• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ৩য় মত
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - মে
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
৩য় মত




কেমন কমপিউটার জগৎ চাই

শুভ জন্মদিন, কমপিউটার জগৎ-এর ১৮ বছর পূর্তিতে কমপিউটার জগৎ পরিবার ও তার পাঠকদের জানাই একরাশ লাল গোলাপ শুভেচ্ছা। তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের একমাত্র পথিকৃৎ কমপিউটার জগৎ নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ ১৯ বছরে পদার্পণ করেছে, তাই আমরা পাঠক আজ আনন্দে আত্মহারা। গত ১৮ বছর ধরে কমপিউটার জগৎ নানা চাওয়া-পাওয়ার অনেকটাই পূরণ করেছে। তবু চাওয়ার তো আর শেষ নেই। তাই প্রথমেই ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং প্রতিবেদনের কথা না বলে পারছি না। তার সুনাম এককথায় অতুলনীয়। দেশের পাহাড়সমান শিক্ষিত বেকার জনগণকে বোঝা থেকে সম্পদে পরিণত করার যুগান্তকারী পদক্ষেপ এটি। তবে কথায় আছে না ‘যত গুড় তত মিষ্টি’-তাই শুধু এ ধরনের সাইট নিয়ে আলোচনা কিংবা নিজেদের প্রস্ত্তত করার প্রতিবেদন প্রকাশের পাশাপাশি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে একটি দল গঠন করে তাদের দিয়ে এক বা একাধিক প্রজেক্ট সম্পন্ন করালেই নতুনদের হাতেকলমে প্রশিক্ষিত করে তোলা যাবে। বের হয়ে আসবে আরো মেধাবী ফ্রিল্যান্সার।

এছাড়া দেশের মেধাবী প্রোগ্রামারদের তৈরিকৃত নতুন নতুন সফটওয়্যার সম্বন্ধে যদি কমপিউটার জগৎ-এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় তাহলে নতুনরাও উৎসাহিত হবে এবং বিভিন্ন কার্যকর সফটওয়্যার বেরিয়ে আসবে। যেমন- খুলনার ইলাক্স ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মল্লিক মো: সাইক উপমহাদেশের তথা বিশ্বের প্রথম ‘বাংলা ডিজিটাল লাইব্রেরি’ সফটওয়্যার প্রস্ত্তত করেছেন।

এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির এ পত্রিকায় বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়/বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সাফল্য এবং হালচাল তুলে ধরা হলে অনেকেই কারিগরি শিক্ষার প্রতি উদ্বুদ্ধ হতো। তাছাড়া ওয়েবসাইট তৈরির কৌশল সম্বন্ধে প্রতিবেদন, পাঠকদের অংশগ্রহণ করার বিভাগ এবং ছবির ধাঁধা পুনরায় চালু করা হোক। আশা করি কর্তৃপক্ষ উপরোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি নজর দেবেন।

সবশেষে কমপিউটার জগৎ-এর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি সাধিত হোক, দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক- এই কামনা করি।

তানভীর রানা
৩৭৯, শের-এ-বাংলা রোড, খুলনা
...........................................................................................

সরকারকে সাধুবাদ

প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে কমপিউটার শিক্ষার ঘোষণার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আর এই শিক্ষাকে সত্যিকারের বাস্তবমুখী শিক্ষায় পরিণত করতে হলে সরকারকে এখন থেকে কাজ করতে হবে।

এই কাজের মধ্যে সবচেয়ে যে কাজটি বেশি প্রয়োজন তা হলো কমপিউটার সম্পর্কে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত জ্ঞানী করে তোলা। এই জন্য এখন থেকেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কমপিউটার সম্পর্কে পারদর্শী করে তুলতে হবে, নতুবা শিক্ষার নামে কেবল পরিহাস করা হবে। কেবল শিক্ষা ক্ষেত্রে নয়, সরকারি যেকোনো প্রশিক্ষণে এখন থেকে কমপিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি আমার অনুরোধ রইল। আর এ কাজের জন্য সরকার অনুমোদিত সব কমপিউটার ট্রেনিং সেন্টারকে কাজে লাগানো যেতে পারে। প্রত্যেক এলাকাতে সরকার অনুমোদিত ট্রেনিং সেন্টার আছে। যেমন আমাদের এলাকায় বড়াল ট্রেনিং সেন্টার কমপিউটার প্রশিক্ষণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এই এলাকার বহু ছাত্রছাত্রী এখান থেকে ট্রেনিং নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এরকম প্রতিষ্ঠানকে সরকারের কাজে লাগানো উচিত। তাহলে দশ দিনের কাজ পাঁচ দিনে করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।

শিক্ষিত মা ছাড়া যেমন শিক্ষিত জাতি আশা করা যায় না, তেমনি কমপিউটার শিক্ষায় শিক্ষিত শিক্ষক ছাড়া কমপিউটার শিক্ষার কথা চিমত্মা করা যায় না। আমাদের সমাজে কিছু লোক আছে যারা বলে বেড়ায় এটা ভালো না ওটা ভালো, আসলে সে নিজে যে ভালো না সে তা জানে না। মনে রাখতে হবে ‘নাই মামার চাইতে কানা মামা ভালো’। আরো মনে রাখতে আমি যদি ক, খ জানি তবে আমার ছেলে জানবে ক, খ, গ-বাবার চাইতে ছেলেরা একটু বেশি শিখে। কারণ ছেলের সময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তাই সবার প্রতি আমার অনুরোধ-ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এত কিছু না খুঁজে একযোগে কাজ করি, যা আছে তাই নিয়ে স্বপ্ন বুনতে নেমে পরি। সাফল্য অবশ্যই আসবে। সবচেয়ে বড় প্রমাণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধে আমরা খালি হাতে নেমেছি, তারপর পরিস্থিতি আমাদের হাতে অস্ত্র এনে দিয়েছে, যার ফলে দেশটা স্বাধীন হয়েছে। তখন যদি সবাই অস্ত্রের মধ্যে কোয়ালিটি খুঁজত তাহলে যুদ্ধ করা সম্ভব হতো না। আসুন আমরা সবাই একসাথে কাজ করি যার যা আছে তাই নিয়ে।

ইরম্মাদ
লালপুর, নাটোর
...........................................................................................

বাধ্যতামূলক হচ্ছে কমপিউটার শিক্ষা

আমরা জানি শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতিই উন্নতি করতে পারে না। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত-এ আপ্তবাক্যটি যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে। কিন্তু শিক্ষা যদি যুগোপযোগী না হয়, তাহলে কিভাবে সেই শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড হবে। কেননা এখন দিন বদলের সময় এসেছে। তাই সরকারও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং তারই ফলশ্রুতিতে আগামী বছর থেকে নবম শ্রেণীতে কমপিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। তবে এ ঘোষণা আরো আগে আসা উচিত ছিল। সাথে সাথে বলতে চাই, উন্নত ও উন্ন্য়নশীল দেশে শিক্ষা বলতে অক্ষরজ্ঞানের পাশাপাশি কমপিউটার জ্ঞানকে অনেক আগেই সম্পৃক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এখনো আমাদের দেশে কমপিউটার সাক্ষরতার হার খুবই নগণ্য। আসলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাটিই সেই মান্ধাতার আমলের। প্রচলিত এ শিক্ষা ব্যবস্থাকে সংস্কার করে আধুনিক করার কোনো উদ্যোগই আমরা দেখতে পাই না। কখনো শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার কথা বলা হলেও তা শুধু কথার মাঝেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়, বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগই নেয়া হয় না। কিন্তু এভাবে তো আর দেশ যুগের পর যুগ চলতে পারে না। তাই আমাদের নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্ট সবার কাছে অনুরোধ তারা যেন আর জেগে ঘুমিয়ে না থাকেন। তারা যেন এমন একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেন, যেখানে কমপিউটার শিক্ষা হবে বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয়, প্রবর্তিত পাঠক্রম যেন নিয়মিতভাবে আপডেট করা হয় সেদিকেও সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি রাখতে হবে।

শাওন
বাঁশেরপুল, ডেমরা, ঢাকা

...........................................................................................

ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সাইট সম্পর্কে প্রতিবেদন চাই

ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার এবং কাজ করার জন্য নিয়মিত প্রতিবেদন প্রয়োজন। এটা শিক্ষিত বেকার যুবকের জন্য ভালো একটা দিক। আমাদের দেশে যারা এই কাজগুলো করেন তাদের ই-মেইল ঠিকানা দিয়ে দিলে তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধান করা যাবে। আমার মনে হয় এই ধরনের লেখা মানুষকে একটা ভালো দিকে নিয়ে যাবে, যা তরুণ প্রজন্মকেও সাইটটি সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলবে।

শরিফুজ্জামান শুভ
মতলব, চাঁদপুর
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৯ - মে সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস