• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > গ্রে ম্যাটার
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - ফেব্রুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
গ্রে ম্যাটার
গ্রে ম্যাটার গেমটি একটি পয়েন্ট অ্যান্ড ক্লিক ধাঁচের পাজল অ্যাডভেঞ্চার গেম। গেমটি ডেভেলপ করেছে উইজারবক্স ও মামবা গেমস এবং টানুজাবা এন্টারটেইনমেন্ট ও ডিটিপি এন্টারটেইনমেন্ট। গেমের ডিজাইনার হচ্ছেন জেন জেনসেন ও কম্পোজার হচ্ছেন রবার্ট হোমস। গেমটি ফেব্রুয়ারি ২০১১ বের হবার কথা ছিল, কিন্তু তা ডিসেম্বর ২০১০-এ বের হয়ে গেছে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ও এক্সবক্স ৩৬০ কনসোলের জন্য।



গেমের পটভূমি হচ্ছে লন্ডনের অক্সফোর্ড নামের স্থান। গেমের মূল চরিত্র দুটি হচ্ছে স্ট্রিট পারফরমার ও ম্যাজিশিয়ান সামান্থা ইভেরেট (স্যাম) এবং বিখ্যাত ও রহস্যময় নিউরোবায়োলজিস্ট প্রফেসর ডেভিড স্টাইলস। গেমের প্রথমেই দেখা যাবে ঝড়ের রাতে স্যাম তার বাইকে করে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করছে। পথিমধ্যে বাইক নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সে ডেভিডের প্রাসাদের কাছে এসে পৌঁছে। সেখানে সে দেখে ডেভিডের রিসার্চের জন্য অক্সফোর্ডের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট দরকার এবং সে অ্যাসিস্ট্যান্টের ছদ্মবেশে প্রাসাদে আশ্রয় নেয়। তার প্রথম কাজ হয় বায়োলজিক্যাল এক্সপেরিমেন্টের জন্য ছয়জন ভলান্টিয়ার সংগ্রহ করা। কেউ রহস্যময় প্রফেসরের ডাকে সাড়া দিতে রাজি হয় না যারা তাকে চেনে। তাই স্যাম বেছে নেয় এক বিদ্যালয়ের নতুন আগত ছাত্রছাত্রীর দলকে মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দেয়ার লোভ দেখিয়ে। কয়েকজনকে সে পটায় তার ম্যাজিকের সাহায্যে তাক লাগিয়ে দিয়ে। এভাবে সে চারজন জোগাড় করার পর ডেভিড তাকে ফোন করে বলে তাকে ল্যাবে ফিরে আসতে, কারণ তার কাছে আরেকজন ভলান্টিয়ার রয়েছে। স্যামকেসহ ছয়জন মিলিয়ে ডেভিড তার এক্সপেরিমেন্ট শুরু করে। ধীরে ধীরে গেমের কাহিনী এগিয়ে যাবে এবং স্যামের কাছে খোলাসা হতে থাকবে প্রফেসরের রহস্যময় অতীতের কাহিনী। সে আরো জানতে পারবে প্রফেসরের প্যারানরমাল রিসার্চ, ডিডালুস ম্যাজিক ক্লাব ও অক্সফোর্ড ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া কিছু অদ্ভুত ঘটনার ব্যাপারে। তারপর রহস্যের জট খুলতে শুরু করবে, যখন সে সব ঘটনার মধ্যে মিল খুঁজে পেতে শুরু করবে। গেমটির মূল মজা হচ্ছে, কঠিন কিছু ধাঁধার সমাধানের পাশাপাশি দেখাতে হবে কিছু ম্যাজিক ট্রিকস। এসব ট্রিকস শেখার জন্য একটি বই রয়েছে। সেই বই দেখে গেমাররাও রপ্ত করে নিতে পারবেন কিছু ম্যাজিকের কৌশল। সাধারণ রহস্যের সাথে আরো যোগ করা হয়েছে কিছু জাদুকরী মায়াজাল। গেমে প্রতিটি কথোপকথন বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং এর ওপরে ভিত্তি করে গেমের পরের কি ধাপ হবে তার সূত্র পাওয়া যাবে। তাই প্রতিটি কথা বেশ মনোযোগের সাথে শুনতে হবে।

পাজল গেমগুলোতে মুভিং এলিমেন্ট কম থাকে এবং এনভায়রনমেন্ট গ্রাফিক্স বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্থির থাকে, শুধু ক্যারেক্টারের মুভমেন্ট ও কিছু অবজেক্টের উপস্থিতি-অনুপস্থিতি থাকে। তাই গেমের গ্রাফিক্স তেমন একটা হাই কোয়ালিটির এবং প্রাণবন্ত হয় না, কিন্তু গেমের পরিবেশ বেশ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়। তাই বোঝা যাচ্ছে গেমটি খেলার জন্য তেমন বেশি সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট চাওয়া হবে না। গেমটি চালাতে লাগবে ১.৫ গিগাহার্টজের পেন্টিয়াম ৪ মানের প্রসেসর বা এএমডি অ্যাথলন এক্সপি ১৫০০+ মানের প্রসেসর, ৫১২ মেগাবাইট র্যা ম, ১২৮ মেগাবাইট মেমরির পিক্সেল শেডার ২.০ সাপোর্টেড গ্রাফিক্স কার্ড (ন্যূনতম এনভিডিয়া জিফোর্স ৬৬০০ বা এটিআই রাডেওন এক্স১৩০০) এবং ৭ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস