• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > বিসিএস আইসিটি ক্যাডার নয় কেন?
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: আবীর হাসান
মোট লেখা:১৫০
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১২ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
আইসিটি
তথ্যসূত্র:
ক্যারিয়ার
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
বিসিএস আইসিটি ক্যাডার নয় কেন?


সাম্প্রতি আইসিটি ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের কিছু সুখবর পাওয়া গেছে। এগুলোর কিছু ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগানোর মতো। আর কিছু আছে, যেগুলো এখনই কার্যকরী হয়ে উঠেছে এবং অর্থনীতিতে যেগুলোর সুফল পাওয়া যাবে সহসাই। অতি সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, জনতা টাওয়ারে নবীন আইসিটি উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে দ্রুত। এ ছাড়া কালিয়াকৈরে স্বপ্নের আইসিটি পার্কের কাজও শুরু হবে কিছুদিনের মধ্যে।

আরও সুখবর আছে, রফতানি কার্যক্রমকে কার্যকর ও গতিশীল করার লক্ষে পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনের আওতায় নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান এই ই-এক্সপি অনলাইন সিস্টেমের উদ্বোধন করেছেন। কী হবে এই ই-এক্সপি অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে? এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক জানতে পারবে রফতানির পরিমাণ, রফতানির আর্থিক পরিমাণ, রফতানি মূল্যে আউটস্ট্যান্ডিং এবং ওভারভিউ সম্পর্কিত তথ্যাদি। ওই দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও জানিয়েছেন পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত উন্নয়ন পরিকল্পনা নেয়ার কথা। ইতোমধ্যে অবশ্য চালু হয়েছে অনলাইন ব্যাংকিং, ই-কমার্স, ই-টেন্ডার, ই-রিক্রুটমেন্ট, অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউস ও মোবাইল ব্যাংকিং।

পুরনো কাগুজে পদ্ধতির জায়গায় যে ডিজিটাল পদ্ধতি স্থান করে নিচ্ছে, এটি তারই প্রমাণ। এসব ছাড়া আরও অনেক কিছুতেই নতুন প্রতিশ্রুতি নিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়ছে। টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট এখন ব্যাপকতর হয়ে উঠেছে। সরকারি কর্মকান্ডে ধীরগতিতে হলেও আইসিটির অনুপ্রবেশ ঘটতে শুরু করেছে। একটি টাইপরাইটার মেশিনও কি এখন পাওয়া যাবে কোথাও?

কেউ কি এখন ল্যান্ডফোনের জন্য হা-পিত্যেশ করেন? ডিজিটাল প্রযুক্তি তথা আইসিটি এখন ক্রমশ সরকারি-বেসরকারি সব কর্মকান্ডের কেন্দ্রশক্তি হয়ে উঠেছে। যদিও এখনও বাংলাদেশে একে নিয়ন্ত্রক প্রযুক্তি বলা যাবে না; তাহলেও এর ব্যাপকতা ও ক্রমপ্রসারমানতার বিষয়গুলোকে অস্বীকার করতে পারবেন না কেউ। নানা ধরনের বিতর্কের মধ্য দিয়ে হলেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা হয়ে গেছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে একটা আলাদা পরিচিতি নিয়ে আইসিটি সরকারের তথা রাষ্ট্রের আবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে তৃণমূল পর্যায়ে আইসিটি ব্যবহার সম্প্রসারিত হচ্ছে।

এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আবেগে আপ্লুত হতে পারি। কেউ কেউ বলতে পারেন ডিজিটাল বাংলদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে অনেকটাই এগিয়েছে এই সরকার। কোনো সন্দেহ নেই এতে। তবে প্রদীপের নিচের অন্ধকারের মতো কিছু রূঢ় বাস্তবতাও আছে। এখনও কিছু পশ্চাৎপদতা তথা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কিছু কিছু মন্ত্রণালয়কে আইসিটিনির্ভর প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে রেখেছে। কেন্দ্রীয়ভাবে সরকার চাইলেও এবং অর্থ ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে যুগের প্রয়োজনে আইসিটি ব্যবহার আবশ্যিক হয়ে উঠলেও সরকারের সার্বিক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আইসিটি ব্যবহারে ঘাটতি এবং গতিশীলতা কম থাকার বিষয়টি দৃষ্টিকটু হয়ে উঠছে। এর কারণ হিসেবে বিভিন্ন সময়ের পর্যবেক্ষণ থেকে দেখা যাচ্ছে, অনভিজ্ঞ প্রাচীনপন্থী কর্মকর্তাদের কারণেই সমস্যাটি থেকে যাচ্ছে। অনেকে এ ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে চান। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখতে পেয়েছি, আইসিটির ব্যবহার না হওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ভীতিই বেশি কাজ করছে। প্রশিক্ষণের বিষয়টিকে এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া যায়। কারণ, বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিস থেকে আসা কর্মকর্তারা কমপিউটার ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের সঠিক প্রশিক্ষণটি পান না। হয়ত অনেকেই কিংবা এখন বলা যায় ৯০ শতাংশ কর্মকর্তা কমপিউটারে টাইপ করতে পারেন এবং ই-মেইল-ফেসবুক ব্যবহার করতে থাকেন। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের আধুনিক সফটওয়্যার ব্যবহার করে অফিস পরিচালনা অথবা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন না। এ কারণেই সরকারের বেশিরভাগ মন্ত্রণালয়েই এখনো সফটওয়্যারের ব্যবহার খুবই কমমাত্রায় হচ্ছে। ওই টাইপিং মেশিন ও মেইল ব্যবহারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার ছাড়া কমপিউটারগুলোকে অন্য কাজে লাগানো যাচ্ছে না। আর এর জন্য শুধু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়ী করে লাভ নেই, বা তা করা উচিতও নয়। কারণ, সহজ বুদ্ধিতে এটিই বুঝে নেয়া ভালো, উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে কমপিউটার ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন সাজেক্ট বা ডিসিপ্লিন যেহেতু আলাদা সেহেতু এই ধরনের শিক্ষার ব্যাপকতা রয়েছে। আলাদাভাবে শিক্ষাদানের আরেকটি কারণ- এটি সময় সাপেক্ষ এবং অবশ্যই আয়াসসাধ্য। কাজেই অন্য ডিসিপ্লিন থেকে যারা বিসিএস ক্যাডার হয়ে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইসিটির সবকিছু জেনে আসবেন- এমন মনে করার কারণ নেই, বা মনে করা যুক্তিসঙ্গতও নয়। এ ছাড়া বিষয়টিকে অন্যদিক থেকেও দেখা যায়- যেসব শিক্ষার্থী আইসিটির বিভিন্ন ডিসিপ্লিন নিয়ে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বেরোয় তাদের পক্ষেও বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে পাস করে নিজের ডিসিপ্লিনে কাজ করা সম্ভব হয় না। এখন পর্যন্ত এই ধরনের স্নাতকদের সংখ্যা খুব বেশি না হলেও অদূর ভবিষ্যতে এদের সংখ্যা ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।

অবশ্যই রাষ্ট্রের দায়িত্ব সব ধরনের ডিসিপ্লিনের স্নাতকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। আইসিটির বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদেরও সে সুযোগ পাওয়া উচিত। এখন তারা বিভিন্ন প্রকৌশল বা শিক্ষা খাতে বিকল্প সুযোগ পাচ্ছে অথবা নিতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু এতে যেমন তাদের উপযুক্ত পদায়ন হচ্ছে না, তেমনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোও উপকৃত হচ্ছে না- সর্বোপরি ডিজিটালাইজেশনের সরকারি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিশ্বে এখন এমন অনেক সফটওয়্যারই তৈরি হয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে অর্থ-বাণিজ্য ছাড়াও উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জননিরাপত্তা, সড়ক, রেল, নৌপরিবহন, কৃষি, সমাজকল্যাণ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন হচ্ছে প্রশিক্ষিত জনশক্তির। বাংলাদেশেও এর প্রয়োজনীতা এখন অনুভূত হচ্ছে বেশ ভালোভাবেই। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সরকারের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক মন্ত্রণালয় আইসিটি ব্যবহার করতে পারছে না কিংবা করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারছে না। বিশেষ করে বলা যায় মন্ত্রণালয়গুলোর ওয়েবসাইট আপডেটের কথা। এ ছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, সমাজকল্যাণ ইত্যাদি ক্ষেত্রের সেবাগুলো যতটা দ্রুত দেয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছিল ততটা দ্রুত হচ্ছে না। কারণ এসব ক্ষেত্রে উপযুক্ত নির্দেশনা দেয়ার মতো কর্মকর্তা এবং টেকনিক্যাল লোকজনের অভাব বেশ ভালোভাবেই অনুভূত হচ্ছে।

কাজেই আইসিটির বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের মেধাবীদের সরকারের বিপুল কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত করতে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কিছু সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কার অর্থে যা বোঝাতে চাচ্ছি তা হচ্ছে, যুগোপযোগী নতুন কর্মযজ্ঞের জন্য এবং নতুন পেশার জন্য উচ্চ শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর যথাযথ পদায়ন। এ প্রস্তাব শুধু কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে নয় বরং নতুন কর্মকান্ডের সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জন্যই। আর এ কাজটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন অভ্যন্তরীণভাবে করবে এমন আশা করা যায় না, বরং কাজটি করবে সরকারের শীর্ষ পর্যায় কিংবা জাতীয় সংসদ।

এ প্রসঙ্গে আরেকটি বিষয়ের প্রতি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। অতীতে ও বর্তমানেও দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে আইসিটির প্রসার কিংবা কর্মকান্ডের প্রস্তাবনার মডেলগুলো আসছে হয় বিদেশের মডেলে নয়ত দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি পর্যায় থেকে। কখনও আইসিটিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ বলে পরিচিত লোকজন কিংবা আইসিটি নিয়ে যারা ক্যাম্পেইন করেন, তারা যেসব পরামর্শ দেন তার ভিত্তিতে করতে চাওয়া হয় কাজগুলো। এর ফলে অনেক সময়ই দেখা যায়, আমলাতান্ত্রিক কর্মপদ্ধতির সাথে সেগুলোর সমন্বয় তো হয়ই না বরং দ্বন্দ্বও তৈরি হয়। কারণ, আমলাতান্ত্রিক প্রচলিত পদ্ধতির সাথে বিজনেস রুমের সাথেও সমন্বয় হয় না। এ বিষয়টি আমরা দেখতে পেয়েছি আইসিটি নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও। অনেক আবেগময় প্রস্তাবনা বা বিধি প্রচলিত রুলস অব বিজনেসের সাথে খাপ খায়নি বলে সেগুলো কাগুজে প্রস্তাবনা হিসেবেই থেকে যাচ্ছে।

আসলে আমলাতন্ত্রের সবকিছুই খারাপ এমন একটা আপ্তধারণা সরকার ও প্রশাসনবহির্ভূত ব্যক্তিদের মধ্যে বদ্ধমূল হয়ে গেছে। আইসিটির ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্র নিয়ে সমালোচনা আরও তীব্র। এর কারণটা এই, আমলাতন্ত্রের মধ্যে উপযুক্ত প্রশিক্ষিত জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতিটা পূরণ না হওয়ার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে কমপিউটার কাউন্সিল। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকালেও দেখা যাবে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দেয়ার মতো লোকের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এই অভাব পূরণের জন্যই আমলাতন্ত্রের ভেতরেই পিএসসির মাধ্যমে আইসিটিতে দক্ষ উপযুক্ত প্রশিক্ষিত জনবল সরবরাহ সম্ভব। এটি করতে পারলে ধীরে ধীরে আমলাতন্ত্র আইসিটি ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠতে পারে। নতুন অফিসারেরা হয় প্রথমেই সব কিছু করে দিতে পারেন না, তবে নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় এবং একাডেমিক যোগ্যতার মাধ্যমে যথোপযুক্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আইসিটি ফ্রেন্ডলি জ্ঞানভিত্তিক একটি প্রশাসন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে পারবেন।

বাংলাদেশের আর্থিক ও বাণিজ্যিক খাতে দ্রুত ডিজিটালাইজেশন হতে পারছে এ কারণে যে, এসব খাতে অধিকতর বেশি অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এরা এই খাতগুলোকে দ্রুত গতিশীল করে তুলতে পারছেন বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিতে পারার কারণে। কাজেই অন্যান্য মন্ত্রণালয় তথা সামগ্রিকভাবে সরকারি কর্মকান্ডকে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে গতিশীল করে তুলতে হলে একটা সুযোগ্য আমলা বাহিনী তথা বিসিএস ক্যাডার প্রয়োজন, যারা আবেগপ্রবণ হয়ে নয় বরং বাস্তবতায় নিরিখে উদ্যোগ নিতে পারবেন। নবগঠিত আইসিটি মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা ও অর্থ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করতে পারেন। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের মাধ্যমে তা সংসদে পাস হয়ে এলে একটি বিরাট কর্মযজ্ঞের সূচনা হতে পারে এ দেশে। তাহলে চলমান উদ্যোগগুলো এর মাধ্যমে যেমন পাবে গতিশীলতা, তেমনি নতুন নতুন সরকারি উদ্যোগও আমরা দেখতে পাব।


কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : abir59@gmail.com

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস