• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পিসি’র ঝুটঝামেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - আগস্ট
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ট্রাবলশূটিং
তথ্যসূত্র:
ট্রাবলশুটিং
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পিসি’র ঝুটঝামেলা





কমপিউটার ব্যবহারকারীদের নিত্যনতুন সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু আমাদের এই নতুন বিভাগ ‘পিসির ঝুট-ঝামেলা’তে পিসির হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক, ভাইরাসজনিত সমস্যা, ভিডিও গেম সম্পর্কিত সমস্যা, পিসি কেনার ব্যাপারে পরামর্শ ইত্যাদিসহ যাবতীয় সব ধরনের কমপিউটারের সমস্যার সমাধান দেয়া হবে। আপনাদের সমস্যাগুলো আমাদের এই বিভাগের মেইল অ্যাড্রেসে (jhutjhamela@comjagat.com) বা কমপিউটার জগৎ, কক্ষ নম্বর-১১, বিসিএস কমপিউটার সিটি, রোকেয়া সরণি, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭ ঠিকানায় চিঠি লিখে জানান প্রতিমাসের ২০ তারিখের মধ্যে। উল্লেখ্য, মেইলের মাধ্যমে পাঠানো সমস্যার সমাধান যত দ্রুত সম্ভব মেইলের মাধ্যমেই জানিয়ে দেয়া হবে এবং সেখান থেকে বাছাই করা কিছু সমস্যা ও তার সমাধান প্রেরকের নাম- ঠিকানাসহ ম্যাগাজিনের এই বিভাগে ছাপানো হবে। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সমস্যা পাঠানোর সময় পিসির কনফিগারেশন, অপারেটিং সিস্টেম, পিসিতে ব্যবহার হওয়া অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম, পিসি কতদিন আগে কেনা এবং পিসির ওয়ারেন্টি এখনো আছে কি না- এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ্য করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।






আমি এক মাস ধরে উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করছি তবে সম্প্রতি নতুন করে উইন্ডোজ সেভেন সেটআপ করেছি। কিন্তু অনেক প্রোগ্রাম (যেমন- মজিলা ফায়ারফক্স, ইন্টারনেট এক্সপ্লেvরার, গেম এবং অন্যান্য অনেক সফটওয়্যার) চালু হচ্ছে না। এরপরে আমি উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ৩ ইনস্টল করেছি কিন্তু সেই একই সমস্যা। এই উইন্ডোজেও মজিলা ফায়ারফক্স ইনস্টল করা নেই, আমাকে আলাদা করে ইনস্টল করে নিতে হচ্ছে। এছাড়া আগে আমি যেসব গেম ও সফটওয়্যার পিসিতে ইনস্টল করেছিলাম তা আগের উইন্ডোজ সেভেনে চালু হতো, কিন্তু এখন সেগুলো চালু করতে গেলে ‘dll file Missing’ এই ম্যাসেজ দেখায়। আমি নড৩২, ক্যাস্পারস্কি ও কমোডো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে দেখেছি কিন্তু কোনোটিই পিসিতে ভাইরাস শনাক্ত করতে পারছে না। আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে- প্রসেসর : কোড আই৭ ৯২০, মাদারবোর্ড : ইন্টেল ডিএক্স৫৮এসও, র‌্যাম : ২ গি.বা. ডিডিআরথ্রি, গ্রাফিক্স কার্ড : ইএএইচ৩৪৫০। দয়া করে সমস্যার সমাধান দিলে খুবই উপকৃত হবো।


- পল্লব,
ধানমন্ডি, ঢাকা।



আপনার সমস্যাটি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। আপনি প্রথমে যে উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করতেন, সেটি ছিলো মডিফাইড উইন্ডোজ সেভেন। যেখানে উইন্ডোজের বেশ কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম বাদ দিয়ে নতুন কিছু প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার, যেগুলো আমরা উইন্ডোজে ইনস্টল করার পরে থার্ড পার্টি সফটওয়্যার হিসেবে ব্যবহার করি সেগুলো সংযুক্ত করে দেয়া হয়। যার ফলে উইন্ডোজ যখন ইনস্টল করা হয় এর সাথে সাথে আরো অনেক থার্ডপার্টি সফটওয়্যার (যেমন-মাইক্রোসফট অফিস, মজিলা ফায়ারফক্স, বিভিন্ন থিম, মিউজিক প্লেয়ার, ফটো এডিটিং সফটওয়্যার, ফ্রি-অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম, উইন্ডোজের জন্য বিভিন্ন ছোট আকারের গেম ইত্যাদি) দেয়া থাকে। এজন্য মডিফাইড উইন্ডোজ সেভেনের আকার হয়ে থাকে প্রায় ৪ গিগাবাইট বা তার উপরে। কিন্তু আসল উইন্ডোজ সেভেনের আকার হয়ে থাকে প্রায় ২.৩ গিগাবাইট। মডিফাইড উইন্ডোজ ইনস্টল করা হলে এগুলো হার্ডডিস্কে জায়গাও বেশি দখল করে থাকে।


আপনি পরে যে উইন্ডোজ সেভেনের ডিস্ক ব্যবহার করেছেন, সেটি উইন্ডোজ সেভেনের ফ্রেশ কপি ছিল তাই থার্ডপার্টি সফটওয়্যারগুলো উইন্ডোজের সাথে ছিল না এবং আপনাকে সেগুলো আলাদাভাবে ইনস্টল করে নিতে হচ্ছে। আবার আপনি যখন উইন্ডোজ এক্সপি ইনস্টল করেছেন, সেটিও ফ্রেশ কপি ছিল, যার ফলে এর সাথেও কোনো থার্ডপার্টি সফটওয়্যার দেয়া ছিল না। পিসিতে ব্যবহার করার জন্য সবসময় ফ্রেশ উইন্ডোজ ইনস্টল করা উচিত। মডিফাইড কপিগুলো কিছুদিন ব্যবহার করার পরে বেশ সমস্যা সৃষ্টি করে। কারণ এগুলোতে উইন্ডোজের বেশকিছু সিকিউরিটি অপশন ও প্রোগ্রাম বাদ দেয়া হয়। এজন্য ফ্রেশ কপি ইনস্টল করার পর যেসব থার্ডপার্টি সফটওয়্যার দরকার তা নিজে থেকেই ইনস্টল করে নেয়া ভালো।



আমি প্রায় ১ মাস আগে ইন্টেল আইথ্রি প্রসেসর, ইন্টেল ডিএইচ৫৫এইচসি মেইনবোর্ড, এক্সএফএক্স, জিএফ জিটি২৪০ ১ গি.বা. ডিডিআরথ্রি গ্রাফিক্স কার্ড, ২ গি.বা., ডিডিআর থ্রি র‌্যামসহ একটি কমপিউটার কিনেছিলাম। এর সাথে ৪০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাইসহ একটি কেসিং কিনেছি। কিন্তু হঠাৎ আমার কেসিংয়ের পাওয়ার সাপ্লাই পুড়ে গেছে। বাকি যন্ত্রাংশ ঠিক আছে। তাহলে কি আমার পিসির জন্য আরো বেশি ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করতে হবে। কেসিংয়ের কোনো ওয়ারেন্টি না থাকায় এটিকে পরিবর্তনও করা সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় কি করলে সবচেয়ে ভালো হবে?
- শুভ্র,
খিলগাঁও, ঢাকা।




বাজারে যেসব কম দামের কেসিং রয়েছে সেগুলোর পাওয়ার সাপ্লাই তেমন ভালো মানের নয়, যদিও এগুলোর পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ওপর লেখা থাকে ৪০০ বা ৫০০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন, কিন্তু আসলে তা না হয়ে বরং ২৫০-৩০০ ওয়াট ক্ষমতার হয়ে থাকে। গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য ন্যূনতম শক্তি দরকার ৩৫০ ওয়াট। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানের ক্যাসিংয়ে আপনার পিসি যে এক মাস চলেছে তাই বড় কথা। আর আপনার ভাগ্য ভালো যে ক্ষতিটা শুধু পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ওপর দিয়ে গেছে, মাদারবোর্ডের কিছু হয়নি। আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী ৫০০-৬০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই কেনা উচিত। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই পাওয়া যায়। যেমন- আসুস, থার্মালটেক, ডিলাক্স, ফুজিকম, ডেল্টা, ভ্যালুটপ, রিয়েল রেটেড ইত্যাদি। মূলত গ্রাফিক্স কার্ড কেনার সময় তার জন্য কত শক্তির প্রয়োজন তা দেখে কেনা উচিত। যে গ্রাফিক্স কার্ড আছে তা আর আপগ্রেড করার চিন্তা না থাকলে ৫০০ ওয়াট আর যদি আপগ্রেড করার চিন্তা থাকে তবে ৬০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই কেনাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।



আমার ৪ বছরের পুরনো সিআরটি মনিটরটি কিছু দিন হচ্ছে বেশ সমস্যা দিচ্ছে। আমি এটিকে মেরামত না করে নতুন একটি এলসিডি মনিটর কিনবো বলে ভাবছি। কিন্তু বাজারে বর্তমানে এলইডি মনিটর আসায় একটু সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। LCD এবং LED মনিটরের মধ্যে মূল পার্থক্য কি? কোনটি বেশি ভালো হবে?

- রুবেল,
গাজীপুর।



LED বলতে Light Emitting Diode বোঝায়, অর্থাৎ LED নিজে থেকেই আলো উৎপন্ন করতে পারে। এলইডি সাদা আলোও উৎপন্ন করতে পারে। আর সাদা রঙ হচ্ছে সাত রংয়ের সমষ্টি, যার ফলে এখন মনিটরগুলোতে এ ধরনের এলইডি ব্যবহার করা হচ্ছে।

LCD (Liquid Crystal Displays) মনিটরে লাল, সবুজ ও নীল রঙের মধ্যে সামঞ্জস্য করে তা পর্দায় চিত্র ফুটিয়ে তোলে। পর্দায় আলো ফেলার জন্য আলাদা একটি আলোক উৎসের প্রয়োজন পড়ে এবং সেই কাজ করে থাকে ফ্লুরোসেন্ট ল্যাম্প। এ আলোক উৎসের জন্য মনিটরে কিছু বাড়তি বিদ্যুতশক্তি অপচয় হয়। এলইডি মনিটরের ক্ষেত্রে আলোর উৎস হিসেবে লাইট ইমিটিং ডায়োড (এলইডি) ব্যবহার করা হয়। ফলে এলসিডি মনিটরগুলোর চেয়ে এলইডি মনিটর কম বিদ্যুতশক্তি ব্যবহার করে। এছাড়াও এলইডি মনিটরগুলোর ব্রাইটনেস ও কন্ট্রাস্ট রেশিও এলসিডির তুলনায় বেশ ভালো। এলইডি মনিটরগুলো এলসিডি মনিটরের চেয়ে বেশি টেকসই। এ কয়েকটি বিষয় ছাড়া এলসিডি ও এলইডি মনিটরগুলোর মধ্যে তেমন বড় ধরনের কোনো পার্থক্য নেই। এলসিডি মনিটরের বদলে একটু বেশি দাম পড়লেও নতুন টেকনোলজিতে বানানো এলইডি মনিটর কেনাই যুক্তিযুক্ত হবে।



আমি পিসিতে একসাথে দু’টি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছি। উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ২ ও উইন্ডোজ সেভেন। কিন্তু সব কাজ উইন্ডোজ সেভেনে করে থাকি। এখন সমস্যা হচ্ছে আমি উইন্ডোজ এক্সপিতে ঢুকতে পারছি না, এক্সপির লগ-ইন পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ায়। এখন কিভাবে পাসওয়ার্ড ছাড়া লগ-ইন করা যাবে। নাকি আমাকে নতুন করে এক্সপি সেটআপ দিতে হবে?

- রাজ্জাক,
পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম।



সমস্যাটি গুরুতর, তবে সমাধানের জন্য অপারেটিং সিস্টেম নতুন করে সেটআপ দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না। এক্সপি সার্ভিস প্যাক ২-তে পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়ে থাকলে লগ-ইন করার অপশন যখন আসবে তখন Ctrl+Alt+Delete চাপতে হবে। এতে আরেকটি লগ-ইন বক্স আসবে। এখানে ইউজার নেমের স্থানে টাইপ করুন Administrator এবং পাসওয়ার্ড বক্স খালি রেখে এন্টার চাপুন বা লগ-ইন বাটনে ক্লিক করুন। ফলে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে পিসিতে লগ-ইন করবেন। তাই এখন ইউজার অ্যাকাউন্ট সেটিংসে গিয়ে আগের অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বদল করে নিন। এরপর নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে পুরনো অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করা যায় কি না চেষ্টা করে দেখুন। উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ৩-এর ক্ষেত্রে এটি কাজ নাও করতে পারে। উইন্ডোজে ভাইরাসজনিত কোনো সমস্যা না থাকলে এ পদ্ধতিতে লগ-ইন করা যায়।

এতে কাজ না হলে বিকল্প হিসেবে পাসওয়ার্ড রিকোভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। এ ধরনের সফটওয়্যারগুলো পাসওয়ার্ড ক্র্যাকিং বা পাসওয়ার্ড ব্রেকিং সফটওয়্যার নামেও পরিচিত। বেশিরভাগ পাসওয়ার্ড রিকোভারি সফটওয়্যারের ব্যবহার বেশ জটিল এবং তাদের বেশিরভাগই লাইসেন্সড সফটওয়্যার, যা কিনে নিতে চাইলে অনেক খরচ পড়বে। তাই ফ্রি পাসওয়ার্ড রিকোভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করে দেখতে পারেন, যেমন- Ophcrack, PC Login Now ইত্যাদি।



আমি এক্সপি ও ভিসতা দুটি উইন্ডোজ একসাথে ব্যবহার করি। কিন্তু ভাইরাসের কারণে এক্সপির অবস্থা খুব খারাপ। যদি নতুন করে এক্সপি সেটআপ দেই, তাহলে কি উইন্ডোজ সেভেনের সাথে আগের মতোই ডুয়াল বুটিং করা সম্ভব হবে নাকি উইন্ডোজ সেভেনও নতুন করে সেটআপ করতে হবে?

- সুমন,
উত্তরা, ঢাকা।



এক্সপি, ভিসতা আগের ভার্সন। তাই ইনস্টলের সময় আগের ভার্সন আগে এবং নতুন ভার্সন পরে ইনস্টল করতে হয়। ডুয়াল বুটিংয়ের সময় নতুন ভার্সনটি সহজেই বদল করা যায়। কিন্তু আগের ভার্সন বদল করার পর বুট সেক্টর থেকে নতুন ভার্সনের বুট করার অপশন ডিলিট হয়ে পুরনো ভার্সনের বুট করার অপশন রিপ্লেস হয়ে যায়। তাই নতুন ভার্সনটি কাজ করে না। এ জন্য অনেকে নতুন ভার্সনটি আবার সেটআপ দিয়ে থাকেন। বেশ কিছু বুট লোডার রিকভারি সফটওয়্যার রয়েছে যা দিয়ে নতুন করে বুট সেক্টর বানিয়ে নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দেয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই এক্সপি বদল করে ফেলুন। তারপর উইন্ডোজ ভিসতার ড্রাইভের কোনো কিছু ডিলিট না করে তাতে বা নতুন ইনস্টল করা এক্সপিতে বুট লোডার সফটওয়্যার ইনস্টল করে ভিসতার জন্য নতুন বুট সেক্টর বানিয়ে নিন। EasyBCD নামের সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন, তাহলেই আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।



গত মাসের গেমিং পিসির বায়িং গাইড নামের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে ইউএসবি ৩.০ সাপোর্টেড মাদারবোর্ডের ব্যাপারে পড়েছিলাম। বাজারে গিয়ে ইন্টেলের ইউএসবি ৩.০ সাপোর্টেড মাদারবোর্ডের খোঁজ পাইনি। ইউএসবি ৩.০ সাপোর্টেড মাদারবোর্ড কি বাজারে আদৌ আছে? যদি থাকে, তবে তার দাম ও মডেল জানালে বেশ উপকার হয়।

- মাহিউদ্দিন,
আজিমপুর, ঢাকা।




ইউএসবি ৩.০ সাপোর্টেড মাদারবোর্ড বাজারে আছে। এটি পেতে বিসিএস কমপিউটার সিটি, মাল্টিপ­¨vন কমপিউটার মার্কেট ও অন্যান্য বড় কমপিউটার মার্কেটে খোঁজ করে দেখুন। এইচ৫৫ চিপসেটের ইউএসবি ৩.০ সাপোর্টেড মাদারবোর্ডের দাম পড়বে ৯৫০০ টাকার মতো। ইন্টেল ব্র্যান্ডের এ ধরনের মাদারবোর্ড বাজারে আছে কি না তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তাই অন্যান্য ব্র্যান্ডের ইউএসবি ৩.০ সাপোর্টেড মাদারবোর্ডের খোঁজ করে দেখুন যেমন- গিগাবাইট, আসুস, এমএসআই, এক্সএফএস বা অন্যান্য কিছু চাইনিজ ব্র্যান্ড।



আমি বর্তমানে উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করছি। কিছুদিন আগে থেকে আমার উইন্ডোজের ফোল্ডার অপশনটি কাজ করছে না। ফলে আমার হিডেন করে রাখা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল খুঁজে পাচ্ছি না। এটি থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? এটি কি কোনো ধরনের ভাইরাসের কারণে হচ্ছে? উল্লেখ্য, আমি পিসিতে এই মুহূর্তে কোনো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করছি না।

- পলাশ,
ধানমন্ডি, ঢাকা।



আপনার সমস্যাটি মূলত ভাইরাসের কারণেই হচ্ছে। অনেক ভাইরাসই Folder Options ডিজ্যাবল করে দিতে পারে। কিন্তু ভালোমানের যেকোনো অ্যান্টিভাইরাসই এ ধরনের ভাইরাস শনাক্ত করতে পারে। অ্যান্টিভাইরাস ছাড়াও এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব দু’ভাবে। প্রথমত, ইউজার অ্যাকাউন্ট সেটিংয়ে গিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে পুরনো অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিলে নতুন অ্যাকাউন্টে Folder Options অ্যানাবল হবে। এছাড়া রেজিস্ট্রি এডিটের মাধ্যমেও আপনি পুরনো অ্যাকাউন্টের Folder Options ফিরিয়ে আনতে পারবেন। এটি করার জন্য Group Policy Editor ব্যবহার করতে হবে। এটি চালুর জন্য স্টার্ট মেনু থেকে Run-এ gpedit.msc টাইপ করুন। এরপর User ConfigarationAdministrative templatesWindows Component Windows Explorer-এ ক্লিক করুন। এখানে ডান পাশের প্যানেলের তিন নম্বর অপশন Removes the Folder Option menu item from the tools menu-তে ডবল ক্লিক করে অ্যানাবল করুন এবং not configured চেকবক্সে টিক দিয়ে পিসি রিস্টার্ট করে দেখুন Folder Option ফিরে এসেছে কি না।

যেহেতু এই মূহূর্তে কোনো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করছেন না, এজন্য এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টিকারী ভাইরাস সহজেই আপনার পিসিতে আক্রমণ চালাতে পারে। ইচ্ছে করলে বিভিন্ন ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। যেমন- এভাইরা এন্টিভির, এভাস্ট, এভিজি এবং মাইক্রোসফটের সিকিউরিটি অ্যাসেনশিয়াল থেকে পছন্দমতো যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন।
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস