আবদুল কাদেরের কর্মের স্বীকৃতি চাই
আমি কমপিউটার জগৎ-এর অনেক পুরনো পাঠক। সে হিসেবে কমপিউটার জগৎ-এর অনেক কর্মকান্ডই আমার মনে আছে। বিশেষ করে কমপিউটার জগৎ-এর প্রতিষ্ঠাতা মরহুম অধ্যাপক আবদুল কাদেরের কিছু সাহসী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কমপিউটার জগৎ তাদের বর্ষপূর্তিতে অর্থাৎ এপ্রিল ২০০৮ এবং ২০০৯-এ কমপিউটার জগৎ-‘যার যার চোখে’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপায়, যা আমাকে যেমনি অভিভূত করেছে তেমনি ব্যথিত করেছে। তাই আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানের অভিমতটুকু ৩য় মত বিভাগে আশা করি ছাপাবেন।
যার যার চোখে... লেখায় অনেক পুরনো ও প্রতিষ্ঠিত আইসিটিবিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে যাদের মধ্যে রয়েছেন বিসিসির সাবেক সভাপতি, রয়েছেন বেসিসের সভাপতিও। তাদের অনেকে বলেছেন, কমপিউটার জগৎ-এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদেরের অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা উচিত। তারা প্রত্যেকেই স্বীকার করেন যে, বাংলাদেশের আইসিটি বর্তমানে যে অবস্থানে উপনীত হয়েছে, তার জন্য মরহুম আবদুল কাদেরের অবদান অনেক। আমরা সাধারণত কারো অবদান সহজেই অকপটে স্বীকার করি না বা সহজেই ভুলে যাই। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা গেল যা আমাকে রীতিমতো অভিভূত করেছে এবং মনে হয়েছে আমাদের এমন ধারণা পোষণ করা সম্পূর্ণ ভুল। আমাকে আবার ব্যথিত করেছে এ কারণে যে, আমরা সবাই আলাদা আলাদাভাবে অধ্যাপক আবদুল কাদেরের অবদান স্বীকার করলেও সাংগঠনিকভাবে এ ব্যাপারে আমরা সবাই নীরব ভূমিকা পালন করে আসছি, যা রীতিমতো বিস্ময়কর ও হতাশাজনক। কিছু কিছু ব্যাপারে সাংগঠনিক তৎপরতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেখা যায়, সাংগঠনিক তৎপরতার অভাবে অনেক যোগ্য ব্যক্তিও কোনোভাবে সম্মানিত হন না। অধ্যাপক আবদুল কাদেরের ক্ষেত্রেও তাই হয়তো হবে!
আমি একজন প্রযুক্তিপ্রেমী হিসেবে মনে করি, মরহুম আবদুল কাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা হোক। বিসিএস এবং বেসিসকে অবশ্যই সাংগঠনিকভাবে তৎপর হতে হবে এ ব্যাপারে। বিচ্ছিন্নভাবে বা এককভাবে কোনো বক্তব্য বা মতামত কখনই তেমন গ্রহণযোগ্যতা পায় না। বিসিএস সভাপতি মোস্তাফা জববারের লেখা আমরা প্রতি সংখ্যায় কমপিউটার জগৎ-এ পড়ি। তিনি এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে পারেন। অনুরূপভাবে বেসিসের সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিমও এ ব্যাপারে তৎপর হতে পারেন। আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, বেসিস ও বিসিএস এর বর্তমান ও সাবেক সভাপতি, এ সম্পর্কে যাদের অভিমত ছাপা হয়েছে তারা যদি সম্মিলিতভাবে তৎপর হয়, তবে অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা যাবে। তা হবে পরবর্তী আইসিটি প্রজন্মের জন্য এক প্রেরণার উৎস।
মো: আবুল খায়ের
ব্যাংক কলোনি, সাভার
...........................................................................................
বিটিসিএলের ইন্টারনেট চার্জ ৩ গুণ বাড়লো!
১ জুলাই ২০০৯ থেকে সরকারি ল্যান্ডফোন কোম্পানি বিটিসিএলের প্রিমিয়াম ডায়াল-আপ ইন্টারনেট সেবার খরচ তিনগুণ বাড়ানো হয়েছে। আগে প্রতিমিনিট ইন্টারনেট সেবার জন্য স্থানীয় কলের সমান চার্জ প্রযোজ্য হতো। অর্থাৎ, পিক আওয়ারে প্রতিমিনিট (ভ্যাটসহ) ১৭.২৫ পয়সা (ভ্যাট ছাড়া ১৫ পয়সা) এবং অফ-পিক আওয়ারে প্রতি মিনিট (ভ্যাটসহ) ১১.৫ পয়সা (ভ্যাট ছাড়া ১০ পয়সা) বিল প্রযোজ্য হতো। কিন্তু, ১ জুলাই ২০০৯ থেকে স্থানীয় কল বিলুপ্ত করে সব কল (বিটিসিএল-বিটিসিএল) ভ্যাট ছাড়া ৩০ পয়সা মিনিট করায় ভ্যাটসহ প্রতি মিনিট প্রিমিয়াম ডায়াল-আপ ইন্টারনেট সেবার খরচ পড়বে ৩৪.৫ পয়সা যা পূর্বের অফ-পিক আওয়ারের তিনগুণ। এই হঠকারী সিদ্ধান্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরকে ইন্টারনেট সেবার জন্য বিদেশী মোবাইল ফোন কোম্পানির ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে উৎসাহিত করবে। কারণ, এক ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিদেশী মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো রাতদিন ২৪ ঘণ্টা হিসেবে ৩০ দিন ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে যার সেবার মান এবং গতি বিটিসিএলের ইন্টারনেট থেকে বেশি। অথচ বিটিসিএলের বর্তমান রেটে কেউ যদি রাতদিন ২৪ ঘণ্টা হিসেবে ৩০ দিন ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাহলে মাস শেষে বিল আসবে ভ্যাট ছাড়াই {১ দিনে (৬০×২৪)= ১১৪০ মিনিট × (১ মাসে) ৩০ দিন × ০.৩০ টাকা} ১২৯৬০ টাকা এবং ভ্যাটসহ ১৪৮১৪ টাকা।
দেশের বেশিরভাগ মানুষ ইন্টারনেট সেবার ব্যবহার, প্রয়োজন ও ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। তাই প্রথমে স্বল্পমূল্যে মানুষকে তা ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যেমন এদেশে চীনারা প্রথমদিকে চা ও চীনাবাদাম মানুষকে হাট-বাজারে ফ্রি খাওয়াত।
বিটিসিএলের ইন্টারনেট সেবার খরচ তিনগুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের পরিপন্থী। এটা সরকার এবং সরকারি কোম্পানির বিরুদ্ধে বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর কোনো ষড়যন্ত্র কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। টেলিটক বাজারে আনার সময় বিদেশী ফোন কোম্পানিগুলো আমলাদেরকে সন্তুষ্ট করে টেলিটকের আগমন বিলম্বিত এবং তার সম্ভাব্য বাজার দখল করে নিয়েছিল।
রবিউল হাসান
কারবালা, যশোর
...........................................................................................
প্রিয় পত্রিকা আরো সমৃদ্ধ হোক
মাসিক কমপিউটার জগৎ আমার প্রিয় পত্রিকা। এ পত্রিকা আরো সমৃদ্ধ হোক, সেটা আমার আন্তরিক কামনা। পত্রিকাটিকে আরো বেশি করে প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের উপকারী পত্রিকায় পরিণত করতে হবে। এ জন্য ইউজার ওরিয়েন্টেড লেখা প্রতিসংখ্যায় দুয়েকটি বাড়িয়ে দিতে হবে। পাঠকদের কাছ থেকে সমস্যা জেনে, সেসব সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বিভাগ খোলা যেতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন নতুন আকর্ষণীয় উদ্ভাবনের ছোট ছোট খবর কমপিউটার জগৎ-এ থাকে না বললেই চলে। এ ধরনের আকর্ষণীয় খবর লেখার মাঝে মাঝে পাতার নিচের দিকে বক্স আকারে দিলে স্বল্প সময়ে পড়ার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশে এ খাতে মাঝেমধ্যে অনেক সাফল্যের কথা দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হয়। এসব সাফল্যের কথা আরেকটু বিস্তারিতভাবে কমপিউটার জগৎ-এ ছাপা হলে ভালো। সেই সাথে বিদ্যমান বিভাগগুলো চালু রাখতে হবে। একই সাথে পাতার মেকআপ আরো আকর্ষণীয় করার ব্যাপারে মনোযোগ দিতে হবে। কমপিউটার জগৎ-এর অব্যাহত প্রকাশনা কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
নাজমুল হুদা
দৌলতপুর, সুনামগঞ্জ
...........................................................................................
মাদারবোর্ড নিয়ে লেখা চাই
কমপিউটার জগৎ-এর নানা প্রযুক্তিভিত্তিক খবরাখবর তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট সবার বেশ কাজে লাগে। বিশেষ করে প্রযুক্তিপণ্যভিত্তিক বিভিন্ন রিপোর্ট আমাদের কাজে লাগে। এ পত্রিকার হার্ডওয়্যার বিভাগটি বেশ চমকপ্রদ। এ বিভাগে মাদারবোর্ড নিয়ে লেখা চাই। কারণ ডেস্কটপ কমপিউটার কিনতে গেলে হার্ডওয়্যার নিয়ে আমাদের গোলকধাঁধায় পড়তে হয়। আমাদের দেশের বাজারে প্রচুর মাদারবোর্ড পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ তা নির্ধারণ করা বেশ কঠিন। সেই সাথে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে। ফলে প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়। তাই কি ধরনের মাদারবোর্ড কিনলে আমরা সাধারণ ভোক্তাশ্রেণী লাভবান হবো তা নিয়ে লেখা চাই।
হাসিবুল হক