হোম > প্রধানমন্ত্রীর হাতে ওয়ালটন ল্যাপটপ: চোখে একরাশ আশার আলো
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
ইমদাদুল হক
মোট লেখা:৬২
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৭ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ল্যাপটপ
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
প্রধানমন্ত্রীর হাতে ওয়ালটন ল্যাপটপ: চোখে একরাশ আশার আলো
বছরের প্রথম সকাল। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর মাঠে শুরু হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় রুপালি চাঁদের মতো চিক চিক করে উঠছিল বর্গাকৃতির ডিভাইসটি। ২২তম এই মেলার উদ্বোধন শেষে কদম পায়ে ‘ওয়ালটন ল্যাপটপ’টি দেখতে এগিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাঁজ খুলতেই তার ঠোঁটে আত্মতৃপ্তির বিচ্ছুরণ। এর হালকা-পাতলা গড়ন দেখে তার মুগ্ধতার আবেশ যেন কাটছিল না। ব্যস্ত সময়ের মধ্যেই কিছুটা সময় নিয়ে পরখ করেন ইতোমধ্যেই ল্যাপটপ বাজারে ‘বাঘা তেঁতুল’ হিসেবে পরিচিত ‘ওয়ালটন ট্যামারিন্ড’ ল্যাপটপটি। মুহূর্ত অপেক্ষা না করে সুইচ টিপে রুপালি রঙের ল্যাপটপটি ওপেন করেন তিনি। প্যাভিলিয়নে প্রদর্শিত প্রতিটি ল্যাপটপ দেশেই ‰ তৈরি হচ্ছে জেনে গর্ববোধ করেন। এ সময় তার মুখের চঞ্চল বলিরেখা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, এমন ডিজিটাল বাংলাদেশেরই স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। প্রযুক্তিভোক্তা নয়, উৎপাদক হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার যে কথাটা বরাবর বলে আসছেন প্রধানমন্ত্রী।
ওয়ালটন প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। পরিদর্শনকালে ওয়ালটন ল্যাপটপ নিয়ে উভয়ের আগ্রহ ও প্রশংসায় আরও বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণের শক্তি জুগিয়েছে এ সময় উপস্থিত ওয়ালটন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম শামসুল আলমকে।
ওয়ালটনের মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্যের উৎকর্ষতা প্রদর্শনের সময় উপস্থিত ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক এসএম রেজাউল আলম ও তাহমিনা আফরোজ এবং ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসানকে (পলিসি, এইচআরএম অ্যান্ড অ্যাডমিন) এই খাতের দ্রুত বিকাশে সরকারের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। ইতোমধ্যে ওয়ালটনের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেন তিনি।
প্যাভিলিয়নে উপস্থিত ওয়ালটন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে উপমহাদেশে তারাই একমাত্র সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও সর্বোচ্চ মানের কম্প্রেসার তৈরি করতে যাচ্ছেন জানালে তিনি শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর পরিদর্শন নিয়ে ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এ পরিদর্শনে আমরা আনন্দিত ও উৎসাহ বোধ করছি। এটি আমাদের কর্মস্পৃহা বাড়াবে। প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণায় আমরা আরও বেশি মনোযোগী হতে পারব। এর ফলে আমরা নতুন নতুন প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি রফতানি সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখতে পারব।’
প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শনকালে প্যাভিলিয়নে উপস্থিত ওয়ালটন কমপিউটার প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো: লিয়াকত আলী জানান, ‘আমাদের পণ্য’ খ্যাত ওয়ালটন ব্র্যান্ড দেশীয় প্রযুক্তিশিল্পের বিকাশে মাইলফলক হিসেবে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডাকসাইটে ব্র্যান্ডের চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশের মানুষকে সর্বশেষ প্রযুক্তির ল্যাপটপ উপহার দেয়ায় ওয়ালটন পরিবারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। পরিদর্শনকালে ওয়ালটন কম্প্রেসার, ফ্রিজ ও এনার্জি সেভিং হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস দেখে তিনি সমেত্মাষ প্রকাশ করেন। উপমহাদেশে একমাত্র ওয়ালটনই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও সর্বোচ্চ মানের কম্প্রেসার তৈরি করতে যাচ্ছে জেনে তিনি ওয়ালটনকে শুভেচ্ছা জানান।
প্রসঙ্গত, মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলায় প্রায় ১৫ হাজার বর্গফুট প্রশস্ত জায়গায় ত্রিতল (তিনতলা) মেগা প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন নিয়ে হাজির হয়েছে ওয়ালটন। ১৬ ফুট প্রশস্ত প্রবেশপথ ছাড়াও দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে শারীরিকভাবে অসুস্থ বা প্রতিবন্ধীদের প্যাভিলিয়নে প্রবেশের জন্য রয়েছে র্যা ম্প (ধাপবিহীন) সিঁড়ি, সুপরিসর লিফট ও ৭ ফুট চওড়া সিঁড়ি। মেলায় ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে নতুন চমক হিসেবে যোগ হয়েছে সেলফি কর্নার। এখান থেকেই দেশের গর্বের সাথে নিজের ছবি তুলতে পারবেন দর্শনার্থীরা