• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ফার্ম ফ্রেঞ্জি
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:১৪৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - মে
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ফার্ম ফ্রেঞ্জি

আমাদের দেশে বেকারত্ব এক বিশাল সমস্যা। চাকরি খুঁজে খুঁজে অনেকেই হতাশ। আবার অনেকেই হাঁস-মুরগি বা গরু-ছাগলের খামার করে স্বাবলম্বী হয়ে বেশ ভালোই দিন যাপন করছেন। ভাবছেন গেমের রিভিউতে বেকারত্বের কাহিনীর কথা আসছে কেনো? আজকের আলোচ্য গেমটির কাহিনী বেকারত্ব থেকে স্বাবলম্বী হবার কাহিনী নিয়েই বানানো। অ্যালাওয়ার মেলেস্তা নামের গেম ডেভেলপার কোম্পানির বানানো এবং অ্যালাওয়ার এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানির পাবলিশকৃত গেমগুলোর মধ্যে ফার্ম ফ্রেঞ্জি সিরিজের গেমগুলো বেশ জনপ্রিয়। গেমগুলো পয়েন্ট এন্ড ক্লিক ধাঁচের আর্কেড গেম যাতে মাউসের ব্যবহার বেশি। গেম সিরিজটির যাত্রা শুরু হয়েছিলো ২০০৭ সালে এবং একে একে এ পর্যন্ত বের হয়েছে বেশ কয়েকটি গেম। যার মধ্যে রয়েছে- ফার্ম ফ্রেঞ্জি, ফার্ম ফ্রেঞ্জি ২, ফার্ম ফ্রেঞ্জি-পিজ্জা পার্টি, ফার্ম ফ্রেঞ্জি ৩, আমেরিকান পাই, আইস এজ, রাশিয়ান রাউলেট্টে, মাদাগাস্কার, গন ফিশিং ইত্যাদি। ফার্ম ফ্রেঞ্জি ৪ গেমটি বের হবার অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু গেমটি মূল সিরিজের গেমপ্লে ধাঁচের মতো না করে বানানো হবে হিডেন অবজেক্ট অ্যাডভেঞ্চার গেম হিসেবে।



ফার্ম ফ্রেঞ্জি সিরিজের গেমগুলোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে গৃহপালিত পশু-পাখি লালন পালন করা, তাদের যত্ন নেয়া এবং তাদের থেকে উৎপাদিত পণ্য সংগ্রহ করে তা বিক্রি করা বা তা থেকে অন্য কোনো পণ্য বানানো। যেমন- মুরগির ডিম সংগ্রহ করে তার পাউডার বানাতে হবে এবং বাজার থেকে ময়দা কিনে আনতে হবে, এরপর তা দিয়ে কেক বানিয়ে বিক্রি করতে হবে। পাখির পালক সংগ্রহ করে তা নানান রঙে রাঙাতে হবে এবং কাপড়ের ওপরে ডিজাইন করে তা দিয়ে সুন্দর পোশক বানাতে হবে। কুয়ো থেকে পানি তুলে জমিতে সেচ দিতে হবে। ফলাতে হবে ফসল এবং সেই ফসল খেতে দিতে হবে পশু-পাখিকে। পশু-পাখির উৎপাদিত পণ্য এবং নিজ কারখানায় বানানো পণ্য বাজারে পাঠানোর জন্য থাকবে গাড়ি যার ধারণক্ষমতা ধীরে ধীরে আপগ্রেড করা যাবে। বাজার থেকে পণ্য কিনে আনার জন্য থাকবে আলাদা আরেকটি বাহন। খামারে হঠাৎ করেই আক্রমণ করে বসতে পারে হায়েনা, বাঘ, ওরাংওটাং বা ভালুক। তাদের থামাতে না পরলে পুরো খামার তছনছ করে দেবে। তাই তাদের খুব দ্রুত বন্দি করতে হবে খাঁচায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে খাঁচায় পুরে তাদের বাজারে বিক্রি করে দেয়া যাবে ভালো মূল্যে। খামার পাহারা দেবার জন্য কুকুর কেনার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। একেকটি গেমে একেক রকমের পশু-পাখি ও একেক রকমের কারখানা ব্যবহার করা হয়েছে। পরিবেশের সাথে মিল রেখে গেমের অবজেক্টগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন- মাদাগাস্কার গেমটিতে মাদাগাস্কারে যেসব পশু-পাখি দেখতে পাওয়া যায় তাই রাখা হয়েছে এবং একইভাবে রাশিয়ান রাউলেট্টে গেমটিতে রাশিয়ান পশু-পাখি রাখা হয়েছে।

ফার্ম ফ্রেঞ্জি ৩-এর পর থেকে গেমে বেশ কিছু নতুন ফিচার যুক্ত জরা হয়েছে যা আরো ভালো লাগবে। গেমটিতে যুক্ত করা হয়েছে একটি কেন্দ্রীয় চরিত্র যার নাম স্কারলেট। সে দেশে দেশে ঘুরে বেড়ায় এবং কৃষকদের কাজে সাহায্য করে। তাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার প্রয়াস যোগায় এবং বিপদে তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। গেমে অন্যান্য ক্যারেক্টারগুলো বেশ হাস্যকর করে তোলা হয়েছে এবং গেমের গ্রাফিক্স কিছুটা রঙচঙে করে বানানো হয়েছে যাতে হাস্যরসাত্মক একটা ভাব আসে। ফার্ম ফ্রেঞ্জি শুধু পিসিতেই নয়, এটি আইফোন, অ্যান্ড্রয়িড ও নিনটেনডো ডিএস প্লাটফর্মের জন্যেও বানানো হয়েছে।


কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : shmt_21@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস