ডিজিটাল ক্যামেরা বাজারে আসার পর ছবি তোলা এতটা সহজ হয়ে গেছে, যা আগে কল্পনাই করা যেত না। আগে ৩৬ এক্সপোজারের ফিল্ম কিনে ক্যামেরায় ব্যবহার করা হতো। ছবি কেমন আসল, তা দেখার জন্য ডেভেলপ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। এখন ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তোলার আগেই লাইভ ভিউ দিয়ে দেখতে পারছেন প্রকৃত ছবি কেমন আসবে। এতে ছবি তোলা অনেক সহজ ও আনন্দের হয়ে উঠেছে। কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরাতেও ফটোগ্রাফার যখন নিজেই নিজের ছবি তুলতে চান, তখন বিপত্তিতে পড়েন। অন্য এক মানুষের সহায়তায় ছবি তুলতে হয়। এই সীমাবদ্ধতা দূর করতে স্যামসাং নিয়ে এলো ডুয়াল ভিউ ক্যামেরা, যা 2View নামে বাজারজাত হচ্ছে। এতে থাকছে দুটো এলসিডি, একটি সামনে, অন্যটি পেছনে। এই সিরিজে তিনটি মডেল বাজারে এসেছে, যেমন- ST500, ST550 এবং ST1000, তিনটি মডেল দেখতে যেমন সুন্দর, কম্প্যাক্ট ব্যবহারে তেমনি সহজ ও মজাদার। এর বিভিন্ন আকর্ষণীয় ফিচার নিচে উল্লেখ করা হলো-
Self Portrait স্ক্রিন :
অনেকেই শখ করে কম্প্যাক্ট ক্যামেরা কেনেন। কিন্তু প্রায়ই নিজের পোর্ট্রেট ছবি মনমতো তুলতে পারেন না ভালো ফটোগ্রাফারের অভাবে। এবার নিজেই নিজের ফটোগ্রাফার হয়ে উঠতে পারেন স্যামসাংয়ের ডুয়াল ভিউ ক্যামেরার সহায়তায়। এখানে এলসিডিতে নিজের অবস্থান দেখে নিতে পারবেন ১.৫ ইঞ্চি সাইজের স্ক্রিনে। এই স্ক্রিন একটি কালো গ্লসি কাভার দিয়ে ঢাকা থাকে। প্রয়োজনে এটি অ্যাক্টিভেট করে নেয়া সম্ভব। আগের পয়েন্ট অ্যান্ড শূট ক্যামেরায় নিজেকে বন্দী করতে হলে অনেকটা আন্দাজে শাটার চাপতে হতো। এখন সেসব ঝামেলা থেকে মুক্ত করতে স্যামসাংয়ের ক্যামেরা অতুলনীয়।
টাচ স্ক্রিন :
আগে ক্যামেরায় অপশন বাটন এত বেশি ছিল, যার ফলে এলসিডির সাইজ বড় করা সম্ভব ছিল না ক্যামেরা প্রস্ত্ততকারকদের পক্ষে। এখন কম্প্যাক্ট ক্যামেরার এলসিডিকে ফুল টাচ সেনসিটিভ করার ফলে ক্যামেরার বাটন সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আকার ৩.৫০ ইঞ্চি হয়েছে। এখন অপশন আপনার আঙ্গুলের ছোঁয়ায় প্রাণ পাবে। ব্যাক সাইডে এলসিডি ছাড়া আর কোনো বাটন নেই। আর এই ব্যাক এলসিডিতে যোগ করা হয়েছে Haptic feedback. অর্থাৎ প্রতিটি স্পর্শ এলসিডিতে পড়ার পর সেই স্থানে একটি তরল ঢেউ খেলে যাবে, যা অনেক আনন্দময় অনুভূতি দেবে। মনে হবে স্বচ্ছ পানির ওপর স্পর্শ করছেন। ST550 মডেলে iPhone-এর মতো সোয়াপ অপশন পাবেন, যা ক্যামেরার অপারেটিং ইন্টারফেসকে আরো আকর্ষণীয় করেছে। এর মাধ্যমে স্ক্রল করা সম্ভব হবে অনেক সুন্দরভাবে। আপনি ইচ্ছে করলে ক্যামেরা ঝাঁকিয়ে, বাঁকা করে বা ঘুরিয়ে এর বিভিন্ন অপশন অ্যাক্টিভেট করতে পারেন। অর্থাৎ এতে মুভমেন্ট সেনসিটিভিটি যোগ করা হয়েছে। ফলে ছবি রিভিউ করার সময় এটি অনেক আরামপ্রদ হয়ে ওঠে।
ইন্টারফেস :
ক্যামেরা ব্যবহারের দিক থেকে কম্প্যাক্ট করতে জুম বাটনটি অনেক ছোট করা হয়েছে যাতে আঙ্গুলের জাগায় এর বাটন অবস্থান করে। এটি অনেকটা হ্যান্ড ট্র্যাপের জায়গায় অবস্থান করছে, যেখান থেকে সহজেই অপারেশন করা সম্ভব। এর উপরে ডানে মেইন মেনুর ট্যাব রাখা হয়েছে। মেনুগুলো খুব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে, যা প্রশংসার দাবিদার। এগুলো আধুনিক সব অপশনের সংক্ষিপ্ত নামে দেয়া হয়েছে। যেমন AWB = Auto White Balance, OIS = Optical Image Stabillization, EV = EXposer Value বা AF Lamp = Auto Focus Lamp ইত্যাদি, যা অত্যাধুনিক ক্যামেরায় পাওয়া সম্ভব যা সবার পছন্দ হতে বাধ্য। এর Graphic User Interface ফিজিক্যাল কন্ট্রোলার অনেক কমিয়ে ঝামেলামুক্ত করা হয়েছে। Power, Shoot, Zoom এবং Playback Switch ছাড়া তেমন কোনো সুইচ এতে রাখা হয়নি।
ইমেজ কোয়ালিটি :
এই সিরিজের ক্যামেরাগুলো কম্প্যাক্ট করে তৈরি করার কারণে ST500 এবং ST550-তে 4.6X জুম রাখা সম্ভব হয়েছে। এটি পুরোটাই অপটিক্যাল, তাই ছবির মান কখনই নষ্ট হয় না। এটি ৩৫ মিমি ক্যামেরার সমতুল্য। এতে ২৭ মিমি থেকে ১২৪ মিমি জুম ব্যবহার করা হয়েছে যাতে অনেক বেশি Wide ছবি নেয়া সম্ভব এবং বেশ দূরের বস্ত্তর ছবিও কাছে টেনে আনা সম্ভব। সাধারণ কম্প্যাক্ট ক্যামেরাতে নিজের পোর্ট্রেট তুলতে ক্যামেরা বেশ দূরে নিয়ে ছবি তুলতে হয়, যাতে পুরো মুখটুকু আসে। এতে ২৭ মিমি লেন্স থাকাতে বেশ কাছ থেকেই নিজের ছবি তুলতে পারবেন কোনো অংশ বাদ না দিয়েই। এতে f Stop 3.5 থেকে 5.9, যা ছবিকে অনেক স্পষ্ট আনতে সহায়তা করে। এর লেন্সের পেছনে 12.2 Mega PiXel ক্ষমতার ইমেজ সেন্সর CCD অবস্থান করছে, যার ফলে আপনি ইচ্ছে করলেই এর তোলা প্রতিটি ছবি অনেক বড় প্রিন্ট নিতে পারবেন।
চিল্ড্রেন অপশন :
ক্যামেরাটির সামনে স্ক্রিনে অ্যানিমেটেড কার্টুন বা জোকার নিয়ে আসা যায়। শিশুদের ছবি তুলতে সবাই ভালোবাসেন, কিন্তু এদের স্থিরভাবে রাখা যায় না। এদিক-ওদিক তাকানো অবস্থায় ছবি তোলা সুন্দরভাবে আসে না। এর জন্যই স্যামসাং একটি অ্যানিমেটেড জোকার ক্যারেক্টার সংযোজন করেছে। এটি সামনের এলসিডিতে চালালে বাচ্চাটি এর দিকে আকর্ষিত হয়ে তাকাবে এবং অ্যানিমেটেড ক্যারেক্টারটি দেখে সহজেই হেসে উঠবে। তখন বাচ্চার ছবি তোলা হলে অনেক সুন্দর আসবে।
সেলফ টাইমার :
আজকাল সব ক্যামেরাতেই সেলফ টাইমার দেয়া থাকে। কোনো নির্দিষ্ট স্থানে ক্যামেরা রেখে সেলফ টাইমার অন করে দিলে নির্দিষ্ট সময় পর ছবি ওঠে। ধরুন, একটি গ্রুপ ছবিতে আপনি নিজেকেও দেখতে চাচ্ছেন। কিন্তু তুলে দেয়ার মতো বাড়তি লোক নেই। সেলফ টাইমার অন করে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন। স্যামসাং তার এই ক্যামেরাগুলোতে ফ্রন্ট ডিসপ্লেতে কাউন্টডাউন শো করে থাকে যাতে সবাই ছবিটা কখন উঠবে, তা নির্দিষ্ট করে বুঝতে পারবে। এতে সবাই প্রস্ত্তত অবস্থায় ছবি ওঠাতে পারবেন।
ডুয়াল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজার :
ছবি তোলার সময় জুম করার ফলে দূরবর্তী বস্ত্ত কাছে আসে কিন্তু আমাদের হাত নড়ার কারণে প্রায়শই দেখা যায়, ছবি ঘোলা বা অস্পষ্ট আসে। কম আলোতে ফ্ল্যাশ ছাড়া তোলা ছবিতেও এ সমস্যা হয়ে থাকে। এর জন্য প্রয়োজন IS বা Image Stabilizer. এ ক্যামেরায় IS দুইভাবে কাজ করে। একটি Optical IS বা OIS, অন্যটি ভার্চুয়াল। ক্যামেরার লেন্সের মাধ্যমে যে স্ট্যাবিলাইজ করে তা Optical এবং সেন্সরের মাধ্যমে যে স্ট্যাবিলাইজ করে তা ভার্চুয়াল। এ ক্যামেরার ক্ষেত্রে দুভাবেই Shake Reduction করে থাকে যাতে কম আলোয় বা দূরবর্তী কোনো বস্ত্তর ছবি তুলতে ক্যামেরা যেটুকু ঝাঁকুনি খায় তাকে প্রতিরোধ করতে পারে।
ওয়ান টাচ অটো ফোকাস :
ক্যামেরা চালনা করতে এতই সুবিধাজনক করেছে স্যামসাং যে লাইভ ভিউ দেখার সময় যেখানে ফোকাস করতে হবে তা স্পর্শ করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেখানে ফোকাস হয়ে যাবে।
স্মার্ট অটো সিন রিকগনিশন :
ছবির পারিপার্শ্বিকতা পরিমাপ করে এর মাঝের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট চিপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবির ধরন বুঝতে পারে। ধরুন, কোনো প্রাকৃতিক দৃশ্য তুলতে চাচ্ছেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এর Scenery সেটিংসে চলে যাবে। পরক্ষণেই কারো পোর্ট্রেট ছবি তুলতে চাচ্ছেন চেহারাতে ফোকাস করার সাথে সাথে পোর্ট্রেট সেটিংসে চলে যাবে, যাতে করে ছবির স্বকীয়তা বজায় থাকে। সাথে কালার টোনগুলোও নিয়ন্ত্রণ করে নিতে থাকে।
অটো ফেস রিকগনিশন :
স্যামসাংয়ের স্মার্ট ফেস রিকগনিশন একটি অত্যাধুনিক উদ্ভাবন। এর মাধ্যমে ক্যামেরায় যার ছবি বার বার তোলা হচ্ছে, তাকে চিনে রেখে ভবিষ্যতে তোলা অন্যান্য ছবিতেও তাকে প্রাধান্য দিয়ে ছবি তুলতে পারে। এর মাঝে ২০টি মানুষের চেহারা ইন্টারনাল মেমরিতে স্টোর করতে পারে, যা প্রকৃতপক্ষেই চমকপ্রদ। এছাড়াও ছবি প্লেব্যাক করার সময় এই প্রিয় মুখগুলো খোঁজার সুবিধা দিয়ে থাকে, যা face search নামে পরিচিত। এছাড়াও Blink Detection মোডে কারো চোখ বন্ধ হয়ে আসলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরো ছবি ওঠে। Smile মোডে ছবিতে মানুষ যখন হাসবে তখন নিজ থেকেই ছবি তুলে নেবে এবং Beauty Shot মোডে চেহারার কমনীয়তা যে মুহূর্তে ভালো আসবে, তখন ছবি উঠবে এমন কিছু প্রি সেটেড সেটিং কাজ করে।
মুভি রেকর্ডিং :
High Definition বা HD বলতে বড় রেজ্যুলেশনে মুভি করা বোঝায়। ST500 বা ST550 ক্যামেরা দুটিতে ১২৮০X৭২০ রেজ্যুলেশনের মুভি রেকর্ড করা সম্ভব। ৩০টি ফ্রেম প্রতিসেকেন্ডে ধারণ করে এই মুভি মোডে। ফলে ছবি থাকবে অনেক ঝকঝকে জীবন্ত। এটি H.264 মোডে রেকর্ড করে, যা অনেক সূক্ষ্ম এবং ডিটেইল হয়। এই ফরমেটে MP4-এর তুলনায় দ্বিগুণ রেকর্ড করা সম্ভব। অর্থাৎ ডিটেইল বজায় রেখে এর জায়গা অনেক কম প্রয়োজন হয়। ST550 ক্যামেরায় সর্বাধুনিক HDMI কানেকশন দেবার ব্যবস্থা আছে। একটি ক্যাবলের মাধ্যমে HDMI সাপোর্ট করে এমন স্থানে এর সংযোগ দেয়া যেতে পারে। এর ফলে HD Video-এর সূক্ষ্মতাসহ HD TV-তে সরাসরি প্রদর্শন করাতে পারবেন।
বিশ্বের সর্বোচ্চ রেজ্যুলেশনসমৃদ্ধ ৩.৫০ ইঞ্চি এলসিডি :
ক্যামেরার পেছনের Wide Screen LCD উচ্চতর রেজ্যুলেশনের এলসিডি, যা বেশ শার্প এবং ক্লিয়ার। এতে 1152K রেজ্যুলেশনের এলসিডি ব্যবহার করা হয়েছে, যা ছবি দেখার আনন্দ আরো দ্বিগুণ-তিনগুণ করে দেবে। এ ক্যামেরায় তোলা ছবি রিভিউ করার সময় এর ক্লিয়ারিটি উজ্জ্বলতা বেশ উন্নতমানের। এর সামনের এলসিডিও যথেষ্ট উন্নতমানের যাতে সুন্দর ফিডব্যাক দেখা সম্ভব সামনে থেকেই। এই সিরিজের টাচ স্ক্রিন এলসিডি হওয়াতে পুরো ছবিটাকে ইচ্ছেমতো অনেক জুম করে দেখতে পারবেন।
স্মার্ট Gesture VI :
এই সিরিজের ক্যামেরাগুলোতে সবচেয়ে অভিনব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যার নাম Smart Gesture. অর্থাৎ এর ভেতরের আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স চিপ বুঝে নিতে পারবে আপনার চাহিদা। ছবি রিভিউ করার সময় যেকোনো একদিকে কাত করলেই পরের বা আগের ছবিতে চলে যাবে কোনো আঙ্গুলের ইশারা ছাড়াই। এই সুবিধাটি ST550-তে যোগ করা হয়েছে। এর মাঝে বিল্টইন অ্যাকসেলারেশন সেন্সরের মাধমে এটি ঝাঁকুনির দিক বা মাত্রা বুঝতে পারে। এর ফলে ক্যামেরাটিকে ইশারা দিয়ে বুঝিয়ে দিতে পারেন আপনি কি চাচ্ছেন, যা সহজেই সেন্সর এ ঝাঁকুনির সাহায্যে ধরতে পারছে। এখানে ঝাঁকুনি বা shake feature কার্যকর করতে ক্যামেরাটিকে সামনে পিছনে ঝাঁকান। যাতে এর অপশন একটি থেকে অন্যটিতে স্থানান্তর করবে। অনুমাননির্ভর অর্থাৎ Gesture নিয়ন্ত্রিত কাজ যেমন বিভিন্ন Command বা ছবির ম্যানেজমেন্টের জন্য এই Smart Gesture User Interface অনেক সহজ ও আনন্দদায়ক হয়ে উঠেছে।
রিসাইকেল বিন :
কমপিউটারের মতো এ ক্যামেরাগুলোতে রিসাইকেল বিন রয়েছে। হঠাৎ ভুলে কোনো ছবি ডিলিট হয়ে যেতেই পারে, তাই প্রয়োজনীয় ছবি যেন একেবারে হারিয়ে না যায় তার জন্যই রিসাইকেল বিন। প্রয়োজনীয় ছবি আকস্মিকভাবে একেবারে মুছে যেন না যায়, তার জন্যই ডিলিট করলে প্রথমে ছবিগুলো রিসাইকেল বিনে পৌঁছাবে। পরে এটি থেকে প্রয়োজনমতো পারমানেন্টভাবে মুছে দেয়া যাবে।
ফ্রেম গাইড :
এ ক্যামেরার আরো একটি সুবিধা তা হলো এর ফ্রেম গাইড। এটির অপ্রয়োজনীয় ফাঁকা অংশ থাকতে দেয় না। ছবিকে চমৎকার ফ্রেমিং করতে এটি অনেক অবদান রাখে। ধরুন, আপনি অন্য কারো কাছে ক্যামেরা দিচ্ছেন, যিনি ক্যামেরা সম্পর্কে বা ফটোগ্রাফি সম্বন্ধে কিছুই জানে না। এটিতে ফ্রেম গাইডটি অন রাখলেই চলবে। বাকিটুকু ক্যামেরা নিজ থেকেই করে নেবে। আপনি শুধু হাস্যোজ্জ্বল চেহারা আনুন, বাকিটুকু ক্যামেরাই করে দেবে।
অন্যান্য সুবিধা :
এই সিরিজের ক্যামেরাগুলোতে 3200 ISOসম্বলিত সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে অনেক কম আলোতেও ছবি স্পষ্ট আনা সম্ভব। এর সিসিডি সেন্সর বেশি ISO-তেও অনেক কম গ্রেইন উৎপাদন করে। যার ফলে ছবি ক্রিসপ হয়ে ওঠে। এতে ছবির তথ্য সেভ রাখার জন্য EXIF 2.21 ভার্সন ব্যবহার করা হয়েছে, যা ছবির অনেক ডিটেইল তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে। এতে চার ধরনের White Balance ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ ৪টি মোড রয়েছে Auto, Daylight, Cloudy এবং Fluorscent H-এই মোডগুলো প্রকৃত রঙ আনতে সহায়তা করে। এতে অত্যাধুনিক ফ্ল্যাশ সংযুক্ত হয়েছে। এটি স্লো সিনক্রোনাইজেশন করে ছবির বিষয়কে আলোকিত করতে পারে। কোনো দ্রুত নড়াচড়া করা বস্ত্তর প্রতিটি স্থানের ছবি নিতে সক্ষম। এটি যেকোনো ট্রাইপডে রেখে ছবি তোলার জন্য এর নিচে রয়েছে স্ট্যান্ডের খাঁজ, যা প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে। এরকম অনেক অত্যাধুনিক সুযোগসুবিধা সম্বলিত এই ক্যামেরা যা আপনার পোর্ট্রেট ছবি থেকে প্রাকৃতিক দৃশ্য-সব কিছুই অনেক সুন্দর ও চমৎকারভাবে তুলতে পারবে।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : ashraf.icab@gmail.com