কমপিউটার জগৎ-এর কাছে কিছু চাওয়া
কমপিউটার জগৎ-এর বিগত কয়েকটি সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে কমপিউটার নিজে কিনে সংযোজন করা, হার্ডডিস্ক পার্টিশন, বায়োস সেটআপ, অপারেটিং সিস্টেম ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছিল। এ থেকে সাধারণ ব্যবহারকারীরা খুবই উপকৃত হয়েছেন। কারণ, এতদিন এগুলোর জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করতে হতো। আরো কিছু বিষয় আছে যেগুলো সম্পর্কে বর্ণনা করা খুবই প্রয়োজন, বিশেষ করে কমপিউটারের যন্ত্রাংশসমূহ, যেমন- প্রিন্টার, স্ক্যানার, মনিটর, স্পিকার, গ্রাফিক্সকার্ড, মাদারবোর্ড ইত্যাদির সার্বিক ব্যবহারের পদ্ধতি, যত্ন নেয়ার এবং সেটআপ দেয়ার নিয়ম। কারণ, বেশিরভাগ কমপিউটারেই আয়ু যতদিন আছে তার পূর্বেই সমস্যা দেখা দেয় সঠিক যত্ন না নেয়া ও সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার না করার কারণে।
অনেকেই কমপিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের সঠিক ব্যবহার ও যত্ন নেয়ার নিয়ম জানেন না। অনেকেই সেটআপ দেয়ার নিয়ম জানেন না। ফলে সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে প্রচুর টাকা খরচ করে সেটআপ করিয়ে আনতে হয়, যা একটি বিরক্তিকর কাজ। কমপিউটার জগৎ-এ এমন একটি বিভাগ চালু করা হোক যেখানে ধারাবাহিকভাবে কমপিউটারের যন্ত্রাংশগুলোর সঠিক ব্যবহার ও যত্নআত্তির পদ্ধতি আলোচনা করা হবে। কমপিউটারে কোনো সমস্যা হলে সাধারণ ব্যবহারকারীরা অসহায় বোধ করেন। তাই পিসি হেল্পলাইন নামে একটি বিশেষ কোনো নাম্বার ও মেইল অ্যাড্রেস চালু করা হোক, যেখান থেকে ব্যবহারকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সমস্যার স্বরূপ ও সমাধান জানতে পারবেন।
কমপিউটার জগৎ-এর ৩য় মত বিভাগে যত মতামত, আবেদন, পরামর্শ ছাপা হয় সেগুলোতে যদি সম্পাদকের মন্তব্য থাকত, তাহলে খুব ভালো হতো। যদি ছাপা হওয়া বিষয়গুলোর গুরুত্ব, গ্রহণযোগ্যতা ইত্যাদি বিবেচনা করে সম্পাদকের উত্তর বা মন্তব্য দেয়া হয়, তাহলে আবেদনকারীরা তাদের আবেদন সম্পর্কে অবগত হবেন। মতামতকারীরা তাদের মতামতের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করতে পারবেন। আশা করি, কমপিউটার জগৎ কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত আবেদনগুলোর গুরুত্ব বিবেচনা করে সঠিক পদক্ষেপ নেবেন। কমপিউটার জগৎ-এর তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন সফল হয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠুক এই কামনা রইল।
মো: মামুনুর রহমান
হাটহাজারী, চট্টগ্রাম
....................................................................................................
কমপিউটার জগৎ আরো একধাপ এগিয়ে গেল
প্রিয় ব্যক্তিত্ব, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের কৃতিত্ব বা ভালো কাজ আমাদের সবাইকে আনন্দে উদ্বেলিত করে, প্রেরণা যোগায়, উৎসাহ যোগায়। তেমনিই এক উৎসাহ ও প্রেরণাদায়ক কর্মকান্ডের দৃষ্টান্ত স্থাপন করল আমার প্রিয় পত্রিকা মাসিক কমপিউটার জগৎ, যা ইতোপূর্বে বাংলাদেশের আইসিটিসংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠন যেমন করেনি তেমনি করেনি অন্য কোনো সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনও।
বাংলাদেশে সুপরিচিত ব্যাংক প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, বেসরকারি সেবা সংস্থা ডি.নেট ও এদেশের প্রথম ও সর্বাধিক প্রচারিত এবং তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে খ্যাত প্রযুক্তিবিষয়ক সাময়িকী মাসিক কমপিউটার জগৎ একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ সমঝোতা চুক্তির মূল লক্ষ্য হলো প্রযুক্তিপণ্যসংশ্লিষ্ট ই-বর্জ্যের নিরাপদ ব্যবস্থাপনা এবং সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমপিউটার শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে প্রযুক্তি শিক্ষার আরো প্রসার ঘটানো। চুক্তি অনুযায়ী কমপিউটার জগৎ ও ডি.নেট স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে যেগুলো মেরামতযোগ্য সেগুলো মেরামত করে আইসিটিভিত্তিক শিক্ষা কর্মসূচির কাজে লাগাবে। এতে একদিকে যেমনি কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমপিউটার সরবরাহ হবে তেমনি ই-বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের পরিবেশ কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে। এভাবে আমরা সবাই উদ্যোগী হলে আমাদের পরিবেশকে কিছুটা হলেও ই-বর্জ্যের হাত থেকে রক্ষা করতে পারব। কমপিউটার জগৎ, ডি.নেট ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের পরিবেশবান্ধব এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমি মনে করি, এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে কমপিউটার জগৎ বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনে আরেকটি মাইলফলক সৃষ্টি করল।
আমার ধারণা, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ইতোমধ্যে বিনামূল্যে তাদের মেয়াদোত্তীর্ণ যাবতীয় কমপিউটার ও প্রযুক্তিপণ্য ডি.নেট ও কমপিউটার জগৎ-এর কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা প্রত্যাশা করি ডি.নেট ও কমপিউটার জগৎ ব্যবহারযোগ্য কমপিউটারগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রদান করবে।
আমরা আরো প্রত্যাশা করি, কমপিউটার জগৎ ও ডি.নেট স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ কমপিউটারগুলো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণ করার পাশাপাশি যথাযথ তদারকিও করবে, যাতে এর সুফল পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমপিউটারে প্রশিক্ষণের মান যাতে নিশ্চিত হয়, সে ব্যাপারে নজর দেবে। সেই সাথে আরো প্রত্যাশা করি, অন্যান্য বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান যাতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে এগিয়ে আসে, তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আমরা আরো দ্রুত এগিয়ে যাব।
আলভী