• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পিসির ঝুটঝামেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১২ - ফেব্রুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
টিপস
তথ্যসূত্র:
ট্রাবলশুটার টিম
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পিসির ঝুটঝামেলা





কমপিউটার জগৎ ট্রাবলশূটার টিম

কমপিউটার ব্যবহারকারীদের নিত্যনতুন সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু আমাদের এই নতুন বিভাগ ‘পিসির ঝুটঝামেলা’তে পিসির হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক, ভাইরাসজনিত সমস্যা, ভিডিও গেম সম্পর্কিত সমস্যা, পিসি কেনার ব্যাপারে পরামর্শ ইত্যাদিসহ যাবতীয় সব ধরনের কমপিউটারের সমস্যার সমাধান দেয়া হবে। আপনাদের সমস্যাগুলো আমাদের এই বিভাগের মেইল অ্যাড্রেসে (jhutjhamela@comjagat.com) বা কমপিউটার জগৎ, কক্ষ নম্বর-১১, বিসিএস কমপিউটার সিটি, রোকেয়া সরণি, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭ ঠিকানায় চিঠি লিখে জানান প্রতিমাসের ২০ তারিখের মধ্যে। উলে¬খ্য, মেইলের মাধ্যমে পাঠানো সমস্যার সমাধান যত দ্রুত সম্ভব মেইলের মাধ্যমেই জানিয়ে দেয়া হবে এবং সেখান থেকে বাছাই করা কিছু সমস্যা ও তার সমাধান প্রেরকের নাম- ঠিকানাসহ ম্যাগাজিনের এই বিভাগে ছাপানো হবে। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সমস্যা পাঠানোর সময় পিসির কনফিগারেশন, অপারেটিং সিস্টেম, পিসিতে ব্যবহার হওয়া অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম, পিসি কতদিন আগে কেনা এবং পিসির ওয়ারেন্টি এখনো আছে কি না- এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উলে¬খ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।



সমস্যা :

আমি একটি নতুন পিসি কিনব। কি ধরনের পিসি কিনব তা বুঝে উঠতে পারছি না? পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে কিরকম পিসি পাওয়া যাবে এবং তা দিয়ে কি বড় ধরনের গেম খেলতে বা কাজ করতে পারব। এ দামে কিরকম শক্তিশালী কমপিউটার পাওয়া যাবে? প্রসেসর, মাদারবোর্ড, র্যা ম, গ্রাফিক্স কার্ড, হার্ডডিস্ক ও অন্যান্য যা লাগে সব কিছুর একটি তালিকা দিলে বেশ খুশি হব।

-রফিকুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ



সমাধান :
আপনার কথা অনুযায়ী বোঝা যাচ্ছে আপনি মূলত গেম খেলা এবং ভারি কোনো অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য পিসি ব্যবহার করতে আগ্রহী। মাঝারি মানের গেমিং পিসির জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা হলেই হয়। এ বাজেটে যে পিসি হবে তাতে আপনি সব ধরনের নতুন গেম মিডিয়াম ডিটেইলসে খেলতে পারবেন অনায়াসে। মাঝারি মানের গেমিং প্রসেসরের মধ্যে কোর আই ফাইভ সিরিজের সেকেন্ড জেনারেশন স্যান্ডি ব্রিজ বা এএমডি ফেনম টু এক্সসিক্স সিরিজের প্রসেসর ব্যবহার করতে পারেন। প্রসেসর কেনার ক্ষেত্রে ক্লকস্পিডের চেয়ে ক্যাশ মেমরির পরিমাণের ওপরে গুরুত্ব দিন। যদি ক্রসফায়ার বা এসএলআই অর্থাৎ একের অধিক গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করতে আগ্রহী না হলে সিঙ্গেল পিসিআই এক্সপ্রেস স্লটের মাদারবোর্ড কিনুন। এতে খরচ অনেক কমে যাবে। ইন্টেল প্রসেসরের ক্ষেত্রে আসুস বা গিগাবাইটের মাদারবোর্ড এবং এএমডি প্রসেসরের ক্ষেত্রে গিগাবাইট বা এমএসআই ব্র্যান্ডের মাদারবোর্ড কিনুন। মাদারবোর্ড ভালো হলে পরে আপগ্রেড করতে সুবিধা হবে, তাই খরচ একটু বেশি পড়লেও ভালোমানের মাদারবোর্ড কেনার চেষ্টা করতে হবে। ইন্টেলের ক্ষেত্রে এলজিএ-১১৫৫ সকেটের মাদারবোর্ড ও এএমডির ক্ষেত্রে এএমথ্রি+ সকেটের মাদারবোর্ড কিনুন। এতে আসন্ন বেশ কয়েকটি প্রসেসর সিরিজ সাপোর্ট পাওয়া যাবে, যা আপগ্রেড করার ব্যাপারে বেশ সহায়তা করবে। র্যায়ম কেনার সময় তার বাসস্পিড বেশি থাকলে ভালো। তাই ডিডিআর৩ ১৬০০ বা ১৮৬৬ মেগাহার্টজের হাই পারফরম্যান্স র্যাগম কিনতে পারেন। র্যাামের মেমরির পরিমাণ ৪-৮ গিগাবাইট হলে ভালো হয়। র্যা ম কেনার আগে দেখে নিতে হবে মাদারবোর্ড কত বাসস্পিড পর্যন্ত র্যা ম সাপোর্ট করে। যদি তা ১৬০০ বা ১৮৬৬ বাসস্পিড সাপোর্ট করে তবেই তা কিনুন। সবচেয়ে ভালো হয় মাদারবোর্ড এমনটি কেনা যা ১৮৬৬ মেগাহার্টজ বাসস্পিডের র্যােম সাপোর্ট করে। আপাতত বাজেট অনুযায়ী ৪ গিগাবাইট ১৬০০ মেগাহার্টজ বাসস্পিডের র্যােম কিনে নিন। দাম যদি আরো কমে যায় তখন ১৮৬৬ বাসস্পিডের ৮ গিগাবাইট র্যািমে আপগ্রেড করে নিতে পারেন। গ্রাফিক্স কার্ড কেনার ব্যাপারে কিছুটা ঝামেলা পোহাতে হবে। আগে সব কিছু কিনে নিন, তারপর গ্রাফিক্স কার্ডের দিকে নজর দিন। সবকিছু কেনার পরও হাতে ভালো টাকা থাকলে বেশি ভালোমানের গ্রাফিক্স কার্ড কিনুন। গ্রাফিক্স কার্ডের বেলায় এনভিডিয়া জিফোর্স ৫০০ সিরিজ বা এটিআই রাডেওন ৬০০০ সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড কিনুন। হার্ডডিস্ক কেনার ব্যাপারে ৫০০ গিগাবাইটের মধ্যে থাকাই ভালো। কারণ হার্ডডিস্ক যত বড় হবে তা মেইনটেইনেন্স করার ব্যাপারও তত ঝামেলার। যদি খুব বেশি প্রয়োজন পড়ে তবে দুটি ৫০০ গিগাবাইটের হার্ডডিস্ক কিনে লাগাতে পারেন। হার্ডডিস্ক কেনার সময় বেশি ক্যাশ ও বেশি আরপিএমের হার্ডডিস্ক কিনুন। বাজারে হাইস্পিড সলিড স্টেট ড্রাইভ বা এসএসডি হার্ডডিস্ক পাওয়া যাচ্ছে, যা ব্যবহার করলে পিসির গতি অনেক বেড়ে যাবে। কিন্তু এখনো এসব হার্ডডিস্কের দাম অনেক বেশি। তাই বাজেট অনুযায়ী সাধারণ হার্ডডিস্কে থাকাই ভালো। গেমিংয়ের জন্য ২২ ইঞ্চি মনিটর ভালো, তাই আপনার পছন্দের ব্র্যান্ডের এলইডি এলসিডি স্ক্রিনের হাই কন্ট্রাস্ট, ফুল এইচডি ও কম রেসপন্স টাইমের মনিটর কিনুন। পিসি কেনার সময় যে ব্যাপারটিকে অনেকেই গুরুত্ব দেন না তা হচ্ছে ক্যাসিং ও পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট। সাধারণ মানের ক্যাসিংয়ের সাথে যেসব পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট বা পিএসইউ দেয়া হয় তা গেমিং পিসির জন্য তেমন একটা কার্যকর নয়। কারণ সেসব পিএসিউতে ৫০০ ওয়াট লেখা থাকলেও তা আসলে অতটা পাওয়ার দেয় না। সেজন্য কিনতে হবে নামকরা ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই যেমন- থার্মাল্টেক, গিগাবাইট, এ-ডাটা, ডিলাক্স, ফোরটেক্স ইত্যাদি। পিএসইউ ৫০০-৬৫০ ওয়াটের হলে ভালো হয়। ভালো গেমিং ক্যাসিংগুলোতে সাধারণত পিএসইউ থাকে না, তাই ৪০০০-৫০০০ টাকার মধ্যে ভালো ক্যাসিং কিনে নিন। ডিভিডি রাইটার কেনার চেষ্টা করুন, এতে হার্ডডিস্কের বাড়তি ডাটা ডিভিডি বা সিডিতে রাইট করে কিছু জায়গা খালি করতে পারবেন। ভালোমানের পাওয়ার স্টিক ব্যবহার করুন, এতে পিসির সুরক্ষা বাড়বে।



সমস্যা :

আমি বাইরে থেকে একটি গেমিং ল্যাপটপ আনতে চাই। বাইরে থেকে বাংলাদেশে ল্যাপটপ আনার সহজ উপায় কি? বাইরে থেকে ল্যাপটপ আনা যায় এমন কোনো দোকান বা বিক্রেতা বাংলাদেশে আছে কি? আমি কি সরাসরি অ্যামাজন, ইবে, নিউএগ থেকে ল্যাপটপ আনিয়ে নিতে পারব? আমার বাজেট হলো ১২০০ মার্কিন ডলার। এতে আমার কত খরচ পড়বে এবং সরকারকে কি কোনো ট্যাক্স দিতে হবে?

-ইয়াসিন



সমাধান :
অ্যামাজন, ইবে, নিউএগ ইত্যাদি বাংলাদেশে কোনো পণ্য শিপমেন্ট করে না। সেখান থেকে কিনে অন্য কোনো মাধ্যমে তা দেশে আনতে হবে। দেশের বাইরে থেকে ল্যাপটপ আনতে চাইলে অনলাইনে অর্ডার করতে হবে। সেজন্য পেপাল অ্যাকাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে। বিভিন্ন দেশে পণ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন- ফেডেক্স, ডিএইচএল ইত্যাদি। দেশের বাইরে কোনো আত্মীয় থাকলে তার ঠিকানায় পণ্যটি পৌঁছে দিন এবং সে পণ্যটি হাতে পাওয়ার পর ফেডেক্স বা ডিএইচএলের সাহায্যে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বলুন। ট্রান্সফার করার জন্য বেশ টাকা গুনতে হবে, কারণ গেমিং ল্যাপটপের ওজন অনেক বেশি। প্রায় ৫-১০ কেজির মতো হয়ে থাকে। ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে দাম পরিশোধ করার ২-৩ সপ্তাহ বা ১ মাসের মধ্যে ল্যাপটপ পেয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে- শিপমেন্টের অর্থাৎ পণ্যটি পরিবহন করে আপনার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য কত খরচ পড়বে, পণ্যটি নতুন নাকি পুরনো, কতদিনের মধ্যে তা আপনার হাতে পৌঁছবে তা উল্লেখ করা আছে কি না, বাংলাদেশের জন্য সাপোর্ট আছে কি না, কোনো বিশেষ ছাড় আছে কি না, অর্ডার দেয়ার সময় নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর ঠিকভাবে উল্লেখ করেছেন কি না ইত্যাদি। একই পণ্যের দাম প্রতিষ্ঠানভেদে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে। তাই শুধু একটি সাইট না দেখে কয়েকটি সাইট পর্যবেক্ষণ করে দেখা ভালো। তবে বাইরে থেকে কিছু আনানোর সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হচ্ছে ওয়ারেন্টির সুবিধা না পাওয়া। নিজ দেশ থেকে কেনা হলে তাতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা খুব দ্রুত সারানো সম্ভব। সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি বিদেশ থেকে কেউ আসছে তাকে দিয়ে ল্যাপটপটি কিনিয়ে আনা। ল্যাপটপ কেনার সময় ১৫-২০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে। সাথে করে নিয়ে আসার সময় ট্যাক্স রিটার্ন কাগজটি এয়ারপোর্টে দেখাতে হবে তাতে এয়ারপোর্টের কাস্টমস কোনো চার্জ করবে না। কিন্তু দেশের কাস্টমস প্যাক করা অবস্থায় নতুন ল্যাপটপ দেখলে তার ওপরে ট্যাক্স বসাবে। বাইরে থেকে আনানোর পদ্ধতি বেশ ঝামেলার। আমাদের দেশে কিছু বড় বড় দোকান রয়েছে যারা অগ্রিম পেমেন্ট দিলে ল্যাপটপ আনার ব্যাপারে সাহায্য করতে পারবে। বিসিএস কমপিউটার সিটিতে গিয়ে বড় বড় দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখুন। সেল বাজার বা ক্লিকবিডিতে কিছু বিক্রেতা খুঁজে পাবেন যারা দেশের বাইরে থেকে পণ্য কিনে এনে তা বিক্রি করে এবং অর্ডার অনুযায়ী বাইরে থেকে পণ্য কিনে বাসায় পৌঁছে দেয়। কিন্তু তারা ল্যাপটপ সাপ্লাই করতে পারবে কি না সে ব্যাপারে সঠিক বলতে পারছি না।



সমস্যা :

আমি অ্যান্ড্রয়িড বা আইওএস অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার হতে চাই। আমার কোনো প্রোগ্রামিং জ্ঞান নেই। জাভা প্রোগ্রামিং শেখার কোনো সহজ ও দ্রুত পদ্ধতির ব্যাপারে জানান। কোন সাইট থেকে আমি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত তথ্য নামাতে পারব?

-হাসিবুল হাকিম



সমাধান :
অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার হতে হলে ভালো প্রোগ্রামার হতে হবে। অ্যান্ড্রয়িডের জন্য অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করার জন্য বিশেষ করে জাভায় ভালো দক্ষতা এবং সেই সাথে আরো কিছু প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, যেমন- সি ও সি++ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা থাকতে হবে। সি ও সি++ দিয়ে উইন্ডোজ মোবাইলের জন্যও অ্যাপ্লিকেশন বানানো যাবে। জাভায় দক্ষ হলে অ্যান্ড্রয়িডের পাশাপাশি ব্ল্যাকবেরির জন্যও অ্যাপ্লিকেশন বানানো যাবে। আইওএস এসডিকের জন্য অ্যাপ্লিকেশন বানাতে শিখতে হবে অবজেক্টিভ সি ও অবজেক্ট প্যাসকেল। ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে জাভার ওপরে একটি কোর্স সম্পন্ন করুন এবং সেই সাথে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। জাভা, সি ও সি++ এর ওপর লেখা বই সংগ্রহ করে তা পড়ুন। যত বেশি চর্চা করবেন তত তাড়াতাড়ি শিখতে পারবেন। নীলক্ষেতের নিউ বুক সেন্টারে গিয়ে খোঁজ করতে পারেন। সেখানে দেশি-বিদেশি নামকরা রাইটারদের বিশাল সম্ভার রয়েছে। দোকানের ঠিকানা- নিউ বুক সেন্টার, ১২২, ইসলামিয়া মার্কেট। সিডি-ডিভিডির দোকান ঘুরে লিন্ডা ডটকম প্রকাশিত কিছু টিউটরিয়াল ডিস্ক দেখতে পারেন অ্যান্ড্রয়িড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের ওপরে ভিডিও টিউটরিয়াল। জাভার ওপরে বাংলা ভিডিও টিউটরিয়ালও পাবেন খোঁজ করলেই। শেখার আগ্রহ থাকলে নিজে নিজেই বই, ভিডিও টিউটরিয়াল ও ইন্টারনেট ঘেঁটে ভালো জাভা প্রোগ্রামার হতে পারবেন।



সমস্যা :

আমি গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে একটি এইচপি ডিভি৬-৬১০টিএক্স মডেলের ল্যাপটপ কিনেছি, কিন্তু এইচডি ছাড়া কোনো মুভি বা ডিভিডি যদি চালাই তবে ফুল স্ক্রিনে তার ছবি উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার না এসে ঘোলা হয়ে যায়। উল্লেখ্য, আমি system properties>device manager>display adapter এ দুটি গ্রাফিক্স কার্ডের ডিটেইলস যা দেখলাম তা হলো- Intel HD Graphics: PCI Bus 0, Device 2, Function 0 Ges Radeon HD 6770M: PCI Bus 1, Device 0, Function 0। আমি আসলে বুঝতে পারছি না আমার গ্রাফিক্স কার্ড দুটি কাজ করছে কি না? আমি উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার, ইউএম প্লেয়ার, ভিএলসি ও কেএম প্লেয়ার ব্যবহার করি। কনফিগার সুইচেবল গ্রাফিক্সে আমি ওই প্লেয়ারগুলোকে হাই পারফরমেন্সে অ্যাডজাস্ট করেও কোনো লাভ পাইনি। অর্থাৎ পাওয়ার সেভিং মোডে যা হাই পারফরম্যান্সেও তাই। এইচপির ওয়েবসাইট থেকে উভয় গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য মডেল অনুযায়ী নতুন করে ড্রাইভার নামিয়ে তা ইনস্টল দেওয়ায় গ্রাফিক্স পারফরম্যান্স ৬.৬ থেকে কমে ৫.৮-এ এসেছে এবং ওভারঅল পারফরম্যান্স ৫.৯ থেকে ৫.৮ এ নেমেছে। আমি নতুন ব্যবহারকারী, তাই সমস্যাটা বুঝতে পারছি না। সমাধান পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

-মনজুর রায়হান, খুলনা



সমাধান :
প্রথমত ইন্টেলের যে গ্রাফিক্স চিপসেট সাপোর্ট দেয়া আছে তা ইন্টেলে সেকেন্ড জেনারেশন স্যান্ডি ব্রিজ প্রসেসরের সাথে বিল্ট-ইনভাবে দেয়া আছে। আর এটিআই রাডেওন সিরিজের যে গ্রাফিক্স কার্ড দেয়া আছে ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে যা প্রায় এক্সটারনাল গ্রাফিক্স কার্ডের সমতুল্য পারফরম্যান্স দিতে সক্ষম। গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভার নামানোর জন্য এএমডির ওয়েবসাইটে গিয়ে উইন্ডোজ ভার্সন ও বিট অনুযায়ী সঠিক রাডেওন গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভার নামিয়ে তা ইনস্টল করুন। তবে তা করার আগে পুরনো ড্রাইভারটি কন্ট্রোল প্যানেল থেকে আনইনস্টল করে নিন। ল্যাপটপের সাথে দেয়া সাপোর্ট ডিস্কে কিছু এইচপির ইউটিলিটি প্রোগ্রাম আছে তা ইনস্টল করে নিন। বেশি প্লেয়ার ইনস্টল করলে অনেক সময় সমস্যা হয়, তাই তা এড়িয়ে চলুন। হাই ডেফিনিশন মুভি দেখার জন্য পাওয়ার ডিভিডি আল্ট্রা ১১ ব্যবহার করুন। ভিএলসি প্লেয়ার বাদ দিয়ে কে-লাইট মিডিয়া কোডেক ব্যবহার করুন, যার সাথে মিডিয়া প্লেয়ার ক্লাসিক রয়েছে। এ কোডেক প্যাকটি ইনস্টল করা থাকলে অনেক ফরমেটের অডিও ও ভিডিও ফাইল চালাতে পারবেন। বাকি প্লেয়ারগুলোর সেটিং ডিফল্ট করে দিন। লো রেজ্যুলেশনের ভিডিও ফাইল দেখতে গেলে কিছুটা ঘোলা হবেই। সিআরটি মনিটরে লো রেজ্যুলেশনের ভিডিও তেমন একটা খারাপ না দেখালেও ওয়াইডস্ক্রিন এলসিডি মনিটরে তা খারাপ দেখায়। লো কোয়ালিটির ভিডিও ফাইল মিডিয়া প্লেয়ার বা মিডিয়া প্লেয়ার ক্লাসিকে চালান।



সমস্যা :

২০১০-এর ফেব্রুয়ারি মাসে একটি কমপিউটার বিশ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি তার বর্ণনা এই রকম- ১৮.৫ ইঞ্চি এলজি এলসিডি মনিটর (রেজ্যুলেশন 1360 x 768, ব্রাইটনেস ২০০, কন্ট্রাস্ট রেশিও ৫০০০০:১, রেসপন্স টাইম ৫ মিলি সেকেন্ড), বায়োস্টার মাদারবোর্ড মডেল MCP6PB M2+, এএমডি স্যাম্প্রন ১৪০ প্রসেসর (ট্রু সিঙ্গেল কোর ডিজাইন ১ মে.বা. টোটাল ক্যাশ), জিওন র্যাডম ১ গিগাবাইট ডিডিআর২ ৬৬৭ মেগাহার্টজ, ২৫০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক, 22x এলজি ডিভিডি রাইটার, সুপারকম্প ইউপিএস-৬২৫ভিএ, এক্সএফএক্স এটিআই রাডেওন এইচডি৪৩৫০ ১ গি.বা. গ্রাফিক্স কার্ড। কমপিউটারে ব্যবহার হওয়া সফটওয়্যারগুলো হচ্ছে- এক্সপি এসপি-৩, অফিস-৩, নীরো-৭, মজিলা-৬, ফক্সিট রিডার, অভ্র ইত্যাদি এবং নেট মাসে ১ গি.বা.। এখন আমার প্রশ্নগুলো হলো- আমার এই কমপিউটারটি কেমন মানের? এ গ্রাফিক্স কার্ডটি কি কি কাজে লাগে? আমি এই গ্রাফিক্স কার্ডটি খুলে ফেলতে চাই। কিভাবে খুলব? এ মাদারবোর্ডে কতটা বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স মেমরি আছে? কমপিউটার অন করলেই প্রসেসরের পাখাতে খুব জোরে আওয়াজ হচ্ছে। এরপর কোনো ফাইল খোলার পর ওই আওয়াজ কিছুটা কমছে। আগে এটা ছিল না। এখন কি করতে হবে? টেপের ক্যাসেটে কিছু কথাবার্তা আছে, এটাকে কমপিউটারে এনে শুনব এবং সিডি করব কিভাবে? ফেসবুকে বাংলাভাষা সম্বন্ধে একটা পোস্ট লিখব কিভাবে? নেট থেকে সেভ করা ফোল্ডারের নাম এবং লেখা বাংলায় এত ছোট আসছে যে পড়া যাচ্ছে না, নেটে আপনাদের লেখা পড়তেও একই সমস্যা হয়েছে, বারবার জুমইন করতে হয়েছে, ইংরেজি লেখাতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না? নেটে কোনো ভিডিও ক্লিপ দেখতে ক্লিক করলে কয়েক সেকেন্ড করে লোড হয় আর শো হয়। এভাবেই চলে। কিভাবে একনাগাড়ে দেখা যবে? সিডিতে যদি ভাইরাস থাকে তাহলে কি করণীয়? আমার এই সমস্যাগুলোর সমাধান দয়া করে জানালে বাধিত হব।

-বরুণ দে



সমাধান :
কনফিগারেশন অনুযায়ী কমপিউটারটি সাধারণমানের। ইন্টেলের সেলেরন ও এএমডির সেম্প্রন এ দুটো প্রসেসর হচ্ছে লো বাজেট প্রসেসর, যা সাধারণ কাজকর্ম করার জন্য সাধারণত অফিস-আদালতে ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের পিসি ওয়ার্ড প্রসেসিং, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও গান শোনা ইত্যাদি কাজ করার উপযুক্ত। গ্রাফিক্স কার্ড মুভি দেখার সময় পিকচার কোয়ালিটি কিছুটা অ্যানহ্যান্স করে, গেম খেলার ব্যাপারে সাহায্য করে এবং গ্রাফিক্স সম্পর্কিত কাজ করার সময় বেশ কাজে দেয়। গ্রাফিক্স কার্ড কি কারণে খুলে ফেলবেন তা আপনি উল্লেখ করেননি। যদি গ্রাফিক্স কার্ড কোনো সমস্যা না করে তবে তা খোলার কোনো দরকার নেই। বিল্ট-ইনভাবে এ মাদারবোর্ডে দেয়া আছে এনভিডিয়া জিফোর্স ৬১৫০ চিপসেটের গ্রাফিক্স কার্ড, যা বেশ দুর্বল। মাদারবোর্ডের সকেট টাইপ হচ্ছে এএমটু+ তাই এতে এএমডি এথলন ও ফেনম সিরিজের প্রসেসরও ব্যবহার করতে পারবেন। দুটি র্যােম স্লটের প্রত্যেকটিতে সর্বোচ্চ ৮০০ মেগাহার্টজের ২ গিগাবাইট করে মোট ৪ গিগাবাইট র্যাাম ব্যবহার করতে পারবেন। মাদারবোর্ডের নর্থব্রিজ চিপসেট হচ্ছে এনভিডিয়া জিফোর্স ৬১৫০ এবং এনভিডিয়া এনফোর্স ৪৩০। তাই মাদারবোর্ডের সাথে এটিআই গ্রাফিক্স কার্ড কিছু সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তবে তেমন কোনো সমস্যা না দেখা দিলে গ্রাফিক্স কার্ডটি না খোলাই ভালো। গ্রাফিক্স কার্ড খুলতে চাইলে ক্যাসিংটি খুলে গ্রাফিক্স কার্ডটি স্লট থেকে টেনে খুলে ফেলুন। গ্রাফিক্স কার্ড খুলে নিলে বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনাবল হবে। তবে তার আগে আগের গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভার আনইনস্টল করতে হবে। গ্রাফিক্স কার্ড খুলে ফেলার পর মাদারবোর্ডের সাথে দেয়া ডিস্ক থেকে বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভার ইনস্টল করে নিলে তা কার্যকর হবে। প্রসেসরের কুলিং ফ্যান ও হিটসিঙ্কে ময়লা জমে গেলে এরকম শব্দ করে। তাই পিসির ক্যাসিং খুলে ফ্যান ও হিটসিঙ্ক পরিষ্কার করুন। কমপিউটার সার্ভিসিং সেন্টারে নিয়ে গেলে সেখানেও এ কাজ করাতে পারবেন। টেপ রেকর্ডার থেকে কমপিউটারে লাইন দেয়ার অডিও জ্যাক কিনে তা কমপিউটারে রেকর্ড করতে পারবেন এবং মিডিয়া প্লেয়ার দিয়ে অডিও সিডি রাইট করতে পারবেন। আরো ভালো হয় নেরো সফটওয়্যারের সাহায্যে অডিও সিডি রাইট করলে। বাংলা লেখার জন্য অভ্র বাংলা নামের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন। এতে ফোনেটিক পদ্ধতিতে বাংলা লিখতে পারবেন, যাতে আপনার কোনো বাংলা টাইপিং লেআউট মুখস্থ করতে হবে না। ইংরেজি বানানে লিখলে তা বাংলা হয়ে যাবে। অভ্র ইনস্টল করার পর যেকোনো প্লাটফর্মে প্রোগ্রামটির বাংলা রাইটিং মোড চালু করে বাংলা লিখতে পারবেন। বাংলা ফন্টের আকার ইংরেজি ফন্টের তুলনায় ছোট, তাই তা দেখতে সমস্যা হয়। ভিডিও ক্লিপ দেখার জন্য নেট স্পিড বেশি হতে হয়, তা না হলে ভালোভালে ভিডিও স্ট্রিমিং হয় না। অনলাইন ভিডিও ডাউনলোড করার জন্য ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার নামিয়ে নিতে পারেন। সিডিতে ভাইরাস থাকলে তা রিমুভ করা সম্ভব নয়, কারণ তা যে ফরমেটে রাইট করা হয় তা ডিলিট করা সম্ভব নয়। তাই রাইট করা সিডি কপি করে তার কনটেন্ট ভাইরাস স্ক্যান করে তারপর আবার আরেকটি সিডিতে রাইট করে নিন।



সমস্যা :

আমার পিসির প্রসেসর পেন্টিয়াম ডুয়াল কোর ৩ গিগাহার্টজ, র্যা ম ডিডিআর৩ ২ গিগাবাইট ও মাদারবোর্ড ফক্সকন জি৪১এমএক্সই। আমি যখন উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করি তখন ম্যাক্সিমাম গ্রাফিক্স মেমরি ২৫৬ মেগাবাইট দেখায়, কিন্তু যখন উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করি তখন ৮১৪ মেগাবাইট দেখায়। এটা কেনো দেখায়? এর কারণটা জানালে খুশি হতাম। আর এ মাদারবোর্ডের বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে আমি পিক্সেল শেডার ৩.০ চাওয়া গেমগুলো খেলতে পারি। আমার গ্রাফিক্স কার্ডের পিক্সেল শেডার মডেল কত?

-আরাফাত হোসাইন, ঢাকা



সমাধান :
আপনি যে মাদারবোর্ড ব্যবহার করছেন সেটি বেশ ভালোমানের মাদারবোর্ড ইন্টেল জি৪১ চিপসেট সাপোর্টেড মাদারবোর্ড হিসেবে। মাদারবোর্ডটিতে বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে দেয়া আছে ইন্টেল জিএমএ এক্স৪৫০০ চিপসেটের ভিডিও কার্ড। এটি ইন্টেলের গ্রাফিক্স চিপসেটগুলোর মধ্যে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। এনভিডিয়া ও এটিআই গ্রাফিক্স চিপসেটের চেয়ে কিছুটা দুর্বল হলেও এ চিপসেটের পারফরম্যান্স বেশ ভালোই। এতে ডিরেক্টএক্স ১০ ও পিক্সেল শেডার ৪.০ সাপোর্ট রয়েছে। উইন্ডোজ সেভেনে গ্রাফিক্স কার্ডের মেমরি বেশি দেখায়, কারণ উইন্ডোজ সেভেনে ভিডিও কার্ডের পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য র্যা মের সাথে কিছুটা মেমরি শেয়ার করে গ্রাফিক্স মেমরি বাড়িয়ে নেয়, যাতে গেম ভালোভাবে চলে। এ মাদারবোর্ডে ১৩৩৩ মেগাহার্টজ ডিডিআর৩ র্যা ম সাপোর্ট করে, তবে তা ওভারক্লক করার পর ফুল পারফরম্যান্স পাবেন। নরমাল মোডে তা ৮০০ মেগাহার্টজ গতির রযাট ম সাপোর্ট করে। মাদারবোর্ডটি কোর টু ডুয়ো ও কোর টু কোয়াড প্রসেসর সাপোর্ট করে, তাই সহজেই পিসির আপগ্রেড করে আরো ভালোভাবে গেম খেলতে পারবেন।



সমস্যা :

আমি একটি নোটবুক অথবা ট্যাবলেট পিসি নিতে চাচ্ছি। আমার বাজেট ২৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে। আমি সুলভে ভালো পণ্য কেনার জন্য আপনাদের পরামর্শ চাই। আমার হাই স্পিড ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার প্রয়োজন হয়। আমি একসাথে একাধিক (৪-৫টা) ব্রাউজারে ব্রাউজ করি। আমি নোটবুক অথবা ট্যাবলেট পিসি শুধু ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের জন্যই ব্যবহার করব। এক্ষেত্রে আমি নোটবুক নাকি ট্যাবলেট পিসি কিনব। ট্যাবলেট পিসি সম্পর্কে আমাকে একটা পরিষ্কার ধারণা দেবেন?

-মাসুম, বগুড়া



সমাধান :
একসাথে অনেক ব্রাউজার ব্যবহার করার চেয়ে একই ব্রাউজারে কয়েকটি ট্যাব খুলে কাজ করা ভালো। আলাদা আলাদা ব্রাউজারে যদি আপনি ওয়েব ডেভেলপের কাজ করে সাইটগুলো কোন ব্রাউজার কেমন সাপোর্ট করে তা দেখেন তবে অন্য কথা। ট্যাবলেট পিসিতে নেট ভালো ব্রাউজ করা যায়, কিন্তু তুলনামূলকভাবে এগুলোর দাম বেশি। ট্যাবলেট পিসিতে টাচস্ক্রিন ইনপুট সিস্টেম এবং অ্যান্ড্রয়িড অপারেটিং সিস্টেম থাকে যাতে পিসিতে চালানো সফটওয়্যারগুলোর বিকল্প খুঁজতে হবে। ট্যাবলেট পিসির চেয়ে একই দামে আরো ভালো কনফিগারেশনের ল্যাপটপ পাবেন। তাই এইচপি প্রোবুক বা প্যাভিলিয়ন জি বা ডেল ইন্সপাইরন বা আসুস বা আপনার পছন্দের ব্র্যান্ডের কোরআই ফাইভ সিরিজের ল্যাপটপ কিনে নিতে পারেন ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে।



সমস্যা :

আমি গুগল বুক ডাউনলোড করতে চাই। এটা কি সম্ভব? যদি হয় তবে কিভাবে? আমার পিসির ক্যাসিংয়ের সামনের দিকের ইউএসবি পোর্টগুলো ঠিকভাবে কাজ করছে না। পেনড্রাইভ দিলে তা ঠিকমতো কাজ করে, কিন্তু মডেম লাগালে পিসি হ্যাং করে। আবার অনেক সময় কিবোর্ডের কিছু কি কাজ করে না, পিসির পাওয়ার বাটন কাজ করে না ও পিসি রিস্টার্টও করা যায় না। এ অবস্থায় আমি কি করতে পারি?

-আবির



সমাধান :
গুগল বুক ডাউনলোড করার জন্য অনেক সফটওয়্যার রয়েছে। ইন্টারনেটে গুগল বুক ডাউনলোড বা ডাউনলোডার নামে সার্চ করে দেখুন বেশ কিছু সাইট পাবেন, যেখানে গুগল বুক ডাউনলোড করার সফটওয়্যার পাওয়া যাবে বা ডাউনলোড করার পদ্ধতি পেয়ে যাবেন। পিসির পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা হতে পারে। মূলত সামনের ইউএসবি পোর্ট তেমন ক্ষমতাবান হয় না। সেখানে যে পাওয়ার কানেকশন দেয়া হয় তা সীমিত। তাই পেছনের দিকের পোর্টে মডেম ব্যবহার করুন। পেছনের পোর্টে লাগাতে সমস্যা হলে ভালোমানের ইউএসবি এক্সটেনশন ক্যাবল কিনে তার সাথে মডেম লাগাতে পারেন। পেছনের পোর্টে লাগানোর পরও যদি সমস্যা করে তবে ভালোমানের পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করলে এ ধরনের সমস্যা থাকবে না। পিসির কনফিগারেশন উল্লেখ করলে আরো ভালো পরামর্শ দেয়া সম্ভব হতো।



সমস্যা :

আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে- ইন্টেল কোরআই ফাইভ ৭৫০ ২.৬৭ গিগাহার্টজ, ইন্টেল ডিএইচ৫৫এইচসি মাদারবোর্ড, র্যাসম ২ গিগাবাইট ডিডিআর৩ ১৩৩৩ মেগাহার্টজ ও এক্সএফএক্স এইচডি ৫৬৭০ ১ গিগাবাইট গ্রাফিক্স কার্ড। আমি উইন্ডোজ ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম ও বিট ডিফেন্ডার ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১১ (লাইসেন্সড) ভার্সন ব্যবহার করি। কেএম বা ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ারে মুভি দেখার সময় ৫-১০ মিনিট চলার পর ব্ল্যাঙ্ক হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তা আবার চলে আসে কিন্তু পিসি স্লো হয়ে যায়। পিসি রিস্টার্ট না করা পর্যন্ত এ সমস্যা থাকে। উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ারে চালালে এ সমস্যা হয় না। আগে এ সমস্যা ছিল না ইদানিং এটি হচ্ছে। এ সমস্যা কিভাবে দূর করব? আমার পিসিতে আমি কিছু গেম খেলতে পারছি না। যেমন- ডার্ট ২/৩, কল অব ডিউটি মডার্ন ওয়ারফেয়ার ৩ ইত্যাদি। কিছুক্ষণ খেলার পর আটকে যায় এবং গেম রেসপন্স করে না। কিন্তু আমার বন্ধুর কমপিউটারে গেমগুলো বেশ ভালোই চলে। তার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে- কোরটু ডুয়ো ও এটিআই রাডেওন ৫৪০০ সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড। আমার পিসিতে এমন হচ্ছে কেনো বুঝতে পারছি না।

-মোহাম্মদ আয়মান



সমাধান :
পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী ভালো ব্র্যান্ডের ৫০০-৬৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ব্যবহার করা উচিত। আপনি ক্যাসিংয়ের সাথে দেয়া সাধারণ মানের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ব্যবহার করে থাকলে আপনার পিসিতে পাওয়ার সাপ্লাইয়েই সমস্যা হচ্ছে। গেম খেলার সময় পর্যাপ্ত পাওয়ার সাপ্লাই না পাওয়ার কারণে গেম আটকে যেতে পারে। আরো একটি ব্যাপার হচ্ছে র্যা ম ৪ গিগাবাইট বা তার বেশি না হলে ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে কোনো লাভ হবে না। উল্টো আরো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অপারেটিং সিস্টেম বদল করে ৩২ বিট অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করুন বা আরো ২ গিগাবাইট র্যা ম কিনে পিসিটি ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম চালানোর উপযোগী করে নিন।


কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : jhutjhamela@comjagat.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস