• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পিসির ঝুটঝামেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ রিপোর্টার
মোট লেখা:৩৭৯
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - নভেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ট্রাবলশূটিং
তথ্যসূত্র:
ট্রাবলশুটার টিম
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পিসির ঝুটঝামেলা





কমপিউটার জগৎ ট্রাবলশূটার টিম

কমপিউটার ব্যবহারকারীদের নিত্যনতুন সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু আমাদের এই নতুন বিভাগ ‘পিসির ঝুটঝামেলা’তে পিসির হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক, ভাইরাসজনিত সমস্যা, ভিডিও গেম সম্পর্কিত সমস্যা, পিসি কেনার ব্যাপারে পরামর্শ ইত্যাদিসহ যাবতীয় সব ধরনের কমপিউটারের সমস্যার সমাধান দেয়া হবে। আপনাদের সমস্যাগুলো আমাদের এই বিভাগের মেইল অ্যাড্রেসে (jhutjhamela@comjagat.com) বা কমপিউটার জগৎ, কক্ষ নম্বর-১১, বিসিএস কমপিউটার সিটি, রোকেয়া সরণি, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭ ঠিকানায় চিঠি লিখে জানান প্রতিমাসের ২০ তারিখের মধ্যে। উল্লেখ্য, মেইলের মাধ্যমে পাঠানো সমস্যার সমাধান যত দ্রুত সম্ভব মেইলের মাধ্যমেই জানিয়ে দেয়া হবে এবং সেখান থেকে বাছাই করা কিছু সমস্যা ও তার সমাধান প্রেরকের নাম- ঠিকানাসহ ম্যাগাজিনের এই বিভাগে ছাপানো হবে। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সমস্যা পাঠানোর সময় পিসির কনফিগারেশন, অপারেটিং সিস্টেম, পিসিতে ব্যবহার হওয়া অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম, পিসি কতদিন আগে কেনা এবং পিসির ওয়ারেন্টি এখনো আছে কি না- এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।




সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন ইন্টেল ২.০ গিগাহার্টজের ডুয়াল কোর প্রসেসর, এমএসআই জি৩১টিএম-পি২১ মাদারবোর্ড ও ১ গিগাবাইট মেমরির ৮০০ বাসস্পিডের র্যাডম। আমার পিসিতে নিড ফর স্পিড মোস্ট ওয়ান্টেড গেমটি চালানোর সময় গেম স্লো হয়ে যায় এবং কিছু লেভেল খেলার পর উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারের সমস্যা নিয়ে মেসেজ দেখিয়ে গেম থেকে বের হয়ে যায়। আমি কিভাবে গেমটি ভালোভাবে চালাতে পারি? মাদারবোর্ডের গ্রাফিক্সকার্ডে কি কি গেম চলবে তার একটি তালিকা পেলে বেশ সুবিধা হতো। আমার মাদারবোর্ডে এটিআই রাডেওন এইচডি ৫৬৭০ জিডিডিআর৫ মেমরি টাইপের গ্রাফিক্সকার্ড চালাতে পারব কি?

-জুয়েল রানা



সমাধান :
আপনার মাদারবোর্ডের মডেল অনুযায়ী বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স চিপসেটটির মডেল হচ্ছে ইন্টেল এক্স৩১০০। এ গ্রাফিক্সকার্ডটি মোটামুটি মাঝারি আকারের সব গেমই লো ডিটেইলসে চালাতে সক্ষম। নিড ফর স্পিড মোস্ট ওয়ান্টেড এতে ভালোভাবেই চলার কথা। আপনি খেলার সময় কী ধরনের গ্রাফিক্স সেটিংস ব্যবহার করছেন তা উল্লেখ করেননি। রেজ্যুলেশন এবং অ্যান্টি-অ্যালাইসিং কমিয়ে খেললে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। গ্রাফিক্স ড্রাইভার ও ডিরেক্টএক্স আপডেট করা থাকলে আরো সুবিধা হবে। নতুন গ্রাফিক্সকার্ড যেটি লাগাতে চাচ্ছেন তা এই মাদারবোর্ডে সাপোর্ট করবে ঠিকই, কিন্তু পুরো সাপোর্ট পাবেন না। কারণ, মাদারবোর্ডের পিসিআই এক্সপ্রেস স্লটটি পুরনো এবং গ্রাফিক্সকার্ডের পিসিআই এক্সপ্রেস কানেক্টর কিছুটা আপডেটেড ও বেশি গতিসম্পন্ন। র্যােমের পরিমাণ বাড়িয়ে নিলে কিছুটা উপকার পাবেন। এমএসআই জি৩১টিএম-পি২১ মাদারবোর্ডের ইন্টেল এক্স৩১০০ চিপসেটের ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স চিপসেটে যেসব গেম চালাতে পারবেন তার তালিকা নিচে দেয়া হলো-

Age Of Empires 3, Age Of Empires 3 Warchief, Age Of Empires 3 Asian Dynasty, Audition SEA, Battlefield 1942 + expansions, Battle Realms, Battle Realms: Winter of the Wolf, Bionic Commando, C & C Generals, C & C Generals: Zero Hour, C&C 3 Tiberium Wars, C&C 3 Tiberium Wars: Kane's Wrath, C&C First Decade, Cabal SEA, Chaos Legion, CounterStrike Condition Zero Source 1.6, Dawn of War Dark Crusade, Dawn of War Soulstorm, Diablo 2, Elderscroll IV Oblivion, Empire Earth 2, Enter the Matrix, F.E.A.R., F.E.A.R Extraction Point, F.E.A.R. Combat, Far Cry, Geometry Wars: Evolved for Vista, Grand Theft Auto 3, Grand Theft Auto Vice City, Grand Theft Auto San Andreas, Half Life, Half Life 2, Half Life 2 Episode 2, Halo 1, 2, HellGate London, Homeworld 2, House of the Dead 2, House of the Dead 3, Jade Empire Special Edition, LOTR Battle for Middle Earth, LOTR2 Rise of the Witch King, Medal of Honor Allied Assault, Mount & Blade, Multiwinia - Survival of the Fittest, Neverwinter Nights 2, NFS Most Wanted Black Edition, NFS Carbon, Onimusha 3 Demon Siege, Perfect World, Phantasy Star Universe, Pi Story Online, Prince of Persia The Sand of Time, Prince of Persia Warrior Within, Prince of Persia Two Thrones, Quake 3, Ragnarok Online 2, Rainbow Six 3: Raven Shield, Red Alert 2, Red Alert 2 Yuri's Revenge, Red Alert 3, Resident Evil 4, Rise Of Nations: Rise of Legend, Rome Total War, Serious Sam II, Sins of a Solar Empire, Splinter Cell: Chaos Theory, Spore, Star Wars Jedi Academy, Stronghold Legend, The Club, The Matrix: Path of Neo, The Sims 2 series, The Sims Life Stories, Pet Stories, Tomb Raider Legend, Tomb Raider Anniversary, Unreal Tournament 2004, WALL-E, Warcraft III (DOTA), World in Conflict ইত্যাদি। তবে বেশিরভাগ গেমই খেলতে হবে ৬৪০ বাই ৪৮০ রেজ্যুলেশন এবং অন্যান্য গ্রাফিক্স সেটিংস যথাসম্ভব কমিয়ে।



সমস্যা : আমি উইন্ডোজ সেভেন চালানোর উপযুক্ত একটি পিসি কিনতে চাই। আমার বাজেট ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আমার পুরনো আরেকটি পিসি রয়েছে। তাই আমার মনিটর কেনার দরকার পড়বে না। মনিটর ছাড়া বাকি যন্ত্রাংশ মিলিয়ে ওপরে উল্লিখিত বাজেটে কি কনফিগারেশনের পিসি পাওয়া যাবে। সে সম্পর্কে ধারণা দিলে বেশ উপকৃত হব।

-মো: নাজমুল আলম, ঢাকা



সমাধান :
আপনার পুরনো পিসির কনফিগারেশন কি ছিল তা জানালে ভালো হতো, সেই সাথে আপনি পিসিতে কি ধরনের কাজ করেন তাও জানতে পারলে পিসি কনফিগারেশনের ব্যাপারে সাহায্য করা সহজ হতো। পিসি কনফিগারেশনের জন্য তা কি কাজে ব্যবহার করা হবে এবং বাজেটের পরিমাণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমি ধরে নিচ্ছি, অফিশিয়াল কাজ বা হোম পিসি হিসেবে পিসিটি ব্যবহার করবেন। এ ধরনের পিসির ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি যত বেশি পাওয়া যায় তত ভালো এবং মোটামুটি যুগের সাথে মানানসই পিসি কেনাটাই যুক্তিযুক্ত। কোর টু ডুয়ো মানের না কিনে ইন্টেল কোর সিরিজের প্রসেসর কেনা উচিত। ক্লোন পিসির চেয়ে ব্র্যান্ড পিসির ক্ষেত্রে বেশি ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়। তাই HP Compaq 6200Pro Core i3 বা HP Pro 3130MT মডেলের পিসি দুটো দেখতে পারেন। প্রথমটিতে আছে ইন্টেলের দ্বিতীয় প্রজন্মের স্যান্ডি ব্রিজ সিরিজের কোর আই থ্রি ২১০০ মডেলের ৩.১ গিগাহার্টজের প্রসেসর, ইন্টেল কিউ৬৫ এক্সপ্রেস চিপসেটের মাদারবোর্ড, ২ গিগাবাইট ডিডিআর৩ র্যা ম, ৫০০ গিগাবাইট সাটা হার্ডডিস্ক, সুপার মাল্টি-ডিভিডি রাইটার ও বিল্ট-ইন ইন্টেল এইচডি সিরিজ গ্রাফিক্সকার্ড। দ্বিতীয়টিতে আছে ইন্টেলের প্রথম প্রজন্মের কোর আই থ্রি ৩৫০এম মডেলের ৩.২ গিগাহার্টজের প্রসেসর, ইন্টেল এইচ৫৭ এক্সপ্রেস চিপসেটের মাদারবোর্ড, ২ গিগাবাইট ডিডিআর৩ র্যা ম, ৩২০ গিগাবাইট সাটা হার্ডডিস্ক, সুপার মাল্টি-ডিভিডি রাইটার, বিল্ট-ইন ইন্টেল মিডিয়া এক্সেলারেটর এক্স৪৫০০এইচডি গ্রাফিক্সকার্ড। উভয় পিসির সাথে এইচপি ক্যাসিং, এইচপি ইউএসবি অপটিক্যাল মাউস ও এইচপি ইউএসবি স্ট্যান্ডার্ড কিবোর্ড থাকবে এবং সেই সাথে দুটোর ক্ষেত্রেই রয়েছে ৩ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা। ইচ্ছে করলে যেকোনো পার্টস বদলিয়ে আরেকটি লাগিয়ে নিতে পারেন। দুটির দাম ৩২ হাজার টাকার মতো হবে। প্রথম পিসিটি কেনার ব্যাপারেই আমি বেশি গুরুত্ব দেব। বিসিএস কমপিউটার সিটিতে গিয়ে বড় দোকানগুলোতে খোঁজ করলেই পেয়ে যাবেন এ পিসি।



সমস্যা : আমি একজন ছাত্র। আমি একটি নেটবুক বা ল্যাপটপ কিনতে চাই, যার ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি হবে। আমি ল্যাপটপে ওয়ার্ড প্রসেসিং, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, ইন্টারনেট ব্রাউজিং এ ধরনের কাজ করব। তাই তেমন হাই কনফিগারেশনের না হলেও চলবে। সর্বোচ্চ কতক্ষণ ব্যাটারি ব্যাকআপ দেয়ার মতো ল্যাপটপ বাজারে আছে? দয়া করে বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ ও আমার চাহিদার সাথে মানানসই ল্যাপটপ বা নেটবুকের ব্র্যান্ড ও মডেল সম্পর্কে জানাবেন।

-রবিন, তেজগাঁও



সমাধান :
সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা ব্যাকআপ দিতে পারবে এমন ল্যাপটপ বা নেটবুকের সংখ্যা বাজারে খুবই কম। এসার ব্র্যান্ডের কিছু ল্যাপটপ ও নোটবুক বাজারে রয়েছে, যা ৭ ঘণ্টার মতো পাওয়ার ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। যদি ব্যাটারি ব্যাকআপ মুখ্য হয়ে থাকে তবে আপনি ল্যাপটপ বা নোটবুকের পরিবর্তে ছোট আকারের নেটবুকগুলো বেছে নিতে পারেন। এগুলো সাধারণভাবে ৭ ঘণ্টা এবং পাওয়ার কনজাম্পশন টেকনোলজি ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ১০-১১ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে পারবে। মেশিনের ক্ষমতা যত বেশি হবে সেটি তত বেশি ব্যাটারি পাওয়ার নষ্ট করবে। নেটবুকগুলো সাধারণত ইন্টেলের অ্যাটম প্রসেসরের সাহায্যে বানানো হয়, যা অনেক কম বিদ্যুৎ নষ্ট করে। তাই তা অনেকক্ষণ ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। সেলেরন প্রসেসরযুক্ত নেটবুকও পাওয়া যায় যা অ্যাটম প্রসেসরের তুলনায় শক্তিশালী তবে তা পাওয়ার বেশি টানে। অ্যাটম প্রসেসরের পারফরম্যান্সও খুব একটা খারাপ নয়। বাজারে এখন ডুয়াল কোরের অ্যাটম প্রসেসরযুক্ত নেটবুক পাওয়া যায়, যা ছাত্রছাত্রী বা সাধারণ কাজের জন্য ব্যবহার করা যাবে অনায়াসে। তবে এটির একটি সমস্যা হচ্ছে নেটবুকটির স্ক্রিন আকারে বেশ ছোট। ১০ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ১২ ইঞ্চি আকারের ডিসপ্লের নেটবুক বাজারে পাওয়া যায়। আকারে ছোট, তাই এটি বহন করাটা বেশ সুবিধাজনক। আকারে ছোট হলেও শুধু অপটিক্যাল ড্রাইভ ছাড়া অন্যান্য অনেক সুবিধা এতে থাকে যা ল্যাপটপ বা নোটবুকে থাকে, যেমন- ওয়েবক্যাম, টাচপ্যাড, কার্ড রিডার ইত্যাদি। বাজারে আসুস ইইই, এইচপি মিনি, স্যামসাং, সনি ভায়ো, গেটওয়ে, এসার এস্পায়ার ওয়ান, লেনোভো আইডিয়া প্যাড, ফুজিৎসু, তোশিবা মিনি ইত্যাদি ব্র্যান্ড ও মডেলের নেটবুক পাওয়া যায়। এগুলোর দাম ২০-৩০ হাজার টাকার মধ্যে। সবগুলোর সাথেই ১ বছরের ওয়ারেন্টি দেয়া আছে। যত্নের সাথে ব্যবহার করলে তা অনেক বছর টিকিয়ে রাখতে পারবেন কোনো সমস্যা ছাড়াই।



সমস্যা : আমি একটি নতুন পিসি কিনতে চাই। পিসির সাথে মানানসই পাওয়ার সাপ্লাই চাই যাতে পরে পিসি আপগ্রেড করতে সমস্যা না হয়। আমার দুটো গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে ক্রসফায়ার করার ইচ্ছা আছে। তাই কত ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই কিনবো তা বুঝতে পারছি না। আমার পিসির আনুমানিক কনফিগারেশন হচ্ছে- কোর আই সেভেন, দুটি পিসিআই এক্সপ্রেস যুক্ত মাদারবোর্ড, ৮-১৬ গিগাবাইট ডিডিআর৩ র্যা ম, দুটি রাডেওন এইচডি৫৮৫০ মডেলের গ্রাফিক্স কার্ড, ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক, ব্লুরে ড্রাইভ, ডিভি রাইটারসহ আরো কিছু আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি। এ পিসির জন্য কতটুকু পরিমাণের পাওয়ার সাপ্লাই লাগতে পারে? ৮৫০ ওয়াট হলে চলবে নাকি ১০০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই লাগবে? পিসির জন্য কতটুকু পাওয়ার লাগে তা পরিমাপ করার কোনো উপায় আছে কি? যদি এমন কোনো উপায় থাকে তবে দয়া করে জানাবেন।

-রায়হান, কাজিপাড়া, মিরপুর



সমাধান :
পিসিতে কি কি ডিভাইস সংযুক্ত রয়েছে এবং পিসি কনফিগারেশনের তালিকা যুক্ত করে http://extreme.outervision.com/PSUEngine বা http://www.thermaltake.outervision.com সাইট দুটি থেকে আপনি নিজের পিসির পাওয়ার রিকোয়ারমেন্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন। আপনাকে শুধু আপনার পিসির পার্টসগুলো সঠিক বর্ণনা দিতে হবে। বাকি কাজ ওয়েবসাইটটির ক্যালকুলেশন সিস্টেম করে দেবে। যারা পিসি আপগ্রেড করতে চান তাদের নতুন ডিভাইসগুলোর জন্য কতটুকু বাড়তি পাওয়ারের প্রয়োজন হবে তা নির্ধারণ করা সহজ হবে।



সমস্যা : আমার পিসিতে পেনড্রাইভ অনেক স্লো কাজ করছে। প্রথম দিকে ডাটা ট্রান্সফার বেশ দ্রুতগতিতেই হতো কিন্তু এখন অনেক সময় লাগছে। আমার পেনড্রাইভের মডেল ট্র্যান্সসেন্ড ভি৬০ ৪ গিগাবাইট। অন্য পিসিতে কাজ করার সময় ভালোই স্পিড পাওয়া যায়। কিন্তু আমার পিসিতেই এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সমস্যা কি পেনড্রাইভে নাকি পিসিতে? এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো কিভাবে?

-রুবাইয়াৎ



সমাধান :
কি ধরনের ফাইল ট্রান্সফার করা হচ্ছে তার ওপরেও পেনড্রাইভের ডাটা ট্রান্সফারের গতি নির্ভর করে। অনেক ছোট ফাইল একসাথে ট্রান্সফার করার সময় তা অনেক সময় স্লো হয়ে যায়। আবার বড় আকারের সিঙ্গেল ফাইল ট্রান্সফারের সময় গতি বেশি হয়। পেনড্রাইভ থেকে পিসিতে ডাটা ট্রান্সফার করার জন্য টেরাকপি (TeraCopy) নামের সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনি ফাইল ট্রান্সফারের সময় তা পজ করতে পারবেন এবং একসাথে অনেকগুলো আলাদা আলাদা কপি করার কমান্ড দিতে পারবেন। সেই সাথে প্রতিটি কপি কমান্ডকে কন্ট্রোলও করতে পারবেন। http://www.codesector.com এ লিঙ্কটি থেকে টেরাকপি সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন বিনামূল্যে।



সমস্যা : ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের সময় কোনো ওয়েবপেজ সেভ করতে দিলে সিপিইউ থেকে শব্দ করে এবং ভারি কোনো কাজ করার সময় মাঝে মাঝে পিসি হ্যাং করে। ভাইরাসের কারণে কি এ ধরনের সমস্যা হতে পারে?

-খোকন



সমাধান :
আপনার সমস্যার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনার প্রসেসরের ফ্যানের শব্দ হচ্ছে যখন তা বেশ জোরে ঘুরছে। যখন আপনি কোনো ওয়েবপেজ সেভ করছেন তখন তা সেভ করার সময় প্রসেসরের মধ্য দিয়ে বেশ দ্রুতগতিতে ডাটা ট্রান্সফার করে। তখন প্রসেসরের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায় সাধারণ অবস্থার চেয়ে। সেজন্য প্রসেসর গরম হয়ে ওঠে আর কুলিং ফ্যানের গতি আরো বেড়ে যায় প্রসেসর ঠান্ডা করার জন্য। ক্যাসিং খুলে আপনার প্রসেসরের ওপরে রাখা হিটসিঙ্কটি চেক করুন। এতে হয়তো বেশ ময়লা জমে রয়েছে, যার কারণে প্রসেসর ঠিকমতো তাপ ছেড়ে দিয়ে ঠান্ডা হতে পারছে না এবং কুলিং ফ্যানের ওপরে চাপ বাড়াচ্ছে। প্রসেসর বেশি গরম হয়ে গেলে এবং তা ঠিকমতো ঠান্ডা না হলে হ্যাং হওয়া বা মেশিন স্লো হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। মাসে অন্তত একবার ক্যাসিং খুলে ভেতরের অংশ পরিষ্কার করার অভ্যাস করুন। দু থেকে তিন মাস অন্তর কুলিং ফ্যান ও হিটসিংক পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন এতে কমপিউটারকে এ ধরনের সমস্যার হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন। ধুলোবালি কমপিউটারের পার্টসগুলোর জন্য বেশ ক্ষতিকর। তাই পিসি এমন স্থানে রাখা উচিত যেখানে ধুলোবালি কম প্রবেশ করতে পারে। তা যদি সম্ভব না হয় তবে ডাস্ট কভার ব্যবহার করা আবশ্যক। তবে ডাস্ট কভার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে কাজের সময় ডাস্ট কভার খুলে কাজ করতে হবে এবং কাজ শেষে পিসি বন্ধ করার সাথে সাথে কভার দিয়ে না ঢেকে কিছুক্ষণ পরে তা ঢেকে দিতে হবে। কারণ পিসিটি ঠান্ডা হবার সুযোগ না দিলে গরমে পিসির যন্ত্রাংশের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সবচেয়ে ভালো হয় একটি ব্লোয়ার মেশিন কিনে রাখা। দাম ৫০০-৬৫০ টাকার মতো হয় ৪৫০ ওয়াট ব্লোয়ার মেশিনের তাই তা কেনাটা তেমন একটা সমস্যা হবার কথা নয়। কিছুটা খরচ করার বিনিময়ে পিসির নানা রকম সমস্যার হাত থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যাবে।



সমস্যা : কোর আই থ্রি সাপোর্টের ইন্টেল আর গিগাবাইট ব্র্যান্ডের মাদাবোর্ডের মধ্যে পার্থক্য কি?

-শাহরিয়ার



সমাধান :
কোয়ালিটির দিক থেকে ব্র্যান্ডভেদে মাদারবোর্ডের তেমন একটা পার্থক্য নেই। দুটি ব্র্যান্ডের মাদারবোর্ডেই কোর আই থ্রির জন্য এইচ৫৫ চিপসেট দেয়া আছে। ইন্টেল তাদের মাদারবোর্ডে বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে ইন্টেলের নিজস্ব গ্রাফিক্স কার্ড চিপসেট ইন্টেল এক্সপ্রেস এবং গিগাবাইট তাদের মাদারবোর্ডে ব্যবহার করে এটিআই চিপসেটের গ্রাফিক্স কার্ড। এছাড়াও তাদের মাঝে কিছু টেকনোলজির পার্থক্য রয়েছে। গেমিং মাদারবোর্ড হিসেবে গিগাবাইটের মাদারবোর্ডে বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা দিয়ে থাকে যা ইন্টেলের ক্ষেত্রে কম দেখা যায়। মাদারবোর্ডের প্যাকেটের গায়ে লেখা ফিচার দেখে নিজেই বিবেচনা করে নিতে পারবেন কোনটি আপনার জন্য ভালো হবে।



সমস্যা : গেমের জগতে লেখা গেম রিভিউতে গেমগুলোর জন্য দেয়া সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টের তালিকায় গ্রাফিক্স কার্ডের মান লেখার ক্ষেত্রে পিক্সেল শেডার ভার্সন ব্যবহার করা হয়। আমার গ্রাফিক্স কার্ডের পিক্সেল শেডার ভার্সন কত তা কিভাবে দেখবো?

-রফিক, চট্টগ্রাম



সমাধান :
সাধারণত পিক্সেল শেডার ভার্সনের কথা গ্রাফিক্স কার্ডের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে। যদি গ্রাফিক্স কার্ডের প্যাকেট খুঁজে না পান তবে নিজ পিসির গ্রাফিক্স কার্ডের পিক্সেল শেডার ভার্সন দেখার জন্য আপনাকে গ্রাফিক্স কার্ডের মডেলের নাম জানতে হবে। গ্রাফিক্স কার্ডের মডেল জেনে ইন্টারনেটে সার্চ করে জেনে নিতে হবে তার ফিচারগুলো সম্পর্কে। গ্রাফিক্স কার্ডের মডেল জানার জন্য My Computer-এ রাইট ক্লিক করে Properties সিলেক্ট করতে হবে। এরপর advanced system settings>hardware>device manager>display adapter –এ নেভিগেট করলেই আপনার গ্রাফিক্স কার্ডের মডেল দেখতে পারবেন।


কজ ওয়েব

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস