• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > স্যামসাংয়ের অভাবনীয় ডিসপ্লে টেকনোলজি
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:১৪৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - জুন
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
স্যামসাং
তথ্যসূত্র:
অবদান
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
স্যামসাংয়ের অভাবনীয় ডিসপ্লে টেকনোলজি

১৯৩৮ সালে লি বিইউন-চুলের হাতে জন্ম নেয়া বিশ্বখ্যাত কোরিয়ান কোম্পানি স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের জগতে ডিসপ্লে টেকনোলজিতে ঘটাতে যাচ্ছে দারুণ এক বিপ্লব। ডিসপ্লে টেকনোলজি আরও উন্নত করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি কোম্পানি উঠেপড়ে লেগেছিল। কিন্তু তাদের ছাড়িয়ে স্যামসাং এক লাফে উঠে এলো অনেকটা ওপরে, এফপিডি ২০১০ নামের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর মেলায় তাদের উদ্ভাবিত নতুন ধরনের ডিসপ্লে টেকনোলজির কারণে। অ্যামোলেড স্ক্রিন, স্ক্রিন ফ্রেক্সিবিলি, ডিসপ্লে ট্রান্সপারেন্সি এবং আরও বেশ কিছু তাক লাগানো উদ্ভাবনের প্রোটোটাইপ দেখিয়ে বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়েছে এ প্রতিষ্ঠান। তাদের এ নতুন উদ্ভাবনের জন্য তারা এফপিডি ২০১০ মেলার সেরা উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার লাভ করে। স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব ও গ্যালাক্সি এস সিরিজের স্মার্টফোন বাজারে ছেড়ে অ্যাপলের আইপড ও আইফোনের একক আধিপত্যের অবসান ঘটিয়েই তারা ক্ষান্ত হয়নি, বরং সামনের বছরে তাদের নতুন এ ডিসপ্লে টেকনোলজি ব্যবহার করে গ্যালাক্সি ট্যাব আরও উন্নত এবং কার্যকর স্মার্টফোন বাজারে এনে ইলেকট্রনিকসের জগতে দারুণ এক যুদ্ধ ঘোষণা করতে যাচ্ছে স্যামসাং।

২০০৮ সালের আগস্ট মাসে সৈয়দ যুগল মাহমুদের লেখা ‘ভবিষ্যতের সেলফোন নোকিয়া মর্ফ’ শিরোনামে একটি লেখায় নোকিয়ার ফিউচার সেলফোন প্রজেক্ট মর্ফের কথা তুলে ধরা হয়েছিল। একই বছরের ডিসেম্বরে আরেকটি লেখায় ছিল রিয়াদুল ইসলামের লেখা নোকিয়া মোবাইল কনসেপ্টস, যাতে তুলে ধরা হয়েছিল নোকিয়া ৮৮৮ মোবাইল ফোন কনসেপ্ট, নোকিয়া উডেন ফোন কনসেপ্ট, নোকিয়া এয়ন ফোন কনসেপ্ট, নোকিয়া ইকো সেন্টার কনসেপ্ট, নোকিয়া এন ৯৯ কনসেপ্ট, নোকিয়া ওপেন কনসেপ্ট, নোকিয়া আইকন ব্লুটুথ ইত্যাদি বিষয়। নকিয়ার কনসেপ্টগুলো বাস্তবায়নের পথে পার হয়ে গেছে প্রায় ৩ বছর, কিন্তু ফল এখনও চাক্ষুস হয়নি। কিন্তু বলা নেই, কওয়া নেই, স্যামসাং হঠাৎ করেই তাদের অসাধারণ পণ্যের সমাহারের প্রোটোটাইপ সবার সামনে তুলে ধরেছে এবং এ বছরের শেষের দিকে বা সামনের বছরের মধ্যে তা বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। বিস্ময়কর কী কী পণ্য নিয়ে স্যামসাং হাজির হচ্ছে তা জানার আগে এফপিডি ও অ্যামোলেড বা এএমওএলইডি (AMOLED) সম্পর্কে কিছুটা জেনে নিই।



এফপিডি ইন্টারন্যাশনাল

এফপিডি বা ফ্ল্যাট প্যানেল ডিসপ্লে ইন্টারন্যাশনাল নামে জাপানে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় বিশাল এক ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মেলা, যাতে ডিসপ্লে টেকনোলজির প্রাধান্য থাকে বেশি। মেলাটি গ্রিন ডিভাইস মেলা হিসেবেও পরিচিত। এফপিডি ইন্টারন্যাশনাল ২০১০ অনুষ্ঠিত হয়েছিল জাপানের মাকুহারি-মেসে নামের স্থানে ২০১০ সালের নভেম্বরের দিকে। এ বছরের শেষের দিকে অক্টোবরের ২৬-২৮ তারিখে প্যাসিফিকো ইয়োকোহামাতে এফপিডি ইন্টারন্যাশনাল ২০১১ অ্যান্ড গ্রিন ডিভাইস ২০১১ নামে এ মেলার আয়োজন করা হবে। দেখা যাক এ মেলার আরও নতুন কী চমক অপেক্ষা করে আছে।

অ্যামোলেড

অ্যামোলেড Amoled বা অ্যাকটিভ ম্যাট্রিক্স অর্গানিক লাইট ইমিটিং ডায়োড এক ধরনের ডিসপ্লে টেকনোলজি, যা সাধারণত বহনযোগ্য ডিভাইস যেমন- স্মার্টফোন, ট্যাবলেট পিসি ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়। এতে অর্গানিক বা জৈব পদার্থ ব্যবহার করা হয়, যার ইলেকট্রোলুমিনেসেন্টের কাজ করে এবং অ্যাক্টিভ ম্যাট্রিক্স টেকনোলজির সাহায্যে পিক্সেলে ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়। ২০১১ সালের প্রথম থেকেই এ টেকনোলজির যাত্রা শুরু। মোবাইল ফোন, মিডিয়া প্লেয়ার, ট্যাবলেট পিসি ও বিশাল পর্দার টিভি বানাতে বর্তমানে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। অ্যামোলেড প্রযুক্তির সুবিধাগুলো হচ্ছে-

০১. এতে খরচ কম হয়।
০২. বিদ্যুৎ শক্তির অপচয় কম হয়।
০৩. গুণগত মান সাধারণ এলইডি প্যানেলের চেয়ে অনেক ভালো।
০৪. প্রচলিত ডিসপ্লে প্রযুক্তির চেয়ে দেড়গুণ বেশি লুমিনেন্স দিতে সক্ষম।
০৫. কন্ট্রাস্ট রেশিওর মান অনেক বাড়ানো সম্ভব হওয়া। এতে ছবি আরও স্পষ্ট ও উজ্জ্বল দেখায়।
০৬. ভিউয়িং অ্যাঙ্গেলের মান অনেক বেশি।
০৭. অনেক বেশি কালার সাপোর্ট করায় ছবি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।
০৮. রেসপন্স টাইম বেশ দ্রুত, তাই তা বেশি কার্যকর।
০৯. অনেক পাতলা হয়।
১০. ফ্রেক্সিবল ও বেশ ঘাতসহ ।

শুধু সুবিধাই থাকবে, কোনো অসুবিধা থাকবে না তা তো হয় না। অ্যামোলেডের অসুবিধার মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে-

০১.
সরাসরি সূর্যালোকে ডিসপ্লে দেখাটা বেশ কষ্টকর, কিন্তু স্যামসাংয়ের সুপার অ্যামোলেড টেকনোলজি তা অনেকাংশে দূর করতে সক্ষম হয়েছে।

০২.
ব্যবহার হওয়া অর্গানিক মেটেরিয়াল ডিগ্রেডেশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই তুলনামূলকভাবে কম দীর্ঘস্থায়ী। তবে এ সমস্যা দূরীকরণের পদক্ষেপ নেয়া শুরু হয়ে গেছে। বলা যায় ২০১১ সাল জুড়ে থাকবে অ্যামোলেড প্রযুক্তির একক রাজত্ব।

অ্যামোলেড প্রযুক্তির ফোনের মধ্যে রয়েছে- Dell Venue Pro, Google Nexus One, Google Nexus S, HTC Desire, HTC Droid Incredible, HTC Legend, LG Franklin, Nokia C7-00, Nokia C6-01, Nokia E7-00, Nokia N8, Nokia N85, Nokia N86 8MP, Orange San Francisco, Samsung AMOLED Beam SPH-W9600, Samsung i7500 Galaxy, Samsung Haptic Beam SPH-W7900, Samsung SPH-m900 Moment, Samsung i8910, Samsung Jet, Samsung Omnia 2, Samsung Impression, Samsung Rogue, Samsung Transform, Samsung Galaxy S series, Samsung Galaxy S II (Super AMOLED Plus), Samsung Wave S8500, Samsung Focus, Samsung Omnia 7, ZTE Blade ইত্যাদি। স্যামসাংয়ের বেশিরভাগ সেটই এখন সুপার অ্যামোলেড প্রযুক্তিতে বানানো হচ্ছে, যা অ্যামোলেডের চেয়ে আরও উন্নত।

অ্যামোলেড স্ক্রিনযুক্ত কিছু মিউজিক প্লেয়ার হচ্ছে- Cowon S9, Cowon J3, Iriver Clix, Iriver Spinn, Zune HD এবং কিছু ভিডিও গেম কনসোলের মধ্যে রয়েছে- GP2X Wiz ও Music Creation। এছাড়াও ডিজিটাল ক্যামেরার ডিসপ্লেতেও ব্যবহার করা হচ্ছে এ প্রযুক্তি। স্যামসাং কোম্পানির Samsung NX10 ও Samsung WB2000 মডেলের ক্যামেরা দুটিতে এ সুবিধা রয়েছে।

অভিনব স্যামসাং পণ্যসমূহ

সাত ইঞ্চির সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে :

সুপার অ্যামোলেড প্রযুক্তিযুক্ত পণ্য বাজারে প্রথম নিয়ে এলো স্যামসাং। গ্যালাক্সি ট্যাব অ্যামোলেড টেকনোলজিতে বানানো এবং নন গ্যালাক্সি এস ২ সিরিজের স্মার্টফোন দিয়ে সুপার অ্যামোলেডের যাত্রা শুরু। গ্যালাক্সি এস ২-এর ডিসপ্লে ৪.৫ ইঞ্চির। সুপার অ্যামোলেড টেকনোলজি এবার গ্যালাক্সি ট্যাবের সাত ইঞ্চি ডিসপ্লেতেও ব্যবহার করা হবে। মেলাতে গ্যালাক্সি ট্যাবের আকৃতিতে তাদের নতুন সাত ইঞ্চির সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে উপস্থাপন করে স্যামসাং। ডিসপ্লেটি WXVGA (Wide eXtended Video Graphics Array), যা ১২০০ বাই ৬০০ রেজ্যুলেশন সাপোর্ট করে এবং এটি শতভাগ NTSC (National Television System Committee) কালার স্পেস সাপোর্ট করে। প্রতি ইঞ্চিতে ১৬৯টি পিক্সেলের সমন্বয়ে গঠিত এ ডিসপ্লে ১৬.৭ মিলিয়ন কালার সাপোর্ট করে এবং ফ্রি ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল সাপোর্ট করে, অর্থাৎ পাশ থেকে দেখলেও ছবির রঙের কোনো পরিবর্তন হবে না। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২ সিরিজের স্মার্টফোনে সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে যারা দেখেছেন তারা বুঝতেই পারছেন আরও বড় আকারের ডিসপ্লেতে তা কতগুণ সুন্দর হয়ে ফুটে উঠবে। নেক্সট জেনারেশন গ্যালাক্সি ট্যাব বা গ্যালাক্সি ট্যাব ২-এ আকর্ষণীয় এ ডিসপ্লে ব্যবহার করে তা এ বছর নাগাদ বাজারে ছাড়ার চিন্তা আছে স্যামসাং কোম্পানির।

ডুয়াল ডিসপ্লে ক্যামশেল প্রোটোটাইপ :

সাড়ে চার ইঞ্চির দুটি ডিসপ্লেযুক্ত একটি ডুয়াল ডিসপ্লে ক্যামশেল প্রোটোটাইপ মেলায় উন্মোচন করেছে স্যামসাং। দেখতে ছোট্ট একটি ল্যাপটপ মনে হবে প্রথম দৃষ্টিতে। টাচস্ক্রিনের অ্যামোলেড ডিসপ্লের এ ডিভাইসটিতে রয়েছে দুটি ৪.৫ ইঞ্চি WSVGA (Wide Super Video Graphics Array), যা ২৬৬ পিপিআই (পিক্সেল পার ইঞ্চি), ১৬.৭ মিলিয়ন কালার, ৩০০ cd/m2 ব্রাইটনেস, ১০০০০০:১ কন্ট্রাস্ট রেশিও এবং কালার গ্যামুট ১০০% এনটিএসসি কালার স্পেসের চেয়েও আরও উন্নত। ডিভাইসটির ডিসপ্লে এতটাই প্রাণবন্ত- যে দেখবে সে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকবে অপলক দৃষ্টিতে। ডুয়াল ডিসপ্লের দুই পাল্লাতেই ডিসপ্লে হবে, তবে একটিতে ভার্চুয়াল কীবোর্ড এনে তা দিয়ে উপরের পর্দায় টাইপ করা যাবে বা কমান্ড দেয়া যাবে।

ফোল্ডেবল ডিসপ্লে :

ট্যাবলেট পিসিগুলো আকারে কিছুটা বড়, তাই তা পকেটে বহন করা বেশ ঝামেলার কাজ। গ্যালাক্সি ট্যাবের কথা চিন্তা করা যাক, সাত ইঞ্চির এ ডিভাইসটি তো আর পকেটে ঢোকানোর যন্ত্র নয়। কিন্তু এমন যদি হতো তা ভাঁজ করে অর্ধেক করে নেয়া যেত এবং মোবাইলের মতো তা পকেটে অনায়াসে রাখা যেত। স্যামসাং এমনই এক প্রযুক্তি প্রদর্শন করেছে যাতে ডিসপ্লে ফোল্ড বা ভাঁজ করা যায়। এ টেকনোলজিতে দুটি অ্যামোলেড ডিসপ্লের মাঝখানে ব্যবহার করা হয়েছে হাইপার-ইলাস্টিক মেটেরিয়াল (সিলিকন রাবার) এবং ওপরে প্রটেকটিভ লেয়ার দিয়ে তা সুরক্ষিত করা হয়েছে। হাইপার ইলাস্টিক মেটেরিয়ালের কারণে পাতলা অ্যামোলেড ডিসপ্লে দুটি বাঁকানো সক্ষম হবে। ১ মিলিমিটার কব্জার ওপর ভর করে ডিভাইসটির পাল্লা ১৮০ ডিগ্রি কোণে ঘুরিয়ে তা ফোল্ডারের মতো বন্ধ করে রাখা যাবে। ভাঁজ করা অবস্থাতে তা দেখতে ছোট একটি ডায়রির মতো মনে হলেও আসলে একটি ট্যাবলেট পিসি। ৫.৩ ইঞ্চি ডিসপ্লের এ ফোল্ডেবল ডিভাইস ৯৬০ বাই ৮০০ রেজ্যুলেশন সাপোর্ট কওে, যা প্রতি ইঞ্চিতে ২৩৫ পিক্সেল দেখাতে সক্ষম। গবেষকেরা ১০০০০০ বার ডিভাইসটি ফোল্ড করে পরীক্ষা করে দেখেছেন এতে কোনো সমস্যা হয় না।

ফ্লেক্সিবল ডিসপ্লে :

ফ্লেক্সিবল ডিসপ্লে ফ্লোল্ডেবল ডিসপ্লের মতোই। তবে তার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ইচ্ছেমতো বাঁকিয়ে বা ভাঁজ করে রাখা সম্ভব। বাঁকা অবস্থাতেই ডিসপ্লেতে দেখা যাবে স্থির বা চলমান চিত্র। বেশ কয়েকটি আকারে এ ডিসপ্লে বানানো হয়েছে, তবে মেলাতে প্রদর্শন করা হয়েছে ২.৮ ইঞ্চি WQVGA (Wide Quarter Video Graphics Array), যা ২৪০ বাই ৪০০ রেজ্যুলেশন এবং ১৬৬ পিপিআই প্রদর্শন করতে সক্ষম। কালার ডেপথ, ব্রাইটনেস ও কালার গ্যামুট সাপোর্ট অন্যান্য অ্যামোলেড ডিসপ্লেগুলোর মতোই। ডিভাইসগুলো দেখলে মনে হবে ক্যান্ডি বার সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

ট্রান্সপারেন্ট ডিসপ্লে :

ট্রান্সপারেন্ট ডিসপ্লে ছিল মেলার মূল আকর্ষণ। ১৪ ইঞ্চি নোটবুক প্রোটোটাইপে ট্রান্সপারেন্ট ডিসপ্লে প্রদর্শন করেছে স্যামসাং। মেলার স্টলে এ ট্রান্সপারেন্ট ডিসপ্লেতে স্যামসাংয়ের ভবিষ্যৎ পণ্যগুলোর বিজ্ঞাপন দেখানো হয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে ডিসপ্লেতে কিছু চলাকালীন নোটবুকের লিডের পেছনে থাকা সব কিছু দেখা যাবে। নোটবুকের লিডটিকে সামনে থেকে মনে হবে কাচের বানানো, যা দিয়ে অপর পাশের দৃশ্য পরিষ্কার দেখা যায় এবং উল্টো পাশ থেকে দেখলে লিডটিকে আয়না মনে হবে। অসাধারণ এ ডিভাইসটি ১৪ ইঞ্চি আকারের হলেও তার রেজ্যুলেশন খুব একটা বেশি নয়, মাত্র ৯৬০ বাই ৫৪০ এবং তা ৭৮ পিপিআই প্রদর্শন করে। তাই পিকচার কোয়ালিটি এতটা নিখুঁত নয় যতটা অ্যামোলেড ডিসপ্লেতে দেখা যায়। ট্রান্সপারেন্ট ডিসপ্লের বাকি ফিচারগুলো অ্যামোলেড ডিসপ্লের মতোই।

প্লাস্টিক ডিসপ্লে :

অস্বাভাবিক পাতলা ও নমনীয় ডিসপ্লে প্রদর্শন করেছে স্যামসাং, যার নাম দেয়া হয়েছে প্লাস্টিক ডিসপ্লে। এ ডিসপ্লে এতটাই ঘাতসহ যে তা হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলেও ভাঙবে না বা ফেটে যাবে না। ১০ ইঞ্চির পর্দায় ১০২৪ বাই ৬০০ রেজ্যুলেশন সাপোর্টের একটি পাতলা ডিভাইসে এ ডিসপ্লে টেকনোলজি মেলাতে প্রদর্শন করা হয়েছে। এক্স-রে ফিল্মের মতো পাতলা এ ডিসপ্লে মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহার করা শুরু হলে ডিভাইস হাত থেকে পড়ে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। ডিসপ্লেটিতে আরও রয়েছে ৫০% কালার গ্যামুট, ১০০০:১ কন্ট্রাস্ট রেশিও ও ২৫০ cd/m2 ব্রাইটনেস।

ভার্চুয়াল হলোগ্রাফিক্স ডিসপ্লে :

স্যামসাং নিয়ে আসছে ভার্চুয়াল হলোগ্রাফিক এলসিডি ডিসপ্লে। সায়েন্স ফিকশন মুভিগুলোতে আমরা যেমন দেখি একটি ডিসপ্লে ডিভাইস থেকে পুরো এক মানুষের প্রতিমূর্তি সামনে তুলে ধরে তার সাথে কথোপকথন করা হচ্ছে। ঠিক তেমনি এক ব্যাপার তুলে ধরতে যাচ্ছে স্যামসাং। থ্রিডি ইফেক্ট আরও নিখুঁত ও প্রাণবন্ত মনে হবে এ হলোগ্রাফিক্স ডিসপ্লের সাহায্যে। এতে কোনো চশমার প্রয়োজন পড়বে না।

ফ্ল্যাট ডিসপ্লে প্যানেল ইন্টারন্যাশনাল ২০১০ মেলায় চোখ কপালে তুলে দেয়া এসব পণ্যের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু নজরকাড়া পণ্য ছিল স্যামসাংয়ের বুথে। এগুলো হলো- উইন্ডোজ এলসিডি, ৭০ ইঞ্চি ২৪০ হার্টজ ইউডি থ্রিডি টিভি, থ্রিডি গ্লাসলেস ফোন এবং বেশ কয়েক ধরনের আল্ট্রা স্লিম থ্রিডি টিভি। পরের মেলায় স্যামসাং কী চমক দেখাবে তার জন্য অধীর আগ্রহে সবাই দিন গুনছে।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : shmt_21@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস