হাইটেক পার্ক প্রকল্প থেকে অথর্বদের বাদ দিন
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রস্তাবিত হাইটেক পার্কের বর্তমান অবস্থার ওপর প্রতিবেদন বাংলাদেশে হাইটেক পার্ক কতদূর-পড়ে প্রকল্পটির সর্বশেষ অবস্থা জানা গেলো৷ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা যে কত পিছিয়ে আছি এই প্রতিবেদনে সেটাই ফুটে উঠেছে৷ ২৩১ একর জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে যেখানে ৬ মাস লাগবে বলা হচ্ছে সেখানে পুরো পার্কটি করতে কত বছরের প্রয়েজন হবে তা বুঝাই যায়৷ প্রকল্প পরিচালক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ যদিও বলেছেন, ১৫ বছর সময়ও লেগে যেতে পারে৷ তিনি আসলে ঠিকই বলেছেন৷ অথর্ব লোকদের হাতে এমন বিশাল ও সম্ভাবনাময় প্রকল্পের দায়িত্ব পড়লে অনেক বেশি সময় লাগাটাই স্বাভাবিক৷ প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বুঝা উচিত হাইটেক পার্ক করতেই যদি ১০/১৫ বছর লেগে যায় তাহলে সেখানে উত্পাদনের কাজ শুরু করতে কত বছর লাগবে এবং সেসময় বিশ্বের শিল্প, সংস্কৃতি, অর্থনীতির অবস্থাই বা কি হবে? তখন হাইটেক পার্কের প্রয়োজন থাকবে সেই নিশ্চয়তাই বা কে দেয়? তাই যা কিছু করার করতে হবে অতি দ্রুত৷ অথর্বদের বাদ দিয়ে যোগ্য ব্যক্তিদের প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে৷ সিদ্ধান্ত নিতে হবে দ্রুত এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকেই৷ রাজনৈতিক সরকারের হাতে এই প্রকল্প নিরাপদ কিনা ভাববার প্রয়োজন আছে৷
ইয়াকুদ রেজা রাজনা
রংপুর .........................................................................................................
ওপেন সোর্সের ওপর প্রচ্ছদ প্রতিবেদন ভালো লেগেছে
সেপ্টেম্বর মাসের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন ওপেন সোর্সভিত্তিক সফটওয়্যার ও তথ্যের স্বাধীনতা ভালো লেগেছে৷ ওপেন সোর্স সফটওয়্যার হতে পারে আমাদের দৈনকন্দিন কমপিউটিংয়ের প্রধান হাতিয়ার-একথা জেনে ভালো লেগেছে৷ পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার অবশ্যই ভালো কথা নয়৷ আমরা হার্ডওয়্যারকে যতটা প্রাধান্য দেই, সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে ততটা দেই না৷ পাইরেটেড সফটওয়্যার পাওয়া মামুলি ব্যাপার হওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে৷ আমাদের এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে৷ ওপেন সোর্স সফটওয়্যার সম্পর্কে বেশ কিছু ভুল ধারণা ছিলো যা এই প্রতিবেদন পড়ে দূর করা সম্ভব হয়েছে৷ কমপিউটার জগত্-এর কাছে এমন আরো প্রতিবেদন আশা করছি৷ ইন্টেলের চেয়ারম্যানের ঢাকা সফর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম৷ তার এই সফর থেকে বাংলাদেশ ঠিক কি পেলো সে ব্যাপারে আরো জানার আগ্রহ রইলো৷ হাইটেক পার্কের ওপর লেখা প্রতিবেদন পড়ে ওই প্রকল্পের সার্বিক অবস্থা বুঝা গেছে৷ অন্যান্য নিয়মিত লেখাগুলোও ভালো লেগেছে৷
প্রিয়াংকা
বিএএফ শাহীন কলেজ, ঢাকা .........................................................................................................
রেজওয়ানকে কান ধরে উঠবস করানো উচিত
নিজেকে বাঁচাতে মরিয়া সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থার রেজওয়ান প্রতিবেদনে তার হাস্যোজ্জ্বল ছবি না দিয়ে বিষাদমাখা একটা ছবি ছাপলে দেখতে বেশ হতো৷ এ ধরনের টাউটদের প্রকাশ্যে কান ধরে উঠবস করানো উচিত৷ বিদেশীদের কাছে দেশের মানসম্মান ধুলায় লুটিয়ে দেয় এরা৷ এরা আসলে দেশ ও জাতির শত্রু৷ এদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরি৷ এত কম বয়সেই যে এত বড় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি করতে পারে ভবিষ্যতে সে কোথায় গিয়ে পৌঁছবে ভাবতেই আঁতকে উঠতে হয়৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই এখনি এ ধরনের টাউটদের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হোক৷ নইলে ভবিষ্যতে এদের সংখ্যা বেড়েই যাবে৷ প্রচ্ছদ প্রতিবেদনসহ নিয়মিত অন্যান্য বিভাগ ভালো লেগেছে৷ আমি নিয়মিত পাঠক হিসেবে কমপিউটার জগত্-এর অব্যাহত সাফল্য কামনা করছি৷
প্রিতম
নিকেতন, ঢাকা .........................................................................................................
বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাত্কার চাই
আমি কমপিউটার জগত্-এর নিয়মিত পাঠক৷ ম্যাগাজিনটির সব বিভাগই ভালো লাগে৷ ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে ইংরেজি বিভাগের স্থান কমে আসছে৷ এটা ঠিক নয়৷ বাংলা পত্রিকার ভিতরে ইংরেজি থাকলে আমাদের পত্রিকা পাঠের পাশাপাশি ইংরেজি চর্চাটাও হয়৷ তাই সম্ভব হলে এই বিভাগ আরো ২/১ পৃষ্ঠা বাড়িয়ে দিন৷
গত সংখ্যার বিল্ডিং অ্যান ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড আইসিটি ওয়ার্কফোন লেখাটি ভালো লেগেছে৷ বেশ কিছু উপদেশ এবং তথ্য-উপাত্ত জানা গেছে প্রতিবেদনটি থেকে৷ এই বিভাগে আরো তথ্যমূলক প্রতিবেদন চাই, যাতে আমরা তা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারি৷
অনেক দিন ধরে ছাপা হচ্ছে না কোনো বিদেশী আইটি বিশেষজ্ঞের সাক্ষাত্কার৷ বিষয়টির প্রতি নিশ্চয়ই লক্ষ্য রাখবেন কর্তৃপক্ষ৷ বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাত্কার থেকে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসে৷ এই সব তথ্য-উপাত্ত আমাদের আইসিটি উন্নয়নে কাজে লাগতে পারে৷ নিয়মিত বিভাগগুলো অন্যবারের মতোই যথেষ্ট ভালো হয়েছে৷
পলি
ফায়দাবাদ, উত্তরা, ঢাকা
.........................................................................................................
বিজ্ঞাপন কমান
প্রিয় কর্তৃপক্ষ৷ পত্রিকা বেঁচে থাকার জন্য বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন আছে৷ কিন্তু তা যদি লেখার তুলনায় বেশি হয়ে যায় তাহলে ভালো লাগে না৷ কমপিউটার জগত্ একটি প্রেস্টিজিয়াস পত্রিকা৷ তাই সবাই এখানে বিজ্ঞাপন দিতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক৷ কমপিউটার জগত্-এর উচিত হবে সবার বিজ্ঞাপন যা নেয়া বা নির্দিষ্ট কয়েক পৃষ্ঠার বাইরে বিজ্ঞাপন না নেয়া৷ এতে পত্রিকার মান বজায় থাকবে৷ ক্রেতা-পাঠকও নিজেকে বঞ্চিত মনে করবে না৷ পাঠক সবসময় বেশি লেখা চান৷ এটা মনে রাখবেন আশা করি৷
রেজা রহিম
শেরপুর .........................................................................................................
মোবাইল প্রযুক্তিবিষয়ক লেখা চাই
কমপিউটার জগত্-এর সব বিভাগ ভালো লাগে বলতে পারছি না৷ বেশ কয়েকটি বিভাগ আছে ভালো লাগে না৷ মোবাইল প্রযুক্তি বিভাগ আধা পৃষ্ঠা থেকে বাড়িয়ে অন্তত এক পৃষ্ঠা করা যায় কিনা ভেবে দেখবেন৷ হ্যান্ডসেট ফোকাসে সবশেষে বাজারে আসা সেট সম্পর্কে বিবরণ দিলে ভালো হয়৷ অনেক সময় এমন মডেলের সেট সম্পর্কে বলা হয়, যা বাজারে এসেছে বেশ আগে৷ বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন৷ মোবাইলে গেম ডাউনলোড করার নতুন কিছু সাইটের কথা জানালে খুশি হবো৷ ঘরে ঘরে কমপিউটার নেই, কিন্তু মোবাইল ফোন আছে৷ তাই কমপিউটার জগত্-এর উচিত হবে কমপিউটার প্রযুক্তির পাশাপাশি সমান গুরুত্ব দিয়ে মোবাইল প্রযুক্তি নিয়েও লেখালেখি করা৷ সবাইকে ধন্যবাদ৷ ভালো থাকবেন৷
লুব্ধক হোসেন
খিলগাঁও, ঢাকা .........................................................................................................
গেমের পাতা কমছে কেন?
বেশ কয়েক মাস ধরে লক্ষ্য করে আসছি কমপিউটার জগত্ এর গেমের জগত্-এ মাত্র একটি গেম নিয়ে আলোচনা করা হয়৷ কিন্তু আগে প্রায় ২/৩টি গেম নিয়ে লেখা হতো৷ প্রতিমাসে প্রায় ৫/৬টির উপরে গেম রিলিজ হয় এবং গেমগুলো ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরির৷ যেমন- অ্যাকশন, ফার্স্ট পারশন শূটিং, স্ট্র্যাটেজি, অ্যাডভেঞ্চার ইত্যাদি৷ তাই গেমের জগত্-এর পাতা বাড়িয়ে গেমের ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ২/৩টি করে গেমের রিভিউ দিলে ভালো হয়৷ পিসি গেমের পাশাপাশি প্লে-স্টেশন, এক্সবক্স এসব কনসোলভিত্তিক গেমগুলো নিয়েও আলোচনা করা যেতে পারে৷ মাঝে মাঝে পুরনো খুব ভালো গেমের রিভিউও দেয়া যেতে পারে, কারণ নতুন গেমগুলো খেলার জন্য হাই কনফিগারেশনের পিসি প্রয়োজন হয়৷ এতে করে যাদের পিসির কনফিগারেশন খুব উঁচুমানের নয় তারাও উপকৃত হবেন৷ সব ধরনের গেমারদের সুবিধার্থে ২টি নতুন ও ১টি পুরনো গেম নিয়ে লেখা যেতে পারে৷ নতুন আসা গেমের যে তালিকা দেয়া হয় তার বেশিরভাগ গেমই আমাদের দেশে আসে না৷ তাই গেম বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে খোঁজ নিয়ে নতুন আসা গেমগুলো তালিকাভুক্ত করা উচিত৷
হাসান মাহমুদ
সাভার, ঢাকা