• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > হাউক্স ২
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - নভেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
হাউক্স ২

টম ক্ল্যান্সির নামের সাথে জুড়ে ২০০৯ সালে বের হওয়া হাউক্স (H.A.W.X) সিরিজের প্রথম গেমের ব্যাপক সাফল্যের পরে সেপ্টেম্বরে অবমুক্ত করা হয়েছে দ্বিতীয় পর্ব। তবে পিসি গেমারদের জন্য দুঃখের বিষয় হচ্ছে তা শুধু এক্সবক্স ও প্লে-স্টেশনের জন্য বের হয়েছে। নিরাশ হবার কোনো কারণ নেই, কেননা নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই গেমটির উইন্ডোজ ভার্সন বাজারে এসে পড়বে। আর্কেড-স্টাইল ফ্লাইট অ্যাকশন গেমটি ডেভেলপ করেছে ইউবিসফট রোমানিয়া এবং গেমটি যথারীতি পাবলিশ করেছে নামকরা গেম নির্মাতা ও পাবলিশার কোম্পানি ইউবিসফট।



H.A.W.X নামটি হচ্ছে High Altitude Warfare eXperimental squadron-র সংক্ষিপ্ত রূপ। প্রথম গেমটি যারা খেলেছেন তাদের কাছে গেমটির গেমপ্লে সম্পর্কে নতুন করে কিছু না বললেই চলে। তবে যারা এ ধাঁচের গেম খেলেননি তাদের জন্য গেমটি দেবে নতুন এক অভিজ্ঞতা। নানা রকমের গাড়ি চালিয়ে অনেক ধরনের গেম খেলে থাকবেন অনেকে, কিন্তু ফাইটার প্লেনে করে যুদ্ধ করতে কেমন লাগে তার স্বাদ উপভোগ করেছেন কি কখনো? যদি এমনি এক রোমহর্ষক গেম খেলে অভিজ্ঞতার ঝুলি কিছুটা ভারি করতে চান তবে গেমটি খেলে দেখতে পারেন। টম ক্ল্যান্সি সিরিজের অন্য গেমগুলোর মধ্যে রয়েছে- রেইনবো সিক্স, ঘোস্ট রেকন, স্প্লিন্টার সেল ও ইন্ডওয়ার। টম ক্ল্যান্সি সিরিজের গেম যারা খেলেছেন তারা জানেন এসব গেমের গেমপ্লে কতটা অপূর্ব, তাই হাউক্স নামের গেমটির ব্যাপারে নিশ্চিন্তে বলা যায় এটি সবার বেশ ভালো লাগবে। আগের গেমটির শুরুর সময়কাল ছিল ২০১৪ থেকে ২০২০ পর্যন্ত। গেমের কাহিনী পূর্বের গেমের কাহিনীর সাথে মিল রেখেই বানানো হয়েছে। এখানে গেমারকে হাউক্স স্কোয়াড্রনের একজন দক্ষ পাইলট হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে অভিযান চালাতে হবে। এছাড়া রাশিয়া ও ব্রিটেনেও বিভিন্ন মিশনে অংশ নিতে হবে। গেমারের সাথে সহযোগী হিসেবে আরো কয়েকটি ফাইটার প্লেন থাকবে, যারা আগ বাড়িয়ে আক্রমণ করতে ও গেমারকে সুরক্ষা প্রদান করবে। গেমার অনেকগুলো বিমান নিয়ে বিভিন্ন মিশন খেলতে পারবেন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- AC-130, A-10 Thunderbolt II, F-16 Fighting Falcon, F-22 Raptor, F-35 Lightning II এবং Su-37 Terminato। এই বিমানগুলোর বৈশিষ্ট্য এক নয়, তাই কোনো মিশনে যাওয়ার আগে মিশনের বর্ণনা পড়ে কোন বিমান সেই মিশনের জন্য উপযুক্ত সেই বিমান নিয়ে গেম খেলা শুরু করতে হবে। গেমটির গেমপ্লে আগের গেমের মতোই রাখা হয়েছে। তবে নতুনত্বের মধ্যে রয়েছে টেক অফ ও ল্যান্ডিং করার ব্যাপারটি, যা আগের গেমে ছিল না। আগের গেমে আকাশে উড়ন্ত অবস্থাতেই মিশন শুরু হতো এবং মিশন শেষ হওয়ার পর উড়ন্ত অবস্থাতেই গেম শেষ হতো। গেমের গ্রাফিক্স আগের তুলনায় অনেক উন্নত করা হয়েছে। এছাড়া গেমে রাত এবং দিনে আলাদা মিশন রয়েছে। রাতের মিশনগুলোর বেশিরভাগই হচ্ছে গুপ্ত হামলা। গেমে একই স্থানের দিনের বেলার গ্রাফিক্স ও রাতের বেলার গ্রাফিক্স বেশ আকর্ষণীয় এবং বাস্তবসম্মত। গেমে কো-অপারেটিভ মোডে চারজন গেমার একসাথে গেমটি খেলতে পারবেন এবং মাল্টিপ্লেয়ার মোডে মোট আটজন একসাথে গেমটি খেলতে পারবেন।

গেমটি খেলার জন্য পেন্টিয়াম ডুয়াল কোর বা কোর টু ডুয়ো ২.২ গিগাহার্টজ বা এএমডি অথলন এক্স-২ ৩৬০০+ সমমানের প্রসেসর, ২৫৬ মেগাবাইট ভিডিও মেমরিযুক্ত ডিরেক্ট এক্স ১০ ও পিক্সেল শ্রেডার ৩.০ সমর্থিত গ্রাফিক্স কার্ড, ১ গিগাবাইট র্যাাম এবং হার্ডডিস্কে প্রায় ৯ গিগাবাইট ফাঁকা জায়গার প্রয়োজন পড়বে।
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস