• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > অ্যালোন ইন দ্য ডার্ক
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:১৪৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
অ্যালোন ইন দ্য ডার্ক

ভয় কে না পায়? সবাই কম বেশি ভয় পায়।এ ভয় পাওয়ার বিষয়টিকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ফোবিয়া। নানা রকম ফোবিয়া রয়েছে মানুষের মধ্যে, তাদের আবার বিভিন্ন রকম নাম। আজকে যে গেমটির কথা বলবো তার সাথে জড়িত হচ্ছে অন্ধকার। যারা অন্ধকারকে ভয় পান, রাতে আলো জ্বেলে ঘুমান তারা কিন্তু সাবধান। অন্ধকারকে ভয় বা লাইগোফোবিয়ায় আক্রান্ত তারা এই গেম না খেললেই ভালো। আর যদি সাহসের পরীক্ষা করতে চান তবে পিসির সামনে বসে এই গেমটি উপভোগ করতে পারেন। অ্যালোন ইন দ্য ডার্ক নামে ২০০৫ সালে হরর মুভিও তৈরি করা হয়েছিলো, যার ২য় পর্ব দ্য নিউ নাইটমেয়ার বের হয়েছে ২০০৯ সালে।

অ্যালোন ইন দ্য ডার্ক বা আঁধারে একলা বা অন্ধকারে একা যাই বলুন না কেন? নামটির সাথে সবার পরিচিত থাকার কথা। সেই ১৯৯২ সাল থেকে এই গেমের উৎপত্তি। আর্কেড গেমস, ঘরোয়া কন্সোল গেম ও কমপিউটার গেমের অগ্রযাত্রার মূলে রয়েছে যে প্রতিষ্ঠানটি তার নাম হচ্ছে আটারি। আটারির গেমিং কনসোলের কথা শোনেননি বা আটারির বানানো গেমসগুলো খেলেনি এমন কোনো গেমার চিরুনি অভিযান চালিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে। সারভাইবাল হরর গেমগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অ্যালোন ইন দ্য ডার্ক সিরিজের গেমগুলো। গেমটির এই পর্যন্ত ৫টি পর্ব বের হয়েছে। প্রথম ৪টি গেমের পাবলিশার ও ডেভেলপার দুইই ছিলো ইনফোগ্রামেস। কিন্তু ৫ম পর্বটি পাবলিশ করেছে আটারি ও ডেভেলপ করেছে ইডেন গেমস। এখন পর্যন্ত বানানো সবরকমের হরর গেমগুলোর মাঝে ভালো স্থান দখল করে আছে এই সিরিজের গেমগুলো। আটারির বানানো আরো কিছু ভালো মানের গেমের মাঝে রয়েছে- Act of War, ArmA, Arthur, Dawn of Magic, Deer Hunter, desperados, Fantasy Wars, KingÕs Bounty, Neverwinter Nights, Roller Coaster Tycoon, Test Drive, The Witcher ইত্যাদি। গেমিং দুনিয়ার আরো কিছু ভয়ানক গেমের আলিকায় রয়েছে Fatal Frame, Clock Tower, Silent Hill, Resident Evil ইত্যাদি।



প্রথম গেমটির পটভূমি হচ্ছে ১৯২৪ সাল। জেরেমি হার্টউড নামের এক স্বনামধন্য লেখক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যুর কারণের কোনো কূল-কিনারা দেখতে পেলো না কেউ। তাই পুলিশ কেসটি নিয়ে তদন্ত শুরু করলো। বেশ কিছুদিন এ নিয়ে নড়াচড়া করে পুলিশ কেসটি পূর্ণ না করেই কাজ বন্ধ করে রাখলো। ঘটনা ঘটে যাওয়ার বহুদিন পড়ে এডওয়ার্ড কার্নবি নামের একজন প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর আবার কেসটি নিয়ে মাথা ঘামানো শুরু করবে। গেমারকে এ চরিত্রকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ধীরে ধীরে রহস্যের জাল খুলে সে আবিষ্কার করবে জেরেমির আত্মহত্যার কারণ। গেমের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গেমের অন্ধকার পরিবেশ। অন্ধকারে টর্চ লাইট জ্বেলে রহস্যের কুল-কিনারা করতে হবে।

অনেক পুরনো গেম তাই বলার অপেক্ষা রাখে না যে গেমটি লো কনফিগারেশনের পিসিতেও আরামে চালানো যাবে। পেন্টিয়াম থ্রি মানের পিসিতেও গেমটি অনায়াসে চলবে। যাদের অন্ধকারে গেমটি খেলতে সমস্যা হবে তারা মনিটরের এবং গেমের ব্রাইটনেস অপশন থেকে তা বাড়িয়ে নিন। এতে ভালোভাবে দেখা যাবে। কিন্তু অন্ধাকারে যে গা ছমছমে ভাব রয়েছে তার মজা উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত হবেন। হেডফোন কানে লাগিয়ে গেমটি খেললে তা আরো বেশি উপভোগ্য হবে। গেমের গ্রাফিক্স সে আমলের গ্রাফিক্সের সাথে তুলনা করলে বেশ ভালোই বলা চলে। যাদের পিসি কনফিগারেশন ভালো তারা নতুন অ্যালোন ইন দ্য ডার্ক ৫ গেমটি খেলে দেখতে পারেন।


কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : shmt_21@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস