• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > মাইক্রোসফটের এক্সবক্স ৩৬০-প্রজেক্ট নাটাল
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:১৪৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - সেপ্টেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মাইক্রোসফট
তথ্যসূত্র:
নতুন প্রযুক্তি
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
মাইক্রোসফটের এক্সবক্স ৩৬০-প্রজেক্ট নাটাল




বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। দিন বদলের সাথে সাথে প্রযুক্তির নানা আবিষ্কার ও পুরনো প্রযুক্তির নতুন সংস্করণ এখন আর মানুষকে তেমন অবাক করে না। তবে কিছু আবিষ্কার এমনও হয়, যা দেখে মানুষ অবাক না হয়ে পারে না। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মাইক্রোসফটের গেমিং কনসোল এক্সবক্স ৩৬০ ও এক্সবক্স ৩৬০ লাইভ সম্পর্কে প্রায় সব গেমারই অবগত। কিন্তু এক্সবক্সের ভবিষ্যৎ সংস্করণ সম্পর্কে অনেকেরই কোনো ধারণা নেই। তাই আজ সেই ভবিষ্যতের অসাধারণ টেকনোলজির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই এক্সবক্স ৩৬০-প্রজেক্ট নাটাল সম্পর্কে আলোচনা।



প্রজেক্ট নাটাল হচ্ছে মাইক্রোসফট এক্সবক্স ৩৬০ ভিডিও গেম প্লাটফর্মে কন্ট্রোল ফ্রি গেমিং এবং এনভায়রনমেন্ট এক্সপেরিয়েন্সের কোড নেম। অর্থাৎ নতুন এই এক্সবক্স ৩৬০-এ গেম খেলার জন্য কোনো কন্ট্রোল বা গেম প্যাডের দরকার হবে না, গেমার শুধু তার ভয়েস কমান্ড, শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গের নড়াচড়ার মাধ্যমে গেম খেলতে পারবেন। প্রজেক্ট নাটাল সম্পর্কে জনসাধারণকে জানানো হয় এবছরের জুনের ১ তারিখে, E3 2009 অনুষ্ঠানে। E3 2009 হচ্ছে Electronic Entertainment Expo 2009-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এবছর এই অনুষ্ঠানের ১৩তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় আমেরিকার লসঅ্যাঞ্জেলেস কনভেনশন সেন্টারে। এটি সাধারণত এক ধরনের বার্ষিক ট্রেড শো, যেখানে বিভিন্ন গেম কোম্পানির এমডি ও চেয়ারপারসন তাদের নতুন গেম ইঞ্জিন, নতুন বের হওয়া গেম, গেম ডেভেলপিং টুলস, বিভিন্ন গেমিং প্লাটফর্মের নানান সামগ্রী, গেমিং সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণনা দিয়ে থাকেন।

এবারের ইথ্রি ২০০৯ আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণীয় ও আলোচিত প্রযুক্তি ছিল প্রজেক্ট নাটাল। প্রজেক্ট নাটালে যেসব প্রযুক্তির ব্যবহার দেখানো হয়েছে তার সব সফলভাবে সম্পন্ন হলে গেমিং জগৎ ও গেমারদের গেম খেলার পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন চলে আসবে। আসুন দেখা যাক প্রজেক্ট নাটালের কিছু বৈশিষ্ট্য।


চিত্র-২

নামকরণ

এই অভাবনীয় প্রযুক্তির কোড নেম কেন প্রজেক্ট নাটাল রাখা হয়েছে। এই প্রজেক্ট উন্নয়নে অনন্য অবদান রাখেন মাইক্রোসফটের ডিরেক্টর অ্যালেক্স কিপম্যান, যার ওপর প্রজেক্টের নামকরণের ভারও পরে। তিনি ব্রাজিলের অধিবাসী। তিনি ব্রাজিলের উত্তর উপকূলে অবস্থিত শহর নাটালের নাম অনুসারে এই প্রজেক্টের নাম দেন প্রজেক্ট নাটাল। লাতিন ভাষায় নাটাল শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘টু বি বর্ণ’। যেহেতু এই প্রযুক্তি গেমিং ও হোম এন্টারটেইনমেন্টে এক নতুন ধারার জন্ম দিতে যাচ্ছে, এর ফলে এই নামটি প্রজেক্টের ভাবমূর্তির সাথে পুরোপুরি মিলে যায়।

গঠন ও কার্যপ্রণালী

এক্সবক্স ৩৬০-প্রজেক্ট নাটালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে এর সেন্সর। এটি প্রায় ৯ ইঞ্চি চওড়া একটি আড়াআড়ি বার বা আয়তাকার বাক্সের মতো। এর আকার ছোট হওয়ায় খুব সহজেই ভিডিও ডিসপ্লের উপরে বা নিচে রাখা যায় (চিত্র-১)। সেন্সরের বেশ কিছু ফিচার রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আরজিবি ক্যামেরা, ডেপথ সেন্সর, মাল্টি অ্যারি মাইক্রোফোন ও কাস্টম প্রসেসর রানিং প্রোপ্রাইটারি সফটওয়্যার অন্যতম। এগুলো পুরো শরীরের ত্রিমাত্রিক মুভমেন্ট বা নড়াচড়া ধারণ করতে পারে, মুখাবয়ব ও গলার স্বর চিনতে পারে। এটি নয়েজ রিডাকশনেও বেশ সহায়তা করে।


চিত্র-১

এর ডেপথ সেন্সরটি একটি ইনফ্রারেড প্রজেক্টরে রয়েছে, যার সাথে সংযুক্ত আছে মনোক্রম সিমস সেন্সর। সেন্সরটি মনোক্রম হওয়ায় যেকোনো লাইটিংযুক্ত পরিবেশে এটি ত্রিমাত্রিক মুভমেন্ট শনাক্ত করতে পারে। ডেপথ সেন্সরের সেন্সিং রেঞ্জ বাড়ানো-কমানোর ব্যবস্থা থাকায় দূরে বসে কাজ করতে সমস্যা হয় না।

ডেপথ সেন্সর ছাড়াও এই ডিভাইসে ব্যবহার হওয়া সফটওয়্যার টেকনোলজিগুলো গেমার বা দর্শকের চেহারা চিনতে পারবে এবং গলার স্বর শনাক্ত করে ব্যবহারকারীর দেয়া বিভিন্ন কমান্ড অনুযায়ী কাজ করতে পারবে। এটি একসাথে সর্বোচ্চ চারজন ব্যক্তির প্রতিটি মুভমেন্ট আলাদা আলাদাভাবে শনাক্ত করতে পারবে। এছাড়া এতে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে মানুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় ৪৮টি পয়েন্ট শনাক্ত করে এদের সামান্যতম নড়াচড়াও বুঝতে সক্ষম। ডিসপ্লেতে ৩০ হার্টজ ফ্রেম রেটে সেই নড়াচড়া প্রদর্শন করতে পারবে। এমনকি এটি প্রতিটি আঙ্গুলের আলাদা আলাদা নড়াচড়াও খুব সহজেই ধরতে পারে। তবে সে জন্য সেন্সর থেকে ব্যবহারকারীর দূরত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।



এর গঠন ও কার্যপ্রণালী থেকে ডিভাইসটির সার্বিক ক্ষমতা বুঝতে পাঠকদের একটু কষ্ট হতে পারে। কিছু উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটিকে আরো ভালোভাবে বোধগম্য করে তোলা যাক।

ভয়েস রিকগনিশন :

মনে করুন ডিভাইসটিকে স্ট্যান্ডবাই করে রাখা হয়েছে, ব্যবহারকারী সেন্সরের রেঞ্জের কাছে গিয়ে চালু হওয়ার কমান্ড দিলেই এটি চালু হবে ও ডিসপ্লেও সক্রিয় হবে।

ফেশিয়াল রিকগনিশন :

ভয়েস কমান্ডে চালাতে না চাইলে ডিভাইসের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে হাত নাড়লেই ব্যবহারকারীর মুখমন্ডল স্ক্যান করে চিনে নেবে, তারপর সক্রিয় হবে। এটি অনেকটা পাসওয়ার্ডের মতো কাজ করবে। ফলে মূল ব্যবহারকারী ছাড়া অন্য কেউ ডিভাইসটি চালু করতে পারবে না।

গেমার নিজেই কন্ট্রোল ডিভাইস :

ডিভাইসটি দিয়ে গেম খেলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এতে কোনো গেমপ্যাড বা কন্ট্রোল লাগবে না, ব্যবহারকারীর পুরো শরীরই গেমের কন্ট্রোল হিসেবে কাজ করবে। ডিভাইসটির সেন্সর শরীরের ৪৮টি পয়েন্টের নড়াচড়া শনাক্ত করতে পারে ও গেমের ভেতরে থাকা ক্যারেক্টারকে সেই নড়াচড়া অনুযায়ী কন্ট্রোল করতে পারে। যার ফলে ব্যবহারকারী বাইরে দাঁড়িয়ে যেভাবেই হাত-পা নাড়ান না কেন ভেতরের ভার্চুয়াল ক্যারেক্টারটিও সেভাবেই হাত-পা নাড়বে।

রেসিং গেম খেলা :

রেসিং গেম খেলতে চাইলে সোফায় বসে সামনে কাল্পনিক গাড়ির স্টিয়ারিং ধরে আছে এমন ভাব করলেই গেমের ক্যারেক্টার গেমে গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে হাত রাখবে এবং গাড়ি চালানোর সময় রাস্তার বিভিন্ন বাঁকে স্টিয়ারিং নানা দিকে ঘুরালে ভেতরের গাড়িও সেভাবেই চলতে থাকবে। খেলতে গিয়ে গাড়ির টায়ার ক্ষয় হয়ে গেলে তা বদলে নেয়া যাবে।

ফুটবল খেলা :

সবচেয়ে মজা করে খেলা যাবে ফুটবল। কারণ সাধারণ কনসোলের মতো এখানে কোনো কন্ট্রোল ব্যবহার করতে হবে না বরং ব্যবহারকারী সত্যিকার অর্থে নিজেই ফুটবল খেলার মজা নিতে পারবেন। শুধু ব্যবহারকারীকে তার সামনে একটি অদৃশ্য ফুটবল কল্পনা করতে হবে, তারপর সেই বলকে যেভাবে খুশি এক পা থেকে অন্য পায়ে পাস করে গোল কিক করতে পারবেন। গেমের ভেতর থেকে ক্যারেক্টারটি ঠিক সেভাবেই বল নিয়ন্ত্রণ করবে। এছাড়া গোল কিক নেয়ার সময় স্ক্রিন দু’ভাগে ভাগ করে নেয়া যাবে, যার একাংশে একজন স্ট্রাইকার ও অন্যজন গোলকিপারের ভূমিকা পালন করবে। চিত্র-৩-এ দেখা যাচ্ছে মা-মেয়ে দু’জনে একসাথে ফুটবল খেলছে।

ফাইটিং গেম :

ইচ্ছে করলে ব্যবহারকারী স্ট্রিট ফাইটিং ধরনের গেম খেলতে পারবেন, যেখানে পাশাপাশি দু’জন প্লেয়ারকে মারামারি করতে হয়। সে ধরনের গেমও খেলতে পারবেন। সেক্ষেত্রে একজন প্লেয়ারকে নিয়ন্ত্রণ করবে ডিভাইসটি ও ব্যবহারকারী তার নিজের প্লেয়ারকে নিজেই কন্ট্রোল করতে পারবেন। তাই স্ক্রিনের সামনে দাঁড়িয়ে বিপরীত পক্ষের মারের হাত থেকে বাঁচতে ডানে-বাঁয়ে সরে গেমের ভেতরে থেকে প্লেয়ারকে মারের হাত থেকে বাঁচাতে হবে, কেননা ব্যবহারকারী যেদিকে সরে যাবেন গেমে প্লেয়ারও সেভাবে সেদিকে সরে যাবে। এছাড়া প্রতিপক্ষকে আঘাত করতে চাইলে বা বাইরে থেকে আঘাত করার ভঙ্গি করলেই গেমে প্লেয়ার প্রতিপক্ষকে আঘাত করবে। চিত্র : ৪-এ দেখা যাচ্ছে ডিসপ্লের সামনে থেকে একটি ছেলে ভেতরের ভার্চুয়াল ক্যারেক্টারের সাথে মারামারি করছে।


চিত্র-৩


চিত্র-৪


চিত্র-৫

স্কেটিং :

স্কেটিং ব্যাপারটাও বেশ অভিনব। এখানে গেমের ভেতরে দেয়া ডিফল্ট কিছু স্কেটিং বোর্ড দিয়ে গেমটি খেলা যাবে। কিন্তু ব্যবহারকারীর যদি তার বাস্তব জীবনে ব্যবহার করা নিজস্ব স্কেটিং বোর্ড ব্যবহার করে গেম খেলতে চান, তাহলে সেই ব্যবস্থাও রয়েছে। এজন্য ব্যবহারকারীকে শুধু নিজের স্কেটিং বোর্ডটি ডিভাইসটির সেন্সরের সামনে ধরে স্ক্যান বললেই গেমের ভেতরে কাস্টম স্কেট বোর্ড হিসেবে বোর্ডটি সেভ হবে এবং ব্যবহারকারী সেখান থেকে নিজের বোর্ডটি বাছাই করে গেম খেলতে পারবেন। চিত্র:৫-এ দেখা যাচ্ছে একটি ছেলে তার পছন্দের স্কেট বোর্ড বাছাই করছে।

লাইভ ক্যুইজ কম্পিটিশন :

ডিভাইসটির সাহায্যে পরিবারের সবাই মিলে লাইভ ক্যুইজ কম্পিটিশনে অংশ নিতে পারবেন, যেখানে সর্বোচ্চ ৪ জন ব্যবহারকারী একসাথে এই খেলা উপভোগ করতে পারবেন। সেন্সরের আয়ত্বের মধ্যে চারজন বসে ক্যুইজ প্রতিযোগিতা করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তবে কে আগে উত্তর দেবেন সেটি নির্ধারণ করার জন্য বার্জার থাকা আবশ্যক। তবে ঘাবড়াবার কিছু, নেই আলাদাভাবে কোনো বার্জার কেনার দরকার। এক হাতের তালুর উপর অন্য হাতের মুষ্টি দিয়ে আঘাত করে বার্জারের কাজ সারা যাবে। এক্ষেত্রে ডিভাইসটি কোন ব্যবহারকারী আগে আঘাত করেছেন সেটি শনাক্ত করতে পারবে এবং তাকে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এছাড়া অন্য কেউ যদি তার হয়ে উত্তর বলে দিতে না পারেন সে বিষয়টি মাথায় রেখে ডিভাইসটিতে রাখা হয়েছে ভয়েস রিকগনিশন, যার ফলে যিনি আগে বার্জার চেপেছেন শুধু তার দেয়া উত্তরই ডিভাইসটি গ্রহণ করবে তার গলার স্বর চিনে নেয়ার মাধ্যমে। চিত্র-৬-এ দেখা যাচ্ছে পরিবারের সবাই মিলে ক্যুইজের উত্তর কে আগে দেবেন তার জন্য বার্জার বাজানোর ভঙ্গিতে বসে আছেন।


চিত্র-৬

ভার্চুয়াল ক্যারেক্টার :

ডিভাইসটিতে ডিসপ্লের ভেতরে ভার্চুয়াল ক্যারেক্টার রয়েছে, যার সাথে মন খুলে বিভিন্ন কথা বলতে পারবেন। ভার্চুয়াল ক্যারেক্টারের রয়েছে অসাধারণ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যার ফলে সে ব্যবহারকারীর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়াসহ নানা রকমের কথাবার্তা বলতে পারবে। ব্যবহারকারী দুঃখের কথা বললে তার চেহারায় মলিন ভাব ফুটে উঠবে এবং আনন্দের কথা বললে সে হেসে উঠবে। ব্যবহারকারীর মুখভঙ্গি ও গলার স্বরের আবেগ ডিভাইসটির সেন্সরে ধরা পড়বে এবং সেই মোতাবেক ভার্চুয়াল ক্যারেক্টারটি ব্যবহারকারীর সাথে ভাব বিনিময় করতে পারবে। ব্যাপারটা এতটাই বাস্তব- মনে হবে আপনি বন্ধুর সাথে ইন্টারনেটে ভিডিও চ্যাট করছেন। চিত্র-৭-এ দেখা যাচ্ছে একটি মেয়ে ডিসপ্লেতে থাকা একটি ভার্চুয়াল ক্যারেক্টারের সাথে কথা বলছেন।


চিত্র-৭


চিত্র-৮

লাইভ চ্যাটিং ও শেয়ারিং :

এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হয়ে বন্ধুবান্ধবদের সাথে লাইভ চ্যাট করাসহ বিভিন্ন ফাইল ও প্রয়োজনীয় জিনিস শেয়ার করা যাবে।

স্ক্রিনে নিজের প্রতিকৃতি :

ইচ্ছে করলে এতে ব্যবহারকারী তার নিজের প্রতিকৃতি বানিয়ে রাখতে পারেন। এছাড়া তার পছন্দের কাপড়চোপড় স্ক্যান করে ভার্চুয়াল সেলফে রাখতে পারেন। ভার্চুয়াল সেলফ হতে বিভিন্ন কাপড় সিলেক্ট করে তা আপনার প্রতিকৃতির উপর ছেড়ে দিলেই হবে। ফলে দেখা যাবে আপনার প্রতিকৃতি সেই কাপড় পরিধান করে আছে। এখন নিজের শরীর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন এঙ্গেলে প্রতিকৃতিকে ঘুরিয়ে ওই পোশাকে আপনাকে কেমন দেখাচ্ছে তা সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন।

মুভি থিয়েটার :

ডিভাইসটির সাথে যেহেতু বিশাল আকারের ডিসপ্লে সংযুক্ত রয়েছে, তাই ইচ্ছে করলে সেটিতে পরিবারের সবাই মিলে সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো রিমোট কন্ট্রোলের দরকার হবে না। শুধু হাতকে বাঁয়ে বা ডানে নাড়িয়ে চ্যানেল পরিবর্তন ও বিভিন্ন মুভি ফোল্ডার ব্রাউজ করা যাবে এবং পছন্দসই সিনেমা সিলেক্ট করে প্লে মুভি বললেই সিনেমা প্রদর্শন শুরু হবে। এছাড়া মুভি শেষে স্টপ বা গুডবাই বললেই ডিভাইসটি শাটডাউন বা স্ট্যান্ডবাই মোডে চলে যাবে। চিত্র-৮-এ দেখা যাচ্ছে হাতের ইশারায় মুভি লিস্ট থেকে পছন্দের মুভি সিলেক্ট করছেন একজন মহিলা।

এছাড়া আরো নানা রকমের চমক নিয়ে প্রজেক্ট নাটালের আবির্ভাব হতে যাচ্ছে, যা গেমিং ও হোম এন্টারটেইনমেন্টের চেহারা আমূল পরিবর্তন করে দেবে।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : shmt_51@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস