• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > মোশন সেন্সর গেমিং
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:৫৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
থ্রীডি ম্যাক্স
তথ্যসূত্র:
উদ্ভাবন
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
মোশন সেন্সর গেমিং



এ বছরের কমপিউটার জগৎ-এর সেপ্টেম্বর সংখ্যায় মাইক্রোসফটের গেমিং ও হোম এন্টারটেইনমেন্টের জন্য বানানো অভাবনীয় প্রযুক্তিপণ্য এক্সবক্স ৩৬০-প্রজেক্ট নাটাল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই মাইক্রোসফট এক্সবক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান সনি এন্টারটেইনমেন্ট ও নিটেন্ডে প্রায় একই ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে, যাতে এক্সবক্সের সাথে পাল্লা দিতে পারে নতুন প্রযুক্তির এই গেম ও হোম এন্টারটেইনমেন্টের ভুবনে। তাই আজকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে সনি এন্টারটেইনমেন্টের মোশন সেন্সর প্লে-স্টেশন ও নিটেন্ডোর উইই মোশন প্লাস নিয়ে।



মোশন সেন্সর প্লে-স্টেশন

প্লে-স্টেশন মোশন কন্ট্রোলার হচ্ছে প্লে-স্টেশনের নতুন প্রযুক্তিপণ্য। এটি মূলত একটি মোশন সেন্সিং গেম কন্ট্রোলার (চিত্র-১) এবং এটি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের গেম খেলা যাবে। তবে এটি দিয়ে গেম খেলতে চাইলে সাথে প্লে-স্টেশন আই কিনে নিতে হবে। প্লে-স্টেশন আই (চিত্র-২) অনেকটা ওয়েবক্যামের মতো একটি ডিভাইস, যা মোশন কন্ট্রোলারের বিভিন্ন ত্রিমাত্রিক অবস্থান শনাক্ত করতে পারে এবং এর অভ্যন্তরে থাকা সেন্সরের কল্যাণে মোশন কন্ট্রোলারের যাবতীয় মুভমেন্ট বা সামান্যতম নড়াচড়া প্লে-স্টেশন আই-এ ধরা পড়বে এবং ডিসপ্লেতে সেই মুভমেন্ট প্রদর্শিত হবে। প্লে-স্টেশন মোশন কন্ট্রোলার মূলত একটি ছোট আকারে দন্ডের মতো যার মাথায় গোলাকার একটি বল থাকে। এই গোলাকার বলটি আরজিবি কালার মডেল ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে, ফলে এটি বিভিন্ন রং পরিবর্তন করে আলো বিচ্ছুরণ করতে পারবে। এই আলোর উৎস হচ্ছে গোলাকার বলটির ভেতরে থাকা লাইট ইমিটিং ডায়োড (এলইডি)। বলটির নির্দিষ্ট গোলাকার আকৃতি ও বিভিন্ন আলোর জন্য এটি প্লে-স্টেশন আই কন্ট্রোলের ত্রিমাত্রিক অবস্থান ও নড়াচড়া শনাক্ত করতে পারবে। কন্ট্রোলটিতে ব্লু-টুথ ২.০ ওয়্যারলেস রেডিও ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে কন্ট্রোলের বিভিন্ন বাটন চাপলে তা প্লে-স্টেশন আই ট্র্যাক করতে পারবে এবং এটি গেম খেলার সময় প্রয়োজনীয় মুহূর্তে ভাইব্রেট করতেও সক্ষম। এছাড়া কন্ট্রোলটিকে সচল রাখার জন্য রিচার্জেবল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে।



প্লে-স্টেশন মোশন কন্ট্রোলার সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে E3 2009 অনুষ্ঠানে। E3 2009 হচ্ছে Electronic Entertainment Expo 2009-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। একধরনের বার্ষিক ট্রেড শো, যেখানে বিভিন্ন গেম কোম্পানির এমডি ও চেয়ারপারসনরা তাদের নতুন গেম ইঞ্জিন, নতুন বের হওয়া গেম, গেম ডেভেলপিং টুল, বিভিন্ন গেমিং প্লাটফর্মের নানান সামগ্রী, গেমিং সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণনা দিয়ে থাকেন। এবারের ইথ্রি ২০০৯ ট্রেড শো’তে বিশ্বের নামীদামী প্রায় সব প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়, তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে- মাইক্রোসফট, সনি, ডিজনি, কোনামি, ক্যাপকম, ওয়ারনার ব্রাদারস, ইউবিসফট, অ্যাক্টিভেশন, ২কে গেমস, কোডমাস্টার, ইডিয়স, ইলেক্ট্রনিক আর্টস, লুকাস আর্ট, সেগা, প্যারাডক্স, এসএনকে প্লেমোর, টিএক্সকিউ ইত্যাদি।

সনির অন্যতম জনপ্রিয় গেমিং কনসোল প্লে-স্টেশন থ্রি প্লাটফর্মে দেখানো হয়েছে এজেন্ট, ফাইনাল ফ্যান্টাসি ১৪, দ্য লাস্ট গার্ডিয়ান, মোড ন্যাশন রেসারস, গড অব ওয়্যার ৩, আনচার্টিড থিভস ইত্যাদি সব আকর্ষণীয় গেম। এছাড়া এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছে প্লে-স্টেশন মোশন কন্ট্রোলার।

প্লে-স্টেশন আই ও ডিসপ্লে চালু থাকা অবস্থায় মোশন কন্ট্রোলারকে সেন্সরের রেঞ্জের মধ্যে রেখে অনেক কিছু করা সম্ভব। যদিও গেমার বাইরে শুধু কন্ট্রোল নিয়ে সব নিয়ন্ত্রণ করবে, কিন্তু ডিসপ্লের ভেতরে সেই কন্ট্রোল নানা রূপে ব্যবহার করা যাবে। যেমন- গেমের ভেতরের প্লেয়ারের হাতে ধরা পিস্তলকে বাইরে থেকে কন্ট্রোল দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যেদিকে খুশি নিশানা ও গুলি করা যাবে। এছাড়া কন্ট্রোলারকে বেসবল ব্যাট, টেনিসের র্যা কেট, চাবুক, স্টার ওয়ারস মুভির মতো আলোর তলোয়ার, টর্চলাইট ইত্যাদি হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। একে পেন্সিলের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে, এক্ষেত্রে বাইরে থেকে কন্ট্রোলারকে পেন্সিল হিসেবে কল্পনা করে শূন্যে যা ইচ্ছে ‍আঁকাআঁকি করলে ডিসপ্লেতে থাকা কাগজে সেই ‍আঁকাআঁকি ফুটে উঠবে (চিত্র-৩), এমনকি ‍আকাঁর সময় পেন্সিলের রং পরিবর্তন করে নেয়া যাবে, সে ক্ষেত্রে বাটন চেপে কন্ট্রোলের মাথার গোলাকার বলটির রং পরিবর্তন করে নিলেই হবে।



ই-থ্রি কনফারেন্সে দেখানো ডেমোতে মোশন কন্ট্রোলারের যে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোটোটাইপ ভার্সনটি দেখানো হয়েছে সেই মোতাবেক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গেম খেলার জন্য দুটো মোশন কন্ট্রোলার প্রয়োজন পড়বে। কেননা গেমে যদি ঢাল ও তলোয়ারসহ কোনো গেমিং ক্যারেক্টার থাকে তাহলে তার তলোয়ার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি কন্ট্রোল ও বিপরীত পক্ষের আঘাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে চাইলে ঢালের ব্যবহার করার জন্যও আরেকটি কন্ট্রোলের প্রয়োজন পড়বে। চিত্র-৪-এ দেখা যাচ্ছে একটি গেমিং ক্যারেক্টারের হাতে তলোয়ার আর ইনসেটে দেখা যাচ্ছে গেমারের মোশন কন্ট্রোলার ধরা হাত। এই পরিস্থিতিতে গেমার যেভাবে তার কন্ট্রোলকে নাড়াবে গেমের ভেতরের ক্যারেক্টারও ঠিক সেভাবে তার তলোয়ার নাড়াবে। এছাড়া যখন গেমের ক্যারেক্টার হবে তীরন্দাজ, তখনও গেমারকে দুটো কন্ট্রোল ব্যবহার করতে হবে। একটি কাজ করবে ধনুকের ও আরেকটি করবে তীরের কাজ। চিত্র-৫-এ দেখা যাচ্ছে গেমার দুটো কন্ট্রোল হাতে তীর ছোড়ার ভঙ্গি করছে। যখন গেম খেলার জন্য দুটো কন্ট্রোলের প্রয়োজন পড়বে তখন গেমারকে আরো একটি বাড়তি কন্ট্রোল কিনতে হবে, যাতে করে খরচের পরিমাণ যাবে বেড়ে। দুটি কন্ট্রোল ব্যবহার না করে একটি কন্ট্রোল দিয়ে গেম খেলার ব্যাপার নিয়ে সনি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড স্টুডিওর কর্মাধ্যক্ষ শুহেই ইয়োশিডা বলেছেন- যদি দুটো কন্ট্রোল ব্যবহার করে গেম খেলা যায়, তাহলে গেমার তার চারপাশের ত্রিমাত্রিক জগৎকে খুব ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারবে, তবে একটি কন্ট্রোল দিয়ে খেলা যাবে তেমন গেমের সংখ্যাও অনেক হবে, তাই এ নিয়ে তেমন চিন্তার কিছু নেই। এছাড়া তিনি আরো বলেছেন একজন গেমারের পক্ষে একসাথে দুটো কন্ট্রোল কেনা বেশ ব্যয়বহুল হয়ে যাবে, কেননা কন্ট্রোলারের সাথে গেমারকে প্লে-স্টেশন আইও কিনতে হবে যা ছাড়া কন্ট্রোলার অচল, তাই কন্ট্রোলারের দামের ব্যাপারটি কোম্পানি মাথায় রেখেছে এবং বেশিরভাগ গেমই যেনো একটি কন্ট্রোল ব্যবহার করে খেলা যায় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেননা ই-থ্রি কনফারেন্সে প্রযুক্তিটির একটি ডেমো দেখানো হয়েছে মাত্র। এতে আরো অনেক নতুন ফিচার যুক্ত করা হবে এবং সেই সাথে ডিভাইসটির আরো উন্নতি সাধন করা হবে।

প্লে-স্টেশন মোশন কন্ট্রোলারে আমরা সচরাচর যেসব গেম খেলে থাকি সেরকম সব ধরনের গেম খেলা যাবে না। সনি এন্টারটেইনমেন্ট নিজে ও অন্যান্য গেম কোম্পানি ইতোমধ্যেই মোশন কন্ট্রোলারে চলতে সক্ষম এমন অনেক গেম তৈরি করার কাজ শুরু করেছে।



এপ স্কেপ, ইকোক্রোম-২, ইসেন্ট্রিক স্লাইডার, সিং অ্যান্ড ড্র, চ্যাম্পিয়ন্স অব টাইম, মোশন পার্টি, রেসিডেন্ট এভিল-৫ (অল্টারনেটিভ এডিশন), দ্য শূট, টাওয়ার, আন্ডার সিজ, লিটল বিগ প্ল্যানেট, পেইন, ফ্লাওয়ার, আইপেট, হাই ভেলোসিটি বওলিং ইত্যাদি গেম রয়েছে যা সনির মোশন সেন্সর কন্ট্রোলার সমর্থন করে।

উইই রিমোট ও উইই মোশন প্লাস

উইই-এর এই নতুন প্রযুক্তির কন্ট্রোলারের ধারণা দেয়া হয় ২০০৫ সালের ১৬ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ‘টোকিও গেম শো’তে, এবং পরে এই প্রযুক্তির সফল রূপ উইই রিমোট বানানো সফল হলে ২০০৬ সালের ২৭ এপ্রিল ই-থ্রি শো’তে এটির ব্যবহার দেখানো হয়। সেই সালেই নিটেন্ডো উইই রিমোট বাজারজাত করে এবং বিপুল সাড়া পায়। তবে মজার ব্যাপার, হ্যাকাররা উইই রিমোট দিয়ে শুধু কনসোলের গেমই খেলত না, তারা এটি দিয়ে ঘরের অন্যান্য কাজ করার জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার বানিয়ে ফেলে। যার ফলে কমপিউটারে সফটওয়্যারটি ইনস্টল করা থাকলে উইই রিমোটের বিভিন্ন কমান্ড এটি শনাক্ত করতে পারে ও সেই মোতাবেক প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে। উইই রিমোটের সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে উইইমোট। এটি হচ্ছে নিটেন্ডোর উইই কনসোলের প্রাথমিক কন্ট্রোলার। মূলত উইই-এর জন্য বের হওয়া প্রায় সব গেম এটি দিয়েই খেলা হয়। তবে কিছু গেম খেলার জন্য উইইমোটের সাথে আলাদা কিছু কন্ট্রোলার যুক্ত করে নিতে হয়। সেগুলো হচ্ছে নানচাক, ক্ল্যাসিক কন্ট্রোলার, উইই জ্যাপার, উইই হুইল ইত্যাদি। এখন আসা যাক উইইমোটের গঠনগত দিকের আলোচনায়। উইইমোট দেখতে একটি সাধারণ টিভি রিমোটের মতো, তবে সেই তুলনায় বাটনের সংখ্যা কম। এর সাথে একটি ব্যান্ড দেয়া আছে যা হাতে লাগিয়ে নিতে হয়, ফলে রিমোটটি হাত থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। উইই রিমোটের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল মোশন সেন্সিং ক্যাপাবিলিটি। রিমোটে পাওয়ার সাপ্লাই হিসেবে দুটো AA সাইজের ব্যাটারি সংযুক্ত করতে হয়। যদি এটিতে শুধু অ্যাসেলেরোমিটার টেকনোলজি অন রাখা হয় তাহলে ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে প্রায় ৬০ ঘণ্টা, আর যদি অ্যাসেলেরোমিটার ও পিক্স-আর্ট অপটিক্যাল সেন্সর টেকনোলজি উভয়ই একই সাথে ব্যবহার করা হয় তাহলে ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে ২৫ ঘণ্টা হয়ে যাবে। এতে ব্যাটারি লাইফ নির্দেশক চারটি আলাদা রঙের LED লাইট রয়েছে। রিমোটের মোশন ক্যাপচার করার জন্য রয়েছে পাতলা একটি সেন্সর বার চিত্র-৭। সেন্সর বারটি লম্বায় প্রায় ২০ সেন্টিমিটার এবং এতে ১০টি Infrared LED রয়েছে। সেন্সর বারের সেন্সিং ক্ষমতা খুব বেশি নয়- কারণ, সেন্সর বার সর্বোচ্চ ৫ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত রিমোটকে ট্র্যাক করতে পারে। এই যোগাযোগ রক্ষা হয় ব্লুটুথপ্রযুক্তির মাধ্যমে। এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ADXL330 অ্যাসেলেরোমিটার টেকনোলজি, যার ফলে রিমোটের বিভিন্ন ত্রিমাত্রিক অবস্থান সেন্সর বারে ধরা পড়ে এবং পর্দায় সেই অবস্থান প্রদর্শিত হয়। এছাড়া এতে আরেকটি টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে যার নাম পিক্স-আর্ট অপটিক্যাল সেন্সর টেকনোলজি এবং এর ফলে রিমোট কোন পয়েন্ট নির্দেশ করছে তা সেন্সর বারে ধরা পড়ে ও রিমোটের বিভিন্ন বাটন চাপা হলে তাও সেন্সর বুঝতে পারে। রিমোট দিয়ে যেকোনো কমান্ড দিলে তা সেন্সরের মাধ্যমে প্রসেস হয়ে পর্দায় দেখা যায়।



এখন আসা যাক, উইই মোশন প্লাসের আলোচনায়। মোশন প্লাস আলাদা কোনো পূর্ণাঙ্গ কন্ট্রোলার বা ডিভাইস নয়, এটি মূলত একটি ছোট বাড়তি অংশ যা উইইমোটের নিচের দিকে সংযুক্ত করে দিলে উইইমোটের ক্ষমতা অনেকগুণ বেড়ে যায়, ফলে উইই কনসোলে উইইমোটের সাহায্যে আরো অনেক বেশি গেম খেলা সম্ভব। মোশন প্লাসসহ উইইমোটের ব্যবহার ও এটি সাপোর্ট করে এমন অনেক গেম ই-থ্রি ২০০৯ শো’তে দেখানো হয়েছে। ২০০৯ সালের জুন মাসেই এই কনসোল নিটেন্ডো বাজারজাত করা শুরু করে। এটি দিয়ে খেলা যায় সেই রকম গেমের সংখ্যা নেহাম কম নয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু গেম হচ্ছে- Tiger Woods PGA Tour 10 নামের গলফ স্পোর্টস গেম, Wii Sports Resort নামের গেম প্যাক যেখানে অনেক স্পোর্টস গেম- যেমন, বাস্কেটবল, তীরন্দাজি, ফ্রিসবি, টেবিল টেনিস, টেনিস, ভলিবল, সার্ফিং, সোর্ড ফাইট, স্কাই ডাইভিং ইত্যাদি দেয়া আছে। এছাড়া Red Steel 2 নামের সোর্ড ফাইট গেম, Academy of Champions নামের ফুটবল গেম, Gladiator A.D. নামের অ্যাকশন কিলিং গেম, EA Sports Grand Slam Tennis ও Virtual Tennis 2009 ইত্যাদি মজাদার গেম মোশন প্লাস কন্ট্রোলার দিয়ে খেলা যাবে।

ই-থ্রি কনফারেন্সে দেখানো উইই মোশন প্লাসের কিছু ব্যবহারের আলোচনায় আসা যাক। অনুষ্ঠানটিতে এটি দিয়ে অনেক গেম খেলে দেখানো হয়েছে এবং এর নানাবিধ ব্যবহার হাতে কলমে শেখানো হয়েছে। উইই মোশন প্লাস সহ উইইমোট হাতে নিয়ে ডিসপ্লের বাইরে থেকেই ডিসপ্লের ভেতরের গেমিং ক্যারেক্টারকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যেমন এটি দিয়ে কেউ টেবিল টেনিস খেলতে চাইছে তাহলে গেম চালু করে উইইমোট হাতে নিয়ে ডিসপ্লের সামনে দাড়িয়ে হাতের উইইমোটকে যেভাবে নাড়ানো হবে ঠিক সেই ভাবেই গেমের ভেতরের ক্যারেক্টার তার নিজের টেবিল টেনিসের ব্যাট নাড়াবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল, উচ্চতা ও আঘাতের জোর সবই সঠিকভাবে ধরা পড়বে সেন্সর বারে। ঠিক একইভাবে গলফ ও টেনিস খেলার জন্যও একইভাবে শুধু বাইরের থেকে উইইমোট দিয়েই গেম খেলা যাবে। এছাড়া বাস্কেট বল খেলার সময় উইইমোট হাতে ধরে কল্পনা করতে হবে হাতে সত্যিকারে বাস্কেটবল ধরা আছে এবং সেই আনুযায়ী বলকে ছুড়ে নেটে পাঠাতে কতটুকু জোর দেয়া প্রয়োজন তা নির্ধারণ করে উইইমোট ধরা হাতটিকে ঠিক ততটুকু গতিতে নাড়ালে গেমের ক্যারেক্টার সেই অনুযায়ী বল থ্রো করবে।

মাইক্রোসফটের প্রজেক্ট নাটালের সাথে বিবেচনা করলে দেখা যায়, সনির মোশন সেন্সর প্লে-স্টেশন ও নিটেন্ডোর উইই মোশন প্লাস অভাবনীয় নতুন কোনো প্রযুক্তি নয়। কারণ, এ দুটোই আগের প্রযুক্তির কিছুটা পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করে তৈরি করা হয়েছে।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : shmt_15@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস