• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > আইসিটি লার্ন ২০১০ গ্লোবাল ফোরাম
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মো: মিজানুর রহমান
মোট লেখা:১১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
আইসিটি
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
আইসিটি লার্ন ২০১০ গ্লোবাল ফোরাম

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ফিরে

৩০ নভেম্বর-০২ ডিসেম্বর, ২০১০ দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী ও পোর্ট সিটি বুসানে অনুষ্ঠিত হলো আইসিটি লার্ন ২০১০ গ্লোবাল ফোরামের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়া সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব ব্রডব্যান্ড এবং বুসান মেট্রোপলিটন সিটির সহযোগিতায় এশিয়ায় অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষকতা করে কোরীয় কমিউনিকেশন্স কমিশন (কেসিসি)। আইটিইউ’র উদ্যোগে প্রতি দু’বছর পরপর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ফোরাম মূলত আমেরিকা ও আফ্রিকা অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবারের ফোরামের মূল প্রতিপাদ্য ছিল : ‘Building Capabilities for a broadband economy’। ব্রডব্যান্ড ইকোনমি তৈরির জন্য তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার প্রয়োগের মাধ্যমে মানবসম্পদকে দক্ষ করে তোলাই হচ্ছে এ ফোরামের মূল উদ্দেশ্য। কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ফোরামে নিচের তিনটি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়।

০১. আইসিটি, ০২. লার্নিং, ০৩. ডেভেলপমেন্ট

বুসান এক্সিবিশন অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার তথা বেসকো-র মূল হলে ৩০ নভেম্বর ফোরামের উদ্বোধন করা হয়। থাইল্যান্ডের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব গ্লোবাল ফোরামের উদ্বোধনী ভাষণে আগামী দিনে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অর্থনীতিতে দ্রুত প্রভাব ফেলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আইটিইউ’র মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান রবার্ট শ’-এর পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইটিইউ’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. ইয়ুন জু কিম, কোরীয় কমিউনিকেশনস কমিশনের মহাপরিচালক কি কুয়ান কিম এবং বুসান মেট্রোপলিটন সিটির ভাইস চেয়ারম্যান সিয়ং টেক বেক। অতিথিরা তাদের উদ্বোধনী মন্তব্যে ব্রডব্যান্ড অবকাঠামোকে দ্রুত সার্ভিসে স্থানান্তর ও ব্যবসায় সম্প্রসারণে প্রকৃত এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টুল হিসেবে চিহ্নিত করেন।



২০টি দেশের প্রায় ১০০ প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগদান করেন। এছাড়া ছিলেন বিভিন্নখাতের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে মোট ৪টি প্লেনারি সেশন এবং ২০টি প্যারালাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মানবসম্পদকে কারিগরি প্রশিক্ষণ ও প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ নীতিমালা প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, যাতে করে আগামী দিনের জন্য ব্রডব্যান্ডভিত্তিক একটি অর্থনীতি গড়ে তোলা সম্ভব হয়।

আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন আইসিটি এবং টেলিকম সেক্টরের বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের জন্য অবদান রেখে আসছে। ই-পার্লামেন্ট নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করার বিষয়ে আইসিইউর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। বাংলাদেশ আইটিইউ কাউন্সিল মেম্বার পদে প্রথমবারের মতো ২০১০-২০১৪ মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে উক্ত ফোরামে অংশ নেয়ায় বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময়ের সুযোগ ঘটে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এমনকি নেপাল ও ভুটান যেখানে থ্রিজি (3G) প্রযুক্তিতে চলে গেছে, সেখানে বাংলাদেশ এখনও থ্রিজি চালু করতে পারছে না- যা ব্রডব্যান্ড ইকোনমি গড়ার ক্ষেত্রে একটা প্রতিবন্ধকতা। আইটিইউর এশিয়া প্যাসিফিক সেন্টার অব এক্সেলেন্স (CoE) থেকে বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টরে ভবিষ্যতে প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে ‘আইটিইউ সেল’ গঠনের বিষয়ে সুপারিশ করেছে। আশা করা যায় এর ফলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। উল্লেখ্য, পরবর্তী আইসিটি লার্ন গ্লোবাল ফোরাম ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত হবে।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : mizan010168@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস