লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
মোহাম্মদ ইশতিয়াক জাহান
ইমেইল:rony446@yahoo.com:
মোট লেখা:৮৮
লেখা সম্পর্কিত
ইস্ট-টেক ইরেজার ২০০৯
ভাইরাস বা স্পাইওয়্যার থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রধান উপায় হচ্ছে অ্যান্টিভাইরাস ও অ্যান্টিস্পাইওয়্যার ব্যবহার করা। ভাইরাস ছাড়াও কমপিউটারের ব্যক্তিগত তথ্য বা ফাইল নিরাপদ রাখার প্রয়োজন হয়। কমপিউটার অন্য কেউ ব্যবহার করে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো দেখে ফেলতে পারে বা আপনার ওপর মনিটর করতে পারে। এ ধরনের কাজ যেনো কেউ করতে না পারে, তাই ইন্টারনেটের হিস্ট্রি ফাইল মুছে ফেলা উচিত। কেননা, হিস্ট্রি দেখে বা ডাটা রিকোভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করে যেকেউ আপনার এই ফাইলগুলো দেখে ফেলতে পারে। এসব সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়ে এবারের সংখ্যায় East-Tec Eraser সফটওয়্যার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আইডেন্টি ও প্রাইভেসিকে রক্ষা করা
অনেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, ফলে কমপিউটারে ইন্টারনেট ব্রাউজিং হিস্ট্রি, ওয়েব পেজ, ছবি, কুকি ফাইলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে হার্ডডিস্কে জমা হতে থাকে। এসব হিস্ট্রি ফাইলগুলো আপনার প্রাইভেসিকে অন্যের কাছে তুলে ধরতে পারে। ইস্ট-টেক ইরেজার ২০০৯ ব্যবহার করলে আপনার কমপিউটারের ইন্টারনেট হিস্ট্রি, ওয়েব পেজ, ছবি ইত্যাদি মুছে দেবে এবং আপনার কমপিউটারের কুকি, চ্যাট রুমের চ্যাটিং ও অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় ফাইল, যেমন- টেম্পোরারি ফাইল, উইন্ডোজ সোয়াপ ফাইল, রিসাইকেল বিনের ফাইল পুরোপুরি কমপিউটার থেকে মুছে দেবে। ফলে অন্য কেউ আপনার কমপিউটার ব্যবহার করলে এ ফাইলগুলো কমপিউটারে দেখতে পাবে না।
ফাইল মুছে দেয়া
সাধারণত আমরা যেসব ফাইল মুছে থাকি, তা সম্পূর্ণরূপে কমপিউটার থেকে মুছে যায় না। ফলে যেকোনো রিকোভারি সফটওয়্যার দিয়ে এসব ফাইল বের করে আনা সম্ভব। কিন্তু ইস্ট-টেক ইরেজার ২০০৯ ব্যবহার করলে আপনার কমপিউটার থেকে ডিলিট করা ফাইলগুলোকে পুরোপুরি মুছে দেবে। তাই ফাইল মোছার আগে নিশ্চিত হয়ে নেবেন যে ফাইলটি ভবিষ্যতে দরকার হবে কি না।
পছন্দের ব্রাউজারকে ক্লিন রাখা
ইস্ট-টেক ইরেজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, মজিলা ফায়ারফক্স, নেটস্কেপ নেভিগেটর, এমএসএন এক্সপ্লোরার, অপেরা ইত্যাদি সাপোর্ট করে। এটি ব্রাউজার থেকে হিস্ট্রি ফাইল, টেম্পোরারি ফাইল, কুকি ইত্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ব্রাউজারকে পরিষ্কার রাখে।
পছন্দের প্রোগ্রামকে ক্লিন রাখা
মেসেঞ্জারসমূহ (যেমন-ইয়াহু মেসেঞ্জার, এমএসএন মেসেঞ্জার, গুগলটক), ই-মেইল ক্লায়েন্ট হিসেবে মজিলা থান্ডারবার্ড, আউটলুক, ইউডোরা বা অন্যান্য সফটওয়্যার, যেমন- উইনঅ্যাম্প, গুগল টুলবার, রিয়েল প্লেয়ার, অফিসগুলোর সাথে ইস্ট-টেক ইরেজার ২০০৯ খুব সহজেই কাজ করে।
সিস্টেম পারফরমেন্স বাড়ানো
কমপিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার করার ফলে কমপিউটারে অনেক অপ্রয়োজনীয় টেম্পোরারি ফাইল জমা হয়। ফলে ডিস্ক স্পেস এবং কমপিউটারের পারফরমেন্সও কমতে থাকবে। এটি অপ্রয়োজনীয় টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করে কমপিউটারের স্পেস খালি করবে, যা কমপিউটারের স্পিড বাড়াতে সাহায্য করবে।
স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা
ইস্ট-টেক ইরেজার ২০০৯ সফটওয়্যারে সিডিউলভিত্তিক সময় সেট করে দিতে পারেন। এর ফলে কিছু সময় পরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই সফটওয়্যারটি কাজ করে থাকবে।
অন্যান্য ফিচার
ইস্ট-টেক ইরেজার সফটওয়্যারের ম্যানুয়ালসহ আর কী কী সুবিধা রয়েছে, তা দেখে নিন। এই সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট হচ্ছে, তাই ফিচার পরিবর্তন হতে পারে যেকোনো সময়।
ইনস্টলেশন ও ব্যবহার
৮.৫ মেগাবাইটের এই সফটওয়্যারটি http://rony-blog.co.nr লিঙ্ক থেকে নিয়ে কমপিউটারে ডাউনলোড করুন। অন্যান্য সফটওয়্যারের মতো এটি কমপিউটারে ইনস্টল করে চালু করুন।
ইস্ট-টেক ইরেজার চালু করলে বাম পাশে চারটি অপশন দেখতে পাবেন, যেমন- Privacy Guard, Erase Deleted Data, Add Files & Folders, Erase Files & Folders.
প্রাইভেসি গার্ড
কমপিউটার ও ইন্টারনেটের প্রাইভেসি রক্ষা করার জন্য এই অপশন। এতে দু’রকম সেটিং রয়েছে। বেসিক ও অ্যাডভান্সড। বেসিক সেটিংয়ে আগে থেকে কিছু কনফিগার করা থাকে। ফলে এখানে ক্লিক করলে অ্যাডভান্সড সেটিংয়ের মাধ্যমে পছন্দের সেটিং ঠিক করে দিতে পারবেন।
ইরেজ ডিলেটেড ডাটা
যেসব ড্রাইভ থেকে ডাটা বা ফাইল ডিলিট করেছেন, তা যেনো অন্য কেউ রিকোভার করতে না পারে সেজন্যই এই অপশন। ড্রাইভের ওপর এই অপশনটি ব্যবহার করলে ড্রাইভ থেকে যেসব ফাইল ডিলিট করেছিলেন, তা কমপিউটার থেকে পুরোপুরি মুছে যাবে।
অ্যাড ফাইলস অ্যান্ড ফোল্ডার
ফিক্সড কিছু ফাইল বা ফোল্ডারকে ডিলিট করার জন্য রয়েছে এই অপশন। যেসব ফাইল ডিলিট করতে চাচ্ছেন, সেগুলোকে এই অপশনের Add Files & Folder-এ ক্লিক করে লিস্টে যুক্ত করুন।
ইরেজ ফাইলস অ্যান্ড ফোল্ডারস
উপরের Add Files & Folder অপশনের লিস্টে যেসব ফাইল বা ফোল্ডার যুক্ত করা হয়েছিল, সেগুলো ডিলিট করার জন্য এই অপশন। এতে ক্লিক করলে জানতে চাইবে, ফাইল লিস্টকে ডিলিট করতে চাচ্ছেন কি? যদি Continue বাটনে ক্লিক করলে লিস্টের সব ফাইল ডিলিট হবে।
অন্যান্য অপশন
সফটওয়্যারের টপ মেনুতে আরো বেশ কিছু অপশন রয়েছে। পছন্দ অনুযায়ী অপশনগুলো সিলেক্ট করে প্রাইভেসিকে আরো সুরক্ষিত করতে পারেন। এই সফটওয়্যারটি ১৫ দিন ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন। এর পরে আপনাকে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করার জন্য লাইসেন্স কী ব্যবহার করতে হবে।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : rony446@yahoo.com