• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ট্রন-ইভ্যালুশন
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - ফেব্রুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ট্রন-ইভ্যালুশন

ট্রন-ইভ্যালুশন নামের গেমটি বেশ আনকোরা কাহিনীর একটি সায়েন্স ফিকশন অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার গেম। ট্রনের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮২ সালে ট্রন নামের মুভি দিয়ে। প্রথম মুভি বের হবার পর প্রায় ১৮ বছর পর বের হয় এ সিরিজের দ্বিতীয় মুভি ট্রন-লিজেসি। নতুন এ গেমটি বানানো হয়েছে দ্বিতীয় মুভির কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে। গেমটি ডেভেলপ করেছে প্রোপাগান্ডা গেমস (কনসোলের জন্য) ও গেমস্টার (পিসির জন্য) এবং পাবলিশ করেছে ডিজনি ইন্টার-অ্যাকটিভ স্টুডিও। গেমটি বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে আনরিয়েল ইঞ্জিন ৩, যার ফলে গেমের কারুকাজ বেশ ফুটে উঠেছে। এ সিরিজের আগের গেমগুলো হচ্ছে- ট্রন (আর্কেড গেম), ডেডলি ডিস্ক, সোলার সেইলর, অ্যাডভেঞ্চারস অব ট্রন, ডিস্কস অব ট্রন, ট্রন ২.০, স্পেস প্যারানয়েডস ও ব্যাটল গ্রিডস (নিনটেনডো ডিএস) ইত্যাদি। অফিসিয়াল গেমগুলোর বাইরে আরো কিছু গেম বের হয়েছিল, সেগুলো হচ্ছে- আরমাগেট্রন অ্যাডভান্সড, বিমওয়ারস, জিএলট্রন ও রিকোচেট। শুধু মুভি আর গেমই নয়, ট্রনের অ্যানিমেটেড সিরিজও রয়েছে, যার নাম ট্রন আপরাইজিং এবং সেই সাথে আরও রয়েছে দুটি কমিকস- দ্য ঘোস্ট ইন দ্য মেশিন ও বিট্রেয়াল। আগের ট্রন সিরিজটির জনপ্রিয়তা বেশ, কারণ এর ভিন্নধর্মী কাহিনী ও গেমপ্লে। গেম সিরিজটির কথা অনেকেই ভুলে গেছেন এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তা সুপ্ত অবস্থায় ছিল, যা ট্রন-লিজেসি নামের মুভির মাধ্যমে আবার আত্মপ্রকাশ করলো।



ট্রন হচ্ছে একটি কমপিউটার গেম, যেখানে গেমের ডিজিটাল ক্যারেক্টারগুলো একে অপরের সাথে যুদ্ধ করে, ঘুরে বেড়ায় গ্রিড ট্যাঙ্ক, লাইট সাইকেল ও লাইট রানারের সাহায্যে। সেই গেমটির মাঝে কিছু করাপ্টেড প্রোগ্রাম বা ভাইরাসের আগমন ঘটবে। গেমারকে নিজের বানানো প্রোগ্রাম নিয়ে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে এবং গেমের অন্যান্য মিশন শেষ করতে হবে এবং পরিশেষে আইএসও চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করে তার ট্রফি অর্জন করতে হবে। সহজ কথায় বলতে- গেমে ট্রন হচ্ছে গেমের ভেতরে গেম। গেমটির সাথে তুলনা করা যেতে পারে প্রিন্স অব পারসিয়ার। গেমারের প্রোগ্রাম দেখতে লেদার ও নিয়নের সংমিশ্রণে বানানো এক মানুষের মতো। ডিজিটাল এ প্লেয়ার প্রিন্সের মতো দুর্দান্ত অ্যাক্রোবেটিকস ও ফাইটিং স্টাইলে দক্ষ। তাই গেমটি খেলার সময় মনে হবে প্রিন্স অব পারসিয়ার সায়েন্স ফিকশন বা ডিজিটাল ভার্সন খেলছেন। গেমের গ্রাফিক্স ও সাউন্ড সিস্টেম অবাক করার মতো। গেমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নতুন এক ডিজিটাল জগৎ, যা সবার নজর কাড়বে। লাইট সাইকেল (বাইক) নিয়ে গ্রিড ট্র্যাক ব্যাটল, রেস, ধাওয়া করা এবং পালিয়ে বাঁচার ব্যাপারগুলো বেশ রোমাঞ্চকর। শুধু লাইট সাইকেলই নয়, প্রোগ্রাম আরও চালাতে পারবেন গ্রিড ট্যাঙ্ক (ব্যাটল ট্যাঙ্ক) এবং লাইট রানার (চার চাকার গাড়ি)। প্রোগ্রামের হাতিয়ার হচ্ছে একটি লাইট ডিস্ক, যার ক্ষমতা অসাধারণ। ধীরে ধীরে যানবাহনের ক্ষমতা ও ডিস্কের ক্ষমতা আপগ্রেড করা যাবে। গেমারের প্রোগ্রাম ছাড়া গেমের অন্যান্য মূল চরিত্রের মধ্যে রয়েছে- কুওররা, ট্রন ও কেভিন ফ্লিন।

গেমটির গ্রাফিক্স কোয়ালিটির সাথে তুলনা করলে গেমটি খেলার জন্য সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট চাওয়া হয়েছে সঠিকভাবেই। গেমটি চালাতে লাগবে ২ গিগাহার্টজের ইন্টেল কোর টু ডুয়ো প্রসেসর বা এএমডির অ্যাথলন ৬৪ এক্সটু ৩৮০০+ প্রসেসর, উইন্ডোজ এক্সপির জন্য ১ গিগাবাইট র্যা ম বা ভিসতা/সেভেনের জন্য ১.৫ গিগাবাইট র্যা ম, ন্যূনতম এনভিডিয়া জিফোর্স ৮৮০০ জিটি বা এটিআই রাডেওন এইচডি ৩৮৭০ গ্রাফিক্স কার্ড (২৫৬ মেগাবাইট মেমরির পিক্সেল শেডার ৩.০ সমর্থিত) এবং ১০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস