কমপিউটার জগৎ ট্রাবলশূটার টিম
কমপিউটার ব্যবহারকারীদের নিত্যনতুন সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু আমাদের এই নতুন বিভাগ ‘পিসির ঝুটঝামেলা’তে পিসির হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক, ভাইরাসজনিত সমস্যা, ভিডিও গেম সম্পর্কিত সমস্যা, পিসি কেনার ব্যাপারে পরামর্শ ইত্যাদিসহ যাবতীয় সব ধরনের কমপিউটারের সমস্যার সমাধান দেয়া হবে। আপনাদের সমস্যাগুলো আমাদের এই বিভাগের মেইল অ্যাড্রেসে (jhutjhamela@comjagat.com) বা কমপিউটার জগৎ, কক্ষ নম্বর-১১, বিসিএস কমপিউটার সিটি, রোকেয়া সরণি, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭ ঠিকানায় চিঠি লিখে জানান প্রতিমাসের ২০ তারিখের মধ্যে। উলে¬খ্য, মেইলের মাধ্যমে পাঠানো সমস্যার সমাধান যত দ্রুত সম্ভব মেইলের মাধ্যমেই জানিয়ে দেয়া হবে এবং সেখান থেকে বাছাই করা কিছু সমস্যা ও তার সমাধান প্রেরকের নাম- ঠিকানাসহ ম্যাগাজিনের এই বিভাগে ছাপানো হবে। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সমস্যা পাঠানোর সময় পিসির কনফিগারেশন, অপারেটিং সিস্টেম, পিসিতে ব্যবহার হওয়া অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম, পিসি কতদিন আগে কেনা এবং পিসির ওয়ারেন্টি এখনো আছে কি না- এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উলে¬খ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
সমস্যা :
কোনো পিসিতে কি উইন্ডোজ আর উবুন্টু একসাথে ইনস্টল করা সম্ভব? আমার পিসি কনফিগারেশন হলো-ইন্টেল কোর আই থ্রি ৫৪০, ২ গিগাবাইট র্যারম ও ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক।
-শাহরিয়ার মাহমুদ
সমাধান :
পিসিতে শুধু দুটি নয়, আরো বেশি অপারেটিং সিস্টেম একসাথে ইনস্টল করা যায়। প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আলাদা ড্রাইভ নির্দিষ্ট করে দিতে হয়। তবে এক ড্রাইভেই দুটি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যায়। কিন্তু আলাদা ড্রাইভে ব্যবহার করাটা সুবিধাজনক। একই ড্রাইভে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যদি একটিতে কোনো সমস্যা করে এবং ড্রাইভ ফরমেট করার প্রয়োজন পড়ে তখন দুটি অপারেটিং সিস্টেমই মুছে যাবে। তাই প্রথম দুটি ড্রাইভ নির্দিষ্ট করে সেখানে অপারেটিং সিস্টেম দুটি ইনস্টল করা উচিত। প্রথম ড্রাইভে উইন্ডোজ সেভেন ইনস্টল করার পর সেখানে উবুন্টু ইনস্টল করা যাবে। উবুন্টু ইনস্টলের সময় পরের ড্রাইভে ১০-১৫ গিগাবাইট জায়গা লিনআক্স পার্টিশন করার জন্য নির্দিষ্ট করে তা লিনআক্স ফরমেট বা ইএক্সটি৩ ফরমেটে তৈরি করে নিতে হবে। এরপর র্যাপমের মেমরির পরিমাণের সমান বা দ্বিগুণ আকারের একটি হার্ডডিস্কের ছোট অংশকে সোয়াপ পার্টিশন হিসেবে সিলেক্ট করতে হবে। লিনআক্স পার্টিশন বা ইএক্সটি৩ পার্টিশনের ক্ষেত্রে রুট হিসেবে স্ল্যাশ (/) সিলেক্ট করতে হবে। এরপর ইনস্টল করার পর প্রথমেই যে বুটস্ক্রিন আসবে তাতে প্রথমে লিনআক্স এবং সবশেষে উইন্ডোজ সেভেন থাকবে। ডুয়াল বুটিং নিয়ে কমপিউটার জগৎ-এর ওয়েবসাইট থেকে তা খুঁজে বের করে দেখতে পারেন বা ইন্টারনেটে ডুয়াল বুটিং করার ব্যাপারে জানতে পারবেন। একটি ব্যাপার জানিয়ে রাখা ভালো, উইন্ডোজ সেভেনে থাকা অবস্থায় উবুন্টু ইনস্টল করা পার্টিশনটি দেখা যাবে না, কিন্তু উবুন্টু থেকে উইন্ডোজ সেভেনের পার্টিশন নেভিগেট করা যাবে।
সমস্যা :
আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে-২.৮ গিগাহার্টজ ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ই৭৪০০, ইন্টেল ডিজি৪১আরকিউ মাদারবোর্ড, ২ গিগাবাইট ডিডিআর২ র্যাম, এটিআই রাডেওন এইচডি ৫৪৫০ গ্রাফিক্স কার্ড ও স্যামসাং ৩২০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। আমি পিসিতে আরো ২ গিগাবাইট র্যাযম এবং ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক লাগাতে চাই। আমার প্রশ্ন হলো-নতুন র্যারমের বাসস্পিড কি আগেরটার সমান হতে হবে? স্পেসসি সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে দেখলাম র্যাম ডিটেইলসে লেখা আছে ডির্যাম ফ্রিকোয়েন্সি ৪০০ মেগাহার্টজ। এটাই কি র্যাম বাসস্পিড? আমার মাদারবোর্ড কত বাসস্পিডের র্যাম সাপোর্ট করবে তা কিভাবে জানব? দুটো র্যাপমের স্পিড দু’রকম হলে কি মাদারবোর্ডের কোনো সমস্যা হতে পারে? র্যাামের ভালো ব্র্যান্ড কোনটা? হার্ডডিস্ক সংক্রান্ত প্রশ্ন হলো ১ টেরাবাইট লাগালে কি আলাদা পাওয়ার সাপ্লাই দরকার হবে? উল্লেখ্য, আমি বর্তমানে কেসিংয়ের সাথে থাকা নরমাল পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করছি।
-আসিফ হাসান
সমাধান :
স্পেসসি সফটওয়্যারের মতো সিস্টেম ইনফরমেশন দেখার জন্য জনপ্রিয় সফটওয়্যার হচ্ছে সিপিইউ-জেড। ডি-র্যাম ফ্রিকোয়েন্সি হিসেবে যত মেগাহার্টজ দেখাবে সফটওয়্যার তার দ্বিগুণ হচ্ছে র্যামের বাসস্পিড। ডি-র্যাম ফ্রিকোয়েন্সি ৪০০ মেগাহার্টজের অর্থ হচ্ছে আপনার পিসির র্যামের বাসস্পিড ৮০০ মেগাহার্টজ। ডিডিআর২ র্যামের বাসস্পিড সর্বোচ্চ ১০৬৬ পর্যন্ত হতে পারে। এরচেয়েও বাড়ানো সম্ভব ওভারকক্ল করে। মডেল অনুযায়ী আপনার মাদারবোর্ডটি ৬৬৭ ও ৮০০ মেগাহার্টজের র্যােম সাপোর্ট করবে। আপনার পিসির এখনকার র্যাযমের বাসস্পিড ৮০০ মেগাহার্টজ, তাই একই গতির আরেকটি র্যামের ইনস্টল করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। একই গতির সাথে সাথে একই মেমরি ও ব্র্যান্ডের হলে সোনায় সোহাগা। যদি আগের র্যামটি সিঙ্গেল মডিউলের ২ গিগাবাইট মেমরির হয়ে থাকে, তবে আরেকটি ২ গিগাবাইটের একই গতির ও একই কোম্পানির র্যামের খোঁজ করুন। এতে পারফরম্যান্স অনেক বেড়ে যাবে। অনেক সময় দেখা যায়, কিছু ব্র্যান্ডের র্যাামের আরেক ব্র্যান্ডের র্যামের সাথে খাপ খায় না। আবার অনেক সময় একই গতির র্যািম না হলে তাদের মধ্যে সামঞ্জস্য নিয়ে কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এসব ঝামেলার হাত থেকে মুক্তি পেতে যমজ র্যাম ব্যবহার করাটা ভালো। মাদারবোর্ডটিতে সর্বোচ্চ ৮ গিগাবাইট র্যােম ব্যবহার করতে পারবেন। আমাদের দেশে যেসব র্যাদম পাওয়া যায় তাদের মান প্রায় একইরকম। গেমিং সিরিজের জন্য বেশ কিছু ভালো ব্র্যান্ডের র্যাম রয়েছে, যেমন-করসায়ার, রিপ’জ, কিংস্টোন, মুশকিন, ওসিজেড, ক্রুসিয়াল ইত্যাদি। কিন্তু সেগুলো আমাদের বাজারে পাওয়া যায় না। আমাদের বাজারে ট্রান্সসেন্ড, এ-ডাটা, সিলিকন পাওয়ার, টুইনমস, টিম, ডাইনেট ইত্যাদি ব্র্যান্ডের র্যাযম পাওয়া যায়। মানের দিক থেকে এগুলোর মাঝে খুব একটা পার্থক্য নেই বললেই চলে। খুব দরকার না পড়লে বড় আকারের হার্ডডিস্ক ব্যবহার করাটা অনুচিত। কারণ বড় আকারের হার্ডডিস্কের মেইনটেনেন্স করাটাও বেশ ঝামেলার। ভাইরাস স্ক্যান, ডিফ্র্যাগমেন্ট, ডিস্ক চেকিং স্ক্যান ও ফাইল সার্চ করার জন্য অনেক সময় নষ্ট হয় হার্ডডিস্কের বিশাল ধারণক্ষমতার জন্য। নতুন র্যাম ও হার্ডডিস্ক লাগানোর পর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের ওপর কিছুটা চাপ বাড়বে। কি ধরনের ক্যাসিং এবং কোন ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট তা না জানানোর কারণে সঠিক করে বলা যাচ্ছে না তা চাপ নিতে পারবে নাকি পারবে না? দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ভালো মানের আলাদা পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কিনতে পারেন। বাজারে থার্মালটেক, এক্সএফএক্স, গিগাবাইট, এ-ডাটা, ডিলাক্স ইত্যাদি কিছু ব্র্যান্ডের পিএসইউ পাওয়া যায়। আপনার পিসির জন্য ৪০০-৪৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই যথেষ্ট। তবে ভবিষ্যতে যদি পিসি আপগ্রেড করার ইচ্ছে থাকে তবে ৫০০-৬৫০ ওয়াটের পিএসইউ কিনে রাখলে কাজ দেবে। ৪০০-৪৫০ ওয়াটের পিএসইউর দাম ৩৫০০-৪০০০ টাকার মতো হবে।
সমস্যা :
আমি এটিআই রাডেওন এইচডি ৫৭৭০ গ্রাফিক্স কার্ড কিনতে চাই। কোন ব্র্যান্ড ভালো হবে-স্যাফায়ার নাকি এক্সএফএক্স? আমার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট (পিএসইউ) ৫০০ ওয়াট ক্ষমতার। পিসি কনফিগারেশন হচ্ছে-প্রসেসর ২.৮ গিগাহার্টজ কোর আই ফাইভ ২৩০০, মাদারবোর্ড ইন্টেল বক্স ডিএইচ৬৭সিএল, র্যাসম ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৩ ১৩৩৩ মেগাহার্টজ বাসস্পিড, হার্ডডিস্ক ৫০০ গিগাবাইট, অপটিক্যাল ড্রাইভ ২৪এক্স আসুস ডিভিডি রাইটার। আমার এ পিসির জন্য ক্যাসিংয়ের সাথে থাকা ৫০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কি যথেষ্ট?
-তাপস
সমাধান :
আপনার ক্যাসিংয়ের ব্র্যান্ড ও মডেল জানা জরুরি, কারণ এতে বোঝা যাবে ক্যাসিংয়ের সাথে দেয়া পিএসইউ কতটা শক্তিশালী। সাধারণ মানের ক্যাসিংয়ে যে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট দেয়া থাকে সেখানে ৫০০ ওয়াট লেখা থাকলেও আসলে তা পাওয়া যায় না। নতুন কিছু ভালো ব্র্যান্ডের ক্যাসিং পাওয়া যাচ্ছে, যার দাম কিছুটা বেশি, কিন্তু এতে মানসম্পন্ন পিএসইউ লাগানো থাকে। এ ধরনের ক্যাসিংয়ের দাম বর্তমানে ৩৫০০ টাকা থেকে শুরু। সার্ভার বা গেমিং পিসির জন্য আলাদা আরো শক্তিশালী পিএসইউযুক্ত ক্যাসিং বাজারে পাওয়া যায়। যদি আপনি সেগুলোর কোনোটিই না কিনে সাধারণ মানের ক্যাসিং কিনে থাকেন তবে আপনার পিসির জন্য তা উপযুক্ত নয়। এটি সাধারণ কাজকর্মের সময় সাপোর্ট দেবে কিন্তু উঁচুমানের গেম খেলা বা প্রসেসর ও গ্রাফিক্স কার্ডের ওপর চাপ পড়ে এমন কাজ করতে গেলে পিএসইউ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী ন্যূনতম ৫০০ ওয়াট ক্ষমতার পিএসইউ থাকা উচিত। তবে ভবিষ্যতে পিসি আপগ্রেড করার চিন্তা থাকলে ৬৫০ ওয়াটের কেনাটা বেশি যুক্তিযুক্ত। যদি আপনার কেনা ক্যাসিংটি ভালোমানের না হয়ে থাকে তবে আলাদা পিএসইউ কিনে নেয়াটা বাঞ্ছনীয়। পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ঠিকমতো লোড নিতে না পারলে অনেক সময় সিস্টেমেরও ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। বাজারে থার্মালটেক, আসুস, ডিলাক্স ইত্যাদি ব্র্যান্ডের ভালোমানের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট পাওয়া যায়। ৫০০ ওয়াট পিএসইউর বর্তমান বাজার দর ৪০০০ টাকার মতো। পিসির সুরক্ষার জন্য অবশ্যই মানসম্পন্ন পিএসইউ ব্যবহার করা উচিত। আপনি যে গ্রাফিক্স কার্ডটি নির্বাচন করেছেন তার জন্য আলাদা ৬ পিনের পাওয়ার কানেক্টর লাগে, তাই পিএসইউ কেনার সময় দেখে নিন সে পাওয়ার কানেক্টরটি সেখানে আছে কি না।
সমস্যা :
প্রথমেই ট্রাবলশুটিংয়ের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সমস্যার ব্যাপারে সাপোর্ট দেয়ার জন্য। কমপিউটার জগতের এ অংশে আমরা ট্রাবলশুটিং সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারছি। কিছুদিন আগে আমি পিসি কিনেছি। কিন্তু একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমি যার কাছ থেকে কিনেছি তাকে বলেছি কিন্তু সে এ ব্যাপারে কোনো সমাধান দিতে পারেনি। তাই আপনাদের শরণাপন্ন হয়েছি। আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে-৩. ০ গিগাহার্টজের ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ই৮৪০০, ১৩৩৩ বাসস্পিড ও ৬ মেগাবাইট এলটু ক্যাশ, ইন্টেল ডিজি৪১ডব্লিউভি মাদারবোর্ড, ৪ গিগাবাইট র্যাম ও ৮০ গিগাহাইট হার্ডডিস্ক। পিসি কেনার পর থেকে হঠাৎ করেই কোনো ওয়ার্নিং বা মেসেজ দেয়া ছাড়াই কমপিউটার রিস্টার্ট হয়ে যায়। এ সমস্যার সমাধান কি? আমার আরেকটি প্রশ্ন-আমি কি পিসিতে ৮ গিগাবাইট র্যাটম লাগাতে পারব?
-সুভাস, বাড্ডা
সমাধান :
কমপিউটার বারবার রিস্টার্ট করার অনেক কারণ থাকতে পারে। তাই পিসি পরীক্ষা করে না দেখে সঠিক করে বলা যাচ্ছে না কি সমস্যা? পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা, হার্ডডিস্ক ব্যাড সেক্টর, কুলিং সিস্টেম ফেইল, ওভারহিট, র্যামের সমস্যা, ভাইরাসজনিত সমস্যা ইত্যাদি অনেক কারণে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রাথমিকভাবে আপনি পিসির অপারেটিং সিস্টেম বদল করে দেখুন। এরপর ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে তা আপডেট করে পুরো পিসি স্ক্যান করে নিন। ভালো ডিফ্র্যাগমেন্ট সফটওয়্যার দিয়ে হার্ডডিস্ক ডিফ্র্যাগ করুন। ড্রাইভগুলোতে পর্যাপ্ত জায়গা ফাঁকা রাখুন (ন্যূনতম ১৫ ভাগ)। আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী হার্ডডিস্কটি কিছুটা পুরনো। সম্ভব হলে ১৬০ গিগাবাইট হার্ডডিস্কে আপগ্রেড করে নিন। তারপরও কোনো সমস্যা হলে পিসিটি কোনো সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে গিয়ে চেক করিয়ে আনুন। মাদারবোর্ডের মডেল অনুযায়ী ডিডিআর৩ র্যাম ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু তা ৮০০ ও ১০৬৬ বাসস্পিডের হতে হবে। এ মাদারবোর্ডের মডেলে ডিডিআর৩ প্রথম দিকের র্যামগুলো কাজ করবে। নতুন ডিডিআর৩ র্যামগুলো সাধারণত ১৩৩৩ বাসস্পিডের হয়ে থাকে। এখনকার সিস্টেমে কত বাসস্পিডের র্যাম আছে তা দেখে আপনার নতুন র্যাম কিনে নিতে হবে। কমপিউটার মার্কেটে এ গতির র্যাবম না পেলে এলিফ্যান্ট রোডের পুরনো পার্টস বিক্রেতাদের কাছ থেকে কিনে নিতে পারেন। র্যাম স্লটগুলোর প্রত্যেকটি ৪ গিগাবাইট মেমরির র্যাম ধারণ করার ক্ষমতা রাখে। তাই ৮ গিগাবাইট র্যাকম ব্যবহার করতে পারবেন অনায়াসে।
সমস্যা :
এটিআই সিরিজের কিছু গ্রাফিক্স কার্ডের গায়ে লেখা দেখা যায় ক্রসফায়ারএক্স রেডি। এই ক্রসফায়ারএক্স কী এবং তা কী কাজে লাগে?
-তপন, মহাখালী
সমাধান :
ক্রসফায়ার টেকনোলজির সাহায্যে দুই বা ততোধিক গ্রাফিক্স কার্ডের মাঝে সমন্বয় সাধন করে তার ক্ষমতা বাড়ানো যায়। এ জন্য মাদারবোর্ডে দুই বা ততোধিক গ্রাফিক্স কার্ড পোর্ট বা পিসিআই এক্সপ্রেস পোর্ট থাকতে হবে। যে গ্রাফিক্স কার্ডগুলো দিয়ে ক্রসফায়ার করতে হবে সেগুলো একই মেমরি, একই ব্র্যান্ড ও একই মডেলের হতে হবে। মূল কথা, ক্রসফায়ারে ব্যবহার করা গ্রাফিক্স কার্ডগুলো যমজ হতে হবে, তাহলেই তা ভালোভাবে কাজ করবে। কিন্তু একই সিরিজের যেমন ৬৮৩০ বা ৬৮৫০ দিয়েও এটিআইর ক্ষেত্রে ক্রসফায়ার করা যায়। সহজ কথায় মডেলেরে প্রথম দুটিতে মিল থাকতে হবে। যেমন-৬৮০০ মডেলের মধ্যে ৬৮৩০, ৬৮৫০, ৬৮৭০ ও ৬৮৯০-এগুলোর মধ্যে ক্রসফায়ার করা সম্ভব। বাজারে ২-৩ গিগাবাইটের বেশি মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড নেই। তাই দুটি ২-৩ গিগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে ক্রসফায়ার টেকনোলজির মাধ্যমে গ্রাফিক্স কার্ডের মেমরির পরিমাণ ৪-৬ গিগাবাইট ও ক্লকস্পিড দ্বিগুণ করার পাশাপাশি পারফরম্যান্স দ্বিগুণ করে নেয়া সম্ভব। ক্রসফায়ার টেকনোলজি শুধু এটিআই সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ডের সাহায্যে করা সম্ভব। এনভিডিয়ার গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে ক্রসফায়ার করা যায় না। এনভিডিয়ার গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য রয়েছে এসএলআই টেকনোলজি।
সমস্যা :
আমি একটি ল্যাপটপ বা নোটবুক কিনতে চাই যাতে ওয়ার্ড প্রসেসিং, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, ইন্টারনেট ব্রাউজিং-এ ধরনের কাজ করব। আমার বেশি পাওয়ার ব্যাকআপের দরকার। ৮ ঘণ্টা হলে ভালো হয়। বাজারে বেশ কয়েকটি নোটবুক দেখলাম যাতে লেখা ৮-১১ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ দেবে। আসলেই কি সেগুলো এতক্ষণ ব্যাকআপ দিতে সক্ষম?
-রেজওয়ান
সমাধান :
সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা ব্যাকআপ দিতে পারবে এমন ল্যাপটপ বা নোটবুকের সংখ্যা বাজারে খুবই কম। এসার ব্র্যান্ডের কিছু ল্যাপটপ ও নোটবুক বাজারে রয়েছে যা ৭ ঘণ্টার মতো পাওয়ার ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। যদি ব্যাটারি ব্যাকআপ মুখ্য হয়ে থাকে তবে আপনি ল্যাপটপ বা নোটবুকের পরিবর্তে ছোট আকারের নেটবুকগুলো বেছে নিতে পারেন। এগুলো সাধারণভাবে ৭ ঘণ্টা এবং পাওয়ার কনজাম্পশন টেকনোলজি ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ১০-১১ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে পারবে। সর্বোচ্চ ব্যাকআপ টাইম পরিমাপ করা হয় পাওয়ার কনজাম্পশন মোডে তা কতক্ষণ ব্যাকআপ দিতে পারে তার ওপরে। তাই সঠিকভাবে বলতে গেলে ৬ ঘণ্টার বেশি ব্যাকআপ সাধারণত পাওয়া যায় না। মেশিনের ক্ষমতা যত বেশি হবে সেটি তত বেশি ব্যাটারি পাওয়ার নষ্ট করবে। নেটবুকগুলো সাধারণত ইন্টেলের অ্যাটম প্রসেসরের সাহায্যে বানানো হয়, যা অনেক কম বিদ্যুৎ নষ্ট করে, তাই তা অনেকক্ষণ ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। সেলেরন প্রসেসরযুক্ত নেটবুকও পাওয়া যায়, যা অ্যাটম প্রসেসরের তুলনায় শক্তিশালী, তবে তা পাওয়ার বেশি টানে। অ্যাটম প্রসেসরের পারফরম্যান্সও খুব একটা খারাপ নয়। বাজারে এখন ডুয়াল কোরের অ্যাটম প্রসেসরযুক্ত নেটবুক পাওয়া যায়, যা ছাত্রছাত্রী বা সাধারণ কাজের জন্য ব্যবহার করা যাবে অনায়াসে। তবে একটি সমস্যা হচ্ছে নেটবুকটির স্ক্রিন আকারে বেশ ছোট। ১০ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ১২ ইঞ্চি আকারের ডিসপ্লের নেটবুক বাজারে পাওয়া যায়। আকারে ছোট, তাই এটি বহন করাটা বেশ সুবিধাজনক। আকারে ছোট হলেও শুধু অপটিক্যাল ড্রাইভ ছাড়া অন্যান্য সুবিধা এতে থাকে, যা ল্যাপটপ বা নোটবুকে থাকে, যেমন- ওয়েবক্যাম, টাচপ্যাড, কার্ড রিডার ইত্যাদি। বাজারে আসুস ইইই, এইচপি মিনি, স্যামসাং, সনি ভায়ো, গেটওয়ে, এসার এস্পায়ার ওয়ান, লেনোভো আইডিয়া প্যাড, ফুজিৎসু, তোশিবা মিনি ইত্যাদি ব্র্যান্ড ও মডেলের নেটবুক পাওয়া যায়। এগুলোর দাম ২০-২৮ হাজার টাকার মধ্যে। সবগুলোর সাথেই এক বছরের ওয়ারেন্টি দেয়া আছে। তাই নিশ্চিন্তে এক বছর ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তার বেশি টিকবে কি না সেটা নির্ভর করে ব্যবহার করার ধরনের ওপর। ভালোভাবে ব্যবহার করলে তা অনেক বছর ব্যবহার করতে পারবেন কোনো সমস্যা ছাড়াই।
সমস্যা :
আমি কিভাবে প্রিন্টারের কালির স্থায়িত্বতা বাড়াতে পারি? প্রিন্টার পরিচর্যায় কি কি করা যায়? কোন ব্র্যান্ডের প্রিন্টার কালার ও ফটো প্রিন্টিংয়ের জন্য ভালো? অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টারগুলোর পারফরম্যান্স কেমন? বাসায় ব্যবহারের জন্য কোন প্রিন্টার ভালো হবে?
-রবিন, মুগদা
সমাধান :
অরিজিনাল কালি বা আসল কার্ট্রিজের কালি নকল কালির চেয়ে অনেক বেশি প্রিন্ট দিতে পারে। তাই আসল কালি কেনার চেষ্টা করুন। এতে বেশি প্রিন্ট করতে পারবেন। এছাড়া সাধারণ প্রিন্ট করার সময় স্ট্যান্ডার্ড বা হাই কোয়ালিটি মোডের বদলে ইকোনমি, ড্রাফট বা ফাস্ট মোড ব্যবহার করলে বেশ কিছুটা কালি বাঁচানো যায়। নিয়মিত প্রিন্টারের রক্ষণাবেক্ষণ করলে প্রিন্টারের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। প্রিন্টার সবসময় ঢেকে রাখতে হবে, যাতে ধুলোবালি না ঢুকে। একেবারে অনেক দিন ধরে প্রিন্ট না করে ফেলে রাখা যাবে না। সপ্তাহে অন্তত একবার প্রিন্ট করা উচিত। মাসে একবার প্রিন্টারের মেইনটেনেন্স অপশনে গিয়ে ক্লিনিং, প্রিন্ট হেড অ্যালাইনমেন্ট, নজেল চেক, বটম প্লেট ক্লিনিং, রোলার ক্লিনিং ইত্যাদি অপশন ব্যবহার করে দেখা ভালো। কোন ব্র্যান্ডের প্রিন্টারের কালির দাম কম এবং সহজলভ্য তা বিবেচনা করে প্রিন্টার কিনতে হবে, তাই কোন ব্র্যান্ড কিনবেন তা নিজেকেই ঠিক করতে হবে। কোনো ব্র্যান্ডের প্রিন্টারই খারাপ নয়। তাদের মাঝে পারফরম্যান্সের দিক থেকে কিছুটা উনিশ-বিশ হতে পারে, তবে সেটি হোম ইউজারদের জন্য তেমন একটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। কালার বা ফটো প্রিন্টার হিসেবে আলাদা কিছু প্রিন্টার রয়েছে। কম দামের মধ্যে ইঙ্কজেট এবং বেশি দামের মধ্যে লেজার প্রিন্টার বাজারে পাওয়া যায়। হোম ইউজারদের জন্য ইঙ্কজেট এবং অফিসে ব্যবহারের জন্য লেজার প্রিন্টার ভালো। মাল্টিফাংশনাল প্রিন্টার বা অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টারগুলোর ক্ষমতা প্রায় সিঙ্গেল প্রিন্টারের কাছাকাছি, তবে তা তুলনামূলকভাবে বেশিদিন টিকে না। তাই খুব বেশি প্রয়োজন না হলে মাল্টিফাংশনাল প্রিন্টারের দিকে হাত না বাড়ানোই ভালো।
সমস্যা :
আমি আমার কমপিউটার আপগ্রেড করব। আমি শুধু প্রসেসর, মাদারবোর্ড ও র্যাভম বদল করব। আমি কোর আই থ্রি ৩.০৬ গিগাহার্টজের প্রসেসর, গিগাবাইটের এইচ৫৫ চিপসেটের মাদারবোর্ড, টিমের ৪ (২+২) গিগাবাইটের ১৩৩৩ বাসস্পিডের ডিডিআর৩ র্যাম কিনব। আমার আলাদা এক্সএফএক্স এনভিডিয়া জিফোর্স ৯৫০০জিটি গ্রাফিক্স কার্ড আছে। এখন আমার প্রশ্ন হলো-আমি কি এ কনফিগারেশনে ভালোভাবে গেম খেলতে পারব? আর গেম খেলার সময় কেমন পারফরম্যান্স পাব? এ কনফিগারেশনের পিসির সাথে সর্বোচ্চ কত আকারের মনিটর ব্যবহার করব? এ ব্যাপারে জানালে খুশি হব।
-অনিক
সমাধান :
আপনি যে কনফিগারেশনের কথা উল্লেখ করেছেন তার ভিত্তিতে আপনার পিসি মাঝারি মানের গেমিং পিসি হতে চলেছে। সবাই পিসি কেনার সময় পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের কথা ভুলে যান। আপনার নতুন পিসির জন্য আরো বেশি পাওয়ার সাপ্লাইয়ের দরকার হবে। তাই যদি আগের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট লোড নিতে না পারে তবে আপনাকে নতুন আরেকটি ভালো ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কিনে নিতে হবে। আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী ৪০০-৫০০ ওয়াটের পিএসইউ আপনার জন্য উত্তম। নতুন এবং প্রায় সবধরনের গেম আপনার পিসিতে চালানো যাবে ঠিকই, কিন্তু হাই ডিটেইলসে চালানো সম্ভব হবে না। মিডিয়াম ডিটেইলসে সব গেম খেলতে পারবেন এবং কোনো গেম একেবারেই চলবে না এমন অবস্থার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা কম। গ্রাফিক্স ড্রাইভার ও ডিরেক্টএক্স ভার্সন আপডেটেড থাকলে গেমের পারফরম্যান্স বাড়ানো যায়। আপনার পিসির কনফিগারেশন ভালো, তাই এখনই আর গ্রাফিক্স কার্ড বদলানোর দরকার নেই। পরে দরকার হলে আপগ্রেড করে নিতে পারেন, তবে সে লক্ষ্যে আরো ভালোমানের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কিনে রাখা ভালো। আপনার সিস্টেমের সাথে মানানসই হবে ২০-২২ ইঞ্চি ডিসপ্লের মনিটর। যেহেতু আপনি পিসি মূলত গেম খেলার জন্য ব্যবহার করবেন সেহেতু এলইডি এলসিডি মনিটর কেনাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে, যাতে থাকবে ২-৫ মিলিসেকেন্ড রেসপন্স রেট, ১৬০-১৭০ ডিগ্রি ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল, উঁচুমানের রিফ্রেশ রেট, বেশি কন্ট্রাস্ট রেশিওযুক্ত এবং ন্যূনতম ১৬০০ বাই ১০০০ রেজ্যুলেশনের ১৬:১০ অনুপাত ডিসপ্লের মনিটর।
সমস্যা :
আমার পিসির কনফিগারেশন কোর আই থ্রি ২.৯৩ গিগাহার্টজ, ২ গিগাবাইট র্যাতম, বিল্ট-ইন ১ গিগাবাইট মেমরির ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স কার্ড ও ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। আমি কি এ পিসিতে গ্রাফিক্সের কাজ করতে পারব? উইন্ডোজ সেভেনে কি বাংলা লেখার জন্য বিজয় ব্যবহার করতে পারব? আমি নিড ফর স্পিড-দ্য রান গেমটি ইনস্টল করেছি। কিন্তু গেমটি চলছে না। আমার বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ডের মেমরি তো বেশ ভালোমানের, তাহলে গেমটি ভালোভাবে চলছে না কেন? এটি চালাতে আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড কেনার দরকার হবে কি? যদি আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড কিনতেই হয় তবে বিল্ট-ইন ও এক্সট্রা গ্রাফিক্স কার্ড মিলে মেমরির পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে কি? কোন গ্রাফিক্স কার্ডটি ভালো হবে নতুন গেমগুলো খেলার জন্য? কোন ব্র্যান্ড ও মডেলের গ্রাফিক্স কার্ড কিনলে ভালো হবে তা জানালে বেশ উপকৃত হব।
-নিলয়, গাজীপুর
সমাধান :
আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী আপনি পিসিতে গ্রাফিক্সের কাজ করতে পারবেন, তবে ভালো পারফরম্যান্সের জন্য এক্সট্রা গ্রাফিক্স কার্ড কিনে নিতে পারেন। বিজয় বায়ান্নো উইন্ডো সেভেন সাপোর্ট করে। বাজারে এটি ১০০ টাকার বিনিময়ে কিনতে পারবেন। গ্রাফিক্স কার্ডের পারফরম্যান্স গ্রাফিক্স কার্ডের মেমরির ওপরে নির্ভর করে না, তা নির্ভর করে ক্লকস্পিড ও চিপসেট মডেলের ওপর। দ্য রান গেমটির মিনিমাম সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টে চাওয়া হয়েছে ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ২.৪ গিগাহার্টজের প্রসেসর বা সমমানের এএমডি অথলন এক্স টু প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র্যাুম, ১৮ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস ও ডিরেক্টএক্স ১০ সাপোর্টেড ৫১২ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড (ন্যূনতম এনভিডিয়া জিফোর্স ৯৮০০ জিটি বা এটিআই রাডেওন এইচডি ৪৮৭০)। রিকমেন্ডেড কনফিগারেশন হিসেবে কোর আই ফাইভ সিরিজের ২.৬৬ গিগাহার্টজ গতির প্রসেসর বা সমমানের এএমডি ফেনম ২ এক্সফোর প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট র্যািম এবং জিফোর্স জিটিএক্স ৫৬০ বা রাডেওন এইচডি ৬৯৫০ গ্রাফিক্স কার্ড। তাই বুঝতেই পারছেন কেনো গেমটি চলছে না। এক্সট্রা গ্রাফিক্স কার্ড স্লটে লাগানোর সাথে সাথে বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড ডিজ্যাবল হয়ে যাবে, তাই তার সাথে মেমরি শেয়ার হবে না। গেম খেলার জন্য ভালোমানের গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে এটিআই রাডেওন ৫০০০ বা ৬০০০ সিরিজের বা এনভিডিয়া জিফোর্সের ৪০০ বা ৫০০ সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড কিনতে পারেন। একটি ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে নতুন গ্রাফিক্স কার্ড বেশ বিদ্যুৎ নষ্ট করে, তাই আলাদা ভালো ব্র্যান্ডের ৫০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট আপনার পিসির জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়।
সমস্যা :
আমার পিসির কনফিগারেশন হলো-প্রসেসর ইন্টেল কোর আই থ্রি ৫৪০ ৩.০৬ গিগাহার্টজ, মাদারবোর্ড ইন্টেল ডিএইচ৫৫পিজে, র্যারম ২ গিগাবাইট ও হার্ডডিস্ক ৫০০ গিগাবাইট। আমি উইন্ডোজ সেভেন আল্টিমেট ব্যবহার করছি। বেশ কিছুদিন ধরে ওয়েলকাম স্ক্রিন এসে আর লোড হয় না, সেখানেই থেমে থাকে। আমি তখন যেখান থেকে পিসি কিনেছি সেখানে নিয়ে যাই। তারা বলল সফটওয়্যারে সমস্যা। এরপর তারা আবার উইন্ডোজ সেভেন ইনস্টল করে দিল। কয়েক দিন পর থেকে আবার সেই সমস্যা। এটি কি হার্ডওয়্যারের সমস্যা? আমি শিল্ড ডিলাক্স ও অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করি। সমাধান জানালে উপকৃত হব।
-রফিক, চট্টগ্রাম
সমাধান :
দোকান থেকে এখন ফ্রেশ উইন্ডোজ ইনস্টল করে দেয়া হয় কম। তাদের পোর্টেবল হার্ডডিস্কে থাকা উইন্ডোজের ব্যাকআপ কপি অন্য পিসির হার্ডডিস্কে ইনস্টল করে দেয়া হয়। তাই তা অনেক সময় হার্ডওয়্যারের সাথে মিল খায় না এবং অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। এভাবে দেয়া উইন্ডোজগুলো বেশিদিন টিকে না এবং খুব সহজেই ক্র্যাশ করে থাকে। ইউজারের কারণেও পিসির সমস্যা হয়। বেশি সফটওয়্যার ইনস্টল করা, অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ইনস্টল করা, সিস্টেম ইউটিলিটি সফটওয়্যার ব্যবহার না করা, সফটওয়্যার ঠিকমতো আন-ইনস্টল না করা, হার্ডডিস্ক ভরাট করে রাখা, উলট-পালট সফটওয়্যার ইনস্টল করা, অজানা সফটওয়্যার ব্যবহার করা, ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার না করা ইত্যাদি হচ্ছে ইউজারের দোষ। এ ধরনের সমস্যার কারণে পিসিতে অনেক সমস্যা দেখা দেয়, যা অনেকেই ধরতে পারেন না। আপনি একসাথে দুটি অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ব্যবহার করছেন, এটি এক বিশাল সমস্যা। ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে ডাবল সুরক্ষা পাওয়ার আশায় আপনি সিস্টেমের ওপরে চাপ ফেলে তাকে ঠিকমতো কাজ করতে বাধা দিচ্ছেন। একসাথে দুটি অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম কোনোমতেই ব্যবহার করা উচিত নয়। আপনার মূল সমস্যা হয়তো এটাই হতে পারে। তাই যেকোনো একটি অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ব্যবহার করুন এবং তা করার আগে কোনো বন্ধু বা অভিজ্ঞ লোককে দিয়ে ফ্রেশ উইন্ডোজ ইনস্টল করে নিন।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : jhutjhamela@comjagat.com