• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > মেমরি সমস্যার সমাধান
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মর্তুজা আশীষ আহমেদ
মোট লেখা:৭৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - এপ্রিল
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মেমরি
তথ্যসূত্র:
হার্ডওয়্যার
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
মেমরি সমস্যার সমাধান

সিস্টেম এবং বিভিন্ন ডিভাইসের স্পেস নিয়ে ইদানীং অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন। বিভিন্ন ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, আইপড বা এমপিথ্রি প্লেয়ার, ভিডিও প্লেয়ার ইত্যাদিতে সেকেন্ডারি সেমিকন্ডাক্টর মেমরি ব্যবহার করা হয়। তবে একই ধরনের ডিভাইসে অনেক সময় হার্ডডিস্ক অথবা রম (সিডি, ডিভিডি ইত্যাদি) ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কোন ডিভাইস কি ধরনের মেমরি সাপোর্ট করে এবং কোন মেমরি সবচেয়ে ভালো চলে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় আসলে সমস্যায় পড়েন অনেকে।



প্রথমেই জেনে নিন, সংশ্লিষ্ট ডিভাইস কোন ধরনের মেমরি সাপোর্ট করে। ডিভাইসটি কি কোনো মেমরি কার্ড সাপোর্ট করে নাকি রম না হার্ডডিস্ক সাপোর্ট করে তা আগেই জেনে নিন। ডিভাইসের মেমরি কোনটা তা নিশ্চিত করার পর মেমরি কার্ডের প্রকারভেদ কোনটি তা জেনে নিন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিভাইসের ম্যানুয়াল কাজে লাগতে পারে। অবশ্য ইন্টারনেট থেকেও মেমরি কার্ডের ধরন খুঁজে বের করা সম্ভব। সংশ্লিষ্ট ডিভাইসের মেমরি কার্ডের ধরন বের করার পর মেমরি কার্ডের প্রকারভেদ থেকে মেমরি কার্ড সম্পর্কে ধারণা নিন এবং যথাযথ মেমরি কার্ড ব্যবহার করুন।

সেকেন্ডারি স্টোরেজ কেন দরকার তা আগে ভালোভাবে বোঝা জরুরি। প্রতিটি ডিভাইসে ডাটা রাখার জন্য স্টোরেজের প্রয়োজন হয়। যেমন- ডিজিটাল ক্যামেরার কথা। ডিজিটাল ক্যামেরার কাজ হচ্ছে ছবি তোলা এবং তা ডিজিটালি সংরক্ষণ করা সেকেন্ডারি মেমরিতে। তাই এ ধরনের সেকেন্ডারি মেমরি সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের ধারণা থাকাটা অত্যাবশ্যকীয়। কম্প্যাটিবল মেমরি কার্ড ব্যবহার না করলে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই মেমরি কার্ড কেনার ব্যাপারে সতর্ক থাকলে মেমরিজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

মেমরি কার্ড



মেমরি কার্ড হচ্ছে এক ধরনের সেমিকন্ডাক্টরভিত্তিক সেকেন্ডারি মেমরি। এটি এমন এক ধরনের মেমরি যা পেনড্রাইভ থেকে শুরু করে বেশিরভাগ ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, এর ব্যবহার এতটাই বাড়ছে যে প্রতিনিয়ত হার্ডডিস্কের ব্যবহারকেও চোখ রাঙ্গাচ্ছে। এর কম পাওয়ার কনজাম্পশনের কারণে অদূর ভবিষ্যতে আমরা হার্ডডিস্কের পরিবর্তে হয়ত মেমরি কার্ডের ব্যবহার দেখতে পারি। তবে সেমিকন্ডাক্টরভিত্তিক হার্ডডিস্ক এরই মধ্যে বের হয়েছে যা সরাসরি হার্ডডিস্কের পোর্টে ব্যবহার করা যায়। এ ধরনের হার্ডড্রাইভকে এসএসডি হার্ডডিস্ক বলা হচ্ছে। এর সেমিকন্ডাক্টরভিত্তিক মেমরি কার্ডকে ফ্ল্যাশ কার্ডও বলা যায়। এগুলো নন ভোলাটাইল র্যািম (বৈদ্যুতিক শক্তি চলে গেলেও ডাটা অক্ষত থাকবে) বা ব্যাটারিভিত্তিক স্ট্যাটিক র্যাতম হতে পারে।

এখন বাজারে যেসব মেমরি কার্ড পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে কমপ্যাক্ট ফ্ল্যাশ কার্ড (সিএফ কার্ড), সিকিউরড ডিজিটাল কার্ড (সিএফ কার্ড), মাল্টিমিডিয়া কার্ড (এমএমসি কার্ড), সনি মেমরি স্টিক এবং ফুজি এক্সডি কার্ড বেশি ব্যবহার করা হয়।

সিএফ কার্ড



মেমরি কার্ডের মধ্যে সবচেয়ে আগে বাজারে এসেছে এ কার্ড। বেশ বড়সড় হবার কারণে এ ধরনের কার্ডে সমমানের অন্যান্য কার্ডের তুলনায় ক্যাপাসিটি বেশি থাকতো। বেশিরভাগ ডিজিটাল এসএলআর ক্যামেরায় এ ধরনের মেমরি ব্যবহার করা হয়। তবে এর ফর্ম ফ্যাক্টর (মোট আয়তন; এ কার্ডটি একটু বড়) বেশি হবার কারণে আজকাল এর ব্যবহার সীমিত হয়ে আসছে।

এসডি কার্ড



যে কার্ডের ব্যবহার এখন সবচেয়ে বেশি হয় তা হচ্ছে এসডি কার্ড। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে নানা রকমের প্লেয়ার এবং ডিজিটাল ক্যামেরা সব কিছুতেই এখন এসডি কার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি সিএফ কার্ডকে সরিয়ে এখনকার ডিজিটাল এসএলআর ক্যামেরাতেও এসডি কার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে। এসডি কার্ড এত জনপ্রিয় হবার মূল কারণ হচ্ছে এর ফর্ম ফ্যাক্টর কম। সেই সাথে এর সহজলভ্যতাও বিবেচ্য।

এসডি কার্ড তিনটি ফর্ম ফ্যাক্টরের হয়। এগুলো হচ্ছে- এসডি কার্ড, মিনি এসডি কার্ড এবং মাইক্রো এসডি কার্ড। বুঝতেই পারছেন মাইক্রো এসডি কার্ড এই কার্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট। তবে মাইক্রো এসডি কার্ডের সাথে অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করে যেকেউ এসডি কার্ডের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। অর্থাৎ কারো ডিভাইসে যদি এসডি কার্ডের সাপোর্ট থাকে এবং তার কাছে যদি একটি মাইক্রো এসডি কার্ড থাকে তাহলে নতুন করে এসডি কার্ড না কিনেই শুধু একটি অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করে ডিভাইস চালানো সম্ভব। মিনি এসডি কার্ডের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

এমএমসি কার্ড



সাধারণত মোবাইল ফোনে এ কার্ড বেশি ব্যবহার করা হতো। বিশেষ করে নকিয়া মোবাইল ফোনে এ কার্ড জনপ্রিয়তা পায়। এক সময় এসডি কার্ডের চেয়ে এ কার্ডের দাম কম থাকায় এসডি কার্ডের পরিবর্তে এ কার্ড ব্যবহার করা হতো। তবে এখন এ কার্ডের ব্যবহার সীমিত হয়ে এসেছে। এসডি কার্ডের স্লটে পরিবর্তন হিসেবে এ কার্ড ব্যবহার করা যেত। তবে সেক্ষেত্রে এমএমসি কার্ডের সেকেন্ড জেনারেশনের কার্ড ব্যবহার করতে হবে।

সনি মেমরি স্টিক

এ ধরনের মেমরি কার্ড সনি প্রথম তৈরি করে। এসডি কার্ডের মতো এ কার্ডেরও অনেক ভার্সন আছে। তার মধ্যে মেমরি কার্ড প্রো ডুয়ো, এম ২ ইত্যাদি অন্যতম। এখনো সনির তৈরি যেকোনো ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, ক্যামেরা ইত্যাদিতে এ মেমরি কার্ড ব্যবহার করা হয়।

ফুজি এক্সডি কার্ড



এ ধরনের মেমরি কার্ড ফুজি প্রথম তৈরি করে। এসডি কার্ডের মতো এ কার্ডেরও অনেক ভার্সন আছে। এখনো ফুজির তৈরি ক্যামেরায় এ মেমরি কার্ড ব্যবহার করা হয়।

হার্ডডিস্ক :

অনেক ভিডিও ক্যামেরায় এখন সরাসরি হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হয়। সাধারণত ছোট ফর্ম ফ্যাক্টরের হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হয়। এ হার্ডডিস্কগুলোই ল্যাপটপে ব্যবহার করা হয়।

রম :

সাধারণত সিডি বা ডিভিডি রম হিসেবে অনেক ভিডিও ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

সতর্কতা

যে ধরনের মেমরি ব্যবহার করা হোক না কেন, কেনার সময় অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের মেমরি কেনাই উচিত। কেননা ভালো ব্র্যান্ডের না কেনার কারণেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ডাটা হারিয়ে যায়। আর মেমরি কার্ডের সমস্যার কথা তো বাদই দিলাম। মেমরি ভালো না খারাপ এটা বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে তার ওয়ারেন্টি আছে কি না। শুধু রম (সিডি, ডিভিডি) ছাড়া বাকি সব মেমরির ওয়ারেন্টি আছে। শুধু কেনার সময় একটু ওয়ারেন্টি বিষয়ে সতর্ক হয়ে কিনলেই মেমরিজনিত যেকোনো সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। আর অনেক কার্ডে ভার্সন বলে একটা কথা আছে। কেনার সময় সেটিও নিশ্চিত হতে হবে।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : mortuzacsepm@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস