ডেড রাইজিং গেমটি হচ্ছে অ্যাকশন রোল প্লেয়িং ধাঁচের গেম। গেমটি যৌথভাবে ডেভেলপ করেছে ক্যাপকম এবং ব্লু-ক্যাসেল। এই সিরিজের আগের গেম ডেড রাইজিং গেমটি ক্যাপকম একাই ডেভেলপ এবং পাবলিশ করেছিল।
ডেড রাইজিং ২ গেমটি এর আগের গেম ডেড রাইজিংয়ের কাহিনীর সাথে মিল রেখেই বানানো হয়েছে। গেমের মূল চরিত্রে রয়েছে মোটোক্রস চ্যাম্পিয়ন চাক গ্রিনি, যে কি না আগের গেমটিতেও মূল চরিত্রে ছিল। নতুন এই গেমে পুরনো গেমের সময়কাল থেকে ৫ বছর পরের ঘটনা স্থান পেয়েছে। নতুন এই গেমে পুরনো গেমের অনেক চরিত্র রাখা হয়েছে, যার ফলে আগের গেমটি খেললে গেমের চরিত্রগুলোকে চিনতে ও গেমের কাহিনী বুঝতে অনেক সুবিধা হবে। গেমের শুরুতেই দেখা যাবে চাক গ্রিনি ভয়ংকর একটি রিয়েলিটি টিভি-শো টেরর ইজ রিয়ালিটি সিরিজের নতুন পর্বে অংশগ্রহণ করেছে। এই রিয়ালিটি শোর নতুন পর্বের নাম রাখা হয়েছে ‘TIR XVII: Payback’। আগে গেম-শোটির আয়োজন করা হতো লাস ভেগাসে, কিন্তু সেই স্থানটি জম্বিদের আক্রমণে ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় নতুন শোর আয়োজন করা হয়েছে ফরচুন সিটিতে। শোতে প্রতিযোগীদের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় জম্বিদের মারতে হবে এবং নিজেকে রক্ষা করতে হবে। যে যত জম্বি মারতে পারবে সে তত টাকা ও জনপ্রিয়তা পাবে। চাক এই ভয়ঙ্কর গেম-শোতে ভাগ নেয়, কারণ তার ছোট মেয়েকে বাঁচানোর জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। চাকের স্ত্রী জম্বিদের কামড়ে জম্বিতে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছিল এবং সে মারা যাওয়ার আগে মেয়েকে কামড়ে দিয়েছিল তবে চাক সাথে সাথে তার মেয়েকে জম্বরেক্স নামের প্রতিষেধক দেয়ায় তার মেয়ে জম্বিতে রূপান্তরিত হওয়া থেকে বেঁচে যায়। কিন্তু জম্বরেক্স ওষুধ বেশ দামী ও দুর্লভ। তাই চাকের অনেক টাকার প্রয়োজন হয় সেই ওষুধ কেনার জন্য। গেম-শোতে বিজয়ী হয়ে সে বিশাল অংকের টাকা জিতে নেয়। কিন্তু তখনই অজ্ঞাত কারণে এক বিস্ফোরণের ফলে জম্বিরা মুক্ত হয়ে যায় এবং দোষ পড়ে চাকের। গেমারকে চাকের ভূমিকায় খেলে আটকেপড়া মানুষদের সুরক্ষা প্রদান করতে হবে, জম্বিদের মারতে হবে এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে।
গেমের মজার ব্যাপার হচ্ছে জম্বিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা অস্ত্রগুলো। কেননা গেমে ভারি অস্ত্র ও বিস্ফোরকের পাশাপাশি প্রায় ২৫০ রকমের সরঞ্জমাদি ব্যবহার করা যাবে জম্বিদের মারার জন্য। এর মধ্যে চেয়ার, টেবিল, পাইপ, ফুলদানি, মিনি ফ্রিজার এবং ঘরের আরো নানা আসবাবপত্র অন্যতম। এছাড়া গেমার ইচ্ছে করলে নিজের ইচ্ছেমতো বিভিন্ন অস্ত্র বানিয়ে নিতে পারবেন। এছাড়া টাকা দিয়ে ওয়াপন রেসিপি কার্ড কেনার ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন বস্তু মিশিয়ে কিভাবে মারাত্মক অস্ত্র বানানো যায় তার তালিকা রয়েছে। গেমটিতে মাল্টিপ্লেয়ার মোডে মোট চারজন একসাথে খেলতে পারবে। মাল্টিপ্লেয়ার মোডে গেমাররা টেরর ইজ রিয়ালিটি গেম-শোতে অংশগ্রহণ করবে এবং একটি এরিয়ার ভেতরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে যত বেশি জম্বি বা আনডেড মারতে পারবে সেই বিজয়ী হবে। গেমে বিভিন্ন গাড়িও ব্যবহার করা যাবে। যেমন- মোটরসাইকেল, মানুষের সমান লোহার গোলকযুক্ত ক্রেনের মতো গাড়ি ইত্যাদি।
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট
প্রসেসর: ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ৩.০ গিগাহার্টজ বা এএমডি অ্যাথলন ৬৪ এক্স২ ৩৬০০+
মেমরি: ১ গিগাবাইট
গ্রাফিক্স কার্ড : ৫১২ মেগাবাইট
হার্ডডিস্ক স্পেস: ৮ গিগাবাইট
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : shmt_21@yahoo.com