• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ডিউক নুকেম ফরেভার
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:১৪৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ডিউক নুকেম ফরেভার

ডিউক নুকেম গেমিং জগতের এক অবিস্মরণীয় নাম। ১৯৯১ সালে ডস মোডের গেম হিসেবে এ সিরিজের গেমের আবির্ভাব হয়। সে সময়ের অ্যাকশন গেমের মধ্যে সেরা গেমের তালিকায় ছিলো এ গেমটি। কয়েকটি পর্ব বের হবার পর হঠাৎ গেমটি হারিয়ে যায়। বেশ কয়েক বছর পর গেমটি আবার নতুন রূপে গেমারদের হাতে এসে পৌঁছেছে। নতুন গেমটি ডেভেলপ করেছে থ্রিডি রেলমস এবং গেমটি পাবলিশ করেছে টুকে গেমস। গেমটি বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে আনরিয়েল ইঞ্জিন ২.৫। গেমের ডিজাইনার জর্জ ব্রাউসার্ড। গেমটি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, এক্সবক্স ৩৬০, প্লেস্টেশন ৩ ও ম্যাক ওএস এক্স প্লাটফর্মের জন্য বাজারে অবমুক্ত করা হয়েছে। ডিউক নুকেমের চরিত্রের ওপরে বানানো এ সিরিজের বাইরে আরো কয়েকটি গেম হচ্ছে- টাইম টু কিল, জিরো আওয়ার, ল্যান্ড অব দ্য বেবস, ম্যানহাট্টান প্রজেক্ট, অ্যাডভান্স, মোবাইল, ক্রিটিকাল মাস, বলস অব স্টিল, ডেথ র্যা লি, এক্সট্রাকশন পয়েন্ট, অ্যালিয়েন শুটআউট, ভিভিসেক্টর, বিস্ট উইদিন ইত্যাদি।



সেই লাল স্যান্ডো গেঞ্জি, নীল জিন্স, পায়ে বুট জুতো, চোখে সানগ্লাস, ঠোঁটে চুরুট ও বুকে ঝোলানো বুলেটের বেল্ট পরিহিত সেই আগের ডিউকের বেশভূষাই রাখা হয়েছে নতুন গেমে। গেমের পটভূমি টানা হয়েছে ডিউক নুকেম থ্রিডি গেমের ১২ বছর পরের ঘটনা নিয়ে। ডিউকের সাহসিকতা ও বীরত্বগাথার কথা সবদিকে ছড়িয়ে পড়ায় তার অবস্থা এখন তুঙ্গে। সে এখন বিশ্বব্যাপী এক আইকন হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। সাংবাদিকরা তার ইন্টারভিউ নেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তারা জানতে চায় কিভাবে সে মোকাবিলা করে বড় বড় ভয়ঙ্কর সব দৈত্য-দানোর। গেমের প্রথমেই দেখা যাবে ডিউক এক ইন্টারভিউ শেষ করার পরই তার কাছে প্রেসিডেন্ট ও মিলিটারি জেনারেল গ্রেভসের ফোন কল আসবে। তাকে এক অনুপ্রবেশকারী এলিয়েনকে আটকানোর জন্য তার সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। ইন্টারভিউ শো থেকে বের হয়ে সে নেমে পড়বে তার মিশনে। এভাবে নানা রকম মিশনে নিজেকে জড়াতে জড়াতে সে আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকবে। গেমটি ফার্স্ট পারসন শুটিং গেম। গেমে ভারি ও শক্তিশালী সব অস্ত্র চালনা করতে হবে কারণ শত্রুপক্ষের আকারও যে বিশাল। গেমটি সিঙ্গেল ও মাল্টিপ্লেয়ার উভয় মোডেই খেলা যায়।

টুডি গ্রাফিক্সের জগত থেকে থ্রিডির গ্রাফিক্সের দুনিয়ায় ডিউক নুকেম পাড়ি জমিয়েছে আগেই এ সিরিজের ডিউক নুকেম থ্রিডি গেমের মাধ্যমে। কিন্তু তখনকার গ্রাফিক্সের সাথে নতুন এ গেমের আকাশ-পাতাল তফাৎ। নতুন গেমে বেশ প্রাণবন্ত পরিবেশ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আলো- আঁধারির খেলায় গেমের পরিবেশ এসেছে ভিন্ন এক ছোঁয়া যা অ্যাকশন গেমপ্রেমীদের বেশ ভালো লাগবে। গেমটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বানানো হয়েছে এবং ম্যাচিউর রেটিং দেয়া হয়েছে তাই গেমটি ছোটদের খেলা উচিত হবে না। অভিভাবকরাও খেয়াল রাখবেন যাতে ছোটদের হাতে এ গেম না পড়ে। গেমটির গ্রাফিক্স ও সাউন্ড কোয়ালিটি বেশ ভালো কিন্তু গেমপ্লে কিছুটা একঘেয়ে ধাঁচের। অন্যান্য ফার্স্ট পারসন গেমের তুলনায় গেমটি দুর্বল বলা চলে। গুলি করলে তার ইমপ্যাক্ট কম পড়ে কিছু ক্ষেত্রে তা নজরেও পড়ে না। দৈত্য-দানোবের ওপরে গুলি বর্ষণের কোনো ইমপ্যাক্ট দেখা যায় না কিন্তু তার লাইফ যায়। গুলি খেইয়ে শত্রু পক্ষ পিছিয়ে বা পড়ে যায় না তাই গেমের মজা মাটি হয়ে গেছে। গেমের শুরুটা বেশ চমৎকার তবে কিছুদূর যাওয়ার পর গেম তেমন একটা ভালো নাও লাগতে পারে। গেম সমালোচকদের মতে গেমটির রেটিং তেমন একটা ভালো নয়। গেমটি চালাতে কোর টু ডুয়ো ২.০ গিগাহার্টজের প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র্যাটম, ১০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস ও ২৫৬ মেগাবাইট মেমরির এনভিডিয়া জিফোর্স ৭৬০০ বা এটিআই রাডেওন এইচডি ২৬০০ সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড লাগবে।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : shmt_21@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস