কমপিউটার জগৎ ট্রাবলশূটার টিম
কমপিউটার ব্যবহারকারীদের নিত্যনতুন সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু আমাদের এই নতুন বিভাগ ‘পিসির ঝুটঝামেলা’তে পিসির হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক, ভাইরাসজনিত সমস্যা, ভিডিও গেম সম্পর্কিত সমস্যা, পিসি কেনার ব্যাপারে পরামর্শ ইত্যাদিসহ যাবতীয় সব ধরনের কমপিউটারের সমস্যার সমাধান দেয়া হবে। আপনাদের সমস্যাগুলো আমাদের এই বিভাগের মেইল অ্যাড্রেসে (jhutjhamela@comjagat.com) বা কমপিউটার জগৎ, কক্ষ নম্বর-১১, বিসিএস কমপিউটার সিটি, রোকেয়া সরণি, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭ ঠিকানায় চিঠি লিখে জানান প্রতিমাসের ২০ তারিখের মধ্যে। উলে¬খ্য, মেইলের মাধ্যমে পাঠানো সমস্যার সমাধান যত দ্রুত সম্ভব মেইলের মাধ্যমেই জানিয়ে দেয়া হবে এবং সেখান থেকে বাছাই করা কিছু সমস্যা ও তার সমাধান প্রেরকের নাম- ঠিকানাসহ ম্যাগাজিনের এই বিভাগে ছাপানো হবে। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সমস্যা পাঠানোর সময় পিসির কনফিগারেশন, অপারেটিং সিস্টেম, পিসিতে ব্যবহার হওয়া অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম, পিসি কতদিন আগে কেনা এবং পিসির ওয়ারেন্টি এখনো আছে কি না- এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উলে¬খ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন ডুয়াল কোর ১.৮ গিগাহার্টজ প্রসেসর, আসুস পি৫জিসি-এমএক্স মাদারবোর্ড, ১ গিগাবাইট র্যাাম, ৮০ গিগাবাইট সাটা হার্ডডিস্ক ও ৯৫০০জিটি ১ গিগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড। আমার পিসির প্রথম সমস্যা- দুটি হার্ডডিস্ক লাগালে মাস্টার ও স্লেভ আলাদা করার পরও পিসি হার্ডডিস্ক শনাক্ত করে না এবং হার্ডডিস্কে মৃদু ক্লিক জাতীয় শব্দ শোনা যায়। দ্বিতীয় সমস্যা- একটি হার্ডডিস্কে পিসি ঠিকমতো রান করলেও মাঝে মাঝে পাওয়ার বাটন ঠিক মতো চাপার পরেও পিসি ২-৫ বার রান করার চেষ্টা করে পাওয়ার অফ হয়ে যায়। তৃতীয় সমস্যা- র্যা ম ও গ্রাফিক্স কার্ড সঠিকভাবে লাগানো থাকা সত্ত্বেও মনিটর মাঝে মাঝে ব্লাঙ্ক দেখায়। চতুর্থ সমস্যা- সিপিইউ টেম্পারেচার সবসময় ৪০-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। আমার ধারণা পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা। এ ব্যাপারে আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমার উপকারে আসবে।
-আহমেদ সিফাত, ঢাকা।
সমাধান :
আপনার ধারণা ঠিক। সমস্যা আপনার পিসির পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের জন্যেই হচ্ছে। কারণ আপনার গ্রাফিক্স কার্ড বেশ ভালো পাওয়ার নষ্ট করে। এ কারণে আপনি যখন আরেকটি হার্ডডিস্ক ব্যবহার করতে যান তখন সেটির জন্য পর্যাপ্ত পাওয়ার সাপ্লাই থাকে না। তাই ভালো হয়, আপনার ক্যাসিংয়ের সাথে থাকা সাধারণ মানের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটটি বদলিয়ে ভালো ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কিনে নিন। আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী আপনার জন্য ৪৫০-৫০০ ওয়াট ক্ষমতার পাওয়ার সাপ্লাই ভালো হবে। বর্তমান বাজার অনুযায়ী ৩৫০০ থেকে ৪৫০০ টাকার মধ্যে ভালোমানের পাওয়ার সাপ্লাই কিনতে পারবেন। পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা হলে পিসির দারুণ ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, তাই অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব নতুন পাওয়ার সাপ্লাই কিনে নেয়া ভালো।
সমস্যা : আমি কিভাবে প্রিন্টারের কালির স্থায়িত্বতা বাড়াতে পারি? প্রিন্টারের মেকানিক্যাল ও টেকনিক্যাল ড্যামেজ এড়ানোর উপায় কি? কোন ব্র্যান্ডের প্রিন্টার কালার ও ফটো প্রিন্টিংয়ের জন্য ভালো? মাল্টিফাংশনাল প্রিন্টারগুলো কি সিঙ্গেল ফাংশনাল প্রিন্টারের মতো ভালো কাজ করতে পারে? দয়া করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন।
-রাকিব হাসান আকাশ
সমাধান :
অরিজিনাল কালি বা আসল কার্ট্রিজের কালি নকল কালির চেয়ে অনেক বেশি প্রিন্ট দিতে পারে। তাই আসল কালি কেনার চেষ্টা করুন এতে বেশি প্রিন্ট করতে পারবেন। এছাড়া সাধারণ প্রিন্ট করার সময় স্ট্যান্ডার্ড বা হাই কোয়ালিটি মোডের বদলে ইকোনমি, ড্রাফট বা ফাস্ট মোড ব্যবহার করলে বেশ কিছুটা কালি বাঁচানো যায়। নিয়মিত প্রিন্টারের রক্ষণাবেক্ষণ করলে প্রিন্টারের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। প্রিন্টার সবসময় ঢেকে রাখতে হবে যাতে ধুলোবালি না ঢুকে। একেবারে অনেকদিন ধরে প্রিন্ট না করে ফেলে রাখা যাবে না। সপ্তাহে অন্তত একবার প্রিন্ট করা উচিত। মাসে একবার প্রিন্টারের মেইনটেনেন্স অপশনে গিয়ে ক্লিনিং, প্রিন্ট হেড অ্যালাইনমেন্ট, নজেল চেক, বটম প্লেট ক্লিনিং, রোলার ক্লিনিং ইত্যাদি অপশন ব্যবহার করে দেখা ভালো। কোন ব্র্যান্ডের প্রিন্টারের কালির দাম কম এবং সহজলভ্য তা বিবেচনা করে প্রিন্টার কিনতে হবে। তাই কোন ব্র্যান্ড কিনবেন তা নিজেকেই ঠিক করতে হবে। কোনো ব্র্যান্ডের প্রিন্টারই খারাপ নয়। তাদের মাঝে পারফরমেন্সের দিক থেকে কিছুটা উনিশ-বিশ হতে পারে, তবে সেটি হোম ইউজারদের জন্য তেমন একটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। কালার বা ফটো প্রিন্টার হিসেবে আলাদা কিছু প্রিন্টার রয়েছে। কমদামের মধ্যে ইঙ্কজেট এবং বেশি দামের মধ্যে লেজার প্রিন্টার বাজারে পাওয়া যায়। হোম ইউজারদের জন্য ইঙ্কজেট এবং অফিসে ব্যবহারের জন্য লেজার প্রিন্টার উত্তম। মাল্টিফাংশনাল প্রিন্টার বা অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টারগুলোর ক্ষমতা প্রায় সিঙ্গেল প্রিন্টারের কাছাকাছি, তবে তা তুলনামূলকভাবে বেশি দিন টেকে না। তাই খুব বেশি প্রয়োজন না হলে মাল্টিফাংশনাল প্রিন্টারের দিকে হাত না বাড়ানোই ভালো।
সমস্যা : উইন্ডোজ সেভেনে হিডেন ফাইল দেখার অপশন কিভাবে চালু করা যায়?
-সাফি নোমান
সমাধান :
প্রথমে মাইকমপিউটার বা উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারের সাহায্যে যেকোনো উইন্ডো ওপেন করুন। তারপর উইন্ডোর বামপাশে ওপরের দিক থেকে Organize এ ক্লিক করে সেখান থেকে Folders and Search Options নির্বাচন করলে একটি বক্স উইন্ডো আসবে। সেখানের View ট্যাবে ক্লিক করে Show Hidden Files, Folders and Drives লেখার পাশের রেডিও বাটন চেক করে অ্যাপ্লাই ও ওকে দিন। তাহলেই হিডেন ফাইলগুলো দেখতে পারবেন। ফাইল, ফোল্ডার ও ড্রাইভ আবার হিডেন বা লুকিয়ে রাখতে চাইলে একইভাবে সব প্রক্রিয়া শেষে Don’t : Show Hidden Files, Folders and Drives অপশন নির্বাচন করতে হবে।
সমস্যা :
আমি আমার কমপিউটার আপগ্রেড করবো। আমি শুধু প্রসেসর, মাদারবোর্ড ও র্যারম বদল করবো। আমি কোর আই থ্রি ৩.০৬ গিগাহার্টজের প্রসেসর, গিগাবাইটের এইচ৫৫ চিপসেটের মাদারবোর্ড, টিমের ৪ (২+২) গিগাবাইটের ১৩৩৩ বাস স্পিডের ডিডিআর৩ র্যা ম কিনবো। আমার আলাদা এক্সএফএক্স এনভিডিয়া জিফোর্স ৯৫০০জিটি গ্রাফিক্স কার্ড আছে। এখন আমার প্রশ্ন হলো আমি কি এ কনফিগারেশনে ভালোভাবে গেম খেলতে পারবো? আর গেম খেলার সময় কেমন পারফরমেন্স পাবো? এ কনফিগারেশনের পিসির সাথে সর্বোচ্চ কত আকারের মনিটর ব্যবহার করবো? এ ব্যাপারে জানালে খুব খুশি হবো।
-অর্ণব
সমাধান :
আপনি যে কনফিগারেশনের কথা উল্লেখ করেছেন, তার ভিত্তিতে আপনার পিসি মাঝারি মানের গেমিং পিসি হতে চলেছে। সবাই পিসি কেনার সময় পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের কথা ভুলে যান। আপনার নতুন পিসির জন্য আরো বেশি পাওয়ার সাপ্লাইয়ের দরকার হবে। তাই যদি আপনার আগের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট লোড নিতে না পারে তবে আপনাকে নতুন আরেকটি ভালো ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কিনে নিতে হবে। পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী ৫০০ ওয়াটের পিএসইউ আপনার জন্য উত্তম। নতুন এবং প্রায় সবধরনের গেম আপনার পিসিতে চালানো যাবে ঠিকই কিন্তু হাই ডিটেইলসে চালানো সম্ভব হবে না। মিডিয়াম ডিটেইলসে সব গেম খেলতে পারবেন এবং কোনো গেম একেবারেই চলবে না এমন অবস্থার সম্মুখীন হবার সম্ভাবনা কম। গ্রাফিক্স ড্রাইভার ও ডিরেক্টএক্স ভার্সন আপডেটেড থাকলে গেমের পারফরমেন্স বাড়ানো যায়। আপনার পিসির কনফিগারেশন ভালো, তাই এখনই আর গ্রাফিক্স কার্ড বদলানোর দরকার নেই। পরে যদি প্রয়োজন পড়ে তখন তা আপগ্রেড করে নিতে পারেন, তবে সে লক্ষ্যে আরো ভালোমানের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কিনে রাখা ভালো। আপনার সিস্টেমের সাথে মানানসই হবে ২০-২২ ইঞ্চি ডিসপ্লের মনিটর। যেহেতু আপনি পিসি মূলত গেম খেলার জন্য ব্যবহার করবেন, সেহেতু এলইডি এলসিডি মনিটর কেনাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে যাতে থাকবে ২-৫ মিলিসেকেন্ড রেসপন্স রেট, ১৬০-১৭০ ডিগ্রি ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল, উঁচুমানের রিফ্রেশ রেট, বেশি কন্ট্রাস্ট রেশিওযুক্ত এবং ন্যূনতম ১৬০০×১০০০ রেজ্যুলেশনের ১৬:১০ অনুপাত ডিসপ্লের মনিটর।
সমস্যা :
আমি আমার পিসিতে নিড ফর স্পিড- হট পারস্যুইট গেমটি ইনস্টল করেছি। এখন গেমটি রান করলে শুধু গাড়ি দেখা যায়, গাড়ি চালানোও যায়। কিন্তু পরিবেশ বা রাস্তা দেখা যায় না। আমার সিস্টেম কনফিগারেশন হলো- প্রসেসর : ইন্টেল কর টু ডুয়ো ২.৮ গিগাহার্টজ, র্যা ম : ২ গিগাবাইট, ৩২ বিট অপারেটিং সিস্টেম, গ্রাফিক্স কার্ড : গিগাবাইট জি৪১-ইএস২এল। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমার মাদারবোর্ডে বিল্ট-ইনভাবে কত মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে। পিসিতে দেখায় ১ গিগাবাইট, এটা কি সঠিক? আর গেমটি ঠিকভাবে খেলতে হলে আমাকে এখন কি করতে হবে?
-সুজন জাহিদ
সমাধান :
বিল্ট-ইন ভিডিও কার্ড মেমরি শেয়ার করে ১ গিগাবাইট দেখাতে পারে, তবে তার ক্ষমতা আরো কম। হট পারস্যুইট খেলার জন্য পিক্সেল শেডার ৩.০ যুক্ত গ্রাফিক্স কার্ড লাগবে। আপনার মাদারবোর্ডের বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড পুরোপুরিভাবে পিক্সেল শেডার ৩.০ সাপোর্ট করে না তাই গেমে সমস্যা হচ্ছে। তাই আলাদা গ্রাফিক্স যা পিক্সেল শেডার ৩.০ সাপোর্ট করে তা কেনাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। গ্রাফিক্স কার্ড ড্রাইভার ও ডাইরেক্ট এক্স আপডেট করে দেখতে পারেন, যদি কাজ হয়।
সমস্যা : আমার পিসি কনফিগারেশন হচ্ছে- প্রসেসর : ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ই৬৭৫০, ২.৬৬ গিগাহার্টজ, মাদারবোর্ড : ইন্টেল জি৩৩এফবি, র্যাটম : ২ গিগাবাইট ৮০০ বাস, হার্ডডিস্ক : স্যামসাং ১৬০ গিগাবাইট সাটা, মনিটর : ফিলিপস ১৪ ইঞ্চি সিআরটি। আমি উইন্ডোজ সেভেন আল্টিমেট ৩২ বিট ইনস্টল করেছি। কিন্তু দুই দিন না যেতেই পিসি চালু করার পর হঠাৎ লগ-ইন স্ক্রিন এসে সবকিছু কালো হয়ে যায়। কিন্তু লগ ইন সাউন্ড শোনা যায়। আর মনিটরের পাওয়ার ইন্ডিকেটিং লাইট ব্লিংক করছে। এক্ষেত্রে আমি সেইফ মোডে বুট করে ভিডিও ড্রাইভার আবার ইনস্টল করেছি, তারপরও স্বাভাবিকভাবে বুট করা যাচ্ছে না শুধু কালো স্ক্রিন দেখায় ও সাউন্ড শোনা যায়। এরপর আমি যতবারই নতুন করে উইন্ডোজ ইনস্টল করছি, সব বারই লগ-ইন স্ক্রিনে এসে সব কালো হয়ে যায়।
-আবীর, খুলনা
সমাধান :
এ ধরনের সমস্যা পিসি না দেখে নির্ণয় করা মুশকিল। তবে যতটুকু বোঝা যাচ্ছে পিসিতে আপনি যে উইন্ডোজ ডিস্ক দিয়ে ইনস্টল করেছেন তাতে সমস্যা থাকতে পারে। পিসি বুট করার কোনো প্রয়োজনীয় ফাইল না পাওয়ার কারণে এ ধরনের সমস্যা দেখাতে পারে। ভালোমানের আরেকটি উইন্ডোজ ডিস্ক দিয়ে আবার চেষ্টা করে দেখুন এবং গ্রাফিক্স ড্রাইভার সঠিকভাবে ইনস্টল করে দেখুন। পিসিতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে উইন্ডোজ ইনস্টল করার পর উইন্ডোজ আপডেট অপশন অন করে তা আপডেট হতে দিন। অনেক সময় দেখা যায় ডিস্ক ঠিকই থাকে কিন্তু ডিভিডি রম পুরনো থাকলে উইন্ডোজ ইনস্টলের সময় ফাইল মিসিং সমস্যা দেখা দেয়। তাই ডিস্ক ও ডিভিডি রম চেক করে দেখুন।
সমস্যা : কোর আই থ্রি সাপোর্টের ইন্টেল আর গিগাবাইট ব্র্যান্ডের মাদারবোর্ডের মধ্যে পার্থক্য কি?
-শাহরিয়ার আলম জিসান
সমাধান :
কোয়ালিটির দিক থেকে ব্র্যান্ডভেদে মাদারবোর্ডের তেমন একটা পার্থক্য নেই। দুটি ব্র্যান্ডের মাদারবোর্ডেই কোর আই থ্রির জন্য এইচ৫৫ চিপসেট দেয়া আছে। ইন্টেল তাদের মাদারবোর্ডে বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে ইন্টেলের নিজস্ব গ্রাফিক্স কার্ড চিপসেট ইন্টেল এক্সপ্রেস এবং গিগাবাইট তাদের মাদারবোর্ডে ব্যবহার করে এটিআই চিপসেটের গ্রাফিক্স কার্ড। এছাড়াও তাদের মাঝে কিছু টেকনোলজির পার্থক্য রয়েছে। গেমিং মাদারবোর্ড হিসেবে গিগাবাইটের মাদারবোর্ডে বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা থাকে, যা ইন্টেলের ক্ষেত্রে কম দেখা যায়। মাদারবোর্ডের প্যাকেটের গায়ে লেখা ফিচার দেখে নিজেই বিবেচনা করে নিতে পারবেন কোনটি আপনার জন্য ভালো হবে।
সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন কোর আই থ্রি ২.৯৩ গিগাহার্টজ, ২ গিগাবাইট র্যাাম, বিল্ট-ইন ১ গিগাবাইট মেমরির ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স কার্ড ও ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। আমি কি এ পিসিতে গ্রাফিক্সের কাজ করতে পারবো? উইন্ডোজ সেভেনের কি বাংলা লেখার জন্য বিজয় ব্যবহার করতে পারবো? আমি নিড ফর স্পিড-হট পারস্যুইট গেমটি ইনস্টল করেছি। কিন্তু গেমটি বেশ ধীরগতিতে চলে। আমার বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ডের মেমরি তো বেশ ভালোমানের, তাহলে গেমটি ভালোভাবে চলছে না কেনো? এটি চালাতে আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড কেনার দরকার হবে কি? যদি আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড কিনতেই হয় তবে বিল্ট-ইন ও এক্সট্রা গ্রাফিক্স কার্ড মিলে মেমরির পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে? কোন গ্রাফিক্স কার্ডটি ভালো হবে নতুন গেমগুলো খেলার জন্য? কোন ব্র্যান্ড ও মডেলের গ্রাফিক্স কার্ড কেনাটা ভালো হবে তা জানালে বেশ উপকৃত হবো।
-লিটন, চট্টগ্রাম
সমাধান :
আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী আপনি পিসিতে গ্রাফিক্সের কাজ করতে পারবেন, তবে ভালো পারফরমেন্সের জন্য এক্সট্রা গ্রাফিক্স কার্ড কিনে নিতে পারেন। বিজয় বায়ান্নো উইন্ডো সেভেন সাপোর্ট করে। বাজারে এটি ১০০ টাকার বিনিময়ে কিনতে পারবেন। গ্রাফিক্স কার্ডের পারফরমেন্স গ্রাফিক্স কার্ডের মেমরির ওপরে নির্ভর করে না তা নির্ভর করে ক্লকস্পিড ও চিপসেট মডেলের ওপরে। হট পারসুই্যট গেমটি খেলার জন্য পিক্সেল শেডার ৩.০ সাপোর্টেড ২৫৬ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড লাগে। গেমটি খেলার ন্যূনতম গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে রিকোয়ারমেন্টে দেয়া আছে এটিআই রাডেওন এক্স৭০০ প্রো অথবা এনভিডিয়া জিফোর্স ৭৮০০ জিটিএক্স পিসি আই এক্সপ্রেস গ্রাফিক্স কার্ড।
বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ডগুলো এক্সট্রা গ্রাফিক্স কার্ডের তুলনায় অনেক কম শক্তিশালী। তাই এতে গেম স্লো চলাই স্বাভাবিক। এক্সট্রা গ্রাফিক্স কার্ড স্লটে লাগানোর সাথে সাথে বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড ডিজ্যাবল হয়ে যাবে। তাই তার সাথে মেমরি শেয়ার হবে না। গেম খেলার জন্য ভালোমানের গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে এটিআই রাডেওন ৫০০০ সিরিজের বা এনভিডিয়া জিফোর্সের ২০০/৪০০ সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড কিনতে পারেন। একটি ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে নতুন গ্রাফিক্স কার্ড বেশ বিদ্যুৎ নষ্ট করে, তাই আলাদা ভালো ব্র্যান্ডের ৫০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট আপনার পিসির জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়।
সমস্যা : আমার পিসিতে উইন্ডোজ এক্সপি প্রফেশনাল সার্ভিস প্যাক ২ ইনস্টল করা আছে। আমি গুগল ক্রোম এবং সিক্লিনার ব্যবহার করছি। সিক্লিনারের নতুন ভার্সন ৩.০৩.১৩৬৬ গুগল ক্রোমের ইন্টারনেট ক্যাশ, হিস্টোরি, কুকিস রিমুভ করতে পারছে না। আমি সিক্লিনারের সেটিং চেক করে দেখেছি তাতে কোনো সমস্যা নেই। আমি কিভাবে সিক্লিনারের সাহায্যে গুগল ক্রোমের ইন্টারনেট ক্যাশ, হিস্টোরি, কুকিস রিমুভ করতে পারবো।
-মুনিম সিদ্দিকী
সমাধান :
নতুন সিক্লিনারের ভার্সনটিতে কিছু সমস্যা রয়েছে, তাই তা গুগল ক্রোমের সাথে পুরোপুরি মিলে কাজ করতে পারছে না। সিক্লিনারের আপডেট অপশন থেকে তা আপডেট করে নিন হয়তো এতে আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আর যদি তাও না হয় তবে ম্যানুয়ালি গুগল ক্রোমের ইন্টারনেট ক্যাশ, হিস্টোরি, কুকিস রিমুভ করতে পারেন অথবা www.filehippo.com সাইটটি থেকে সিক্লিনারের (CCleaner) সফটওয়্যারের পুরনো ভার্সন ডাউনলোড করে তা ইনস্টল করে দেখতে পারেন।
সমস্যা : আমি কিভাবে উইন্ডোজ সেভেনের বুটেবল ডিস্ক বানাবো? যেটা থেকে আমি নতুন করে উইন্ডোজ সেভেন ইনস্টল করতে পারি এবং রিপেয়ার করার দরকার হলে সেটিও করতে পারি।
-স্বপ্নাশীষ ভট্টাচার্য, ঢাকা
সমাধান :
যদি আপনার কাছে একটি বুটেবল উইন্ডোজ সেভেনের ডিস্ক থাকে তবে নিরো বা অন্য কোনো বার্নিং টুলের সহায়তায় কপি ডিস্ক অপশন থেকে উইন্ডোজ ডিস্কটি কপি করার পর ব্ল্যাঙ্ক বা ফাঁকা ডিস্ক রমে ঢুকিয়ে রাইট করে নিন। তাহলেই তা বুটেবল হিসেবেই রাইট হবে। ডিস্কের বদলে যদি ইমেজ ফাইল (ইমেজ ফাইলের এক্সটেনশন .iso, .nrg, .cue, .bin, uif ইত্যাদি হতে পারে) হিসেবে কমপিউটারে উইন্ডোজের কোনো ভার্সন থাকে তবে রাইটিং সফটওয়্যারের ইমেজ বা প্রজেক্ট বার্নিং অপশন থেকে উইন্ডোজের ইমেজ ফাইলটি দেখিয়ে দিন এবং তা ব্ল্যাঙ্ক ডিস্কে রাইট করে নিন।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক :