লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
সেরা অনলাইন মার্কেটিং ও সেলস টুল পর্ব-০৩
বাজারে থাকা হাজার হাজার মাকেটিং টুল বা অ্যাপ থেকে সবচেয়ে উপযোগীটি বেছে নেয়া অবশ্যই খুবই কঠিন একটি কাজ। আর তাই এ লেখায় সেলস ও মার্কেটিংয়ের শক্তিশালী সব টুল নিয়ে বিশাল এ তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। এসব টুল ব্যবহার করে বিক্রি বা বাজারজাতকরণে প্রচুর কাজ করা যাবে খুবই সহজে এবং দক্ষতার সাথে।
ভিজ্যুয়াল ডট এল ওয়াই
মার্কেটিং কনটেন্টের জন্য ভিজ্যুয়ার কনটেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ক্যাম্পেইন তৈরিতে এর অবদান অনস্বীকার্য। এখানে পাওয়া যাবে অসাধারণ সব প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারদের, যারা আপনার চাহিদা অনুযায়ী বানিয়ে দেবে মনমাতানো দৃষ্টিনন্দন সব ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট। এর সাহায্যে বানানো যাবে হাই ইমপ্যাক্ট ইনফোগ্রাফিক্স, ভিডিও, প্রেজেন্টেশন, রিপোর্ট, ই-বুক এবং ইন্টারেক্টিভ মাইক্রোসাইট। এই সাইট গ্রাহকের চাহিদা বুঝে তার সাথে মেধাবী সব প্রফেশনালের সংযোগ ঘটিয়ে দেয়।
গিমপশপ
ফটো এডিটিং সফটওয়্যার হিসেবে ফটোশপ অপ্রতিদ্ব›দ্বী। তবে এ সফটওয়্যারটি ফ্রি নয়, এটি ব্যবহার করতে হলে পয়সা খরচ করতে হয়। যদিও ক্র্যাক করে আমরা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে অভ্যস্ত। তবে এর ফলে কোনো সফটওয়্যারের পূর্ণ সুবিধার ব্যবহার করা সম্ভব যেমন হয় না, তেমনি নির্মাতাদের প্রতিও করা হয় এক ধরনের অবিচার। সে ক্ষেত্রে গিমপশপ হতে পারে ফটোশপের একটি বিকল্প। এতে পাওয়া যাবে ফটোশপের সব সুবিধাই। যেমন লেয়ার, চ্যানেল, মাস্ক, ফিল্টার, লেভেল, অ্যাডভান্সড প্যাটার্ন ম্যাচিংসহ অনেক কিছু। এত সুবিধার এই সফটওয়্যারটি একদিকে যেমন হালকা, অন্যদিকে সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর জন্য কোনো দাম দিতে হবে না।
ডিজাইস সিডস
ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরিতে রঙ নির্বাচন ও রঙের কম্বিনেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কালার কম্বিনেশন ভালো না হলে অসাধারণ আইডিয়াও সফলতার মুখ নাও দেখতে পারে। এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে ডিজাইস সিডস নামের এই সাইটটি। এতে পাওয়া যাবে দারুণ সব কালার প্যালেটে আইডিয়া, যেখান থেকে আকর্ষণীয় সব কালার কম্বিনেশন পাওয়া যাবে।
ক্যানভা
সুন্দর একটি ডিজাইনের জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়। হুট করে অসাধারণ কোনো কাজ হয় না। আর প্রফেশনাল মানের কোনো ডিজাইনের জন্য প্রফেশনাল সব টুল ব্যবহারেও দক্ষতা থাকা চাই। আর এখানেই বেশিরভাগ আটকে যায়। সামনে এগোনোর জন্য সহজ কোনো সমাধানের খোঁজ চলতে থাকে। কোনো ধরনের ডিজাইন টুল ব্যবহার না জেনে দারুণ সব ডিজাইন করার জন্য ক্যানভা হতে পারে অসাধারণ একটি সমাধান। এটি ব্যবহার করাও খুব সহজ। গতানুগতিক ডিজাইন টুলগুলোর মতো নয়। শুধু ড্র্যাগ আর ড্রপ করেই সুন্দর সুন্দর ডিজাইন করা যাবে এর সাহায্যে।
পিকমানকি
ফটো এডিটিং ও গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য অসাধারণ একটি টুল হচ্ছে পিকমানকি। ছবিতে নিজস্ব স্টাইল, সৃজনশীলতা বা মেধার প্রকাশ করতে চাইলে এটি হতে পারে খুব ভালো একটি সমাধান। এর সাহায্যে ফটো এডিটিং ছাড়াও করা যাবে অসাধারণ সব কোলাজ নির্মাণ। ফটো এডিটিংয়ের এই টুলটি মূলত জোর দেয় ইফেক্ট, ফ্রেম, টেক্সট ও ফিল্টারের ওপর।
কমপফাইট
ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে শুরু করে ই-কমার্স বা কোনো বøগের জন্য নিয়মিতভাবে বহু ছবির দরকার পড়ে। কিন্তু গুগল সার্চ দিয়ে যেসব ছবি পাওয়া যায় অনেক সময় সেসব ঠিক মনের মতো হয় না। কেননা, সেসবের বেশিরভাগই প্রফেশনাল কাজের জন্য উপযোগী নয়। সে ক্ষেত্রে ছবির ভালো একটি উৎসের অভাব অনুভব করা খুব স্বাভাবিক। কমপফাইট হচ্ছে এমন একটি উৎস, যেখান থেকে পাওয়া যাবে দারুণ সব প্রফেশনাল মানের ছবি। এসব ছবির মধ্যে পাওয়া ফ্রি ও লাইসেন্স করা ছবির জন্য পয়সা খরচ করতে হবে। এই সার্চ ইঞ্জিনটিতে দরকারী ছবির কিওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে তার অসংখ্য ছবি। এমনকি একই ধরনের ছবির তালিকাও প্রদর্শন করবে।
পিকজাম্বো
মার্কেটিংসহ অনলাইনে সব ধরনের কাজে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি ব্যবহার করা হয়, তা হচ্ছে ছবি। ওয়েবসাইট, বøগ, রিপোর্ট, ¯øাইড, ফ্লেয়ার, ডিজিটাল মার্কেটিংসহ ছবির ব্যবহার নেই কোথায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এসব ছবির বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে হলে কপিরাইটমুক্ত হওয়া খুবই জরুরি। অন্যথায় যেকোনো সময় আইনি জটিলতার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এখন সমস্যা হচ্ছে কপিরাইটমুক্ত ছবি পেতে হলে পয়সা খরচ করতে হবে, যা সব সময় সম্ভব নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পিকজাম্বো হতে পারে একটি ভালো সমাধান। এতে আছে ভিন্ন ভিন্ন প্রজেক্ট অনুযায়ী প্রচুর ছবি, যেগুলোকে বিনামূল্যে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে।
ইসসু
মার্কেটিং, প্রচার বা অন্য কোনো কারণে কেউ কোনো ম্যাগাজিন, পত্রিকা বা বই প্রকাশ করার কথা ভাবতে পারেন। কারণ এগুলো হতে পারে কোনো বিষয় প্রচারের জন্য ভালো মাধ্যম। সে ক্ষেত্রে ইসসু হতে পারে এর সমাধান। এটি একটি পাবলিশিং প্লাটফর্ম। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত যেকোনো ক্রিয়েটর তার সৃষ্টিশীল কাজকে প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারেন। এর মাধ্যমে ডিজিটালি কোনো কিছু প্রকাশে সময় বা পরিশ্রম কোনোটাই তেমন করতে হবে না। শুধু কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রকাশ করা যাবে যেকোনো কিছু। প্রতিদিন ২০ হাজারেরও বেশি প্রকাশনা এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে প্রকাশিত হচ্ছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের সব সক্রিয় পাঠকদের মাঝে। প্রকাশ ও ডিস্ট্রিবিউটের পাশাপাশি এতে আছে কোলাবরেটিং টুলস, অ্যাডভান্স অ্যানালিটিক্সসহ আরো কিছু অসাধারণ ফিচার।
পিকটাকিউলাস
ছবি নিয়ে যখন কাজ তখন ছবির সাথে মিলিয়ে কালার প্যালেট বা রঙের শেড খুঁজে পাওয়াটা খুবই দরকারি। ফটো এডিটিং টুল যেমন ফটোশপ একেবারে পুরোপুরি সাহায্য করতে সক্ষম হয় না। এক্ষেত্রে পিকটাকিউলাস হতে পারে এর সমাধান। এই সাইটে আপনি কোনো একটি ছবি আপলোড কারার পর সে ছবি অনুযায়ী অনেকগুলো কালার শেড সাজেস্ট করে দেবে। সেই কালারগুলোর নিচে তাদের কোড নম্বরও দেয়া থাকবে, যেন সেগুলো ব্যবহার করে সে অনুযায়ী কালারের ব্যবহার করা যায়।