লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
তথ্যসূত্র:
প্রচ্ছদ প্রতিবেদন
ঈদ আয়োজনে প্রযুক্তির জয়
ঢাকার একটি ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেন রাহাত। কাজের ব্যস্ততায় গত ঈদে মা ও ছোট ভাইয়ের জন্য কাপড় কিনলেও দর্জির সিরিয়াল পেতে দারুণ বেগ পেতে হয়েছে। ছেলে হোস্টেলে থাকায় ওর মার্কেটিং নিয়েও কম ঝক্কি পোহাতে হয় না রাহিতুলের মা-বাবার। বোনের সাথে ঈদে দেখা না হলেও ভাগ্নে-ভাগ্নিদের জন্য আগেভাগেই ঈদের কেনাকাটা করেন জাকির। এটা জানার পর থেকেই দুই-একদিন পরপরই মামা কবে আসবেন তা নিয়ে বার দশের ফোন-অনুরোধ মনটাকে উদাস করে। অফিসের কাজ আর সারাদিনের রোজা পালনের পর তারাবিহর নামাজ আদায় করে গিন্নিকে নিয়ে মার্কেটে যাওয়ার কথা ভাবতেই গায়ে জ্বর আসে ঢেউয়ের। দিনের বেলাতেও রাস্তার জ্যামে নাকাল হয়ে মার্কেটে যাওয়ার ভয়ে তটস্থ থাকেন মিজান।
ঝক্কি-ঝামেলার রঙ্গ মাড়িয়ে ক্লেশহীন ঈদ আয়োজন সম্পন্ন করতে এবার আগেভাগেই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারতে শুরু করেছেন কর্মব্যস্ত মানুষ। ফেসবুকসহ ক্লাসিফায়েড এবং ই-কমার্স ওয়েব পোর্টালগুলোতে যাতায়াত শুরু করেছেন কেনাকাটার জন্য। ঈদ নিয়ে তাই ক্রেতা-বিক্রেতারা যেমন প্রযুক্তিমুখী হচ্ছেন, তেমনি অনলাইন সুবিধা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ইন্টারনেট সেবাদাতা থেকে শুরু করে পণ্য সরবরাহকারী, মূল্য পরিশোধ সবদিকেই চলছে প্রযুক্তির জয়জয়কার।
অনলাইনে বাহারি প্রণোদনা
ক্রেতাদের আগ্রহ বিবেচনায় নতুন আয়োজন নিয়ে সরব হয়ে উঠেছে অনলাইন বাজার। ই-কমার্স সাইটগুলোর পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হচ্ছে নগদ ছাড়, পুরস্কার, লটারি ইত্যাদির মতো নানা প্রণোদনা। গত কয়েক বছর ধরেই এই আয়োজনে এগিয়ে রয়েছে দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব সাইটে ঈদের পোশাকের রকমারি ও বাহারি সংগ্রহ যেমন থাকে, তেমনি ঘরে বসেই মূল্য পরিশোধ করে ঈদের সদাই হাতে পেতে রাজধানীর গ-- পেরিয়ে রোমাঞ্চিত হচ্ছেন শহরতলির মানুষেরাও। ওয়েব নয়, মুঠোফোন থেকে অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আঙুলের পরশে পণ্যের নানা দিক ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখে নেন অফিস কিংবা ঘরে বসেই। কেনার আগে যার জন্য কিনছেন তাকেও সহজেই দেখিয়ে নেন। আবার ঈদের ভিড়ে ব্যাগ না বাড়িয়ে আপনজনের কাছে সরাসরি উপহার পাঠিয়ে দিতেও ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রযুক্তিপ্রেমী নাগরিকেরা এখন অনলাইনমুখী। কেনাকাটায় জালিয়াতি থেকে রেহাই পেতে নগদ লেনদেনের চেয়ে বিকাশ ও কার্ডে মূল্য পরিশোধের দিকে ঝুঁকছেন তারা। আবার বন্ধুদেরকে অভিবাদন জানাতে চিরায়ত শুভেচ্ছা কার্ডের বদলে ই-কার্ড প্রস্ত্তত, বাল্ক এসএমএস, এমএমএস ও আইভিআর সেবা নিয়েও চলছে নানা আয়োজন।
অনলাইনে ঈদের পোশাক-সদাইপাতি
ঈদুল ফিতরের কেনাকাটা মানেই সবার আগে আসে পোশাক পরিচ্ছদের বিষয়টি। পোশাকের মধ্যে মেয়েদের ও শিশুদের পোশাক আর জুতায় রয়েছে বাহারি সব কালেকশন। এর বাইরেও সেমাই-লাচ্ছা থেকে শুরু করে টুপি-আতরও এখন অনলাইনে হরহামেশাই ফেরি হচ্ছে। বিক্রি হচ্ছে ঈদ আয়োজনের নানা খুঁটিনাটি সরঞ্জাম ও তৈজসপত্র। আকর্ষণীয় অফার নিয়ে ঈদের ছুটিতে বন্ধুদের নিয়ে ভ্রমণেরও সুবিধা মিলছে পোর্টারগুলো থেকে।
আজকেরডিল
বিভিন্ন পার্বণে নান্দনিক সব আয়োজন নিয়ে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে অনলাইনে যাপিত জীবনের প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রেতাদের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দিচ্ছে দেশীয় ই-কমার্স প্লাটফর্ম আজকেরডিল (www.ajkerdeal.com)। এই ই-কমার্স সাইটটি শুধু মূল্যবান্ধবই নয়; ভাষাবান্ধবও। বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় রয়েছে পণ্যের বিবরণ। পণ্য সারিতে রয়েছে বিপুল সমাহার। ছেলে, মেয়ে ও বাচ্চাদের কেনাকাটা, ব্যাগ ও পার্স, গৃহস্থালি সামগ্রী, গয়না ও ঘড়ি, মোবাইল ও ট্যাব, গ্যাজেটস, জুতা-বেল্ট ও ওয়ালেট, কসমেটিক্স ও পারফিউমসহ ৩৩টি ক্যাটাগরিতে সাজানো হয়েছে বাহারি পণ্যের পসরা। আছে রমজান ও ঈদের পসরা নিয়ে বিশেষ আয়োজন। এখানে মিলছে হিজাব, ছাতা এবং রেইনকোর্টের মতো পণ্যও। মাত্র ৪৯০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০ টাকার মধ্যে দুই হাজারের বেশি শর্ট, সেমি লং, সিল্ক, সুতি, প্রিন্টেড, কালারফুল পাঞ্জাবির কালেকশন রয়েছে এই ই-দোকানে। এখানে মিলবে ৭৩০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকার ফুলহাতা শার্ট। ১৯৯ টাকার ফ্যাশনেবল হিজাব। সাড়ে ১২ হাজারের মতো সালোয়ার-কামিজের কালেকশন। দাম শুরু মাত্র ৫৫০০ টাকা থেকে। ২ হাজার টাকায় সেলাইবিহীন জর্জেট থ্রিপিস। আছে ডিজিটাল কোরআন শরিফ, জায়নামাজও। আর এসবই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও অর্ডার প্লেস করা যাচ্ছে খুব সহজে।
ঈদের আয়োজন নিয়ে আজকেরডিলের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর বললেন, নিরাপত্তা ও বিক্রয়োত্তর সেবার বিষয়টি মাথায় রেখে ক্রেতারা এখন ক্যাশ অন ডেলিভারির পাশাপাশি কার্ড ও বিকাশে মূল্য পরিশোধে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে শুরু করেছেন। ক্রেতাদের মধ্যে ৩০ শতাংশই এখন বিকাশ কিংবা কার্ডে মূল্য পরিশোধ করছেন। তাই তাদের স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটার সুযোগ করে দিতে আমরা বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ ২০ শতাংশ ক্যাশব্যাক দিচ্ছি। রোজার দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে ৫০ শতাংশ ক্যাশব্যাক। এ ছাড়া মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধে রয়েছে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক। তিনি বলেন, আমাদের পোর্টালটিতে দুই হাজার বিক্রেতা রয়েছেন। এখন গড় ক্রেতা ৫ লাখের মতো। আর ঈদ এলেই এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। জানালেন, অর্ডার প্লেসমেন্টের তিন দিনের মধ্যে ঢাকায় ক্রেতার হাতে পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়। দেশে ডেলিভারি সিস্টেম ততটা আধুনিক না হওয়ায় ঢাকার বাইরে ডেলিভারি দিতে সাত দিন পর্যন্ত সময় নেই। তবে ঈদের দিন ও পরদিন ডেলিভারি বন্ধ থাকে। আর ঈদেও চার দিন আগে চাহিদা গ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়। ফাহিম আরও জানান, ইতোমধ্যেই আমেরিকার জি-টক অনলাইনের মাধ্যমে আজকেরডিল থেকে আত্মীয়-স্বজনের জন্য ঈদের উপহার পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
প্রিয়শপ
এবারের ঈদে প্রতিবারের মতো মাসব্যাপী ‘অনলাইন ঈদ শপিং ফেস্টিভাল’-এর আয়োজন করেছে প্রিয়শপ (www.priyoshop.com)। ঈদ উপলক্ষে নানা অফারে সাজানো হয়েছে এই ফেস্টিভাল। আপনার শপিংয়ের একটি অংশ ব্যয় করা হবে গরিব শিশুদের ঈদের পোশাকে। ৫০০ টাকার উপরে শপিং করলেই নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। থাকছে যেকোনো মূল্যের কেনাকাটায় প্রিয়জনসহ হেলিকপ্টারে ওড়ার সুযোগ। এ ছাড়া বিভিন্ন পেমেন্ট মেথডে রয়েছে ছাড় ও ক্যাশব্যাক। এর মধ্যে বিকাশে পেমেন্টে ২০ শতাংশ ক্যাশব্যাক, অ্যামেক্স কার্ড পেমেন্টে ১০ শতাংশ ছাড়, মাস্টারকার্ড ব্যবহারকারীদের ১০ শতাংশ ছাড় এবং ইবিএল কার্ড ব্যবহারকারীরা পাচ্ছেন ৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট। থ্রিপিস, গজ কাপড়, শাড়ি, বাহারি পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, পোলো টি-শার্ট, বাচ্চাদের ড্রেস, ইম্পোর্টেড জুয়েলারি, রোদচশমা, ঘড়ি, চামড়ার বেল্ট, ওয়ালেট, ঘর সাজানোর সামগ্রী, ইলেকট্রনিকস ও প্রসাধনীসহ বাহারি সব পণ্যের পসরা নিয়ে সেজেছে প্রিয়শপ ডটকম। প্রায় প্রতিটি পণ্যেই রয়েছে ঈদের বিশেষ মূল্যছাড়।
প্রিয়শপ ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুল আলম খান বলেন, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে ঝামেলাহীন ঈদেও কেনাকাটায় পছন্দের পণ্যটি ঘরে বসেই অর্ডার করার নির্ভরযোগ্য সমাধান দিতেই এই আয়োজন।
প্রিয়শপ ডটকমে অনলাইনে, ফোনে ও স্যোশাল মাধ্যমেও অর্ডার নেয়া হয় এবং সারাদেশে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টায় ডেলিভারি দেয়া হয়। ক্যাশ অন ডেলিভারি, বিকাশ, ভিসা/মাস্টার/অ্যামেক্স কার্ড, ব্যাংক ডিপোজিটের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা থাকায় প্রবাসী বাংলাদেশীরাও প্রিয়জনের জন্য ঈদ শপিং করতে পারবেন।
বিক্রয়
ঈদে ৮ জুন থেকে তিন দিনব্যাপী অনলাইন মেলায় বিভিন্ন পণ্যের ওপর ৫ থেকে ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে বিক্রয় ডটকম (bikroy.com)। মেলায় বিশ্বসেরা অ্যাপল, স্যামসাং, মাইক্রোসফট, আসুস ও ডেল ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্যের পাশাপাশি থাকছে মোটরবাইক, মোবাইল ফোন, হোম ইলেকট্রনিক্স, ল্যাপটপ, নোটবুক, ঘড়ি, টেলিভিশন, অ্যাপারেল, হেয়ার কেয়ার, পর্যটন ও ফ্যাশন আইটেমসহ অনেক বৈচিত্র্যময় পণ্য। মাত্র ১০০০ টাকার পণ্য ক্রয়ে থাকছে নিশ্চিত উপহার এবং সৌভাগ্যবান তিনজন বিজয়ীকে দেয়া হবে বিমান হলিডেজের সৌজন্যে কক্সবাজারে ‘ফ্রি কাপল ট্রিপ’।
অথবা
রমণীদের সবচেয়ে পছন্দের পোশাক শাড়ি, পুরুষদের পাঞ্জাবি, তরুণদের পোলো শার্টের বাহারি সংগ্রহ নিয়ে অনলাইনে ঈদ উৎসবের আয়োজন করেছে দেশী ব্র্যান্ডের পথিকৃৎ প্রাণ গ্রুপের সহযোগী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অথবা ডটকম (www.othoba.com)। এখানে প্রদর্শিত চোষা সিল্ক, বেনারসি ও সুতির শাড়িগুলোর দাম শুরু হয়েছে ৬৭৫ টাকা থেকে। একইভাবে ঈদে পুরুষদের অন্যতম পোশাক পাঞ্জাবির দাম শুরু হয়েছে ৪৯০ টাকা থেকে। পোলো শার্টে দেয়া হচ্ছে ৩১ শতাংশ মূল্যছাড়। অথবায় বিক্রির অপেক্ষায় থাকা পাঞ্জাবির রঙ ও নকশায় রয়েছে বৈচিত্র্য। আছে সাতটি রঙের বাহার। এর কোনোটি কালো, কোনোটি আবার সাদা। ছোট-বড়-মাঝারি ছাড়াও বিভিন্ন আকারে মিলছে হলুদ, লাল, নীল, গোলাপি ও বেগুনি রঙের পাঞ্জাবি। আর কেনা পণ্যের মূল্য যদি বিকাশে পরিশোধ করা হয়, তবে মিলবে আরও ২০ শতাংশ ছাড়। বাচ্চাদের খেলনা, বেল্ট, ওয়ালেট, বাই সাইকেলসহ সংসারের প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রও রয়েছে এই ই-কমার্স সাইটটিতে। ই-গিফট ভাউচারের মাধ্যমে ইচ্ছে মতো উপহারপ্রাপ্তির সুযোগও রয়েছে এখানে। ঘড়ির কাঁটায় নিরবচ্ছিন্ন সেবা পেতে রয়েছে লাইভ চ্যাট সুবিধা।
দারাজ
ঈদে সর্বোচ্চ ৫৫ শতাংশ ছাড় দিয়েছে ই-কমার্স প্লাটফর্ম দারাজ (www.daraz.com.bd)। এর মধ্যে ছেলেদের পোশাকে ৬০ শতাংশ, মেয়েদের ফ্যাশন পণ্যে ৩০ শতাংশ, জায়নামাজ, তসবিহ ও আতরে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জাকাতের শাড়ি ও লুঙ্গির পসরা রয়েছে এই অনলাইন ই-স্টোরে। ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই জাকাতের কাপড়। ঈদের আগ পর্যন্ত সপ্তাহে ফ্লাশ সেল অফারে সর্বোচ্চ ছাড় দেয়া হয়।
দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদুল হক বলেন, ঈদ উপলক্ষে ৬ জুন থেকে আমরা মোবাইল উইকে নামি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছি। এরপরের সপ্তাহে ফ্যাশনে ৮০ শতাংশ এবং টিভি-এসিতে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেয়া হবে। আমরা আশা করছি, এই অফার নিতে দারাজে ৫০ শতাংশ বিক্রি বাড়বে। প্রতিশ্রম্নতি রক্ষায় দারাজ থেকে অর্ডার করা পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে আমরা আগেভাগেই একটি টাইমলাইন তৈরি করেছি। সে অনুযায়ী ২০ জুনের পর ঢাকার বাইরে কোনো পণ্য ডেলিভারি করা হবে না। তবে ঢাকার ভেতরে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ডেলিভারি করা হবে। ঈদে দারাজ অনলাইন সাপোর্ট চালু থাকলেও অফলাইন কার্যক্রম তিন দিন বন্ধ থাকবে। তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে দারাজে বিভিন্ন ধরনের ১ লাখ ১০ হাজার পণ্য সরবরাহ করছেন ১১শ’ সরবরাহকারী।
কিকসা
ঈদে ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেটে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দিচ্ছে কিকসা ডট কম (kiksha.com)। এয়ার ফোন, মনোপড সেলফিস্টিক, ভিআর বক্স, চৌম্বকীয় প্রযুক্তির ডাটা ক্যাবল, উইন্ড কার মাউন্ট ইত্যাদি দারুণ কিছু গেজেট রয়েছে এই সাইটটিতে। এ ছাড়া ১৪০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে পার্টি শাড়ি মিলছে কিকসা থেকে। এর বাইরে পাঞ্জাবি, কুর্তা, টি-শার্ট নিয়ে ওয়েবসাইটে নতুন একটি পেজ যোগ করা হচ্ছে। ই-পেমেন্টের পাশাপাশি এখান থেকে কেনা পণ্য অপছন্দ হলে সাত দিনের মধ্যে তা ফেরত দেয়ার সুযোগও পাবেন ক্রেতা।
কিছু আয়োজন নিয়ে কিকসা হেড অব মার্কেটিং মাজহারুল ইসলাম বলেন, ঈদের দিন সকালের নামাজ হোক, আর দুপুরের ফ্যামিলি লাঞ্চ হোক, কিংবা সন্ধ্যার গেট টুগেদারই হোক- সব ধরনের অনুষ্ঠানের জন্যই এই পোর্টালে আছে মানানসই পাঞ্জাবি। বিকাশ, ভিসা ও মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে দাম পরিশোধ করলে দেয়া হচ্ছে ২০ শতাংশ ক্যাশব্যাক। নিয়মিত ছাড়ের পাশাপাশি প্রতি লেনদেনে আরও অতিরিক্ত ২০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা ছাড় দেয়া হচ্ছে।
বাগডুম
আগডুম-বাগডুম ছড়ার মতো অনলাইন কেনাকাটায় ডিজিটাল কাব্য রচনা করে চলেছে বাগডুম (www.bagdoom.com)। তারুণ্যেই লাইফ স্টাইলকে লক্ষ করে ঈদে নতুন সাজে সেজেছে এই ই-কমার্স সাইটটি। রোজার প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিভিন্ন অফার নিয়ে চলছে সপ্তাহভিত্তিক বিক্রয় প্রণোদনা উৎসব। ঈদের প্রিয়জনের পছন্দের পণ্য কিনে নেয়ার সুযোগ করে দিতে চালু করেছে গিফট ভাউচার। ঈদ ফ্যাশন সপ্তাহে কেনাকাটয় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে শাড়ি-প্যান্টে ৪০ শতাংশ, জুতা-স্যান্ডেলে ৩৯ শতাংশ, টি-শার্টে ৩৩ শতাংশ, পাঞ্জাবিতে ২৭ শতাংশ এবং সালোয়ার-কামিজে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেয়া হচ্ছে। একইভাবে মাত্র ৫৯৯ টাকা থেকে শুরু হয়েছে বাগডুমের ফুল শার্টের মূল্য। ঈদ আয়োজন উপলক্ষে ১১ জুন থেকে মোবাইল সপ্তাহে ২০ শতাংশ, ১৮ জুন থেকে ফ্যাশন উইকে ৩০ শতাংশ এবং সামার কালেকশনে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেয়া হচ্ছে। বাগডুম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাগডুম-ব্র্যাক ব্যাংক ক্যাম্পেইনে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেয়া হচ্ছে। মাস্টারকার্ড ক্যাম্পেইনে ৪০০০ টাকার সদাই করলে ৩০০ টাকা, ৬৫০০ টকার ওপর ক্রয় করলে ৫০০ টাকা যেমনটা বোনাস দেয়া হচ্ছে তেমনি বাংলালিংক প্রিয়জনদের ও মাস্টারকার্ড গ্রাহকদের ১১ শতাংশ পর্যন্ত নগদ মূল্য ছাড় দেয়া হচ্ছে।
আয়োজন নিয়ে বাগডুম সিইও কামরুন নাহার বললেন, ২০১১ সাল থেকে অনলাইনে কেনাকাটাকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করতেই এখনই ডট কমের মাধ্যমে আমরা ই-কমার্স দুনিয়ায় পদচারণা শুরু করি। এরপর হেলিকপ্টার রাইডসহ নানা অফার দিয়ে এবং ব্র্যান্ডের পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে গ্রাহকদের মন জয় করতে সমর্থ হই। কিন্তু আমাদেরকে নকল করায় আমরা বাধ্য হয়েই তারুণ্যের পছন্দকে মাথায় নিয়ে বাগডুমের যাত্রা শুরু করি। তবে আমাদের যারা কপি করেছিল তারা কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেনি। তলিয়ে গেছে। মৌলিকত্বের জয় হয়েছে। গ্রাহকের এই ভালোবাসাকে হৃদয়ে নিয়েই ঈদের আনন্দকে আরও রঙিন করতেই এবার আমরা লাভ না রেখেই অফারগুলো ঘোষণা করেছি। আশা করছি, গত বছরের চেয়ে এবার আমাদের বেচাকেনা দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যাবে।
প্লাস্টিক কার্ডে মাস্টার অফার
এসএসএল কমার্জ : বাইরের অসহনীয় গরম এবং তীব্র যানজট এড়াতে বেশিরভাগ ভোক্তাই এখন ঝুঁকছেন অনলাইনে কেনাকাটার দিকে। ঈদে অনলাইন কেনাকাটাকে আরও উৎসাহ দিতে ভিসা ও বিকাশের সাথে এসএসএল কমার্জ (www.sslcommerz.com) ঘোষণা করেছে দুটি অফার। ভিসা কার্ডের সাথে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানটি। ‘অনলাইন ধামাকা’ সেস্নাগানে এই ঈদে ভিসা কার্ড দিয়ে অনলাইনে কেনাকাটা করে এসএসএল কমার্জের গেটওয়ে ব্যবহার করে পেমেন্ট করলেই রিজেন্ট এয়ারওয়েজ বেস ফেয়ারে দিচ্ছে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট, ইউএস বাংলা বেস ফেয়ারে দিচ্ছে ৭ শতাংশ ডিসকাউন্ট, ফ্লাইট এক্সপার্ট পুরো ফেয়ারে দিচ্ছে ৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট, কিকসা দিচ্ছে ২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট এবং স্টার সিনেপ্লেক্স দিচ্ছে দুটি টিকেটের সাথে একটি ফ্রি, সাথে স্টার লাউঞ্জে একটি ইফতারে আরেকটি ফ্রি।
বিকাশ ও এসএসএল কমার্জ রোজার মাসজুড়ে নিয়ে এসেছে ক্যাশব্যাক অফার। ফুডমার্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডে ১০ শতাংশ, পোশাকশপ ডটকমে ১০ শতাংশ, এনআরবি জবসে ১০ শতাংশ, বাইমোবাইল ডটকম ডটবিডিতে ১০ শতাংশ, এমকে ইলেকট্রনিক্সে ২০ শতাংশ, বিটিআই হোল্ডিংস লিমিটেডে ২০ শতাংশ, প্রসিদ্ধতে ২০ শতাংশ, ভ্রমণ ডটকম ডটবিডিতে ২০ শতাংশ, ঘুরবো ডটকমে ২০ শতাংশ, জেন্টল পার্কে ২০ শতাংশ, ইন্ট্রা মিডিয়ায় ২০ শতাংশ, নেক সলিউশন্স লিমিটেডে ২০ শতাংশ, আমার শপ ২৪-এ ২০ শতাংশসহ মোট ১৩টি প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত শাখাগুলো থেকে অনলাইনে কেনাকাটা করে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে পেমেন্ট করলেই ক্রেতারা পাবেন ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।
মাস্টারকার্ড : পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকে ঈদ পর্যন্ত সময়টা হচ্ছে কেনাকাটার সবচেয়ে বড় মৌসুম। সে জন্য কার্ডহোল্ডারদের জন্য অনলাইন কেনাকাটায় ডিসকাউন্ট ক্যাম্পেইন শুরু করেছে মাস্টারকার্ড। এই ক্যাম্পেইন রমজান মাসজুড়ে চলবে। এর আওতায় মাস্টারকার্ডধারীরা সাতটি খ্যাতনামা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ মূল্যছাড় পাবেন। মাস্টারকার্ডের পার্টনার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- আজকের ডিল, বাগডুম, দারাজ, এসো, কিকসা, পিকাবু ও প্রিয়শপ।
এ প্রসঙ্গে মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, শুধু কার্ডধারীদের মূল্যছাড় দেয়ার মাধ্যমে ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ডের ব্যবহার বাড়ানোই নয়, সেই সাথে দেশে ই-কমার্স পোর্টালের বিকাশ এবং তা শক্তিশালীকরণও এ ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, বছরের অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে কার্ডহোল্ডারদের পবিত্র রমজান মাসেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কেনাকাটা করতে দেখা যায়। তাই এ উৎসব উপলক্ষে বিশেষ করে মাস্টারকার্ড ব্র্যান্ডের ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ডের ব্যবহার বাড়াতে নতুন মূল্যছাড় ক্যাম্পেইন চালু করা হয়েছে। আমরা চাই, আমাদের কার্ডধারী গ্রাহকেরা তাদের কার্ড ব্যবহার করে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় পান। আমরা আশা করি, এই মূল্যছাড় ক্যাম্পেইন দেশে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট বা কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন বাড়াবে এবং বদৌলতে ই-কমার্স খাতেরও বিকাশে সহায়ক হবে।
ছুটিতেও বিকাশ সেবা
ঈদের কেনাকাটায় ২৮টি অনলাইন থেকে কেনাকাটায় এই ঈদে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক সুবিধা দিচ্ছে মুঠোফোন লেনদেনে দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ পেমেন্ট সলিউশন ‘বিকাশ’। এই সুবিধা অনলাইনের ৫৯ ব্র্যান্ডের ১১৩২টি দোকান থেকে দেয়া হচ্ছে। বিকাশ সুবিধাপ্রাপ্ত অনলাইন শপগুলো হচ্ছে- আজকেরডিল, আমার শপ২৪, আমি কিনি, বাটা অনলাইন স্টোর, বিডি শপ, ব্র্যানো, বাই মোবাইল, ক্লিক অ্যান্ড গ্র্যাব, দারাজ, দিন রাত্রি, ফুডমার্ট বিডি, জেন্টেল পার্ক অনলাইন, গোপনজিনিস, ঘুরবো, কিকসা, এমকে ইলেকট্রনিক্স অনলাইন, এনআরবি বাজার, ওকোড অনলাইন, অথবা, পোশাক শপ, প্রাইড অনলাইন স্টোর, প্রিয়শপ, প্রসিদ্ধ, রকমারি, শাদমার্ট, সেইবই, স্মার্ট কালেকশন ও ভ্রমণ। কেনাকাটার মূল্য বিকাশে পরিশোধের সাথে সাথেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ক্যাশব্যাকের টাকা জমা হবে বলে জানিয়েছেন বিকাশের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জাহেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ১ জুন থেকে শুরু হওয়া অফারটি চলবে ঈদুল ফিতরের দিন পর্যন্ত। বিকাশ তার গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তাকে বিবেচনায় রেখেই বিভিন্ন উৎসব বা উপলক্ষকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের অফার নিয়ে আসে। রমজান মাস হচ্ছে ত্যাগ ও মহিমার মাস। রমজানের এই তাৎপর্যকে অনুধাবন করে বিকাশ তার গ্রাহকদের ঈদ উৎসবকে আনন্দময় করতে এই ক্যাশব্যাক সুবিধাটি নিয়ে এসেছে। জাহেদুল ইসলাম জানান, বিকাশ দিয়ে কেনাকাটায় অতিরিক্ত কোনো চার্জ দিতে হবে না। গ্রাহক মূল্য পরিশোধ করার সাথে সাথেই তার বিকাশ অ্যাকাউন্টে ক্যাশব্যাক অ্যামাউন্ট জমা হবে। বিকাশ ব্যবহারকারীকে প্রথমে *২৪৭#-এ ডায়াল করে বিকাশ মেন্যুতে গিয়ে ‘৩’ নির্বাচন করে ‘পেমেন্ট’ পছন্দ করতে হবে। এরপর বেশ কিছু ইন্টারেক্টিভ ধাপ অনুসরণ করে এই সেবাটি গ্রহণ করা যাবে। জাহিদ বলেন, বর্তমানে দেশজুড়ে বিকাশের ১ লাখ ৬৫ হাজারের মতো এজেন্ট রয়েছে। গ্রাম, পাড়া, মহল্লার ছোট দোকান থেকে শুরু করে ৪০ হাজারেরও বেশি দোকানে বিকাশের মাধ্যমে কেনাকাটা করা যাচ্ছে। দোকানে কেনাকাটা, মোবাইল ফোনের ব্যাল্যান্স রিচার্জসহ বিকাশের গ্রাহকদের একটা বড় অংশও ধীরে ধীরে বিকাশ দিয়ে কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। ফলে ঈদের ছুটিতে বিকাশ গ্রাহকদের দিচ্ছে সহজেই সেবাপ্রাপ্তির সুযোগ। অর্থাৎ ছুটির দিনে যখন আর্থিক প্রামিত্মক জনপদে লেনদেনের পথগুলো সঙ্কুচিত হয়ে আসে তখনও বিকাশ থাকে জাগ্রত।
ঘুরব
ঈদে পর্যটকদের হোটেল বুকিংয়ে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ঘুরব ডটকম (www.ghurbo.com)। এ ছাড়া ইবিএল ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে মূল্য পরিশোধকারীরা পাবেন আরও বাড়তি ৫ শতাংশ ছাড়। আর বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্টে মিলবে ২০ শতাংশ ক্যাশব্যাক সুবিধা। একই সাথে এখন থেকে ঘুরব ডটকমে এয়ার এশিয়ার বিমান টিকেট সাশ্রয়ী মূল্যে কাটা যাবে। ঘুরব ডটকমের হেড অব মার্কেটিং মুহাম্মদ তাহের জামিল জানান, ‘বছরের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরকে স্মরণীয় করে রাখতে ঘুরব এবারও বড় ধরনের ছাড় ঘোষণা করেছে। আমাদের পার্টনারেরা দেশের বিভিন্ন আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটে যাওয়া-থাকা-খাওয়াসহ আনুষঙ্গিক নানা বিষয়ে গ্রাহকদের বাড়তি সুবিধা দেবেন। ঘুরব ডটকমের মাধ্যমে গ্রাহকেরা হোটেল বুকিং দিলে থাকবেন বীমা সুবিধার আওতায়। আমরা আশা করি, এসব সুবিধা গ্রাহকেরা উপভোগ করবেন।’
ঈদের টিকেট
ঈদে ঘরে ফিরতে প্রতিবছরই টিকেট হয়ে ওঠে সোনার হরিণ। দীর্ঘ লাইনে না দাঁড়িয়ে মুঠোফোন কিংবা অনলাইনেই আজ সহজে কাটা যায় ট্রেন ও বাসের টিকেট। এবার নতুন করে এই সুবিধায় যুক্ত হয়েছে লঞ্চের টিকেট। পুরান ঢাকার তীব্র জ্যাম না মাড়িয়ে এবার অনলাইনেই লঞ্চের টিকেট সুবিধা চালু করেছে ‘আসাযাওয়া ডটকম’। ঢাকা থেকে মোট ৪৫টি রুটের টিকেট সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
আসাযাওয়া ডটকমের সিইও রিফাত খন্দকার জানান, কালোবাজারি রোধ করতে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে মোট চারটি টিকেট কেনা যাবে। আর টিকেট ক্রয়ে ১০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় মিলবে। এই ছাড় পরবর্তী যাত্রায় উপভোগ করতে পারবেন ক্রেতারা।
ঈদ ভ্রমণে ছাড়
ঈদ উপলক্ষে অনলাইন হোটেল বুকিংয়ে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়েছে অনলাইন হোটেল বুকিং প্ল্যাটফর্ম ‘জোভাগো’। ‘রমজান গেটওয়ে’ ও ‘ঈদ বোনানজা’ এই অফার সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেসের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড থাকলে এ সুবিধা পাওয়া যাবে। দেশের নির্দিষ্ট কিছু হোটেলে ‘রমজান গেটওয়ে’ অফারে ৯০ শতাংশ ও ‘ঈদ বোনানজা’ অফারে ৭১ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিতে সিটি ব্যাংক ও জোভাগো বিশেষ চুক্তি সই করেছে। চুক্তি অনুযায়ী সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডধারীরা কম খরচে ঘরে বসেই জোভাগো ওয়েবসাইট অথবা মোবাইল অ্যাপ থেকে হোটেল বুকিং দিতে পারবেন। এ সুবিধা ২৬ মে থেকে জুলাইয়ের ১ তারিখ পর্যন্ত চলবে।
ঈদে বাড়ির নিরাপত্তা
ঈদের ছুটিতে বাড়িতে প্রিয়জনের সাথে আনন্দের সময়গুলো অনেক সময়ই কর্মস্থানের, বাসার নিরাপত্তার শঙ্কায় প- হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরপর পাশের ফ্ল্যাটের কাউকে না কাউকে ফোন করে জানতে হয় ঘরের তালা ঠিক আছে কি না? মনের কোনে খচখচ করে জানালার গ্রিল কেটে আবার সব কিছু সাবাড় করছে না তো চোর-ডাকাতের দল। এমন দুর্ভাবনা থেকে পরিত্রাণ দিতে বাজারে বিশেষ ধরনের সার্ভিল্যান্স ক্যামেরা নিয়ে এসেছে সিকিউরিটি বাজার বিডি। প্রতিষ্ঠানটির ওয়াফাই আইপি সার্ভিল্যান্স ক্যামেরাটির মাধ্যমে মুঠোফোন থেকে দিন-রাত স্পষ্টভাবে ৩৬০ ডিগ্রি কোনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যায়। আবার কেউ যদি ঘরে প্রবেশ করে তখন ওই মুঠোফোনেই সাইরেন বাজিয়ে সচকিত করে। ঈদে এই ক্যামেরাটিতে ৫০০ টাকা ছাড় দিয়ে মাত্র ২৯৯০ টাকায় দেয়া হচ্ছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী আবদুল্লাহ আল মামুন খান। তিনি আরও জানান, সবচেয়ে সাশ্রয়ী দামে তারা ঘরের তালার নিরাপত্তায় বাগলার অ্যালার্ম, ডোর কন্টাক্ট সুইচ যেমন দিচ্ছেন, তেমনি গাড়ির নিরাপত্তার ট্র্যাকারও সরবরাহ করছেন অনলাইনে (www.securitybazarbd.com)