হোম > প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে নতুন প্রত্যাশা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - এপ্রিল
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সম্পাদক
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে নতুন প্রত্যাশা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গত ৩১ মার্চ ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অ্যাসোসিও আইটি অ্যাওয়ার্ড’ দেয়া হয়েছে। অ্যাসোসিও প্রেসিডেন্ট লুই কিয়েন লিয়ং অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শেখ হাসিনার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। উল্লেখ্য, Asian Oceanian Computing Industry Organization তথা ASOCIO হচ্ছে এ অঞ্চলের দেশগুলোর আইটি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন। এশিয়া ওশেনিয়া অঞ্চলে আইটি শিল্পকে সহায়তা করা ও বিভিন্ন দেশের মধ্যে এ খাতে সহযোগিতা ও বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর ব্যাপারে এ সংস্থা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। উল্লিখিত অঞ্চলের একুশটি দেশ এর সদস্য। বাংলাদেশও এর একটি সদস্য। অ্যাসোসিও’র অধীনে রয়েছে ১০ হাজারের বেশি আইটি কোম্পানি। এসব কোম্পানির মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি ডলারের মতো। অতএব সহজেই অনুমেয় অ্যাসোসিও আইটি অ্যাওয়ার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার। অ্যাসোসিও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে কার্যত বাংলাদেশের মানুষকেই অন্য ধরনের মর্যাদায় ভূষিত করলো। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য এ মর্যাদা বয়ে এনেছেন বলে তাকে আমাদের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। সেই সাথে আমাদের আশা, তার দূরদর্শী নীতি-পদক্ষেপের পথ ধরে বাংলাদেশ আরো ত্বরান্বিত গতিতে এদেশের আইটি খাতকে সামনে এগিয়ে নেবে। সেই সাথে প্রত্যাশা, তার সক্রিয় উদ্যোগ-আয়োজনের পথ ধরে বাংলাদেশের আইটি খাতের এগিয়ে চলার পথে সব বাধা দূর হবে। আমরা জানতে পেরেছি, বর্তমান সরকার ‘তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা ২০০৯’ পরিমার্জন, পরিবর্ধন ও নবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। গত মার্চে সরকার বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালককে সভাপতি করে এ উদ্দেশ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। আমরা আশা করবো এই পরিমার্জন, পরিবর্ধন ও নবায়ন সম্পন্ন করে দ্রুত কাজে লাগাবে বর্তমান সরকার।
ভিওআইপি উন্মুক্ত হয়েছে কী হয়নি, এখনো সাধারণ মানুষ বুঝে উঠতে পারছে না। অথচ বাংলাদেশে ভিওআইপি তথা ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল শুরু হয় অবৈধভাবে। এত দিন পরেও ভিওআইপি’র বৈধ ব্যবহার নিশ্চিত হয়নি। এ ব্যর্থতা পুরোপুরি বিটিআরসি তথা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন সংস্থার। এত বছরেও ভিওআইপির বৈধ ব্যবহার নিশ্চিত না করার পেছনে কায়েমী স্বার্থবাদই কাজ করেছে। এ সুযোগে অবৈধ ভিওআইপি আইপি ব্যবহার করে অনেকেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছে। এমনকি কিছু মোবাইল টেলিফোন অপারেটর কোম্পানিকেও এই অবৈধ ভিওআইপি ব্যবহার করতে দেখা গেছে। নানা আলোচনা-সমালোচনা শেষে ২০০৩ সালের মন্ত্রিসভায় ভিওআইপি বৈধ করার সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা আমরা জানলেও তা কার্যকর হতে দেখেনি। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চলে র্যাবব-পুলিশের। ২০০৮ সালে বিটিআরসি উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে তিনটি বেসরকারি সংস্থাকে ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ পরিচালনার লাইসেন্স দেয়। শুরু হয় ভিওআইপি বৈধ করার প্রক্রিয়া। কিন্তু উন্মুক্ত করা হয়নি।
যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) লাইসেন্স নিয়ে বেসরকারি তিনটি ও সরকারি বাংলাদেশ টেলিকম কোম্পানি লি. ইন্টারনেটনির্ভর আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ পরিচালনা করছে, তাই বাংলাদেশে এরা বৈধ। এর বাইরে কল পরিচালিত হলে সেগুলো অবৈধ। এদিকে বদলে যাচ্ছে ভিওআইপি কল টার্মিনেশন পদ্ধতি। ২০০৭ সালে সরকারের দূরপাল্লার টেলিযোগাযোগ নীতি অনুযায়ী আগে এটি আইজিডব্লিউ হয়ে বাংলাদেশে ঢুকত। এখন এটি ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে হয়েও ঢুকতে পারবে। একই সাথে অবৈধ ভিওআইপিকে বৈধ ব্যবসায়ে রূপান্তর করার জন্য সরকার অন্তত ৩৫০-৪০০ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিতে পারবে। কারণ, সংশোধিত আইএলটিডিএস পলিসি ২০১০-এ বলা হয়েছে, ভিওআইপি কল টারমিনেশন অপারেটরদের সর্বোচ্চ ১০টি করে ই-ওয়ান সংযোগ দেয়া হবে। সে যাই হোক, মোট কথা ভিওআইপির অবৈধ ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে এবার অন্তত সারাদেশের মানুষের জন্য ভিওআইপি কার্যকরভাবে দ্রুত উন্মুক্ত করতেই হবে।