প্রভাব রাখতে পারে?
২০১৮ সালে বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ২০ লাখের ওপর ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করা হয়। ৬৭ লাখের ওপর মানুষ নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটে ব্লগ পোস্ট করে। ইন্টারনেট রিসার্চ প্রতিষ্ঠান নেটক্র্যাফটের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ২০ কোটি ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে অ্যাকটিভ রয়েছে।

তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে একটি ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করার পর আপনাকে কতটুকু প্রতিযোগিতা করতে হবে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র‌্যাঙ্ক করার জন্য, তা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন!

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার অনুপাত যেমন বাড়ছে, তেমনি ভালো আর্টিকলসমৃদ্ধ বøগ পোস্টের সংখ্যা এবং ওয়েবসাইটও বাড়ছে। এখন আপনার আসলে এসইওর জন্য কী করতে হবে?
একটু পর্যবেক্ষণ করতে হবে বিগত বছরগুলোতে এসইওতে কী বিষয়গুলো মূল ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে এবং সামনের দিনগুলোতে কোন বিষয়গুলো ভালো প্রভাব তৈরি করতে পারে? ব্যবহারকারী কী রকম বিষয় বেশি গুরুত্ব দিতে চাইবে একটি ওয়েবসাইটে ভিজিটের সময়। ভালো একটি আর্টিকল যেমন প্রয়োজন পাঠকের জানার, তেমনি টেকনিক্যাল কোনো বিষয়গুলো আরও বেশি করে পাঠক কিংবা ভিজিটরকে আপনার ওয়েবসাইটে আসতে আগ্রহ তৈরি করবে। আর সার্চ ইঞ্জিনগুলো কী কারণে আপনার ওয়েবসাইটের ব্লগ পোস্টগুলো ভিজিটরদের কাছে নিয়ে আসবে পাঠকের প্রয়োজনমতো সার্চ কোয়ারির সময়?

একজন পাঠক যে বিষয়ে কোয়ারি করছে সার্চ ইঞ্জিনে, তা যত দ্রুত সময়ে সার্চ ইঞ্জিন ক্রল করে পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করবে, তত বেশি ভিজিটরদের কাছে আপনার ব্লগ পোস্টগুলো প্রদর্শিত হবে।
২০১১ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সময়ে সার্চ অ্যালগরিদমের গুরুত্বপূর্ণ কিছু আপডেট তুলে ধরা হলো। যে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে আপনার ওয়েবসাইটের এসইওর জন্য প্রয়োজনীয় কাজ আরো সহজে করতে সম্ভব হবে।

গুগল পান্ডা আপডেট

গুগল পান্ডা আপডেট ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি হয়। একই রকম হুবহু কনটেন্ট, কম মানসম্পন্ন আর্টিকল, কিওয়ার্ড স্টাফিং বা অপ্রয়োজনীয় শব্দের ব্যবহার প্রভৃতি গুগলের পান্ডা অ্যালগরিদমের আপডেটের মূল বিষয়।
ওয়েবসাইটের কনটেন্টের কোয়ালিটির ওপর নির্ভর করে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবপেজ র‌্যাঙ্কিংয়ে ভূমিকা পালন করে। একটি ওয়েবসাইটের কনটেন্ট কোয়ালিটি এবং অনপেজ এসইও ভালো হলে গুগল পান্ডা অ্যালগরিদমে ওয়েবসাইট পড়ে না।

কনটেন্ট কোয়ালিটি বলতে পান্ডা আপডেটে কী বলা হচ্ছে?

* আর্টিকলের মান ভালো ও তথ্যপূর্ণ হতে হবে।
* টেক্সট ফরমেট সুন্দর এবং ব্যাকরণগত ভুল কনটেন্টে থাকা যাবে না। ইউজার এক্সপেরিয়েন্স অর্থাৎ পাঠকদের ভুল পথে কনটেন্টের মাধ্যমে ধাবিত করবে না এবং ওয়েবসাইটে তাদের বিচরণ আনন্দময় হবে।
* হুবহু কনটেন্ট বা কপি আর্টিকল অ্যালগরিদমে গ্রহণ নয়। উক্তি উল্লেখ করে দেয়া প্রয়োজন, রেফারেন্স দিতে হবে এবং কপি টেক্সট ইমেজ ব্যবহারে নিয়ম মেনে করতে হয়।
* রিরাইটিং অর্থাৎ অন্য ওয়েবসাইটের লেখা হুবহু নিজের ওয়েবসাইটে লেখা যাবে না। প্রযুক্তির ব্যবহার করা যাবে না।
পেঙ্গুইন আপডেট

২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল গুগল তার অ্যালগরিদম পেঙ্গুইন আপডেট করে। মূলত ওয়েবসাইটে এসইও বিষয়টি এতে বেশ গুরুত্বের সাথে নেয়া হয়। অ্যাঙ্কর টেক্সট লেখায় করে ওয়েবসাইট অতিরিক্ত অপটিমাইজ করার চেষ্টা করা এবং স্প্যামি কিংবা অপ্রাসঙ্গিক লিঙ্ক দেয়া ওয়েবসাইটগুলো এ অ্যালগরিদম আপডেটের মধ্যে পড়ে। গুগলের মূল অ্যালগরিদম আপডেট হিসেবে ভালো পরিচিত।

পেঙ্গুইন অ্যালগরিদমে কী গুরুত্ব পায়?

* একই ধরনের বিষয়ের কনটেন্টের সাথে লিঙ্ক রিলিশন থাকতে হয়।
* প্রতিটি টেক্সট লিঙ্ক ভিন্ন ডোমেইন নাম থেকে আসা উচিত।
* বিশ্বস্ত, গ্রহণযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে তথ্যসূত্র হতে হয়। নিম্নমানের লিঙ্ক গ্রহণযোগ্য নয়।
* পেজ র‌্যাঙ্কের জন্য ওয়েবসাইটের লিঙ্ক কেনা গুগল ভালো করে গ্রহণ করে না, যা সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ওয়েব মাস্টারের নিয়মের পরিপন্থী।
* ভিন্নরকম অ্যাঙ্কর টেক্সট দিয়ে লিঙ্ক করতে হবে ওয়েবপেজে। গুগল এটি বেশ পর্যবেক্ষণ করে।
গুগল পাইরেট আপডেট

সার্চ অ্যালগরিদমে গুগল ২০১২ সালের আগস্টে পাইরেট অ্যালগরিদম আপডেট নিয়ে আসে। যেসব ওয়েবসাইট কপিরাইট করা কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে নিজেরা প্রকাশ করছে, তা ব্যবহারকারীদের প্রদর্শন না করার একটি ব্যবস্থা সার্চ ইঞ্জিন গুগল নেয়। মূলত কপিরাইট করা কনটেন্টের প্রতি ব্যবহারকারীদের আগ্রহী এবং তাদের সঠিক তথ্যের ওয়েবসাইটগুলো দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে সেবা দেয়া আপডেটটির কাজ। সার্চ অ্যালগরিদমটি এখনো চলমান একটি প্রক্রিয়া।

ইএমডি আপডেট

গুগলের Exact Match Domain আপডেট হচ্ছে যেসব ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম ওয়েবসাইটটি যে বিষয়ে তার কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। সার্চ অ্যালগরিদমে ব্যবহারকারী যখন সার্চ করে কিওয়ার্ডটি দিয়ে, তখন সে কিওয়ার্ডের কারণে ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে প্রদর্শন করে। কিন্তু সাইটটিতে ভালো কনটেন্ট পাওয়া না গেলে তখন ভিজিটরদের বিরক্তির কারণ হয়। তাই ইউজারদের সুবিধার কথা চিন্তা করে সার্চ ইঞ্জিন গুগল ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়েবসাইটগুলোর র‌্যাঙ্কিংয়ের জন্য অ্যালগরিদমটি আনে।

গুগল পেডে লোন অ্যালগরিদম আপডেট

২০১৩ সালের ১১ জুন গুগল পেডে লোন অ্যালগরিদম আপডেট হয়। অ্যালগরিদম আপডেটটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেসব ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনের র‌্যাঙ্কিংয়ের জন্য স্প্যাম টেকনিক ব্যবহার কওে ট্রাফিক বা ভিজিটর ওয়েবসাইটে এনে র‌্যাঙ্ক উন্নত করে তাদের জন্য গুগলের ফিল্টারিং একটি পদ্ধতি, যাতে অন্যায় পথ অবলম্বন করা সাইটগুলো পেনাল্টি পায়। গুগল পেডে অ্যালগরিদম এমন নিম্নমানের ওয়েবসাইটগুলো অ্যালগরিদমের আওতায় আনে।

গুগলের অন্য অ্যালগরিদম আপডেটগুলো থেকে এটি ভিন্ন। কারণ, এতে স্প্যামিং ওয়েবসাইটগুলো পেনাল্টি পায় এবং সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রত্যাহার হয়। তাছাড়া অন্য ওয়েবসাইটগুলো যেগুলো র‌্যাঙ্কের জন্য স্প্যাম ট্রাফিক ব্যবহার করে না, তারা সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র‌্যাঙ্ক করে। গুগল তার সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ রেজাল্ট কোয়ালিটি ভালো করার জন্য এ অ্যালগরিদম আপডেট ব্যবহার করে। এতে ভালো মানের ওয়েবসাইটগুলো শুধু সার্চ রেজাল্টে পাঠকদের সামনে প্রদর্শিত হবে।
হামিং বার্ড অ্যালগরিদম
এ আপডেট ছিল নিম্নমানের কনটেন্ট এবং কিওয়ার্ড স্টাফিং নিয়ে। হামিং বার্ড গুগলের সার্চ কোয়ারি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে এবং ভিজিটরের কিওয়ার্ড সার্চের ভিত্তিতে রেজাল্ট প্রদর্শন করে। Latent Semantic Indexing কিওয়ার্ডের মাধ্যমে সহজে গুগল সার্চ করে তথ্য পাওয়া যায়। ব্যবহারকারী ঠিক যে কিওয়ার্ড ব্যবহার করে তথ্য জানতে চান তা জানায়। অনেক সময় প্রশ্ন করে সার্চ করলে সার্চ ইঞ্জিন তার উত্তর দেয়। বিস্তারিত তথ্য জানার প্রয়োজন হলে কনটেন্ট যদি তা প্রদান না করায় এ আপডেটে ওয়েবসাইট র‌্যাঙ্ক হয় না। Uber suggest, Answer The Public-এর মতো বেশ কিছু টুল ব্যবহারে লং টেল কিওয়ার্ডগুলো সম্পর্কে ধারণা নিয়ে তা নিয়ে আর্টিকল তৈরি করা যায়। এতে সার্চ অ্যালগরিদম ডাটা পুল করার সময় কিওয়ার্ড ধরে তথ্য ব্যবহারকারীদের সামনে আরো নির্দিষ্ট করে উপস্থাপন করে।

পিজিওন অ্যালগরিদম আপডেট

অনপেজ এবং অফপেজ এসইওর ভালো অবস্থা ওয়েবসাইটে না থাকায় সার্চ ইঞ্জিন গুগল ২৪ জুলাই ২০১৪ সালে আমেরিকায় সার্চ অ্যালগরিদমে এ পরিবর্তন আনে এবং পরে আনে সারা পৃথিবীর সার্চ অ্যালগরিদমে। এতে করে যেসব ওয়েবসাইট অনপেজ এবং অফপেজ এসইওতে গুরুত্ব দেয়নি, সেসব ওয়েবসাইটের র‌্যাঙ্ক পড়ে যায়। ওয়েবসাইট লিঙ্ক অ্যাসিস্ট্যান্টের মতো অ্যানালাইসিস টুল ব্যবহার করে যেসব ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক এসেছে তা পর্যবেক্ষণ করা যায়। মূলত স্থানীয় এবং বৈশ্বিক ওয়েব সার্চে এ আপডেট কার্যত ভালো পরিবর্তন সাধন করে। এর ফলে সুনির্দিষ্ট এবং দরকারি সঠিক তথ্য ওয়েব সার্চে পাঠকদের সামনে উপস্থাপিত হয়।

পিজিওন অ্যালগরিদমে কী প্রাধান্য পায়

* নিশ বা বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্য ভালো মানের আর্টিকল ওয়েবসাইটে প্রয়োজন।
* কিওয়ার্ডে স্থানীয় জায়গার ব্যাপার রাখতে হবে।
* মোবাইল ডিভাইসের জন্য উপযোগী করে ওয়েবসাইট সাজাতে হয়।
* ট্রাস্ট ফ্লোতে গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থাৎ স্বনামধন্য ওয়েবসাইট থেকে সোর্স লিঙ্ক দেয়া এবং স্থানীয় সার্চ অ্যালগরিদমের উপযোগী করে সাইট এসইও তৈরি করা।
* ওয়েবসাইটটির তথ্য দেয়া, অর্থাৎ এটি কী বিষয় নিয়ে কাজ করে তা প্রকাশ করা।
* আর্টিকল রিলিটেড টেক্সট, ইমেজ এবং ভিডিও দিতে হবে।
* Google ¸ Business এবং বিজনেস ডিরেক্টরিগুলোতে ওয়েবসাইট লিস্টিং করা।
* নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বর লিস্টিং সাইট ও ওয়েবসাইটে দেয়া।
* কাস্টোমারদের প্রশংসামূলক এবং ইতিবাচক পর্যালোচনা তুলে ধরা।

মোবাইল ফ্রেন্ডলি অ্যালগরিদম আপডেট

সার্চ ইঞ্জিন গুগল ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল মোবাইল ফ্রেন্ডলি র‌্যাঙ্কিং অ্যালগরিদম রিলিজ করে। এ আপডেটের মূল উদ্দেশ্য ছিল মোবাইল ডিভাইস থেকে ব্রাউজ করার উপযোগী ওয়েবসাইটের পেজগুলো গুগল সার্চ রেজাল্টে প্রাধান্য দেয়া। গড়নরষব ঋৎরবহফষু ঞবংঃ ঞড়ড়ষ টুলের মাধ্যমে ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি আছে এটা জানা যায়। এ আপডেট গড়নরষবমবফফড়হ নামেও বেশ পরিচিত।
মোবাইল ফ্রেন্ডলি অ্যালগরিদমের বৈশিষ্ট্য

* রেসপনসিভ ডিজাইন এ আপডেটের অন্যতম বিষয়। এ আপডেটে মোবাইল থেকে ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা যাবে নাকি তা খেয়াল করা হয়। অর্থাৎ, ওয়েবসাইটের পেজগুলো স্ক্রল করার সময় এর প্রদর্শনে সমস্যা হয় না। অটোমেটিকলি এটি সামঞ্জস্য করে নেয় ব্যবহারকারীর মোবাইল অনুযায়ী।
* কিওয়ার্ডের যাবতীয় ফন্টে সমস্যা হয় না, শব্দের সাইজ প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়ানো যায়। ফলে ব্যবহারকারীরা খুব স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার এবং লেখা পড়তে পারে।
* লেখার মাঝে কোনো প্রকার বাটন, চেকবক্স বা পেজ মেনু অপশন সহজে প্রয়োজন অনুযায়ী সাইজ বাড়ানো যায়। এতে সহজে প্রেস করা যায় অপশনগুলোতে এবং ব্যবহারকারীর ভুল হয় না।
* এতে ওয়েবপেজের লোডিং স্পিডেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। ইমেজ সাইজ অপটিমাইজ উপযোগী হয় এবং পেজে স্বল্প কোড করা থাকলে অপপবষবৎধঃবফ গড়নরষব চধমবং সুবিধা দেয়।
* ওয়েবসাইটে যারা ভিজিট করবে, তারা অল্প সময়ে সাইটে লেখা পড়তে পারবে, যা এসইওতে গুরুত্বপূর্ণ।

ফ্রেড অ্যালগরিদম আপডেট
মূলত যেসব ওয়েবসাইট গুগলের ওয়েবমাস্টার গাইডলাইনের নিয়ম পরিপন্থী, তাদের টার্গেট করে এটি কাজ করে। এ আপডেটের বেশিরভাগ সাইট ছিল নিম্নমান কনটেন্টসম্পন্ন ওয়েব ব্লগ, যেগুলো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রেভিনিউ করত। এতে কিছু বিষয় গুরুত্বসহকারে আসে, তা হচ্ছে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করতে হলে অবশ্যই ভালো মানের কনটেন্ট সাইটে পোস্ট করতে হবে।

ফ্রেড অ্যালগরিদম আপডেটের উদ্দেশ্য

* অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন দেয়া যাবে না।
* ভালো ও মানসম্পন্ন তথ্যময় আর্টিকল দেয়া।
* ওয়েবসাইটের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স হতে হবে ব্যবহারকারী ফ্রেন্ডলি। যাতে ওয়েবসাইটে পড়তে এসে তারা বিরক্ত না হন।

সার্চ ইঞ্জিন গুগলের অ্যালগরিদম আপডেটগুলো পর্যবেক্ষণ করে ভালো কনটেন্ট, ম্যাচ ডোমেইন, ব্যাকলিঙ্ক, ভিজিটরদের ওয়েবসাইটে অবস্থান, বিজ্ঞাপন, লোকাল লিস্টিং, মোবাইল ফ্রেন্ডলি, কিওয়ার্ডের খধঃবহঃ Semantic Indexing, ডিজাইন, ইমেজ, ফন্ট, অনপেজ, অফপেজ এসইও, কম্পিটিটর সাইট পর্যবেক্ষণ, আর্টিকল কপি বিষয়গুলো উঠে আসে। ২০১৯ সালে এ বিষয়গুলো চিন্তায় রেখে ওয়েবসাইটের র‌্যাঙ্কিংয়ের জন্য এসইও করা দরকার।
অতিরিক্ত অপটিমাইজ ওয়েবসাইট গুগলের কাছে র‌্যাঙ্কিং ফ্যাক্টরে বেশ পর্যবেক্ষণে থাকে। এজন্য স্পাই গ্লাসের মতো টুল ব্যবহার করে ব্যাকলিঙ্ক পর্যবেক্ষণ, অর্থাৎ, ওয়েবসাইটে লিঙ্কগুলো অন্য যে ওয়েবসাইট থেকে এসেছে, সেগুলো কী তা জানা। ডোমেইন কত সময় ধরে আছে, র‌্যাঙ্কের অবস্থা জানা যায়। টুলটি পেনাল্টি রিস্ক থেকে মুক্ত থাকায় আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

আর্টিকলের কপি স্কোর চেক করার জন্য প্লাগারিদিজম চেকার টুল ঈড়ঢ়ুংপধঢ়ব, অরিজিনাল ছবি ব্যবহার, ওয়েবসাইট ভিজিটরদের রিভিউ আর্টিকলে তুলে দেয়া। চড়বিৎঝঁরঃব-এর ‘ওয়েবসাইট অডিটর’ ব্যবহার করে ওয়েবসাইট কনটেন্ট মান, কিওয়ার্ড স্টাফিং বা অপ্রয়োজনীয় শব্দের ব্যবহার প্রভৃতি যাচাই করা যায়।

ভয়েস সার্চ বিষয়টিও এসব কিছুর সাথে যুক্ত করা দরকার ২০১৯ সালে আরো গতিশীল এসইও করায়। ভিজিটরেরা সার্চ ইঞ্জিন ভয়েস ব্যবহার করে কিওয়ার্ড দিয়ে তথ্য জানতে চাইলে যেন গুগল তাদের সাহায্য করে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইটটি পেতে। এজন্য ওয়েবসাইটে ভয়েস সার্চ উপযোগী করে তৈরি করা দরকার। তাহলে সার্চ অ্যালগরিদমে এটি গুরুত্বপূর্ণভাবে এসইওর কাজ করতে পারে
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৯ - জানুয়ারী সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস