• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পিসির ঝুটঝামেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - অক্টোবর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ট্রাবলশূটিং
তথ্যসূত্র:
ট্রাবলশুটার টিম
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পিসির ঝুটঝামেলা






কমপিউটার জগৎ ট্রাবলশূটার টিম

কমপিউটার ব্যবহারকারীদের নিত্যনতুন সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু আমাদের এই নতুন বিভাগ ‘পিসির ঝুটঝামেলা’তে পিসির হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক, ভাইরাসজনিত সমস্যা, ভিডিও গেম সম্পর্কিত সমস্যা, পিসি কেনার ব্যাপারে পরামর্শ ইত্যাদিসহ যাবতীয় সব ধরনের কমপিউটারের সমস্যার সমাধান দেয়া হবে। আপনাদের সমস্যাগুলো আমাদের এই বিভাগের মেইল অ্যাড্রেসে (jhutjhamela@comjagat.com) বা কমপিউটার জগৎ, কক্ষ নম্বর-১১, বিসিএস কমপিউটার সিটি, রোকেয়া সরণি, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭ ঠিকানায় চিঠি লিখে জানান প্রতিমাসের ২০ তারিখের মধ্যে। উলে¬খ্য, মেইলের মাধ্যমে পাঠানো সমস্যার সমাধান যত দ্রুত সম্ভব মেইলের মাধ্যমেই জানিয়ে দেয়া হবে এবং সেখান থেকে বাছাই করা কিছু সমস্যা ও তার সমাধান প্রেরকের নাম- ঠিকানাসহ ম্যাগাজিনের এই বিভাগে ছাপানো হবে। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সমস্যা পাঠানোর সময় পিসির কনফিগারেশন, অপারেটিং সিস্টেম, পিসিতে ব্যবহার হওয়া অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম, পিসি কতদিন আগে কেনা এবং পিসির ওয়ারেন্টি এখনো আছে কি না- এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উলে¬খ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।



সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে ইন্টেল কোর আই থ্রি ৫৪০ প্রসেসর, গিগাবাইট এইচ৫৫এম-এস২ভি মাদারবোর্ড, ২+২ গিগাবাইট র্যা্ম, স্যামসাং এইচডি৫০৩এইচআই মডেলের ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক, আসুস ইএএইচডি৫৪৫০ গ্রাফিক্স কার্ড। আমি উইন্ডোজ ৭ ব্যবহার করি। কোনো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করি না। আমার হার্ডডিস্ক নিয়ে কিছুদিন আগে একটু সমস্যায় পড়েছিলাম। তখন হার্ডডিস্কের মডেল নাম্বার দিয়ে সার্চ করে ইন্টারনেটে রিভিউতে দেখলাম এটি ৫৪০০ আরপিএম গতির হার্ডডিস্ক। হার্ডডিস্কের গায়ে কোনো জায়গায় কত আরপিএম তা লেখা নেই। এ কারণেই আমি হার্ডডিস্কটি বদল করতে চাচ্ছি। আমি ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক বদল করে ১ টেরাবাইট লাগাতে চাই। পেনড্রাইভে ডাটা ট্রান্সফার করার সময় বা পেনড্রাইভ বা সিডি বা ডিভিডি থেকে ডাটা কপি করার সময় তুলনামূলক সময় বেশি লাগে। আমার এক বন্ধুর ডুয়াল কোর পিসি এবং তার হার্ডডিস্ক ৩২০ গিগাবাইট ৭২০০ আরপিএম। ডাটা ট্রান্সফার করার সময় বা পেনড্রাইভ বা সিডি বা ডিভিডি থেকে ডাটা কপি করার সময় আমার পিসির তুলনায় তার পিসিতে কিছুটা সময় কম লাগে। এটা কি হার্ডডিস্কের কারণে হয়ে থাকে, না মেইনবোর্ডের জন্য। ওর ইন্টেলের মেইনবোর্ড আর আমার গিগাবাইটের। এখন আমি কি হার্ডডিস্ক বদল করব নাকি এটিই থাকবে। অথবা কী করলে আমার পিসির পারফরম্যান্স বাড়াতে পারি। ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক কি গেম খেলা বা যেকোনো কাজ করার সময় কমপিউটার স্লো বা হ্যাং করবে? স্যামসাং এবং হিটাচির মধ্যে কোনটি কিনব?

-জাহিদ, খুলনা



সমাধান :
না, হার্ডডিস্ক কোনো সমস্যা করবে না। তবে গেমিংয়ের জন্য ভালো হয় সলিড স্টেট ড্রাইভ ব্যবহার করা, যাকে সংক্ষেপে এসএসডি হার্ডডিস্ক বলে। প্রাইমারি হিসেবে ৬০ গিগাবাইট সলিড স্টেট ড্রাইভ রেখে তাতে উইন্ডোজ ইনস্টল করে আলাদা আরেকটি হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা যায় স্টোরেজ হিসেবে। তবে সলিড স্টেট ড্রাইভ হার্ডডিস্কের দাম অনেক বেশি। গেমিংয়ের জন্য কোর আই ফাইভ ৪ কোরের প্রসেসর বেশি ভালো। গেমিং পিসি হিসেবে আপনার সিস্টেমের গ্রাফিক্স কার্ডটি কিছুটা দুর্বল। হার্ডডিস্ক যত বড় হবে, তা পরিচর্যা করাও মুশকিল হবে। যেমন- ভাইরাস স্ক্যান করতে সময় বেশি লাগবে, ডিফ্র্যাগমেন্ট করতে সময় লাগবে, কোনো ফাইল সার্চ করতে সময় লাগবে। যদি খুব বেশি প্রয়োজন না পড়ে তবে এত বড় হার্ডডিস্ক না কেনাই ভালো। আর্কাইভিংয়ের ইচ্ছে থাকলে অর্থাৎ মুভি কালেকশন বা অন্য কিছু জমানোর ইচ্ছে থাকলে পোর্টেবল ১ টেরাবাইট কিনে তাতে সংরক্ষণ করতে পারেন।

হার্ডডিস্কের আরপিএম যত বেশি হবে ডাটা তত দ্রুত ট্রান্সফার হবে। আপনার হার্ডডিস্কের ক্যাশ মাত্র ১৬ মেগাবাইট। বেশিরভাগ হার্ডডিস্কের তাই হয়ে থাকে। কিন্তু হাই পারফরমেন্স হার্ডডিস্কের ক্ষেত্রে ক্যাশ ৬৪ মেগাবাইট এবং আরপিএম ৭২০০-১০০০০ হতে পারে। হার্ডডিস্কের দাম এখন খুব একটা বেশি নয়, তাই বর্তমান হার্ডডিস্ক বদলে নিতে পারেন, যদি তা আপনার কাছে বেশি ধীরগতির মনে হয়। ৭২০০ আরপিএমের হার্ডডিস্ক নিতে পারেন। ৫০০ গিগাবাইট না ১ টেরাবাইট নেবেন তা আপনার ইচ্ছে।

হিটাচির ডেস্কস্টার বা সিগেটের ব্যারাকুডা বা ওয়েস্টার্ন ডিজিটালের ক্যাভিয়ার ব্ল্যাক সিরিজের হার্ডডিস্ক কিনতে পারেন, যদি গেমিং পারফরম্যান্স বাড়াতে চান। তবে তা বাজারে পাবেন কি না সন্দেহ আছে। এগুলোর দাম কিছুটা বেশি। ওয়েস্টার্ন ডিজিটালের ক্যাভিয়ার ব্ল্যাকের দাম যথাসম্ভব ৯০০০-১০০০০ টাকার মতো হতে পারে। পিসির পারফরম্যান্সের জন্য মাদারবোর্ডের বাসস্পিড, র্যা০ম বাসস্পিড এবং আরো অনেক বিষয় রয়েছে, যা ঠিকমতো মিলিয়ে কিনতে পারলে ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায়। কমপিউটারের গতি ভালো রাখার জন্য তা নিয়মিত ডিফ্র্যাগমেন্ট, ভাইরাস স্ক্যান, এরর স্ক্যান, রেজিস্ট্রি স্ক্যান করতে হবে। এজন্য কিছু টিউনআপ সফটওয়্যার পাওয়া যায়, তা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।



সমস্যা : আমার পিসির মাদারবোর্ড হচ্ছে গিগাবাইট জিএ-৯৪৫জিসিএম-এস২এল-এস২সি এবং প্রসেসর হচ্ছে ইন্টেল সেলেরন ১.৮ গিগাহার্টজ। আমি পিসি আপগ্রেড করতে চাচ্ছি। আমি একজনের কাছ থেকে ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ই৮৪০০ মডেলের ৬ মেগাবাইট ক্যাশ এলটু ক্যাশ, ১৩৩৩ মেগাহার্টজ বাসস্পিড ও ৩ গিগাহার্টজ গতির একটি প্রসেসর পেয়েছি। আমার মাদারবোর্ডে এ মডেলের প্রসেসর লাগালে তা সাপোর্ট করবে কি না? কোনো সমস্যা হবে না তো? আমার মাদারবোর্ডের ম্যানুয়ালে লেখা আছে এটি কোর টু ডুয়ো প্রসেসর সাপোর্ট করতে পারবে।

-মুশফিক সালেহিন



সমাধান :
এ প্রসেসরটি মাদারবোর্ড সাপোর্ট করবে ঠিকই। তবে আপনার মাদারবোর্ডের সর্বোচ্চ বাসস্পিড সাপোর্ট হচ্ছে ১০৬৬ মেগাহার্টজ এবং স্ট্যান্ডার্ড মেমরি সাপোর্ট হচ্ছে ডিডিআর২ টাইপ ৬৬৭ মেগাহার্টজ র্যাাম। নতুন প্রসেসরটি কোর টু ডুয়ো সিরিজের প্রসেসরগুলোর মধ্যে বেশ শক্তিশালী এবং তা ডিডিআর৩ র্যা মের সাথে মিলে বেশ ভালো পারফরম্যান্স দিতে সক্ষম। আপনি পুরনো মাদারবোর্ডে কোর টু ডুয়ো প্রসেসরটি লাগিয়ে চালাতে পারবেন, কিন্তু তার পুরো পারফরম্যান্স পাবেন না। পুরো সাপোর্ট এবং পারফরম্যান্স পেতে আপনাকে মাদারবোর্ডের সাথে সাথে র্যাপমও বদল করতে হবে। কম দামে পেলে এখন প্রসেসরটি কিনে রেখে দিতে পারেন, পরে মাদারবোর্ড ও র্যাতম আপগ্রেড করে নিতে পারেন সুবিধামতো।



সমস্যা : আমি কি বিয়ন্ড গুড অ্যান্ড ইভিল গেমটি ৩২ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ডে খেলতে পারব? আমি গেমটি কোথা থেকে পেতে পারি?

-মো. রেজাউল হক মাসুদ



সমাধান :
আপনার পিসির কনফিগারেশন উল্লেখ করলে সঠিকভাবে বলা যেত গেমটি চলবে কি না? গেমটি পিক্সেল শেডার ২.০ সাপোর্টেড ৬৪ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ডে চলবে। ৫১২ মেগাবাইট র্যা ম হলে ভালো, তবে ২৫৬ মেগাবাইট র্যােমেও তা চলবে ধীরগতিতে। পেন্টিয়াম ৪ মানের পিসি হলেই গেমটি খেলা যাবে অনায়াসে। আপনার পিসি যদি এরচেয়ে কম কনফিগারেশনের হয়ে থাকে তবে গেমটি লো ডিটেইলসে চলতে পারে। গেমটি ৩ সিডি এবং ১ ডিভিডিতে বের হয়েছে। পুরনো ভালোমানের গেমগুলো এখন কিছু কোম্পানি নতুন করে ডিভিডিতে বাজারজাত করছে। তাই গেম সিডির বাজার ঘুরলেই গেমটি পেয়ে যাবেন।



সমস্যা : কমপিউটার জগৎ-এ ধারাবাহিক কিছু ক্যারিয়ারভিত্তিক বিভাগ থাকে। যার মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট উল্লেখযোগ্য। কিন্তু আমার একটি প্রশ্ন : গেম নিয়ে কী কোনো ক্যারিয়ার গড়া যায়? প্রফেশনালি এটি কী কোনো উপকারে আসে, না শুধু অবসরে সময় কাটানোর বা বিনোদনের কোনো উপকরণ মাত্র? আমাদের দেশে মাঝে মাঝে গুটিকয়েক প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে এবং কেউ কেউ আন্তর্জাতিক মানের কিছুসংখ্যক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে, কিন্তু কখনও প্রফেশনাল পিসি গেমারের কথা শুনিনি। এ ধরনের ক্যারিয়ারভিত্তিক কোনো সম্ভাবনা থাকলে বা এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব। আমাকে কিছু ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস বা প্রক্রিয়া জানালে উপকার হবে। যার মাধ্যমে মোটামুটি দীর্ঘ আকারের বা মাঝারি আকারের গেম ফ্রি ডাউনলোড করতে পারি বা পেতে পারি। তাছাড়া গেমের ডিস্ক কিনে অনেক সময় সব গেম পাওয়া যায় না।

-শুভ



সমাধান :
আমাদের দেশে এখনো গেমিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার সুযোগ গড়ে ওঠেনি। আমাদের দেশের গেমাররা সাধারণত শখের বশেই গেম খেলে থাকেন। ইন্টারনেট স্পিড যদি আরো ভালো হতো, তাহলে আমাদের দেশের গেমাররা অনলাইনে সেসব গেমিং কনটেস্টে অংশ নিয়ে নিজেদের দক্ষতা যাচাই করে দেখার সুযোগ পেতেন বিশ্বের অন্যান্য গেমারের সাথে মোকাবেলা করে। আমাদের দেশে গেম নিয়ে প্রতিযোগিতার আসর বসে খুবই কম। বেশি বেশি প্রতিযোগিতার আয়োজন হলে আরো অনেক ভালো ভালো গেমার তৈরি হতো। অন্যান্য দেশে অনেক প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে এবং পুরস্কারও হয় বেশ লোভনীয়। তাই অনেকেই গেমিংকে পেশা হিসেবে নিয়ে ভালোই রোজগার করছেন। আমাদের দেশেও তা সম্ভব যদি সরকার ও কিছু প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে।

গেম নামানোর জন্য কয়েকটি সাইটের ঠিকানা হচ্ছে- softarchive.net, softonic.com, 9down.com, download.cnet.com, bugfreegames.com, gametop.com। আপনার ইন্টারনেট লাইন যদি BDIX-এর আন্ডারে থাকা নিম্নলিখিত তালিকার যেকোনো একটি ISP হয়ে থাকে, তবে আপনি daruchinibd.com, clickndownloads.com, naturalbd.com, torrentbd.com, alachibd.com, tepantorbd.comসহ আরো কয়েকটি টরেন্ট সাইটের সদস্য হয় অনেক বেশি স্পিডে (লোকাল কানেকশনে) ফাইল ডাউনলোড বা আপলোড করতে পারবেন। সেই সাথে ল্যানে অনলাইন গেমও খেলতে পারবেন। স্থান ও কানেকশনভেদে ডাউনলোড স্পিড ১০০ কিলোবাইট/সেকেন্ড থেকে ১ মেগাবাইট/সেকেন্ড পর্যন্ত বা তার বেশিও হতে পারে। যেসব আইএসপিতে এ সুবিধা পেতে পারেন তার তালিকা এখানে দেয়া হলো : SDNP, Bdcom Online Ltd, Bangladesh Online, Information Service Network Ltd, Link3 Technologies Ltd, Access Tel, Daffodil Online, Aftab IT, Ranks-ITT Ltd, Bijoy Online Ltd, Proshika, Brack Bdmail, DNS, Grameen CyberNet, Agni, BTTB, Ektoo Ltd. Connect BD Ltd, Intech Online Limited, Dristhee Online Ltd, Dhakacom Ltd, Asiatel Network Ltd, AND, Telnet, ISPROS ইত্যাদি আইএসপি এ সুবিধা দিয়ে থাকে।



সমস্যা : প্রিন্টার কিনতে চাই, কিন্তু কোনটি কিনব বুঝতে পারছি না। লেজার, ইঙ্কজেট নাকি অল ইন ওয়ান প্রিন্টার কিনব? এদের কোনটির কী সুবিধা তা জানালে কোনটি কিনব সে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।

-খালিদ, মহাখালী



সমাধান :
লেজার প্রিন্টার মূলত জেরোগ্রাফি টেকনোলজির মাধ্যমে প্রিন্ট করে থাকে। গুঁড়ো কালি ব্যবহার করে অপেক্ষাকৃত কম কালিতে প্রচুর প্রিন্ট করতে সক্ষম এটি। সেই সাথে রয়েছে সূক্ষ্ম প্রিন্ট কোয়ালিটি। ইঙ্কজেট প্রিন্টারে তরল কালি ব্যবহার করে প্রিন্ট করা হয়। এর মানও খারাপ নয়। অল ইন ওয়ান প্রিন্টার বা মাল্টিফাংশনাল প্রিন্টারে প্রিন্ট ছাড়াও বাড়তি কিছু সুবিধা থাকে। যেমন- স্ক্যানার, ফটোকপিয়ার ও ফ্যাক্স মেশিন। লেজার প্রিন্টারের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। অফিসের কাজে লেজার প্রিন্টার, বাসার কাজে ইঙ্কজেট ও বেশি সুবিধা পাওয়ার জন্য মাল্টিফাংশনাল প্রিন্টার কিনতে পারেন।



সমস্যা : প্রসেসরের ক্ষেত্রে এএমডি ও ইন্টেলের মাঝে পার্থক্য বেশ লক্ষ করা যায় ক্যাশ মেমরিতে। এ ক্যাশ মেমরির কাজ কী? কমপিউটিংয়ে এর গুরুত্ব কতটুকু?

-হিল্লোল, বনানী



সমাধান :
আমরা কমপিউটার পরিচালনার সময় যত ধরনের নির্দেশ দিই, এ নির্দেশগুলো একটি সুনির্দিষ্ট মেমরিতে সেভ হয় এবং সেই মেমরিটিই হচ্ছে ক্যাশ মেমরি। এটি যখন পূর্ণ হয়ে যায়, তখন র্যা মে ডাটা সেভ হয়। র্যা মে ডাটা সেভ করা শুরু হলে কমপিউটার কিছুটা স্লো হয়ে যায় এবং বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। ক্যাশ মেমরির পরিমাণ বেশি থাকলে তা বেশি ডাটা স্টোর করতে পারে এবং এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয় না। ক্যাশ মেমরির পরিমাণ বাড়ালে প্রসেসরের দামও অনেক বেড়ে যায়। ইন্টেলের প্রসেসর বেশি ক্যাশ মেমরি ব্যবহার করায় তার দাম এএমডির তুলনায় কিছুটা বেশি।



সমস্যা : বর্তমান ইন্টেলের প্রসেসরগুলোর প্যাকেটের গায়ে ইন্টেল টার্বো বুস্ট কথাটি লেখা থাকে। এ টার্বো বুস্ট জিনিসটি কী এবং এর সুবিধা কী?

-সুমন বড়ুয়া, খিলক্ষেত



সমাধান :
একই সাথে অনেক কাজ করার সময় টার্বো বুস্ট টেকনোলজি সাহায্য করবে। ইন্টারনেট ব্রাউজ করছেন এবং কোনো অ্যাডোবি সফটওয়্যার টিউটোরিয়াল দেখে ঠিক ওই মুহূর্তে প্রয়োজন হলো ফটোশপ/ইলাস্ট্রেটর/ড্রিমওয়েভারে কাজ করার, কিছুক্ষণ পর প্রয়োজন হলো ভাইরাস স্ক্যান করার। একই সাথে এত কাজ করতে গেলে বাড়তি শক্তির প্রয়োজন হয়। ইন্টেলের কোর আই সিরিজের প্রসেসরগুলো এ বাড়তি শক্তির জোগান দেয় টার্বো বুস্ট টেকনোলজির সাহায্যে। কমপিউটারের যখন গতির প্রয়োজন হয় তখনই টার্বো বুস্ট কাজ করবে। যখন প্রয়োজন হবে না, তখন কাজ করবে না।



সমস্যা : আমি জানতাম নেটবুকগুলো শুধু ইন্টেল অ্যাটম প্রসেসর দিয়েই বানানো হয়। কিন্তু কিছুদিন আগে নেটবুক কিনতে গিয়ে দেখি বাজারে অ্যাটমের পাশাপাশি ইন্টেল সেলেরন ও এএমডি এথলন টু নিও কে১২৫ নামের প্রসেসরের নেটবুক রয়েছে। এখন বুঝতে পারছি না কোনটি ভালো? নেট ঘেঁটেও তেমন ভালো তথ্য পাইনি। অ্যাটম, নিও ও সেলেরন প্রসেসরের মাঝে কোনটির পারফরম্যান্স ভালো?

-মহুয়া, উত্তরা



সমাধান :
সিঙ্গেল কোরের প্রসেসরের ক্ষেত্রে পারফরম্যান্সের দিক থেকে এএমডি নিও বেশি শক্তিশালী। তবে অ্যাটম ডুয়াল কোর ও ডুয়াল কোর সেলেরন প্রসেসরের তুলনায় তা দুর্বল। তবে কিছুদিনের মধ্যেই এএমডিও নেটবুকের জন্য ডুয়াল কোরের প্রসেসর বাজারজাত করতে যাচ্ছে। তখন মোবাইল প্রসেসরের বাজারেও ইন্টেল ও এএমডির মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।



সমস্যা : আমি একটি ল্যাপটপ কিনতে চাই, যার ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি, ৬-৭ ঘণ্টা ব্যাকআপ দিতে পারে এমন ল্যাপটপ দরকার। এমন ল্যাপটপ যদি থেকে থাকে তবে জানাবেন। যদি না থাকে তবে কোনো ল্যাপটপে এক্সট্রা ব্যাটারি বা শক্তিশালী কোনো ব্যাটারি লাগিয়ে ব্যাকআপ টাইম বাড়ানোর কোনো ব্যবস্থা করা যাবে কী?

-রায়হান, মিরপুর



সমাধান :
বাজারে বেশি ব্যাকআপ টাইমের কিছু নেটবুকের পাশাপাশি কিছু ল্যাপটপ বা নোটবুকও রয়েছে। এসার এস্পায়ার টাইমলাইন ৩৮১০টি মডেলের ল্যাপটপটি দেখতে পারেন। এসার সিরিজের ল্যাপটপগুলো ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ টাইমের দিক দিয়ে নামকরা। এ মডেলটিতে রয়েছে ২১.৪ গিগাহার্টজের কোর টু সলো প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র্যািম, ২৫০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক এবং প্রায় ৯ ঘণ্টা ব্যাকআপ টাইম। ৯ ঘণ্টা কেবল ভিডিও বা কেবল ব্রাউজিং নয়, বরং সবকিছু মিলিয়েই পাবেন। বেশি ভিডিও চালালে ব্যাকআপ টাইম কমে যাবে। নোটবুকটির দাম ৫০ হাজার টাকার কাছাকাছি। এত শক্তিশালী কোনো ব্যাটারি বাজারে আছে কি না আমার জানা নেই। তবে ল্যাপটপ বিক্রেতাদের কাছে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।



সমস্যা : ব্লুরে ড্রাইভারগুলোর সুবিধা কি কি? এটি দিয়ে কি রাইট করা যায়? বাজারে বেশ কয়েক ব্র্যান্ডের ড্রাইভ দেখলাম, এর মাঝে কোনটি ভালো?

-আরিফুর রহমান, গেন্ডারিয়া



সমাধান :
ব্লুরে প্রযুক্তির ডিস্কগুলো সাধারণত অপটিক্যাল ড্রাইভারগুলো রিড করতে পারে না। ব্লুরে ড্রাইভ দিয়ে সিডি, ডিভিডি ও ব্লুরে ডিস্ক রিড করা যায় এবং সেই সাথে সিডি ও ডিভিডি রাইট করা যায়। তবে ব্লুরে ডিস্ক রাইট করা যায় না। তার জন্য ব্লুরে রাইটার লাগবে। ব্লুরে ড্রাইভের দাম ১০ হাজার টাকার মতো। রাইটারের দাম আরো বেশি। ব্লুরে ডিস্ক তেমন একটা সাড়া ফেলেনি আমাদের দেশে, কারণ তা অনেক দামি। ডিস্কের দাম হাজার টাকার মতো।


কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস