• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন শক্তিশালী বিসিসি
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: শেখ মো: শফিউল ‍ইসলাম
মোট লেখা:১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - নভেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ডিজিটাল বাংলাদেশ
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন শক্তিশালী বিসিসি

বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়তে প্রয়োজন ‘বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল’ তথা বিসিসি’র কার্যকর ভূমিকা। এজন্য বিসিসি-কে দক্ষ জনবল, প্রয়োজনীয় অর্থ ও অবকাঠামোগত সুবিধা দিয়ে একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে হবে। রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। মাসিক কমপিউটার জগৎ গত ২৪ অক্টোবর এ বৈঠকের আয়োজন করে।



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির সভাপতি মোস্তাফা জববার, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি আক্তারুজ্জামান মঞ্জু, এশিয়া-ওশেনিয়া কমপিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশনের (অ্যাসোসিও) সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফি, বিসিসি’র উপ-পরিচালক (সিস্টেম) জাবেদ আলী সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজ মো: হাসান বাবু, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ এবং প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, দোহাটেক নিউ মিডিয়ার চেয়ারম্যান এ কে এম শামসুদ্দোহা, থাকরাল ইনফরমেশন সিস্টেমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহজামান মজুমদার, বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (বিএনএনআরসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান, আমাদের গ্রাম আইসিটিফরডি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রেজা সেলিম, একুশে টিভি’র বার্তা সম্পাদক বিলকিস নাহার, ইউডার কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ মো: শফিউল ইসলাম প্রমুখ।

বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমপিউটার জগৎ-এর সম্পাদক গোলাপ মুনীর। তিনি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আপনাদের নিশ্চয় জানা আছে ‘বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল আইন ১৯৯০’-এর আওতায় জাতীয় কমপিউটার বোর্ডকে ১৯৮৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল’-এ রূপান্তর করা হয়। এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এ কাউন্সিল কী কী কাজ করবে, তা উল্লিখিত আইনের ৬ নম্বর ধারায় সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। এ কাউন্সিলের যাবতীয় কাজ চলবে আইসিটি ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করায়। কাঙ্ক্ষিত সে ‘শক্তিশালী কমপিউটার কাউন্সিল’ এটি হতে পেরেছে কি না, হতে না পারলে বাধা কোথায় ছিল, কী করলে সে ব্যর্থতা কাটানো সম্ভব হতো, এ কাউন্সিলকে আরো শক্তিশালী স্বায়ত্তশাসিত একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ দেয়া যায় কি না- আশা করব, আজকের আলোচনায় তা বেরিয়ে আসবে।

তিনি আরো বলেন, এদিকে সুখবর হচ্ছে- ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে একটি নির্বাচিত সরকার এখন দেশের শাসনক্ষমতায় আসীন। আমাদের স্বাভাবিক বিশ্বাস, এ সরকার বাস্তবমুখী প্রযুক্তিবান্ধব পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী। সম্প্রতি বিসিসি’র ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল’-কে একটি অধিদফতরে রূপান্তরের কথা ভাবা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই প্রস্তাবকারীরা প্রস্তাবিত এ অধিদফতরের সুনির্দিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামোও প্রকাশ করেছেন। এ অধিদফতরের ভিশন-মিশনও নির্ধারণ করা হয়েছে। তা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে কতটা ভূমিকা রাখবে তাও চিন্তার বিষয় রয়েছে। কারণ তা বিসিসি অ্যাক্টের অনেক কিছু বাদ দিয়ে দু’য়েকটি কার্যক্রমকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।



তিনি বলেন, প্রস্তাবিত কাঠামো মতে, এ অধিদফতর চলবে ৫০৮৫ জনের একটি জনবল নিয়ে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এদের মধ্যে আমলাদের সংখ্যা নিছক কম হবে না। অতএব আমলাতন্ত্রের প্রাবল্যও সেখানে জারি থাকবে। অপরদিকে একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে যে স্বায়ত্বশাসিত ‘বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল’ এখন কাজ করছে, সে কাউন্সিল চলছে মাত্র ১০১ জনের একটি জনবল নিয়ে। স্পষ্টতই এ কাউন্সিলকে অধিদফতরে রূপান্তরের অন্য অর্থ হচ্ছে সরকারের ওপর আমলা-কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতার চাপ কমপক্ষে ৫০ গুণ বাড়িয়ে দেয়া। অন্যান্য খরচের খাতের ব্যয়ের প্রবৃদ্ধিও সে তুলনায়ই বাড়বে। আমাদের মতো গরিব দেশে এ বাড়তি খরচের বোঝা চাপানো কতটা যৌক্তিক? তাছাড়া এর বিনিময়ে আমাদের অর্জনই বা হবে কতটুকু, সেটুকুও ভেবে দেখা দরকার। শোনা যায়, সিঙ্গাপুরসহ এ অঞ্চলের কয়েকটি দেশই আমাদের দেশের কমপিউটার কাউন্সিলের আদলে গড়ে তোলা কমপিউটার বোর্ড সাফল্যের সাথে তাদের নিজ নিজ দেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নে বড় ধরনের অবদান রাখছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের বাধাটা কোথায়, তা খতিয়ে দেখা দরকার। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের কমবেশি সবারই আছে। আমাদের সচিবালয় থেকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে যে ফাইল বের হয় ৩ মাসে, সিঙ্গাপুরে তা বের হয় ৩ দিনে। বর্তমান বিশ্ব জ্ঞানভিত্তিক সমাজে রূপান্তরিত হচ্ছে। এজন্য প্রয়োজন তথ্য ও যোগযোগপ্রযুক্তি মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দরকার আমলাতান্ত্রিক জটিলতামুক্ত একটি স্বায়ত্তশাসিত শক্তিশালী কারিগরি প্রতিষ্ঠান।

বৈঠকে হাসানুল হক ইনু বলেন, বিসিসি-কে বিলুপ্ত করে একটি অধিদফতর করার যে প্রয়াস দেখা যাচ্ছে তা রাজনৈতিক সিদ্ধামেত্মর বিষয়। এজন্য সংসদে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের প্রয়োজন রয়েছে। তবে বিসিসি’র ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া প্রস্তাবিত অধিদফতরের অবকাঠামো প্রকাশ করে বিসিসি গর্হিত কাজ করেছে। বিসিসি কিছুতেই তা করতে পারে না। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে বর্তমান সরকারের একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তিকে আলাদা কোনো বিষয় হিসেবে না দেখে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, শিল্প, কৃষ্টি তথা সবকিছুর পরিপ্রেক্ষিতে দেখা উচিত। তিনি বলেন, দেশে ব্যাপকভাবে তথ্যপ্রযুক্তির সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় যথাযথ নেতৃত্ব দিতে পারছে না। তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য বিসিসি-কে প্রচলিত আইনী কাঠামোতেই শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে হবে, পেশাদার জনবল বাড়াতে হবে এবং বিসিসি’র ওপর আমলাদের প্রাধান্য বন্ধ করতে হবে। বিসিসি-কে তিনি ‘প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ’-এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।

মোস্তাফা জববার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে বিসিসি’র ভূমিকা এখন পর্যন্ত গতানুগতিক। কিছু প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ছাড়া তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য অর্জন এ প্রতিষ্ঠানের নেই। বিসিসি-কে অধিদফতরে রূপান্তরিত করার বিরোধিতা করে তিনি বলেন, অধিদফতর করার অর্থ একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি করা। দেশে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য বিসিসি’র প্রকৃত স্বায়ত্তশাসন দাবি করে তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের ওপর অহেতুক খবরদারি না করে একে বরং একটি কার্যকর ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা উচিত।

আক্তারুজ্জামান মঞ্জু বলেন, বিসিসি-কে অধিদফতরে পরিণত করা ঠিক হবে না। তিনি বিসিসি-কে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের ওপর তথ্য বিনিময়ের পরামর্শ দেন এবং টেলিমেডিসিন সার্ভিসকে উৎসাহিত করতে বলেন।

আব্দুল্লাহ এইচ কাফি বলেন, বিসিসি-কে হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সুপরিকল্পিতভাবে অগ্রসর হতে হবে, নইলে এই পার্ক জনগণের কাজে আসবে না। তিনি এ প্রতিষ্ঠানকে অধিদফতরে পরিণত করার বিরোধিতা করে বলেন, বিসিসি নিজ থেকেই যদি অধিদফতরে পরিণত হতে চায়, তাহলে এর ভূমিকা নির্ধারণ করা নিয়ে কথা বলার আর কিছু থাকে না।

আলোচনা থেকে উঠে আসা অভিমত
* বিসিসি-কে নিজস্ব আইনী কাঠামোতেই চলতে দেয়া উচিত।

* একে শক্তিশালী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুনর্গঠিত করা।

* দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিয়ে এর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

* প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও আর্থিক সুবিধা দিতে হবে।

* বিসিসি’র ওপর অহেতুক নিয়ন্ত্রণ ও আমলাতান্ত্রিক চাপ বন্ধ করা দরকার।

* বিজ্ঞান ও আইসিটি মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

* প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ জোরদার করতে হবে।

* প্রতিবেশী দেশ ও উন্নত দেশের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে হবে।

* বিসিসি-কে একটি শক্তিশালী স্বায়ত্তশাসিত প্রফেশনাল সংস্থায় উন্নতি করতে হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে।

ড. হাফিজ মো: হাসান বাবু বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও আইসিটি মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত হয়ে কাজ করতে হবে। বিসিসি’র দুর্বলতা কাটিয়ে সঠিক লোকবল দিয়ে একে পরিচালনা করতে হবে। বিসিসি’র বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ কে এম শামসুদ্দোহা বলেন, একটি দেশে আইসিটি’র বিকাশের জন্য প্রয়োজন একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠান। তাই বিসিসিকে তার দায়িত্বপালন করতে দিয়ে প্রয়োজনে আরো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যেতে পারে।

এএইচএম বজলুর রহমান বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই বিসিসি-কে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। দেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির বিকাশে এ প্রতিষ্ঠানের গুরুদায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও এর তেমন কোনো কার্যক্রম আমাদের চোখে পড়ে না। বিসিসি-কে অধিদফতরে পরিণত করার বিরোধিতা করে তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব আইন অনুযায়ী চলতে দিতে হবে।

একুশে টিভি’র বার্তা সম্পাদক বিলকিস নাহার বলেন, শুধু আলোচনা পর্যালোচনা দিয়ে হবে না। দেশের একেবারে গ্রাম পর্যায়ের স্কুলগুলোতেও অন্তত দু’টি করে কমপিউটার দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

জাবেদ আলী সরকার বলেন, বিগত সাত বছর বিসিসিতে তেমন কোনো কাজ হয়নি। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি পৌঁছানোর জন্য একে প্রযোজনীয় দক্ষ লোকবল ও অবকাঠামোগত সুবিধা দিয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা দরকার। তিনি বলেন, প্রচলিত আইনের আওতায়ই বিসিসি-কে পুনর্গঠিত করার সুযোগ রয়েছে। এ কাউন্সিলে নিয়মিত কাজ হলে জাতীয় পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করা সম্ভব।

শেখ মো: শফিউল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণে একেবারে মাঠপর্যায় থেকে কাজ করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার সাথে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে চিহ্নিত করে তাদের অংশগ্রহণ ও ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য বিসিসি-কে একটি কার্যকর কৌশলগত যোগাযোগ পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে আগাতে হবে।

থাকরাল ইনফরমেশন সিস্টেমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহজামান মজুমদার বীর প্রতীক বলেন, পাঁচ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে ওঠে না, তবে একটি ক্ষেত্র তৈরি হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা বিসিসি-কেই পালন করতে হবে। বিসিসিকে অধিদফতরে পরিণত না করে একে আরো শক্তিশালী করার পক্ষে মত দেন তিনি। বিসিসি-কে বেসরকারি খাত ও সরকারের মধ্যে একটি সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

বৈঠকে সব বক্তাই বিসিসি-কে উপযুক্ত অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল দিয়ে কার্যকর ও সত্যিকার অর্থে একটি শক্তিশালী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুনর্গঠিত করার দাবি জানান। একই সাথে এ প্রতিষ্ঠানটিকে অধিদফতরে পরিণত করে একে একটি মাথাভারি প্রতিষ্ঠানে রূপ না দেয়ার পক্ষে অভিমত প্রকাশ করেন। বিসিসি-কে এর নিজস্ব আইনী কাঠামোতেই কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোর পরামর্শ দেন তারা। বিসিসি’র ওপর অহেতুক নিয়ন্ত্রণ ও চাপ প্রয়োগের সমালোচনাও করা হয় বৈঠকে।

গোলটেবিল বৈঠকটির সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন কমপিউটার জগৎ-এর সহকারী সম্পাদক এম. এ. হক অনু। গোলটেবিল বৈঠকটি দেশে প্রথমবারের মতো মাসিক কমপিউটার জগৎ-এর নিজস্ব ওয়েবসাইটের (www.comjagat.com) মাধ্যমে সরাসরি ‘ওয়েব কাস্টিং’ করা হয়, যাতে হাজারো প্রযুক্তিপ্রেমী অংশগ্রহণ করেন।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : shafiuluoda@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস