• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > যেভাবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজের প্রতিষ্ঠানের তথ্য পৌঁছে দেবেন সারাবিশ্বে
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: আরিফুল হাসান অপু
মোট লেখা:৫
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ওয়েবসাইট
তথ্যসূত্র:
ইন্টারনেট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
যেভাবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজের প্রতিষ্ঠানের তথ্য পৌঁছে দেবেন সারাবিশ্বে

আপনি যে ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইটটি করতে চান সে ধরনের প্রোডাক্ট/সার্ভিস দিয়ে গুগল অথবা ইয়াহু সার্চ দিতে পারেন। এখান থেকে অনেক ওয়েবসাইটের লিঙ্কে ক্লিক করলে ওয়েবগুলো খুলবে এবং এর বিস্তারিত তথ্য দেখতে পারেন, প্রয়োজনীয় অংশগুলো নোট নিয়ে রাখতে পারেন। আর যদি ইন্টারনেট অথবা ওয়েবসাইট চালনায় পারদর্শী না হয়ে থাকেন, তবে এসব বিষয় বুঝে এমন কাউর কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া উচিত। সার্চ ইঞ্জিন থেকে বের করে আনা ওয়েবের তথ্যগুলো কিভাবে বিন্যাস করে সেটি দেখে নোট রাখলে ভালো হয়। আর ওই সাইটের ডিজাইন, কালার কম্বিনেশন যদি পছন্দ হয়ে যায়, তবে ডোমেইন নামটি লিখে রাখা উচিৎ, যা পরে কাজে লাগবে। এরপর ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালো জানেন এমন কাউকে তথ্যগুলো বিন্যাস করার দায়িত্ব দিতে হবে এবং ওয়েবসাইটের তথ্যের জন্য ভালো একজন লেখককে কনটেন্ট রাইটারের দায়িত্ব দিতে হবে।



ওয়েবের ভাষা কী হবে : প্রোডাক্ট, সার্ভিস ও গ্রাহকের কথা বিবেচনা করে ওয়েবের ভাষা নির্ধারণ করা প্রয়োজন, যদি প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বাঙালিদের জন্য হয় তবে বাংলাভাষায় করলে ভালো হয়। আর যদি সারাবিশ্বের সবার জন্য হয় তবে ইংরেজিতে করলে ভালো। এক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি দুটো ভার্সনেও ওয়েবসাইটটি করতে পারেন। Google Translator-এর মাধ্যমে ইংরেজি থেকে বিশ্বের প্রায় ৩২টি ভাষায় ওয়েবসাইটটি অনুবাদ করে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে তাদের লিঙ্ক ব্যবহার করলেই চলবে। এর জন্য আলাদা কোনো ফি দিতে হয় না।

ডোমেইন নেম নির্বাচন :

মনে রাখতে হবে একটি ডোমেইন নেমও একটি কোম্পানির জন্য ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করতে পারে। তাই ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশনের আগে ভালোভাবে চেক করে নেয়া উচিৎ। ডোমেইন নির্বাচনে সবসময় কম ক্যারেক্টরযুক্ত নাম কিনলে ভালো হয় এবং বড় নাম ও হাইফেন (-) যতটা সম্ভব পরিহার করা ভালো।

হোস্টিং/সার্ভার :

হোস্টিং কেনার আগে দেখতে হবে আপনি যে ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে চাচ্ছেন এবং যিনি তৈরি করে দেবেন তিনি কোন ল্যাঙ্গুয়েজে কাজ করেন। বর্তমানে লিনআক্স ও উইন্ডোজ সার্ভারে বেশি হোস্টিং করা হয়। লিনআক্স সার্ভারের চাহিদা বাংলাদেশে একটু বেশি। তাই সার্ভারে জায়গা কেনার আগে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

ওয়েবসাইটটির ডিজাইন কেমন হবে :

ডিজাইন নির্ভর করে প্রোডাক্ট, সার্ভিস ও প্রতিষ্ঠানের ওপর ভিত্তি করে। তবে ওয়েবসাইটে যতটা সম্ভব কম ছবি ব্যবহার করা ভালো। কারণ, ছবি অথবা অ্যানিমেশন ওয়েবসাইটের লোডিংটাইম বাড়িয়ে দেয়, ভিজিটরের ভোগান্তি বাড়ে, বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্পিডের কথা চিন্তা করলে ওয়েবসাইটটি হতে হবে যতটা সম্ভব কম ছবিনির্ভর।

ওয়েবের বিভিন্ন বাটনের তথ্যাবলী সংযুক্ত করার আগে ভালো করে চেক করে নিতে হবে এই তথ্য কোথাও থেকে কপি করা কি না। কারণ অন্যের তথ্য নকল করে নিজের ওয়েবসাইটে দিলে পরে দুই ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে :

০১. কপিরাইট আইন,
০২. Google, Yahoo সার্চ সমস্যা।

ওয়েবসাইটটির প্রচার ও প্রসারে করণীয়:

বিভিন্ন উপায়ে ওয়েবসাইটের প্রসার হয়, তার কিছু তথ্য নিচে দেয়া হলো-

গুগল সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে :
বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে পাওয়ারফুল তথ্য খোঁজার জায়গা হচ্ছে এই ওয়েবসাইটটি। এই সাইটটিতে আপনার কোম্পানির যেকোনো প্রোডাক্ট/সার্ভিসের তথ্য লিখলেই নিমিষেই আপনার তথ্যসহ আরো অনেক তথ্য চোখের সামনে ভেসে উঠবে। সেখান থেকে ভোক্তা তার প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করবেন। তবে গুগল সার্চে তথ্য পেতে হলে বেশ কিছু কাজ করে নিতে হবে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন :
এই সিস্টেমে ওয়েবসাইটে দেয়া বিভিন্ন তথ্যের প্রধান প্রধান অংশ (KEYWORD) দিয়ে প্রোগ্রামিং করে নিতে হয়। এছাড়াও আরো অনেকভাবে তথ্যগুলোকে সার্চ ইঞ্জিনে আনা যায়। এজন্য এ বিষয়ে অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে সার্চ ইঞ্জিন অপট (SEO) করে নেয়া উচিত।

ফ্রিলিস্টিং :
বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সাথে লিঙ্ক এক্সচেঞ্জ করে ওয়েবসাইটের প্রসার ঘটানো যায়।

অ্যাড এক্সচেঞ্জ :
আপনার ডোমেইন নেম অথবা ওয়েবসাইট নিয়ে তৈরি করা যেকোনো অ্যাড অন্যের ওয়েবসাইটে দেয়া এবং তাদের অ্যাড আপনার ওয়েবসাইটে দিয়ে দুজনের ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়াতে পারেন।

এছাড়াও বিভিন্নভাবে ওয়েবসাইটের প্রসার ঘটানো সম্ভব। যেমন- ই-মেইল মার্কেটিং, ব্লগ লিফলেট, বিজ্ঞাপনসহ অনেকভাবে।

ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন, ওয়েব হোস্টিং ও ওয়েব ডিজাইনের জন্য কোম্পানি বেছে নিবেন কিভাবে-

* কোম্পানি বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানির পূর্বের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ভালো করে যাচাই করতে হবে। ওই কোম্পানির তৈরি করা বিভিন্ন ওয়েবসাইট দেখে ধারণা নিতে পারেন, কাজের মান কেমন।

* সার্ভিস/সাপোর্টের জন্য আলাদা টিম আছে কি না।

* কাজ শেষে গ্রাহকসেবা বা সহায়তা কেমন দেয়, এ জন্য ওই কোম্পানি থেকে সহায়তা নিচ্ছেন- এ ধরনের কাউর সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

* ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনের পর কন্ট্রোল প্যানেলের প্রয়োজনীয় আইডি পাসওয়ার্ড জেনে নিন এবং লগইন করে দেখুন নিচের অপশনগুলো এডিট করা যায় কি না-

০১. রেজিস্ট্রার মডিফিকেশন।
০২. DNS মডিফাই।
০৩. Domain Secret/EPP Code বদল করা যায় কি না।
০৪. ডোমেইন লক/আনলক করা যায় কি না।

* যতদিন এর জন্য ডোমেইন ও হোস্টিং রেজিস্ট্রেশন করবেন তার যাবতীয় কাগজপত্র বুঝে নিন।

* যতটা সম্ভব স্ট্যাবল কোম্পানি থেকে এই ধরনের সার্ভিস নেয়া উচিৎ।

সব বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা কম থাকলে ওয়েব বিষয়ে অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে সব তথ্য জেনে নেয়া যেতে পারে। আমাদের দেশের তৈরি করা অনেক ওয়েবসাইটই দেখা যায় শুধু ডোমেইন নামসর্বস্ব, বিভিন্ন লিঙ্কে ক্লিক করলে দেখা যায় বিস্তারিত কোনো তথ্য নেই। অথবা লেখা থাকে ‘UNDER CONSTRUCTION’। এটি একটি ওয়েবসাইটের প্রসারে বড় বাধা। তাই কাজ শুরু করার আগে ভালোভাবে চিন্তা করে এবং সময় নিয়ে কাজটি করা উচিত। যারা ওয়েবসাইটটি ডিজাইন করবেন (ওয়েবমাস্টার) তাদের এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে, যেহেতু অনেক গ্রাহকই ওয়েবের টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারে না। তাই তাদের উচিত গ্রাহকদের সাথে এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করা এবং ভালো-মন্দ সব ব্যাপারে স্পষ্ট করে বলা। সবকিছু আলোচনার পর খরচের বিষয় নিয়েও স্পষ্ট অ্যাগ্রিমেন্ট করতে হবে, যেখানে প্রজেক্ট শেষ করার ‘টাইম’ উল্লেখ থাকবে। প্রায়ই দেখা যায় ওয়েব ডিজাইন কোম্পানি ও গ্রাহকের মধ্যে পেমেন্ট নিয়ে ঝামেলা হয়। এ ধরনের বিড়ম্বনা এড়াতে দুই পক্ষকেই সচেতন থাকতে হবে।

মনে রাখবেন, একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই আপনার কোম্পানি/প্রতিষ্ঠানের তথ্য সারাবিশ্বের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে শুধু উল্লিখিত পয়েন্টগুলোর ওপর নজর দিলে তবেই আপনি কাঙ্ক্ষিত ফল পাবেন।

ওয়েবসাইটকে জনপ্রিয় করার জন্য গুগল সার্চ ইঞ্জিনসহ বিস্তারিত তথ্য আগামী পর্বে দেয়া হবে।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : info@ahopu.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
পাঠকের মন্তব্য
২৭ আগস্ট ২০১০, ৫:০৮ AM
২৭ আগস্ট ২০১০, ৫:০৮ AM
২৮ আগস্ট ২০১০, ৯:০৮ AM
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় আছি।
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস