২০০৭ সালে আইফোন (iPhone) প্রকাশের পর থেকে এর প্রতিষ্ঠাতা অ্যাপল ইঙ্ক. মোবাইল ডিভাইসের ধারণাই পাল্টে দেয়। এর সাবলীল টাচ ইন্টারফেস, দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন এবং ২০০টির বেশি প্যাটেন্ট করা আকর্ষণীয় সব ফিচারের কল্যাণে সহজেই সবার মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হয়। ফলাফল হিসেবে গত সাড়ে তিন বছরে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ কোটি আইফোন বিক্রি হয়েছে। আইফোনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি একাই লাভবান হয়নি, পাশাপাশি প্রোগ্রামার আর ডিজাইনারদের জন্য তৈরি করে দিয়েছে iTunes App Store নামের অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের এক বিশাল বাজার। ২০০৮ সালে স্টোরটি চালু হবার পর আজ অবধি ২ লাখের ওপর আইফোনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হয়েছে। এই ভার্চুয়াল স্টোরটিতে বিভিন্ন ধরনের দরকারী, শিক্ষণীয়, মজাদার সফটওয়্যার আর আকর্ষণীয় গেম বিনামূল্যে বা প্রায় নামমাত্র মূল্যে পাওয়া যায়। ফলে এর ব্যবহারকারীদের কাছে এসব অ্যাপ্লিকেশনের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।
স্টিভ ডেমেটার যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে বসবাসরত একজন প্রোগ্রামার। তিনি মূল চাকরির বাইরে অতিরিক্ত প্রজেক্ট হিসেবে আইফোনের জন্য Trism নামের একটি পাজল গেম তৈরি করেছিলেন। আর এখন তিনি তার চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ হচ্ছে ৪.৯৯ ডলার দামের এই ছোট গেমটি মাত্র দুই মাস বিক্রি করে তার আয় হয়েছে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার ডলার। স্টিভ বর্তমানে কয়েকজন ডেভেলপার এবং ডিজাইনার রেখে পুরো মাত্রায় আইফোনের জন্য গেম তৈরি করছেন।
এক্ষেত্রে রাতারাতি সাফল্য পাওয়া দৃষ্টান্ত হচ্ছে iShoot নামের আরেকটি গেম। এটি একটি ট্যাঙ্ক যুদ্ধের গেম। ডেভেলপার ইথান নিকোলাস জানান, তিনি সান মাইক্রোসিস্টেমে চাকরি করতেন। অবসর সময়ে শখের বশে গেমটি তৈরি করেছিলেন এবং পরে আর কোনো আপডেট আনেননি। ২.৯৯ ডলার দামের গেমটি প্রকাশের পর মোটামুটি কয়েকবার বিক্রি হয়েছিল যা ইথানের দৃষ্টিতে ছিল স্বাভাবিক। ক্রিসমাসের বন্ধে গেমটির একটি ফ্রি ভার্সন ছাড়ার পরিকল্পনা করেন, আশা ছিল আইফোনের গেমারদের কাছে গেমটিকে পরিচয় করিয়ে দেয়া। এই সিদ্ধান্তটিই তার ভাগ্য পরিবর্তনে ম্যাজিকের মতো কাজ দেয়। ফ্রি ভার্সনটি ছাড়ার দশ দিনের মধ্যে মূল গেমটি একদিনে প্রায় ১৭ হাজার বার বিক্রি হয়ে iTunes App Store-এর শীর্ষে চলে আসে। প্রতিবার বিক্রির জন্য Appleকে ৩০% কমিশন দেবার পর একদিনে তার আয় দাঁড়ায় ৩৫ হাজার ডলারের ওপর। এক মাস পরে দেখা যায় গেমটি মোট ৩ লাখ বার বিক্রি হয়, যা থেকে তার আয় হয় ৬ লাখ ডলারের ওপর। অন্যদিকে ফ্রি ভার্সনটি একই মাসে ২৪ লাখ বার ডাউনলোড হয়। ইথান জানান, গেমটি তার তৈরি প্রথম আইফোন অ্যাপ্লিকেশন। এটি তৈরির আগে আগে আইফোনের প্রোগ্রামিং ভাষা Objective-Cতে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। গেমটির আইডিয়া অত্যন্ত সাধারণ, নিজের ট্যাঙ্ককে রক্ষা করা এবং শত্রুর ট্যাঙ্ককে ধ্বংস করা। ফ্রি ভার্সনে ৬ ধরনের অস্ত্র রয়েছে, অন্যদিকে মূল ভার্সনে রয়েছে ২০টি অস্ত্র। ইথান আরো জানান, এটি তৈরির পর এর প্রচারের জন্য তিনি কোনো টাকা খরচ করেননি, এমনকি কোনো বগে রিভিউ পর্যন্ত লিখেননি। তিনি এমন একটি গেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন যা তিনি নিজে অবসর সময়ে খেলবেন। বর্তমানে ইথান নিকোলাস তার চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন, এবার তিনি গুরুত্বের সাথে আইফোনের জন্য গেম তৈরি শুরু করছেন।
প্রকৃতপক্ষে সবার হয়ত রাতারাতি কোটিপতি হবার সৌভাগ্য হবে না। তবে একথা সবাই স্বীকার করে, আইফোনের অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টে রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশেও অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা সফলতার সাথে আইফোন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি Prolog Inc. Bangladesh। এ নিয়ে কথা বলেছিলাম প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং আইফোন টিম লিডার বেঞ্জামিন বাশারের সাথে। তিনি গত এক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে আইফোনের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছেন। বেঞ্জামিন বাশার পড়ালেখা করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। আইফোন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি নিয়ে তিনি আমাদের কাছে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
বেঞ্জামিন
জাকারিয়া : আপনাদের প্রতিষ্ঠানে কোন কোন ধরনের কাজ হয়?
বেঞ্জামিন : আমাদের এখানে প্রায় সব ধরনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট হয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আইফোন, ব্লাকবেরি, অ্যান্ড্রোয়েড, পাম এবং J2ME।
জাকারিয়া : আপনারা আইফোনের জন্য কোন কোন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে থাকেন?
বেঞ্জামিন : আমি যেসব প্রজেক্টে কাজ করেছি তার মধ্য বেশিরভাগ হচ্ছে ইউটিলিটি সফটওয়্যার, সাথে কিছু গেম রয়েছে। আমাদের গেম এবং ইউটিলিটি সফটওয়্যারগুলো খুব জনপ্রিয়। তার মধ্যে কিছু স্ট্রিমিং সফটওয়্যারও রয়েছে। আমি সর্বশেষ যে সফটওয়্যার তৈরি করেছি সেটি একটি ভিডিও স্ট্রিমিং সফটওয়্যার। এটিও খুব জনপ্রিয় হয়েছে।
জাকারিয়া : অ্যাপ্লিকেশনগুলো তৈরি করতে কি রকম সময় লাগে?
বেঞ্জামিন : আমরা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে থাকি। স্বল্পমেয়াদী অ্যাপ্লিকেশনগুলো এক বা দুইজন প্রোগ্রামার ১৫ দিন থেকে এক মাসে তৈরি করে থাকে। আর দীর্ঘমেয়াদী প্রজেক্টে দুই থেকে তিনজন প্রোগ্রামার কাজ করে। এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশনে ৬ মাস ধরে ডেভেলপমেন্ট এবং সাপোর্ট দেয়া হয়।
জাকারিয়া : আপনারা কি ফ্রি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেন?
বেঞ্জামিন : আমাদের স্ট্র্যাটেজি এরকম- আমরা প্রত্যেকটা অ্যাপ্লিকেশনের একটা ফ্রি বা লাইট ভার্সন এবং একটা Paid ভার্সন তৈরি করি। লাইট ভার্সনটা বিজ্ঞাপননির্ভর হয়ে থাকে। গেমের ক্ষেত্রে লাইট ভার্সনে লেভেলের পার্থক্য থাকে। এক্ষেত্রে একটা বা দুইটা লেভেল খেলা যায় আর মূল ভার্সনে দশ থেকে বিশটা লেভেল থাকে। ফ্রি ভার্সনগুলো প্রথমে বেশি বেশি ডাউনলোড হয়, তারপর আস্তে আস্তে মূল ভার্সন বিক্রি হতে থাকে।
জাকারিয়া : অ্যাপ্লিকেশন বিক্রির ক্ষেত্রে আপনাদের সর্বোচ্চ সাফল্য কতটুকু?
বেঞ্জামিন : আইফোনের হেলথকেয়ার বিভাগে আমাদের একটি অ্যাপ্লিকেশন তিন মাস শীর্ষ ৫০-এর মধ্যে ছিল। ডাউনলোডের সংখ্যা আমি এই মুহূর্তে সঠিকভাবে বলতে পারছি না, তবে আনুমানিকভাবে লাইট ভার্সনটা ১৫ হাজারের ওপর, আর মূল ভার্সনটা প্রায় দুই হাজারের ওপর ডাউনলোড হয়েছে।
জাকারিয়া : আইফোনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরির চাহিদা কি রকম বা বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের এ ক্ষেত্রে সম্ভাবনা কতটুকু?
বেঞ্জামিন : আপনি নিশ্চয় ফ্রিল্যান্সিং সাইটে দেখেছেন, আইফোন এবং আইপ্যাডের কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে oDesk.com-এ আইফোনের ভালো কাজ পাওয়া যায়। আর আমি যতদূর জানি ঢাকায় তিন থেকে চারটা বড় সফটওয়্যার ফার্ম রয়েছে যেখানে আইফোন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট হয়।
জাকারিয়া : একজন নতুন প্রোগ্রামারের এই ধরনের কাজ শিখতে কেমন সময় লাগতে পারে?
বেঞ্জামিন : C++ বা Java ভালো জানা থাকলে তিন মাসের মধ্যেই এই ধরনের কাজে দক্ষ হওয়া সম্ভব।
জাকারিয়া : নতুনরা এ ধরনের কাজে কি কি ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে বলে আপনার মনে হয়?
বেঞ্জামিন : আইফোনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার পর অ্যাপলের রিভিউ টিম তা যাচাই-বাছাই করে দেখে। এক্ষেত্রে তারা খুবই নিখুঁত কাজ আশা করে। অ্যাপ্লিকেশনে কোনো ভুল থাকলে বা কোনো কারণে প্রোগ্রামটি ক্রাশ করলে তারা তা ধরে ফেলে। তাই সবসময় অপটিমাইজড কাজ করতে হবে। অন্যথায় বারবার রিজেক্টেড হতে হয়। আর আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে যথাযথভাবে মার্কেটিং করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের রিভিউ সাইট আছে যারা নতুন নতুন অ্যাপ্লিকেশনের রিভিউ করে। সেই সাইটগুলোতে ভালো রিভিউ লেখা হলে অ্যাপ্লিকেশনগুলো ভালো বিক্রি হয়।
জাকারিয়া : বিষয়গুলো জানানোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বেঞ্জামিন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
আইফোন অ্যাপ্লিকেশন প্লাটফরম
আইফোনের অপারেটিং সিস্টেম iPhone OSটি মূলত ম্যাক ওএস এক্স-এর মোবাইল সংস্করণ। সিস্টেমটি আইপড টাচ, আইফোন ও আইপ্যাড-এ ব্যবহার হচ্ছে। ফলে একই অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে সামান্য পরিবর্তন এনে তিনটি ডিভাইসেই চালানো যায়। অ্যাপ্লিকেশনগুলো তিন ধরনের পদ্ধতিতে তৈরি করা যায়।
০১. ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন :
প্রথম দিকে আইফোন ওএস ১.০ ভার্সনে সব অ্যাপ্লিকেশন বাধ্যতামূলকভাবে ওয়েবভিত্তিক তৈরি করতে হতো এবং এগুলো মোবাইল সাফারি ওয়েব ব্রাউজারে চালাতে হতো। যেহেতু ব্রাউজারটি ফ্ল্যাশ বা সিলভারলাইট প্লাগইনস সাপোর্ট করে না, তাই ওই সব অ্যাপ্লিকেশন ছিল এইচটিএমএল, সিএসএস ও জাভাস্ক্রিপ্টনির্ভর। এই পদ্ধতির অ্যাপ্লিকেশন তৈরি এখনও চালু আছে, বিশেষ করে যেসব অ্যাপ্লিকেশন আইফোনের পাশাপাশি অন্যান্য মোবাইল ডিভাইসের জন্য তৈরি করতে হয়, সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটি ডিভাইসের জন্য আলাদা আলাদা তৈরি না করে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করাই অধিক যুক্তিসঙ্গত।
০২. নেটিভ অ্যাপ্লিকেশন :
আইফোন ওএস ২.০ প্রকাশের সাথে সাথে ডিভাইসটিতে iPhone SDK এবং App Store-এর সূচনা হয়, ফলে ডেভেলপাররা Objective-C এবং Xcode-এর সাহায্যে নেটিভ অ্যাপ্লিকেশন তৈরির সুযোগ পায়। নেটিভ অ্যাপ্লিকেশনগুলো ডিভাইসে সরাসরি ইনস্টল হয় এবং ডিভাইসের হার্ডওয়্যার ব্যবহারের অনুমতি পায়। এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো App Store-এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে পৌঁছে দেয়া যায়। আইফোনের বেশিরভাগ অ্যাপ্লিকেশন এই পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়।
০৩. হাইব্রিড অ্যাপ্লিকেশন :
উপরের দুই পদ্ধতির সমন্বিত রূপ হচ্ছে হাইব্রিড অ্যাপ্লিকেশন। অর্থাৎ অ্যাপ্লিকেশনটি App Store-এ প্রকাশ করা যাবে এবং তা ব্যবহারকারীর ডিভাইসে ইনস্টল হবে, কিন্তু প্রোগ্রামটি তৈরি হবে মূলত এইচটিএমএল, সিএসএস ও জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে। বর্তমানে এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরির প্রবণতা বাড়ছে। এক্ষেত্রে অনেক ওপেনসোর্স লাইব্রেরি ও প্লাটফরম পাওয়া যায়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে QuickConnect, PhoneGap, AppCelerator এবং rhomobile।
যেভাবে শুরু করতে হবে
iPhone SDK দিয়ে অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন :
০১. একটি ম্যাক কমপিউটার যাতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ম্যাক ওএস এক্স স্নো লিওপার্ড-এর ১০.৬.২ বা তার পরবর্তী ভার্সন। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে দাম দিয়ে ম্যাক কমপিউটার কেনার সামর্থ্য সবার হয়ত হবে না। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে সাধারণ x86 হার্ডওয়্যারে ওএস এক্স ইনস্টল করে কাজ চালানো যেতে পারে, যা সাধারণভাবে হ্যাকিন্টোশ নামে পরিচিত। অর্থাৎ একই কমপিউটারে উইন্ডোজ বা লিনআক্সের সাথে ডুয়ালবুট হিসেবে OS X ইনস্টল করা যায়। এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে http ://wiki.osx86project.org ওয়েবসাইটে।
০২. সাথে প্রয়োজন পড়বে একটি অ্যাপল ডেভেলপার অ্যাকাউন্ট। এজন্য http ://developer.apple.com সাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যাবে। রেজিস্ট্রেশন করতে কোনো টাকা লাগবে না। এর মাধ্যমে আইফোন সিম্যুলেটর দিয়ে অ্যাপ্লিকেশন যাচাই করা যাবে, তবে নিজের ডিভাইসে ইনস্টল করতে চাইলে অথবা iTunes App Store-এ বিক্রি করতে চাইলে বার্ষিক ৯৯ ডলার ফি দিতে হবে।
০৩. কাজ শুরু করার জন্য ডেভেলপার অ্যাকাউন্টে লগইন করে iPhone SDK এবং Xcode ডাউনলোড করে নিতে হবে। Xcode হচ্ছে একাধিক টুলের সমন্বয়ে গঠিত একটি IDE।
আইফোনের অ্যাপ্লিকেশন শেখার জন্য সবচেয়ে ভালো রিসোর্স পাওয়া যাবে অ্যাপল ডেভেলপার ওয়েবসাইট থেকে। এছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ নিয়ে নানা ধরনের টিউটরিয়াল পাওয়া যায়। সম্প্রতি একটি ওয়েবসাইট চালু হয়েছে যাতে আইফোনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরির প্রক্রিয়া ধারাবাহিকভাবে শেখানো হচ্ছে। ওয়েবসাইটের ঠিকানা হচ্ছে http ://mobile.tutsplus.com।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : zakaria.cse@gmail.com