লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
ডা. মোহাম্মদ সিয়াম মোয়াজ্জেম
মোট লেখা:১৮
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - সেপ্টেম্বর
উইন্ডোজ ১০-এর নতুন ওয়েব ব্রাউজার মাইক্রোসফট এজ
এই আগস্টে ব্রাউজারের জগতে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার তার সফলতার ২০তম বছর পার করল। গত দুই যুগের বেশি সময় ধরে উইন্ডোজের ডিফল্ট ওয়েব ব্রাউজার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। কয়েক বছর ধরে মাইক্রোসফটের বিল্টইন ব্রাউজার ব্লটেড, অনিরাপদ, বিশৃঙ্খল ও ব্যবহারিকভাবে দ্বিধান্বিত হয়ে ওঠায় অনেক ব্যবহারকারীই একে পছন্দ করেন না। গত দুই যুগেরও বেশি সময় পর মাইক্রোসফট এই প্রথম ইন্টারনেট জগতে তার দৈন্য ঘোচাতে নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০-এর সাথে চালু করে মাইক্রোসফটের প্রথম ব্রাউজার মাইক্রোসফট এজ। নতুন এই ব্রাউজারের কোডনেম ‘প্রজেক্ট স্পারটান’। মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০-এর সাথে অবমুক্ত হওয়া নতুন সব পণ্যের যেমন পিসি, স্মার্টফোন, হলো লেন্স এবং সারফেস হাব পর্যন্ত সবকিছুর ডিফল্ট ব্রাউজার হলো উইন্ডোজ এজ।
মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিস্টেমের কর্পোরেট ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বেলফিওর (ঔড়ব ইবষভরড়ৎব) দাবি করেন, এটি পূর্ববর্তী ব্রাউজারগুলোর তুলনায় অধিকতর দ্রুততর। এর সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে একটি বিল্ট-ইন অ্যানোটেশন টুল, ভয়েজ কন্ট্রোল ইন্টিগ্রেশনসহ ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট কর্টনা।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রাউজারের জগতের বাজার দখলকে কেন্দ্র করে মজিলার ফায়ারফক্স ও গুগলের ক্রোম ব্রাউজারের মধ্যে চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা। এ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশে মাইক্রোসফটের নতুন ওয়েব ব্রাউজার এজ টিকে থাকতে পারে কি না, তা এখন দেখার বিষয়।
এ লেখায় মাইক্রোসফটের নতুন ওয়েব ব্রাউজার মাইক্রোসফট এজের নতুন ফিচার কর্টনা থেকে শুরু করে ওয়েব নোট পর্যন্ত সবকিছুই কীভাবে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, তার বর্ণনাসহ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে।
মাইক্রোসফট আধুনিক ওয়েবে আপনার ব্রাউজার হবে অতিমাত্রায় প্রত্যাশী, যেখান থেকে আপনি উইন্ডোজ ১০-এ ইন্টারনেট সার্ফ করতে পারবেন। এটি অবশ্যই ফাংশনাল।
উইন্ডোজ ১০-এর মতো এজ ব্রাউজারের লক্ষ্য ইন্টারনেটের অভিজ্ঞতা সহজ-সরল করা। এজের ইন্টারফেসটি বেসিক ধরনের। ওয়েব কনটেন্ট ডিসপ্লে করার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা থাকায় ডেভেলপার টিমকে ইন্টারফেসের চেয়ে এদিকে বেশি মনোযোগী হওয়া দরকার। এর সেটিং প্রদান করে বেশ কিছু সাধারণ টোগাল ফিচার অন ও অফ করার জন্য।
এজের লাঞ্চ (খধঁহপয) স্ক্রিন পরিপূর্ণ থাকে খবর, আবহাওয়া ও অন্যান্য বিষয় দিয়ে। এজ সেরা কিছু ফিচার হাইড করে। জনপ্রিয় একটি ফিচার হলো কর্টনা (ঈড়ৎঃধহধ), যেটি অপ্রত্যাশিতভাবে প্রদান করে বাড়তি কনটেক্সট। তবে অন্যান্য দৃষ্টিকোণ থেকে, যেমন রিডিং ভিউ (জবধফরহম ঠরব)ি আপনার অভিজ্ঞতাকে আরও সম্প্রসারিত করবে যখন ওয়েব ব্রাউজ করবেন এবং পরবর্তী সময় ব্যবহারের জন্য আপনি আর্টিকলকে সেভ করতে পারবেন রিডিং লিস্ট (জবধফরহম খরংঃ)-এ। উইন্ডোজ ১০-এ আপনি দুটি ব্রাউজার থেকে একটি বেছে নেয়ার সুযোগ পাবেন। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১১ যেমন বেছে নিতে পারবেন, তেমনি বেছে নিতে পারবেন মাইক্রোসফট এজ। নিচে আধুনিক ওয়েব ব্রাউজারের নতুন কিছু ফিচার নিয়ে আলোচনা করা হলো।
প্রথম ধাপ
প্রথমে আপনার দরকার এজ চালু করা। অনেকেই স্টার্ট মেনুতে ‘বফমু ঊ’ আইকন খুঁজে দেখেন, আবার কেউ কেউ অল অ্যাপসের লিস্টে। তবে স্ক্রিনের নিচের দিকে তাকালে একটি নীল বর্ণের ছোট ‘ব’ আইকন দেখতে পাবেন। এই ‘ব’ আইকনে ক্লিক করুন।
এজ চালু করলে দেখতে পাবেন একটি পরিষ্কার হোম পেজ, যেখানে একটি কম্বাইন্ড সার্চ এবং অ্যাড্রেস বারের ওপরে আপনাকে জিজ্ঞেস করা হবে ‘ডযবৎব ঃড় হবীঃ?’। এর নিচে রয়েছে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের লিঙ্ক। এগুলোর নিচে রয়েছে কাস্টোমাইজ করা খবর ও ইনফরমেশন ফিড, যা ডিসপ্লে করতে পারে আপনার মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্টের ভিত্তিতে পার্সোনালাইজড নিউজ আর্টিকল, স্পোর্টস স্কোর এবং আবহাওয়ার তথ্য। তথ্য সার্চ করার জন্য বাইডিফল্ট এজ ব্যবহার করে বিং। অবিশ্বাস্যভাবে এজের বিল্টইন সার্চের শক্তি হলো বিং। আরও বিস্ময়কর হলো অন্য কোনো সার্ভিসে পরিবর্তন করা খুব কঠিন। যার অর্থ হলো মাইক্রোসফট তা পছন্দ করে না। এটি পরিবর্তন করতে চাইলে আপনাকে কাক্সিক্ষত সার্চ ইঞ্জিনে ভিজিট করতে হবে, যেটি ব্যবহার করতে চান, যেমনÑ গুগল। এবার ঝবঃঃরহমং, অফাধহপবফ ঝবঃঃরহমং-এ গিয়ে ‘ঝবধৎপয রহ ঃযব অফফৎবংং নধৎ’ সেটিংয়ে স্ক্রল করুন এবং ‘অফফ ঘব’ি সিলেক্ট করুন। এবার লিস্ট থেকে আপনার সার্চ ইঞ্জিন বেছে নিন এবং অফফ ধং ফবভধঁষঃ-এ ক্লিক করুন।
ওয়েব নোট : নেটের জন্য একটি ম্যাজিক মার্কার
ওয়েব নোট হলো একটি মকআপ টুল, যা আপনাকে ওয়েবসাইটের একটি ইমেজকে ক্যাপচার করার সুযোগ দেবে, যুক্ত করে নোট ও স্কেচ এবং এটি সেভ বা শেয়ার করে। এটি যেকোনো স্ক্রিনশুট টুল থেকে ভালো, কেননা এটি শুধু স্ক্রিনের ভিজিবল অংশ ক্যাপচার না করে সম্পূর্ণ ওয়েবপেজ ক্যাপচার করে।
টাচ স্ক্রিনে যেগুলো মাউস বা আঙ্গুল দিয়ে কন্ট্রোল করা যায়, যেমনÑ পেন, হাইলাইটার এবং ইরেজার টুল ব্যবহার করে আপনি পেজজুড়ে ড্র ও স্কেচ করতে পারেন। টাইপ করা কমান্ড যুক্ত করার অপশন রয়েছে এবং স্ক্রিনের ক্লিপ পার্ট সিলেক্ট করুন যদি আপনি ওয়েবসাইটের এক ক্ষুদ্র অংশ সেভ করতে চান। স্কেচ করা এবং কমান্ড যুক্ত করার পর আপনি সম্পূর্ণ মকআপ ওয়েবপেজকে ওয়াননোট, এজে ফেভারিট মেনু বা আপনার রিডিং লিস্টে সেভ করতে পারবেন অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে ফিনিশ করা মকআপকে শেয়ার করতে পারবেন।
ওয়েব নোট রিসার্চের ছাত্রদের জন্য এক দারুণ টুল, কেননা এতে ইমেজকে সেভ এবং টেক্সট হাইলাইট করতে পারবেন। প্রজেক্ট এবং প্রেজেন্টেশনের জন্য ভিজ্যুয়াল এইডস তৈরির কাজে এটি এক সহায়ক টুল।
সহজ রিডিং টুল.
অনলাইনে সহজে রিড করার জন্য এজের সাথে সমন্বিত আছে দুটি টুল। রিডিং ভিউ হলো এক টুল, যা বিজ্ঞাপন এবং ডিজাইন উপাদানের মতো ওয়েবসাইটের বাড়তি অংশ টেনে বের করে। এর ফলে আপনি পাবেন শুধু টেক্সট, ফটো এবং ভিডিওর জন্য পরিষ্কার, ফোকাসড ভিউ। এটি এক স্মার্টটুল, বিশেষ করে যখন আপনার জন্য ডিস্ট্রাকশন বা বিশেষ ধরনের ওয়েবসাইট লেআউট দরকার হবে না তখন। রিডিং ভিউ অনেকটা এভারনোটের এক্সটেনশনের মতো, যা ক্রোম এবং ফায়ারফক্সের জন্য। এগুলোও পরিষ্কার রিডিংয়ের ওয়েবসাইটের বাড়তি অংশ টেনে বের করে আপনাকে দেবে কাস্টোমাইজেশন অপশন, যা এজের ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে না।
এই বিল্টইন ফিচার এজকে আলাদা বিশেষত্য দেয়, যা যেকোনো ওয়েবপেজ ব্যবহার করার জন্য এটি প্রস্তুত। কোনো ওয়েবপেজ রিডিং ভিউয়ের সাথে কম্প্যাটিবল হলে অ্যাড্রেস বারে বুক আইকনে তাকিয়ে বুঝতে পারবেন। যদি তা গ্রে আউট হয়, তাহলে রিডিং ভিউ অ্যাভেইলেবল হবে না। যদি এটি কালো হয়, তাহলে ব্যবহার করতে পারবেন।
অনলাইনে যারা রিড করতে চান, তাদের জন্য রিডিং লিস্ট এমন এক ক্ষেত্র, যেখানে আপনি আর্টিকল সেভ করতে পারবেন পরবর্তী সময়ে অফলাইনে পড়ার জন্য। এটি এক চমৎকার ফিচার। এ ফিচার ব্যবহার করতে চাইলে অ্যাড্রেস বারে শুধু স্টার আইকনে ক্লিক বা ট্যাব করে রিডিং লিস্ট সিলেক্ট করে প্রম্পট অনুসরণ করে যান।
অ্যাপলের ব্রাউজার সাফারিরও একটি রিডিং লিস্ট ফিচার আছে, যা এজের খুব কাছাকাছি এবং প্রায় এজের মতো কাজ করে এবং ফায়ারফক্স ও ক্রোমে আপনি থার্ড পার্টি সার্ভিস যেমন পকেট (চড়পশবঃ), রিডেবিলিটি (জবধফধনরষরঃু) বা ইনস্টাপেপার (ওহংঃধঢ়ধঢ়বৎ) ব্যবহার করতে পারেন আর্টিকলকে পরে পড়ার জন্য সেভ করতে।
কর্টনা
মাইক্রোসফটের ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট তথা সহযোগী কর্টনা এজে বিল্টইন, তবে এর একটি অপশন আছে, যা পরিষ্কারভাবে ডিসপ্লে করে না। বিং ও কর্টনা উভয়ই এজ ব্রাউজারে এক বড় ভূমিকা পালন করে। উভয়ই আঙ্গুলের ছোঁয়ায় প্রদান করে বাড়তি তথ্য। যখন অ্যাড্রেস বার ব্যবহার করে সাধারণ কোয়েরির জন্য সার্চ করবেন, তখন বিং সার্চ ফলাফল প্রদর্শন করবে, যেমনÑ ওয়েদার রিপোর্ট, স্টক পারফরম্যান্স, ম্যাথ ইকুয়েশন ও ফ্লাইট স্ট্যাটাস ইত্যাদি। ধরুন, আপনি সার্চ বারে ‘বিধঃযবৎ’ টাইপ করলেন, ফলে আপনার এলাকার আবহাওয়ার বর্তমান অবস্থার ফলাফল প্রদর্শন করবে ঠিক অ্যাড্রেস বারের নিচে।
যদি আপনি কোনো ওয়ার্ড বা ওয়েবপেজের একটি ফ্রেইজ হাইলাইট করে ডান ক্লিক করেন, তাহলে কর্টনাকে অধিকতর তথ্যের জন্য জিজ্ঞেস করতে পারেন। কর্টনা উইকিপিডিয়া থেকে ওই ওয়ার্ডের ডেফিনেশন বা তথ্য প্রদর্শন করবে ডান দিকের মেনু থেকে। সুতরাং আপনাকে ওয়েবপেজ ত্যাগ করতে হবে না। কর্টনা যদি আপনার কাক্সিক্ষত ফলাফল খুঁজে না পায়, তাহলে বিং সার্চ স্টার্ট করতে পারবেন এক ক্লিকে অধিকতর গভীরে যাওয়ার জন্য। মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কর্টনা সার্চ পেজ লোড না করে সরাসরি বিশটির বেশি বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। কর্টনা অ্যাসিস্ট নামের এক ফিচার ওয়েবপেজ স্ক্যান করে এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য হাইলাইট করে, যেমন রেস্টুরেন্টের ফোন নম্বর বা অ্যাড্রেস। মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে এ প্রসঙ্গে দাবি করা হয়েছে, কর্টনা অ্যাসিস্ট কাজ করে ১ লাখ ৫০ হাজার রেস্টুরেন্ট ওয়েবসাইটের ওপর, যার বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রে। এর অন্য ফিচারগুলো ভবিষ্যতে আরও উন্নত ও সম্প্রসারণ করা হবে।
ওয়েবসাইটে রেস্টুরেন্ট এবং বার সিলেক্ট করার জন্য কর্টনা প্রদর্শন করে ম্যাপ, ডিরেকশন, রিভিউস, ফোন নাম্বার এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক তথ্য। এটি সব জায়গায় অ্যাভেইলেবল নয়। যদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়তি তথ্য পায়, তাহলে অ্যাড্রেস বারের মাধ্যমে কর্টনা আপনাকে জানাবে। সে কী পেল তা দেখার জন্য কর্টনার সার্কেলে ক্লিক করুন।
অন্যান্য ব্রাউজারের তুলনায় ঘাটতি
এজের অনেকগুলো নতুন ফিচারের মধ্যে কোনো কোনোটি আবার ক্রোম ও ফায়ারফক্সের ফরমে অ্যাভেইলেবল। তবে এগুলো আলাদাভাবে এনাবল করার জন্য সাধারণত দরকার হয় থার্ড-পার্টি এক্সটেনশন বা অ্যাড-অন। এর মানে এই নয়, এটি ওইসব ব্রাউজার ব্যবহারের জন্য ব্যবসায়িক আচরণ ভঙ্গ করে। আপনি যদি ব্রাউজারের সহজ-সরলতা পছন্দ করেন, তাহলে এজ হলো ভালো পছন্দ।
এর বেশ কিছু অ্যাডভ্যান্সমেন্ট এবং জনপ্রিয় ফিচার থাকা সত্ত্বেও এটি এখনও এর প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রোম ও ফায়ারফক্সের তুলনায় যথেষ্ট পিছিয়ে আছে। ক্রোম ও ফায়ারফক্স আপনাকে বুকমার্ক সিঙ্ক করার এবং বিভিন্ন কমপিউটারের মাঝে ট্যাব ওপেন করার সুযোগ দেয়। এর ফলে যেকোনো জায়গা থেকে আপনি সবসময় একই তথ্যে অ্যাক্সেসের সুবিধা পাবেন। এগুলো হাজার হাজার এক্সটেনশন এবং অ্যাড-অনস সাপোর্ট করে, যেমনÑ পাসওয়ার্ড, ওয়ানট্যাব ও পিন্টারেস্ট যা আপনার ব্রাউজারে প্রায় সব সহায়ক টুল ব্যবহারের সুযোগ দেয়। উভয় ব্রাউজারই আপনাকে একটি ট্যাব পিন করার সুযোগ দেয়। এর ফলে এটি কম স্পেস ব্যবহার করে এবং ওপেন থাকে। এসব ফিচার বর্তমানে এজে নেই।
অবশ্য মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ফলের মধ্যে এক্সটেনশন সাপোর্ট যুক্ত করা হবে, যা এজ ব্রাউজারে বাড়তি ফিচার যুক্ত করবে এবং তখন স্পিড বেড়ে ক্রোম ও ফায়ারফক্সের মতো হবে।
এজ ব্যবহার করবেন কী?
যারা উইন্ডোজ মেশিনে সারা বছর ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করে থাকেন, তারা বিস্মিত হবেন যদি এজ ভালো হয়। মাইক্রোসফট একে যথেষ্ট উন্নত করে এবং ব্রাউজারকে অনেক অনেক বেশি সহায়ক হিসেবে ডেভেলপ করে, যা বিশেষভাবে সাময়িক তথা ক্যাজুয়াল ব্যবহারকারীদের জন্য। যারা রিসার্চ করেন এবং ওয়েবপেজে সেভ করেন, তাদের জন্য ওয়েব নোট বিশেষভাবে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, যেখানে কর্টনার পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্স সার্চ ফিচারের গভীরে না ঢুকে আপনাকে দেবে সহায়ক তথ্য। এজ অধিকতর ক্ষিপ্রগতির। এজ দ্রুতগতিতে ওয়েবপেজ লোড করে এবং এদের ডিজাইন আধুনিক হওয়ায় মেনু সহজে খুঁজে পাওয়া যায়।
তবে যাই হোক, আপনি যদি ক্রোম বা ফায়ারফক্সের প্রতি অটল আনুগত্যসম্পন্ন হয়ে থাকেন, তাহলে এজ আপনাকে প্রভাবিত করতে পারবে না ক্রোম বা ফায়ারফক্সকে ত্যাগ করার জন্য। ভবিষ্যতের জন্য প্রতিশ্রুতি ‘পাওয়ার-ইউজার’-এর উদ্দেশ্যে ফিচার, যেমনÑ সিঙ্কসড ট্যাব, বুকমার্কস এবং এক্সটেনশন সাপোর্টে এজকে আরও অনেক বেশি বাধ্য করবে
ফিডব্যাক : siam.moazzem@gmail.com