অনাকাঙ্ক্ষিত সফটওয়্যার এবং টেম্পোরারি ফাইলসহ অন্য অনেক প্রোগ্রাম ব্যাকগ্রাউন্ডে রানিং থেকে কমপিউটারের গতি অনেক কমিয়ে দেয় এবং স্টার্টআপ সময় অনেক বেড়ে যায়। ফলে পিসির স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। এমন অবস্থায় দরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া, যাতে পিসি তার স্বাভাবিক কাজ করতে পারে।
আমরা জানি, পিসি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার উভয়ের সমন্বয়ে কাজ করে। এই সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার পরিপাটি রাখার অর্থ পিসির চমৎকার পারফরম্যান্স ও দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করা। পিসির ব্যবহারের মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে পিসি অনাকাঙ্ক্ষিত সফটওয়্যার এবং টেম্পোরারি ফাইল দিয়ে বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে। এর ফলে উইন্ডোজের স্টার্টআপ সময় অনেক বেড়ে যায়। কেননা উইন্ডোজের সাথে সাথে অনেক অ্যাপ্লিকেশন আপনার অজান্তেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে লোড হয়। তবে এতে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা, এসব অনাকাঙ্ক্ষিত সফটওয়্যারের বেশিরভাগই খুব সহজে অপসারণ বা আনডান করা যায়। অনাকাঙ্ক্ষিত সফটওয়্যার দূর করতে পারলে পিসি যেমন হবে অধিকতর দ্রুততর ও বিশ্বস্ত, তেমনই পাবেন কমপিউটিংয়ে চমৎকার অভিজ্ঞতা এবং অনাবিল আনন্দ।
কিন্তু প্রশ্ন হলো পিসিকে কিভাবে পরিপাটি করা যায়, যার ফলে কমপিউটিংয়ে পাবেন অনাবিল আনন্দ ও চমৎকার অভিজ্ঞতা। আর এ বিষয়টি অর্থাৎ পিসিকে সার্বিকভাবে পরিপাটি করার কৌশলই দেখানো হয়েছে এবারের পাঠশালায়।
অনাকাঙ্ক্ষিত প্রোগ্রাম অপসারণ করা
প্রথমে ধরে নিন, কন্ট্রোল প্যানেলের সব রেফারেন্স আইকন সিলেক্টেড অবস্থায় রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত প্রোগ্রাম অপসারণ করার আগে গুরুত্বপূর্ণ সব ডাটার ব্যাকআপসহ রিস্টোর পয়েন্ট তৈরি করা উচিত, যাতে যেকোনো বিপর্যয় ঘটলে পিসির আগের ভালো অবস্থায় ফিরে আসা যায়।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে নতুন নতুন সফটওয়্যার ইনস্টল করার ফলে এক সময় আপনার পিসি হয়ে উঠবে বিপুলসংখ্যক সফটওয়্যারের কালেকশন বা ভান্ডার। ইনস্টল করা এসব সফটওয়্যারের মধ্যে কিছু সফটওয়্যার প্রতিদিনই ব্যবহার হয়, আবার কিছু সফটওয়্যার মাঝেমধ্যে ব্যবহার হয় ঠিকই, তবে বেশিরভাগ সফটওয়্যার হয়তো কখনই ব্যবহার হয় না।
প্রয়োজনাতিরিক্ত এসব সফটওয়্যার অপসারণ করাকে বলা যায় নিজ গৃহকে সুরক্ষার চেয়ে বেশি কিছু। কেননা, এর ফলে পিসির পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্য মাত্রায় যেমন বাড়ে তেমনিভাবে সাশ্রয় হয় মূল্যবান স্পেস। শুধু তাই এর স্টার্টআপের সময় সীমিত সংখ্যক প্রোগ্রাম চালু হওয়ায় স্টার্টআপ সময়ও কম লাগে।
অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম আনইনস্টল করার জন্য Start>Control Panel–এ ক্লিক করে উইন্ডোজ ৭ ও ভিস্তার জন্য Programs and Features বা এক্সপির জন্য Add or Remove Programs-এ ক্লিক করুন। এর ফলে উইন্ডোজে সব ইনস্টল হওয়া অ্যাপ্লিকেশনের একটি লিস্ট কম্পাইল করবে।
এক্সপির ক্ষেত্রে এই লিস্টটি বিন্যাশিত হয় নেম, সাইজ, ব্যবহারের ফ্রিকোয়েন্সি অথবা সর্বশেষ কবে ব্যবহার হয়েছিল তার ভিত্তিতে। আপনি কোন অর্ডারে এই লিস্টকে বিন্যাস করতে চান তা সিলেক্ট করার জন্য ড্রপডাউন মেনু থেকে বেছে নিন Sort by অপশন। এক্ষেত্রে ভিস্তা ও উইন্ডোজ ৭ দিয়ে বাড়তি তথ্য, যেমন অ্যাপ্লিকেশনের পাবলিসার এবং কোন ভার্সন ইনস্টল করা হয়েছে ইত্যাদি।
লিস্টজুড়ে স্ক্রল করুন এবং অনাকাঙ্ক্ষিত প্রোগ্রামের দিকে লক্ষ রাখুন। যদি নির্দিষ্ট কোনো এন্ট্রির ব্যাপারে নিশ্চিত হতে না পারেন তাহলে অনলাইনের সহায়তা নিতে পারেন এবং অপসারণের আগে জানতে পারবেন এটি কোন প্রোগ্রামের জন্য। কোনো প্রোগ্রাম স্থায়ীভাবে অপসারণ করতে চাইলে প্রথমে তা হাইলাইট করুন এবং Uninstall-এ ক্লিক করুন উইন্ডোজ ৭ ও ভিস্তার ক্ষেত্রে অথবা এক্সপির ক্ষেত্রে Remove বাটন ক্লিক করুন। লক্ষণীয়, প্রোগ্রাম আনইনস্টল করা যায় একবার একটাই। আনইনস্টল করার পর প্রম্পট অনুসরণ করুন কাজ সম্পন্ন করার জন্য।
ব্যাকগ্রাউন্ডে কী রানিং আছে?
কমপিউটারের গতি কমে যাওয়ার আরেকটি সাধারণ অথচ অন্যতম প্রধান কারণ হলো ব্যাকগ্রাউন্ডে অসংখ্য প্রোগ্রাম রানিং অবস্থায় থাকা। সক্রিয় অ্যাপ্লিকেশনগুলো দ্রুত এক পলকে দেখার জন্য নোটিফিকেশন এরিয়া দেখে নিন। এটি উইন্ডোজ ডেস্কটপের নিচের ডান প্রান্তে ঘড়ির বাম দিকে ছোট আইকনের সংগ্রহ। এখানকার প্রতিটি আইকন ইঙ্গিত করে রানিং অ্যাপ্লিকেশনকে। লক্ষণীয়, এটি নির্ভর করে টাস্কবার কিভাবে সেটআপ করা হয়েছে তার ওপর। আপনি ইচ্ছে করলে ছোট অ্যারোতে ক্লিক করে দেখতে পারবেন সম্পূর্ণ বিস্তৃত নোটিফিকেশন এরিয়া আইকন।
এসব অ্যাপ্লিকেশনের অনেকই স্বয়ংক্রিয়ভাবে উইন্ডোজের সাথে সাথে চালু হয়। কোন অ্যাপ্লিকেশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্টার্ট হবে, তা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এজন্য প্রথমেই চেক করে দেখুন স্টার্টআপ প্রোগ্রাম গ্রুপ।
এটি এক্সপ্লোর করার জন্য Start>All Programs ক্লিক করে Startup ফোল্ডারে ডান ক্লিক করুন এবং বেছে নিন Explore অপশন। প্রতিটি প্রোগ্রাম দেখা যায় স্টার্টআপ ফোল্ডার উইন্ডোতে, যা আবির্ভূত হয় প্রতিবার উইন্ডোজ স্টার্টের সময়। অনেক ক্ষেত্রে এই ফোল্ডারের ভেতরে আইকনটি স্ট্যান্ডার্ড উইন্ডোজ শর্টকাট ছাড়া অন্য কিছু নয়। এই শর্টকাটগুলো শুধু প্রোগ্রাম ফাইলের প্রকৃত লোকেশন ‘Point’ করে। এগুলোকে ডিলিট করা যায় মূল প্রোগ্রামকে প্রভাবিত না করেই। আরেকভাবে বলা যায়, কোনো প্রোগ্রামের শর্টকাট ডিলিট করলে সেই প্রোগ্রাম স্টার্টআপের সময় চালু হবে না। তবে প্রোগ্রাম থেকে যাবে ইনস্টল অবস্থায়। এই প্রোগ্রামকে ম্যানুয়ালি রান করাতে পারবেন দরকার হলে। আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো প্রোগ্রামের শর্টকাট ডিলিট করার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে না পারেন, তাহলে প্রথমেই অনলাইনে চেক করে দেখে নিতে পারেন।
স্টার্টআপ ফোল্ডারই একমাত্র পথ নয়, যার মাধ্যমে দেখতে পারবেন কোন প্রোগ্রাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হতে পারে। কেননা সিস্টেম কনফিগারেশন ইউটিলিটি ব্যবহার করে আরো কম্প্রেহেনসিভ লিস্ট ভিউ করতে পারবেন, যা উইন্ডোজ এক্সপির পরবর্তী সব ভার্সনে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
এক্সপিতে সিস্টেম কনফিগারেশন ইউটিলিটি চালু করার জন্য Start বাটনে ক্লিক করে Run-এ ক্লিক করুন। এরপর কমান্ড প্রম্পটে Msconfig টাইপ করে এন্টার চাপলে সিস্টেম কনফিগারেশন উইন্ডো আবির্ভূত হবে। এরপর Startup ট্যাবে ক্লিক করুন। এখানে প্রতিটি এন্ট্রি লিস্টই হলো একেকটি অ্যাপ্লিকেশন এবং ম্যানুফ্যাকচারার নেম। এর টিক বক্সের মাধ্যমে সেট করতে পারবেন যে প্রোগ্রামটি স্টার্টআপ সময় চালু হবে কি না। লিস্টজুড়ে স্ক্রল করুন এবং এন্ট্রি থেকে টিক চিহ্ন অপসারণ করার জন্য ক্লিক করুন, যাতে প্রোগ্রামটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে লোড না হয়। যদি কোনো নির্দিষ্ট আইটেম সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পারেন তাহলে অনলাইনে সার্চ করুন।
আপনি ইচ্ছে করলে সার্ভিসেস (services) ট্যাবে ক্লিক করতে পারেন। সার্ভিস হলো একটি প্রোগ্রাম, যা ব্যাকগ্রাউন্ডে রান করে। এটি অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনের মতো ব্যবহার হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত না অন্য কোনো অ্যাপ্লিকেশনের দরকার হচ্ছে। এখনকার আইটেম ডিজ্যাবল করার আগে আপনাকে অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে। লিস্ট ব্রাউজ করার আগে ‘Hide all Microsoft services’ বক্স টিক করার জন্য ক্লিক করুন। কেননা উইন্ডোজের জন্য বেশিরভাগ মাইক্রোসফট সার্ভিসের দরকার হয়। তাই সেগুলো ডিজ্যাবল করা উচিত হবে না।
আপডেট
অনাকাঙ্ক্ষিত অ্যাপ্লিকেশন অপসারণ করলে উইন্ডোজের গতি বাড়ে ঠিকই, তবে এছাড়া আরো কিছু কৌশল রয়েছে উইন্ডোজের গতি বাড়ানোর। লক্ষণীয়, যখন কোনো অ্যাপ্লিকেশন নতুন অবমুক্ত করা হয়, তখন তা শতভাগ পারফেক্ট বা যথাযথ বলা যাবে না। কেননা যেকোনো সফটওয়্যারের লাইফ সাইকেলে বাগ-ফিক্স, সিকিউরিটি প্যাচ এবং ফিচার আপগ্রেড ইত্যাদি হলো সফটওয়্যারে স্বাভাবিক অংশ। তাই অপারেটিং সিস্টেমসহ অন্য অ্যাপ্লিকেশনগুলো যাতে সম্পূর্ণরূপে আপডেট থাকে সে ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, অপারেটিং সিস্টেমকে এমনভাবে সেট করতে হবে, যাতে যখনই কোনো আপডেট অবমুক্ত হবে, তখনই তা সিস্টেমে ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে হবে।
এক্সপিতে এ কাজটি করার জন্য Start>Control>Panel ক্লিক করে Security Center-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর সিকিউরিটি সেন্টার উইন্ডোর নিচে Automatic Updates লিঙ্কে কিলক করুন এবং নিশ্চিত হয়ে নিন Automatic যেন সিলেক্টেড থাকে। উইন্ডোজ ৭ ও ভিস্তার ক্ষেত্রে Start>Control Panel-এ ক্লিক করে Windows Update-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর উইন্ডোর বাম দিকে Change সেটিং লিঙ্কে ক্লিক করে ড্রপডাউন লিস্ট থেকে Important updates-এ ক্লিক করুন এবং ‘Install updates automatically (recommended)’ সিলেক্ট করুন।
সবচেয়ে ভালো হয়, যে প্রোগ্রামটি আপনি বেশি ব্যবহার করেন তার আপডেট চেক করে দেখা। এজন্য প্রোগ্রামের Help মেনুতে রয়েছে ‘check for updates’ অপশন এবং আপডেট নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা হয় সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ওয়েবসাইটে। একইভাবে ড্রাইভার আপডেটের জন্য কখনো কখনো চেক করা দরকার। কমপিউটারের সাথে যুক্ত প্রতিটি হার্ডওয়্যারের জন্য দরকার ড্রাইভার যাতে উইন্ডোজ সেই হার্ডওয়্যারকে শনাক্ত ও ব্যবহার করতে পারে। সুতরাং ড্রাইভারের আপডেটের বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক এবং এর ফলে পারফরম্যান্সও উন্নত হয়।
সিকিউরিটি চেক
কর্মপ্রেরণাদায়ক উদ্দেশ্যে সিস্টেমকে পরিপাটি করার মাধ্যমে নিশ্চিত থাকতে পারেন আপনার পিসি ভাইরাস ও স্পাইওয়্যার থেকে যথাযথভাবে মুক্ত থাকবে। সিস্টেমে অশনাক্ত হওয়া কিছু থেকে গেলে তা সিস্টেমের গতি শুধু কমিয়ে দেয় না বরং পিসির পার্সোনাল ডাটাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। তাই সিকিউরিটি সফটওয়্যার চালু করুন, যা আপডেটেড। যদি বর্তমানে ব্যবহার হওয়া সিকিউরিটি সফটওয়্যারের কার্যাবলিতে নিশ্চিত হতে না পারেন তাহলে, অন্য কোনো সিকিউরিটি টুল দিয়ে চেষ্টা করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে নতুন কোনো অ্যান্টিভাইরাস টুল ইনস্টল করার আগে পূর্বের ইনস্টল করা অ্যান্টিভাইরাসকে আনইনস্টল করতে হবে। কেননা একসাথে দুটি ভাইরাস টুল থাকলে কনফ্লিক্ট করবে, যা সিস্টেমের পারফরম্যান্সে বাধা সৃষ্টি করবে।
উইন্ডোজ টুল
পিসিকে নিষ্কণ্টক তথা পরিপাটি রাখার জন্য উইন্ডোজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে কিছু বিল্ট-ইন টুল। এসব টুলের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় টুল হলো ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্টার। পিসিতে বেশি ডাটা স্টোর হওয়ার কারণে একসময় হার্ডডিস্ক ফ্র্যাগমেন্টেড হয়ে যায়। অর্থাৎ ডাটা হার্ডডিস্কজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। যার ফলে ডাটা রিড এবং রাইট করতে প্রচুর সময় নেয়। অর্থাৎ কমপিউটারে গতি কমে যায়।
ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্টার হার্ডডিস্কের ডাটাকে শনাক্ত করে আরো অধিকতর লজিক্যাল ফ্যাশনে স্টোর করে। অর্থাৎ ছড়ানো ছিটানো ফিল্ড ডাটাকে লজিক্যাল ফ্যাশনে আরো কাছাকাছিতে নিয়ে আসে যাতে ডাটা রিড বা রাইট করতে কম সময় লাগে। ফলে পারফরম্যান্স বেড়ে যায়। এই টুল ওপেন করে ব্যবহার করতে চাইলে Start-এ ক্লিক করে Computers বা এক্সপিতে My Computer-এ ক্লিক করুন। এরপর সংশ্লিষ্ট ড্রাইভে ডান ক্লিক করে বেছে নিন Properties এবং পরবর্তী উইন্ডোতে Tools ট্যাবে ক্লিক করে Defragment Now বাটনে ক্লিক করুন ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্টার চালু করার জন্য।
উইন্ডোজের আরেকটি প্রয়োজনীয় টুল হলো ডিস্ক ক্লিনআপ। এই টুল প্রথমে হার্ডডিস্ক স্ক্যান করে এবং কোন কোন ফাইল নিরাপদে ডিলিট করা যাবে স্পেস সাশ্রয়ের জন্য তার ওপর এক রিপোর্ট পেশ করে। এই প্রোগ্রাম চালানোর জন্য Start-এ ক্লিক করে Computer বা এক্সপিতে My Computer-এ ডান ক্লিক করতে হবে। এরপর কাঙ্ক্ষিত ড্রাইভে ডান ক্লিক করে স্ক্যান করার জন্য বেছে নিতে হবে Properties এবং এরপর আবির্ভূত স্ক্রিনের General ট্যাবে Disk Cleanup বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ব্রাউজার
আমাদের কমপিউটারের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ওয়েব ব্রাউজার। সুতরাং ওয়েব ব্রাউজারকে পরিষ্কার করার ব্যাপারেও আমাদেরকে মনোযোগী হতে হবে। ওয়েবপেজ লোডিংয়ের গতি বাড়াতে ব্রাউজার সচরাচর হার্ডডিস্কের কোনো এক জায়গায় স্টোর করে ওয়েবসাইটের অফলাইন ভার্সন, যাকে বলা হয় ক্যাশ।
ক্যাশ ফাইল ডিস্ক স্পেস ব্যবহার করে। যদি পিসির ডিস্ক স্পেস কম থাকে তাহলে ভালো হয় তা পরিষ্কার করলে। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের সাম্প্রতিক ভার্সনে এ কাজটি করতে চাইলে প্রথমে ব্রাউজার উইন্ডো ওপেন করুন। এজন্য Tools মেনুতে ক্লিক করুন এবং সিলেক্ট করুন Internet Options। এরপর General ট্যাব থেকে Delete বাটনে ক্লিক করুন। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৮-এ সব ফাইল ডিলিট করা সম্ভব শুধু সাইট সংশ্লিষ্ট Favorites লিস্টের ফাইল ছাড়া।
ক্রোম এবং ফায়ারফক্সে টেম্পোরারি ইন্টারনেট ফাইল ডিলিট করা যায় একই নিয়ম অনুসরণ করে। ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের Tools মেনুতে ক্লিক করে সিলেক্ট করতে হয় Clear history আর ক্রোমে সেটিং বাটনে ক্লিক করে Option সিলেক্ট করতে হয়। এরপর ‘Clear browsing dataত- ক্লিক করে ডিলিট করার জন্য ফাইল সিলেক্ট করতে হয়।
এছাড়া কিছু অ্যাড-অন আছে যেগুলো পিসির গতি কমিয়ে দেয়। ইনস্টল করা অ্যাড-অন ডিলিট করার জন্য Tools-এ ক্লিক করে Manage Add-ons সিলেক্ট করতে হবে। এরপর যেসব অ্যাড-অন দরকার নেই সেগুলো অপসারণ করুন।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে ইনস্টল হওয়া সব অ্যাড-অনস ভিউ করতে চাইলে Tools-এ ক্লিক করে Manage Add-ons সিলেক্ট করতে হবে। আর ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদেরকে Tools-এ ক্লিক করে Add-ons-এ ক্লিক করতে হবে। পক্ষান্তরে ক্রোম ব্যবহারকারীদেরকে ক্লিক করতে হবে Settings বাটনে। এরপর Tools>Extemion-এ ক্লিক করতে হবে। যেসব অ্যাড-অনস আপনার দরকার হবে না তা অপসারণ করে দেয়া উচিত, যা পিসির পারফরম্যান্সে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : swapan52002@yahoo.com