• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট টুলস
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মো: জাকারিয়া চৌধুরী
মোট লেখা:৩৫
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - জুন
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ফ্রিল্যান্স
তথ্যসূত্র:
ঘরে বসে ‍আয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট টুলস

এবার একজন ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইট ডেভেলপারের প্রতিদিনের ব্যবহারের সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করা হলো। ওয়েবসাইট ডেভেলপ করতে অসংখ্য সাহায্যকারী সফটওয়্যার পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের শুধু একটি সফটওয়্যার নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো। উল্লিখিত প্রত্যেকটি সফটওয়্যারই ওপেন সোর্স এবং ইন্টারনেট থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যায়।

অপারেটিং সিস্টেম : উবুন্টু



ওয়েবসাইট ডেভেলপের জন্য লিনআক্স হচ্ছে একটি আদর্শ অপারেটিং সিস্টেম। এর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ভাইরাসের প্রভাব থেকে মুক্ত করা, উন্নতমানের সফটওয়্যারের বিনামূল্যে প্রাপ্যতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের জন্য লিনআক্স খুবই জনপ্রিয়। ইন্টারনেটে বেশিরভাগ সার্ভার লিনআক্স অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে চালানো হয়। তাই নিজের কমপিউটারে সার্ভারের আমেজ পেতে ওয়েব ডেভেলপাররা মূলত লিনআক্স ব্যবহার করে থাকেন। লিনআক্সের রয়েছে শত শত সংস্করণ, যার মধ্যে উবুন্টু হচ্ছে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম। বলাবাহুল্য, উবুন্টু ওয়েব ডেভেলপার ছাড়াও সাধারণ ব্যবহারকারীদের কাছে সমান জনপ্রিয়। অপারেটিং সিস্টেমটি www.ubuntu.com সাইট থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করা যায়, অথবা shipit.ubuntu.com-এ গিয়ে আবেদন করলে উবুন্টুর একটি সিডি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আবেদনকারীর ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।



ওয়েবসাইট ব্রাউজার : ফায়ারফক্স

ওয়েবসাইট ডেভেলপারদের কাছে মজিলা ফায়ারফক্স (Firefox) ব্রাউজার প্রথম পছন্দ। দ্রুত এবং নিরাপদ ব্রাউজার হিসেবে ফায়রাফক্স দিনে দিনে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফায়ারফক্সের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ব্যবহারকারীর নিজের ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করা যায়। ফায়ারফক্সের ওয়েবসাইট থেকে Add-ons বা অতিরিক্ত সফটওয়্যার ইনস্টল করে এটিকে একটি শক্তিশালী ওয়েব ডেভেলপমেন্ট টুলে পরিণত করা যায়, যা দিয়ে একটি ওয়েবসাইটে এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্টের বিভিন্ন সমস্যা খুব সহজে এবং সাথে সাথে সমাধান করা যায়। ওয়েব ডেভেলপমেন্টে সাহায্যকারী কয়েকটি উল্লেখযোগ্য Add-ons হচ্ছে Firebug, Web Developer, FireFTP, Console², ColorZilla ইত্যাদি।

কোড এডিটর : জীনি

প্রোগ্রামিংয়ের জন্য জীনি (Geany) হচ্ছে খুবই ছোট এবং হালকা একটি আইডিই (IDE) বা কোড এডিটর। এটি খুব দ্রুত কাজ করে, ফলে যে কোনো গতির কমপিউটারে জীনিকে সহজেই চালানো যায়। এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সিনট্যাক্স হাইলাইটিং অর্থাৎ কোডকে বিভিন্ন রঙের ফন্টে দেখার ব্যবস্থা, কোড ফোল্ডিং বা বড় কোডকে সংক্ষিপ্ত আকারে দেখা, অটো কমপ্লিশন বা বিভিন্ন ভেরিয়েবল স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেখা, কোডকে কম্পাইল এবং এক্সিকিউট করার ব্যবস্থা, সাধারণ প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। www.geany.org সাইট থেকে লিনআক্স এবং উইন্ডোজ উভয় প্লাটফরমের জন্য জীনি ডাউনলোড করা যায়।

এফটিপি ক্লায়েন্ট : ফাইলজিলা

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পর তা সার্ভারে আপলোড করতে প্রয়োজন একটি এফটিপি (FTP) ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার। নেটে অনেক ধরনের এফটিপি ক্লায়েন্ট পাওয়া যায়, যার মধ্য ফাইলজিলা (Filezilla) নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার সফটওয়্যার। এর ইন্টারফেস বা বাহ্যিক চেহারা বেশ সহজ-সরল এবং উন্নতমানের। ফাইলজিলার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি সার্ভারের সাথে একসাথে সর্বোচ্চ ১০টি সংযোগ স্থাপন করতে পারে, ফলে ফাইল আদান-প্রদান হয় দ্রুতগতিতে। উইন্ডোজ, ম্যাক ও লিনআক্সের চালু হতে সক্ষম এই সফটওয়্যারটি পাওয়া যাবে www.filezilla-project.org সাইট থেকে। উবুন্টু ব্যবহারকারীরা সাইন্যাপটিক প্যাকেজ ম্যানেজার সফটওয়্যার থেকে সরাসরি এটি ইনস্টল করতে পারবেন।

সাবভার্সন ক্লায়েন্ট : রেপিড এসভিএন

সাবভার্সন (Subversion) হচ্ছে একটি জনপ্রিয় ভার্সন কন্ট্রোল সিস্টেম। একই প্রজেক্টে যখন একাধিক প্রোগ্রামার কাজ করেন, তখন সাবভার্সন ব্যবহার করে কাজ করাটা অপরিহার্য হয়ে ওঠে। এই পদ্ধতিতে মূল প্রজেক্টটি একটি সার্ভারে জমা থাকে। কাজ শুরু করতে প্রত্যেক প্রোগ্রামার সার্ভার থেকে প্রজেক্টের একটি কপি নিজের কমপিউটারে নিয়ে আসে এবং কাজ শেষ হলে তা সার্ভারে জমা দেয়। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে একজনের কোড দিয়ে অন্য আরেকজনের কোড প্রতিস্থাপন হবার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। প্রয়োজনবোধে পূর্ববর্তী যেকোনো ভার্সনের কোডকে ফেরত পাওয়া যায়। এই সাবভার্সনকে গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেসের মাধ্যমে ব্যবহার করতে একটি চমৎকার ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার হচ্ছে রেপিডএসভিএন (RapidSVN)। নতুনদের জন্য এটি একদিকে যেরকম সহজ ইন্টারফেস প্রদান করে, অন্যদিকে অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীদের সাবভার্সনের সব ফিচার ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। www.rapidsvn.org সাইট থেকে সব অপারেটিং সিস্টেমের জন্য রেপিডএসভিএন ডাউনলোড করা যায়।

ডিফ ও মার্জ : মেল্ড

মেল্ড (Meld) হচ্ছে একটি ভিজ্যুয়াল ডিফ ও মার্জ (Diff & Merge) সফটওয়্যার। অর্থাৎ এই সফটওয়্যার দিয়ে দুটি একই ধরনের ফাইলের পার্থক্যগুলো দেখা যায় এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা যায়। এটিকে রেপিডএসভিএন সফটওয়্যারের সাথেও সংযুক্ত করা যায়। একই ফাইলকে দুইজন প্রোগ্রামার পরিবর্তন করলে এই সফটওয়্যারটি খুব সহজেই প্রত্যেকের কোডকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে দেয়। এই পদ্ধতিতে সাবভার্সনের কনফ্লিক্টকে সহজেই সমাধান করা যায়।
ভার্চুয়াল মেশিন : ভার্চুয়ালবক্স

লিনআক্স অপারেটিং সিস্টেমে যারা কাজ করেন তাদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক একটি সফটওয়্যার হচ্ছে ভার্চুয়ালবক্স (VirtualBox) নামের এই ভার্চুয়াল মেশিন সফটওয়্যারটি। এর মাধ্যমে যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমকে লিনআক্সের মধ্যেই চালানো যায়। প্রায় সময় দেখা যায়, একই ওয়েবসাইটকে ভিন্ন ভিন্ন ব্রাউজার ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রদর্শন করে। তাই ওয়েবসাইট তৈরি করার পর তা সব জনপ্রিয় ব্রাউজারে দেখে নেয়া অত্যন্ত জরুরি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফায়ারফক্স কোনো রকমের ঝামেলা ছাড়াই একটি ওয়েবসাইটকে প্রদর্শন করে। কিন্তু ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে সিএসএস ও জাভাস্ক্রিপ্টের কোডকে সঠিকভাবে প্রদর্শন করতে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার যেহেতু লিনআক্সে চালু হয় না, তাই ভার্চুয়ালবক্সের মাধ্যমে উইন্ডোজ ইনস্টল করে তাতে ওয়েবসাইট পরীক্ষা করে দেখা যায়।

ইমেজ এডিটর : গিম্প

আমাদের দেশে ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার বলতে সবাই ফটোশপকেই বোঝেন। অথচ ফটোশপের বিকল্প অত্যন্ত শক্তিশালী সফটওয়্যার হচ্ছে গিম্প (Gimp)। এটি উবুন্টু লিনআক্সের সাথে ইনস্টল করা সফটওয়্যার হিসেবে পাওয়া যায়। উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা www.gimp.org সাইট থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন। একটি আধুনিক ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যারে যেসব ফিচার থাকা প্রয়োজন তার সবই গিম্পে রয়েছে। ইন্টারনেটে গিম্পের অসংখ্য টিউটরিয়াল রয়েছে, যা দিয়ে একজন নতুন ব্যবহারকারী সহজেই শিখতে পারবেন।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : zakaria.cse@gmail.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস