• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পিসির ঝুটঝামেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - জুন
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ট্রিকস ‍এন্ড টিপস
তথ্যসূত্র:
ট্রাবলশুটার টিম
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পিসির ঝুটঝামেলা



কমপিউটার জগৎ ট্রাবলশূটার টিম



কমপিউটার ব্যবহারকারীদের নিত্যনতুন সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু আমাদের এই নতুন বিভাগ ‘পিসির ঝুটঝামেলা’তে পিসির হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক, ভাইরাসজনিত সমস্যা, ভিডিও গেম সম্পর্কিত সমস্যা, পিসি কেনার ব্যাপারে পরামর্শ ইত্যাদিসহ যাবতীয় সব ধরনের কমপিউটারের সমস্যার সমাধান দেয়া হবে। আপনাদের সমস্যাগুলো আমাদের এই বিভাগের মেইল অ্যাড্রেসে (jhutjhamela@comjagat.com) বা কমপিউটার জগৎ, কক্ষ নম্বর-১১, বিসিএস কমপিউটার সিটি, রোকেয়া সরণি, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭ ঠিকানায় চিঠি লিখে জানান প্রতিমাসের ২০ তারিখের মধ্যে। উল্লেখ্য, মেইলের মাধ্যমে পাঠানো সমস্যার সমাধান যত দ্রুত সম্ভব মেইলের মাধ্যমেই জানিয়ে দেয়া হবে এবং সেখান থেকে বাছাই করা কিছু সমস্যা ও তার সমাধান প্রেরকের নাম- ঠিকানাসহ ম্যাগাজিনের এই বিভাগে ছাপানো হবে। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সমস্যা পাঠানোর সময় পিসির কনফিগারেশন, অপারেটিং সিস্টেম, পিসিতে ব্যবহার হওয়া অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম, পিসি কতদিন আগে কেনা এবং পিসির ওয়ারেন্টি এখনো আছে কি না- এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।



সমস্যা : আমি আমার কমপিউটার আপগ্রেড করতে চাই যা ২০০৬ সালের ২৪ জুলাই কিনেছিলাম। কি কি আপগ্রেড করা যাবে তা জানতে চাই। পিসি কনফিগারেশন- প্রসেসর : ইন্টেল পেন্টিয়াম ৪, ২.৬৬ গিগাহার্টজ, মাদারবোর্ড : গিগাবাইট GA-8I915MD-GV+Intel 915GV/ICH6 (mATX, LGA 775 Socket), অপারেটিং সিস্টেম : উইন্ডোজ এক্সপি প্রফেশনাল, মনিটর : ১৭ ইঞ্চি সিআরটি মনিটর, র্যা ম : ১ গিগাবাইট ডিডিআর২। প্রসেসর ও মাদারবোর্ড ছাড়া অন্যান্য যন্ত্রাংশ আপগ্রেড করতে চাই। আমি মাদারবোর্ড লে-আউট, মাদারবোর্ড ডায়াগ্রাম এবং ফিচার সামারির স্ক্যান করা ছবি এমএস ওয়ার্ড ফাইলে করে আপনাদের সুচিন্তিত মতামতের জন্য পাঠিয়ে দিলাম। দয়া করে উল্লিখিত সব প্রশ্নের উত্তর দিলে বাধিত হব।

-মাহফুজ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা

সমাধান :
আপনার প্রশ্নগুলো নিচে সাজিয়ে তার উত্তর দেয়া হলো।

প্রশ্ন-১ : আমি ২ গিগাবাইট ডিডিআর২ র্যা ম কিনব। মাদারবোর্ডে ২ গিগাবাইট পর্যন্ত সাপোর্ট করে এবং ২টি র্যাদম স্লট আছে। আমি কি ২ গিগাবাইটের ১টি কিনব, নাকি ১ গিগাবাইটের ২টি কিনব? র্যািম কোনটি কিনব, তা কীভাবে নির্ধারণ করব? কোন কোম্পানি ভালো এবং এর দাম কত?

উত্তর-১ :
মাদারবোর্ডের মডেল অনুযায়ী র্যা:ম স্লট ২টির প্রত্যেকটি ২ গিগাবাইট র্যাোম সাপোর্ট করতে সক্ষম। তাই মোট ৪ গিগাবাইট র্যাসম ব্যবহার করতে পারবেন। ভবিষ্যতে যদি র্যাটম আপগ্রেড করে ৪ গিগাবাইট করার ইচ্ছে থাকে, তবে ১ স্লটে ২ গিগাবাইট লাগাতে পারেন, পরে আরেক স্লটে আরেকটি ২ গিগাবাইট র্যাাম লাগিয়ে নিতে পারেন। তবে ৪ গিগাবাইট র্যা,মের পারফরমেন্স পেতে হলে আপনাকে এক্সপির বদলে উইন্ডোজ ভিসতা বা সেভেন ৩২ বিটের বদলে ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে। পরে আপগ্রেডের চিন্তা না থাকলে না থাকলে ১ গিগাবাইট করে ২টি র্যাতম মডিউল কিনুন। আপনার মাদারবোর্ড ডুয়াল চ্যানেল র্যা ম সাপোর্ট করে, তাই ২ স্লটে ২টি র্যাকম লাগালে পারফরমেন্স ভালো পাবেন। র্যাটম স্লট ১২০০ মেগাহার্টজ বাস স্পিড পর্যন্ত সাপোর্ট করতে পারে। কিন্তু এত হাই বাস স্পিডের র্যানম কার্যকর করার জন্য প্রসেসরের ফ্রন্ট সাইড বাস (এফএসবি) স্পিড ৮০০ মেগাহার্টজ হতে হবে। আপনার পেন্টিয়াম ৪, ২.৬ গিগাহার্টজ প্রসেসরের বাস স্পিড ৫৩৩ মেগাহার্টজ। ১২০০ মেগাহার্টজের র্যায়ম ব্যবহার করে পারফরমেন্স আরো বাড়াতে চাইলে প্রসেসর আপগ্রেড করতে হবে এবং সেই সাথে প্রসেসরের ক্লকস্পিড বাড়িয়ে নিতে হবে (ওভারক্লক)। কিন্তু তা বেশ ঝামেলার কাজ। তাই আমাদের পরামর্শ হচ্ছে ৮০০ মেগাহার্টজ বা ১০৬৬ মেগাহার্টজ বাস স্পিডের র্যাাম কিনুন। বাজারে ৮০০ মেগাহার্টজের র্যানম সহজেই পাওয়া যাবে, কিন্তু ১০৬৬ মেগাহার্টজের র্যারম নাও পেতে পারেন। বাজারে বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের র্যা ম পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে- এ-ডাটা, ট্রানজেন্ট, সিলিকন পাওয়ার, টুইনমোস, অ্যাপাসার টিম ইত্যাদি। আমাদের দেশে যেসব র্যা ম পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই চীনে তৈরি, তাই তাদের গুণগত মানে তেমন একটা পার্থক্য নেই। কেনার সময় বিক্রেতার কাছে জিজ্ঞাসা করে নিলেই হবে কোনটি বাজারে বেশি চলছে। ১ গিগাবাইট মেমরির র্যা মের দাম ১২০০ টাকা থেকে শুরু এবং ২ গিগাবাইট মেমরির র্যা মের দাম ২২০০-৩৫০০ টাকার মধ্যে।

প্রশ্ন-২ : আমি ১ অথবা ২ টেরাবাইট সাটা হার্ডডিস্ক কিনব। উপরের কনফিগারেশনে ১ অথবা ২ টেরাবাইট সাটা হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা যাবে কি না? কোন কোম্পানি ভালো এবং এর দাম কত?

উত্তর-২ :
১ টেরাবাইট সাপোর্ট করবে, তবে ২ টেরাবাইট সাপোর্ট করবে কি না সঠিক বলা যাচ্ছে না। গিগাবাইট GA-8I915MD-GV মাদারবোর্ডে ২টি সাটা স্লট রয়েছে। যত বড় হার্ডডিস্ক হবে তা নিয়ন্ত্রণ করা তত মুশকিল হবে, যেমন- ভাইরাস স্ক্যান, ডিফ্র্যাগমেন্ট, ডাটা সার্চ ইত্যাদি। তাই প্রয়োজনের অধিক ক্ষমতার হার্ডডিস্ক ব্যবহার না করাই ভালো। আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক আদর্শ। প্রয়োজন বেশি হলে ১ টেরাবাইট ব্যবহার করতে পারেন। মাদারবোর্ড যেহেতু তাই তা সাপোর্ট নাও করতে পারে। তাই কেনার আগে বিক্রেতার কাছ থেকে জেনে নিন আপনার মাদারবোর্ডের মডেলে তা সাপোর্ট করবে কি না। বাজারের হার্ডডিস্কের ব্র্যান্ডগুলো হচ্ছে-ওয়েস্টার্ন, ডিজিটাল, হিটাচি, স্যামসাং, ম্যাক্সটর সিগেট ইত্যাদি। ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্কের দাম ৩২০০-৩৩০০ টাকা, ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্কের দাম ৪৯০০-৫০০০ টাকা ও ২ টেরাবাইট হার্ডডিস্কের বর্তমান দাম ৮৫০০-৯০০০ টাকা। ওয়েস্টার্ন ডিজিটালের ১ টেরাবাইট ক্যাভিয়ার ব্ল্যাক নামের হার্ডডিস্কটিতে ৬৪ মেগাবাইট ক্যাশ মেমরি রয়েছে। তাই তা অনেক ভালোমানের হার্ডডিস্ক, কিন্তু এর দাম কিছুটা বেশি, প্রায় ৯০০০ টাকার মতো। এ দামে ২ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক কিনতে পারবেন কিন্তু পারফরমেন্সের কথা বিবেচনা করলে এটি কেনাই ভালো। বাকিগুলোর মতো এ হার্ডডিস্কের আরপিএম (রোটেশন পার মিনিট) হচ্ছে ৭২০০।

প্রশ্ন-৩ : উইন্ডোজ ৭ উপরের আপগ্রেড কনফিগারেশনে চালানো সম্ভব কি না? ৩২ বিট এবং ৬৪ বিটের মধ্যে কোনটি উপরের আপগ্রেড কনফিগারেশনে চালানো সম্ভব? ১ বা ২ টেরাবাইট হার্ডডিস্কের পার্টিশন কি পরিমাণে ভাগ করা হবে? বড় হার্ডডিস্কের ব্যবহারের ফলে উইন্ডোজ ৭ বা এক্সপিতে কোনো সমস্যা হয় কি না?

উত্তর-৩ :
১ গিগাহার্টজ গতির প্রসেসর (সিঙ্গেল কোর) এবং ১ গিগাবাইট মেমরির র্যা ম হলেই উইন্ডোজ সেভেন চালানো যায়। উইন্ডোজ সেভেন ৫১২ মেগাবাইট র্যাামেও চলে, তবে পারফরমেন্স ভালো পাওয়া যায় না। ৪ গিগাবাইটের ওপরে র্যা ম সাপোর্ট করার জন্য ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা উচিত। সাধারণ ব্যবহারকারীদের ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এখনো সব সফটওয়্যার ৬৪ বিট সাপোর্টে বানানো হয়নি। বেশি ধারণক্ষমতার হার্ডডিস্কের ফলে উইন্ডডোজে তেমন কোনো সমস্যা দেখা দেবে না। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী হার্ডডিস্ক পার্টিশন করতে পারেন। কিন্তু একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে, যত বেশি পার্টিশন হবে তত বেশি জায়গা নষ্ট হবে, কারণ প্রতি পার্টিশনের জন্য প্রায় ৫০০ মেগাবাইটের মতো জায়গা নষ্ট হয় (পার্টিশন ফরমেটের ধরন অনুযায়ী পরিমাণ কমবেশি হতে পারে)।

প্রশ্ন-৪ : সাটা ডিভিডি রাইটার কিনব। সাটা ডিভিডি রাইটার পাওয়া যায় কি না এবং কোথায়? কোন কোম্পানি ভালো এবং এর দাম কত?

উত্তর-৪ :
সাটা ডিভিডি রাইটার এখন বাজারে বেশ সহজলভ্য। সব দোকানেই তা দেখতে পাবেন। ডিভিডি রাইটারে পরিচিত ব্র্যান্ডগুলো হচ্ছে আসুস, লাইটান, বেনকিউ, স্যামসাং, এইচপি ইত্যাদি। ২৪এক্স গতির রাইটার বাজারে বিদ্যমান, তাই খরচ একটু বেশি হলেও কেনার চেষ্টা করুন। সব ব্র্যান্ডই ভালো বলা চলে। ডিভিডি রাইটারের মূল্য ১৪০০-১৮০০ টাকার মধ্যে।

প্রশ্ন-৫ : গ্রাফিক্স কার্ড কিনব, যাতে ভারি গেম খেলা যায়। আমার মাদারবোর্ড এবং উপরের আপগ্রেড কনফিগারেশনের সাথে মিল রেখে কোন ধরনের এবং কত শক্তিশালী গ্রাফিক্স কার্ড কিনব? কোন কোম্পানি ভালো এবং এর দাম কত ?

উত্তর-৫ :
আপনার মাদারবোর্ডের পিসিআই এক্সপ্রেস স্লটটির ভার্সন ১.০, তাই উঁচুমানের পিসিআই এক্সপ্রেস ২.০ সাপোর্টেড গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করে লাভ হবে না। নতুন গেমগুলো খেলার জন্য এটিআই রাডেওন এইচডি ৫৬৭০ সিরিজ অথবা এনভিডিয়া জিফোর্স ২১০ বা ৮৬০০ সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড কিনতে পারেন। গ্রাফিক্স কার্ডের বেলায় খেয়াল করুন কোনটির ক্লকস্পিড বেশি, মেমরি টাইপ কোনটি (জিডিডিআর২, জিডিডিআর৩ নাকি জিডিডিআর৫), কোনটি পিক্সেল শেডার ৪.০ সাপোর্ট করে এবং কোনটি ডিরেক্টএক্স ১১ সাপোর্ট করে। ভালোমানের গ্রাফিক্স কার্ড ৫০০০-৭০০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। আরেকটি ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে, গ্রাফিক্স কার্ডের প্যাকেটের গায়ে কত ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই চাওয়া হয়েছে তা দেখতে হবে। যদি ৩০০ ওয়াটের বেশি চাওয়া হয় তবে আপনার পিসির পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট বদলাতে হবে। কারণ সাধারণ পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের (পিএসইউ) গায়ে যত লেখা থাকে আসলে তত আউটপুট পাওয়া যায় না। তাই ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই কিনতে হবে যা ন্যূনতম ক্ষমতা ৪৫০-৫০০ ওয়াট। গ্রাফিক্স কার্ডের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্সএফএস, স্যাফায়ার, আসুস, গিগাবাইট, এমএসআই ইত্যাদি। কেউ কারো চেয়ে কম নয়, তাই বেশি ফিচারযুক্ত এবং পছন্দমতো মডেলের গ্রাফিক্স কার্ড বেছে নিন।

প্রশ্ন-৬ : পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কিনব, যাতে উপরের কনফিগারেশনে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। কত ওয়াট পিএসইউ কিনতে হবে? কোন ডিভাইস কি পরিমাণ কারেন্ট টানবে? অধিক পাওয়ারের পিএসইউ কিনলে আইপিএসের ব্যাকআপ কমে যায় কি না? কোন কোম্পানি ভালো এবং এর দাম কত?

উত্তর-৬ :
আগের প্রশ্নের উত্তরেই উল্লেখ করা হয়েছে আপনার নতুন পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী ৫০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই কিনতে হবে। কোম্পানি, মডেল ও ক্ষমতার ভিত্তিতে একেক যন্ত্রাংশ একেক রকম বিদ্যুৎ খরচ করে থাকে। এখানে একটি গড় হিসাব দেয়া হলো- প্রসেসর : ৮০-১৪০ ওয়াট, মাদারবোর্ড : ৫০-১৫০ ওয়াট, র্যাাম : ১৫ ওয়াট পার গিগাবাইট, হার্ডডিস্ক : ১৫-৩০ ওয়াট, পিসিআই এক্সপ্রেস গ্রাফিক্স কার্ড : ১০০-৫০০ ওয়াট, ল্যান কার্ড/টিভি কার্ড/সাউন্ড কার্ড : ৫-১৫ ওয়াট, অপটিক্যাল ড্রাইভ : ২০-৩০ ওয়াট এবং ক্যাসিং কুলিং ফ্যান : ৩-৫ ওয়াট। মনিটরের ক্ষেত্রে পাওয়ার সাপ্লাই রিকোয়ারমেন্টের বেশ তারতম্য দেখা যায়। সিআরটি মনিটরের তুলনায় এলসিডি মনিটরগুলো অনেক বেশি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী। মনিটরের পাওয়ার ক্যাবল ক্যাসিংয়ের সাথে যুক্ত না করে সিপিইউর সাথে যুক্ত করা উচিত, তা না হলে ক্যাসিংয়ের পিএসইউতে বেশি চাপ পড়বে এবং তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। বেশি ওয়াটের পিএসইউ হলে ইউপিএসের ব্যাকআপ কমার সাথে সাথে বিদ্যুৎ বিলও বাড়বে কিছুটা। থার্মালটেক, আসুস, ভিশন, ডিলাক্স ইত্যাদি ব্র্যান্ডের পিএসইউ বাজারে পাওয়া যায় ৩৪০০-৫০০০ টাকার মধ্যে।

প্রশ্ন-৭ : আমার মাদারবোর্ডে কোন ধরনের এবং কতটুকু ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রাফিক্স কার্ড বিল্টইন আছে, তা কিভাবে বুঝব ? মাদারবোর্ডের কনফিগারেশন কিভাবে দেখা যায়?

উত্তর-৭ :
গিগাবাইট GA-8I915MD-GV মডেলের মাদারবোর্ডে VGA 915 Express Chipset-এর আওতায় Graphics Media Accelerator 900 (Intel® GMA 900) মডেলের বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড দেয়া আছে। গ্রাফিক্স কার্ডের ক্ষমতা বেশ কম যা নতুন গেমগুলোর উপযোগী নয়। পিসির হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন দেখার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে ডেস্কটপে বা যেকোনো স্থানে একটি নতুন টেক্সটপ্যাড খোলা এবং খালি রেখেই তা info.nfo নামে সেভ করা। info-এর স্থানে অন্য কিছু লিখলেও কোনো সমস্যা নেই, তবে ফাইলের ফরমেট অবশ্যই .nfo হতে হবে। ফাইলটি নির্দিষ্ট ফরমেটে সেভ করা মাত্রই তা নীল স্ক্রিনযুক্ত একটি মনিটরের আইকনে পরিণত হবে। এরপর তাতে ডবল ক্লিক করলেই কমপিউটারের যাবতীয় তথ্য দেবে। আরো ভালোভাবে পিসির যন্ত্রাংশের বর্ণনা দেখতে চাইলে CPU-Z নামের সফটওয়্যারটি www.cpuid.com সাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন বিনামূল্যে।

প্রশ্ন-৮ : আমি ট্রান্সসেন্ড জেএফ ৩০ পেনড্রাইভ ব্যবহার করি, যা ৪ গিগাবাইট। এটি ৩/৪ বছর আগে কেনা এবং উইন্ডোজ এক্সপি সাপোর্ট করে। আমি এটি উইন্ডোজ ৭-এর সাথে চালাতে পারব কি না?

উত্তর-৮ :
Transcend JF v30 মডেলের পেনড্রাইভ উইন্ডোজ ৭ সাপোর্ট করে, তাই এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকুন।

প্রশ্ন-৯ : ইন্টারনাল ডায়ালআপ মডেম কিনব, যাতে ইন্টারনেট, ফোন এবং ফ্যাক্স ব্যবহার করা যায়। কোন কোম্পানি ভালো এবং এর দাম কত?

উত্তর-৯ :
বাজারে ফ্যাক্স ও মডেমের বেশ কয়েকটি মডেল রয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে টিপি-লিঙ্ক, প্রোলিঙ্ক, টিএম, ডি-লিঙ্ক,টিভি ইত্যাদি। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কেউই খারাপ পণ্য বিক্রি করে না। তাই যেকোনো মডেলের মডেম কিনতে পারেন দামের কথা মাথায় রেখে। বাড়তি সুবিধা ও ক্ষমতার ভিত্তিতে এগুলোর দাম ৪৫০-২৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

প্রশ্ন-১০ : ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল টিভি কার্ডের মধ্যে পার্থক্য কি? আমি ইন্টারনাল টিভি কার্ড কিনব। ডিশ লাইন ছাড়া ইন্টারনাল টিভি কার্ডের মাধ্যমে কিভাবে টিভি দেখা যায়? কোন কোম্পানি ভালো এবং এর দাম কত?

উত্তর-১০ :
ইন্টারনাল টিভি কার্ড মাদারবোর্ডের পিসিআই স্লটে লাগাতে হয় এবং এটি কমপিউটার চালু করা হলে তবেই কাজ করবে। কমপিউটারের সাহায্যে নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে টিভি কার্ড ভিডিও দেখাবে। ইন্টারনাল কার্ডের সুবিধা হচ্ছে এটি দিয়ে যেকোনো অনুষ্ঠান কেটে রাখা সম্ভব। নতুন কিছু ইউএসবি পোর্টের টিভি কার্ডও বাজারে রয়েছে, যা দিয়ে অনুষ্ঠান কেটে রাখা যায়। এক্সটারনাল কার্ডের সাথে শুধু মনিটরের সংযোগ দিলেই হয়, তা কমপিউটার বন্ধ থাকা অবস্থায় অনুষ্ঠান সম্প্রসারণ করতে সক্ষম। বাজারে এভারমিডিয়া, পিনাকল, পারফেক্ট গ্যাডমি, রিয়েলভিউসহ আরো কিছু ব্র্যান্ডের টিভি কার্ড পাওয়া যায়। ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল টিভি কার্ডের দাম ১৮০০-৪৫০০ টাকার মধ্যে। বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে পণ্যের গুণগত মানের তেমন একটা পার্থক্য নেই, তাই যেকোনোটি কিনতে পারেন।

প্রশ্ন-১১ : উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ এক্সপির মধ্যে কোনটি ব্যবহার করা উচিত বা কোনটি ভালো? ৩২ বিট এবং ৬৪ বিটের মধ্যে কোনটি সুবিধাজনক বা অসুবিধাজনক?

উত্তর-১১ :
নতুন যুগের সাথে তাল মেলানোর জন্য উইন্ডোজ ৭ ব্যবহার করা উচিত। এক্সপির সাথে যদি ৯৮-কে তুলনা করেন তাহলে প্রথমেই যে কথাটি আসবে তা হচ্ছে ইউজার ইন্টারফেস ও ফ্যাসিলিটি। তেমনি এক্সপির চেয়ে সেভেনের ইউজার ইন্টারফেস, ভিজ্যুয়াল ডিজাইন, ফ্যাসিলিটি এবং সিকিউরিটি অনেক গুণ ভালো। সেভেনে যুক্ত করা হয়েছে অনেক নতুন ফিচার এবং সেভেনের ইন্টারফেস এক্সপির চেয়েও বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি। এক্সপির জন্য আপডেট ও সাপোর্ট বেশিদিন থাকবে না, তাই সেভেন ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়া ভালো। উইন্ডোজ সেভেনের নতুন ফিচারের মধ্যে রয়েছে- নতুন টাস্কবার, জাম্প লিস্ট, নতুন উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার, পেইন্টে রিবন মেনু, লাইব্রেরি, ডিরেক্টএক্স ১১ সাপোর্ট, ভালো গেমিং পারফরমেন্স, হোমগ্রুপ, অনস্ক্রিন ট্যাবলেট পিসি, হ্যান্ড রাইটিং রিকগনাইজার, নতুন থিম, উন্নত ইউজার অ্যাকাউন্ট কণ্ট্রোল, দ্রুত সার্চিং অপশন, মিডিয়া সেন্টার, মিডিয়া প্লেয়ার ১২, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৯ ইত্যাদি ছাড়াও গেমিং, নেটওয়ার্কিং এবং মাল্টিমিডিয়া পারফরমেন্সের জন্য উইন্ডোজ সেভেনের জুড়ি নেই।

সিপিইউ বা প্রসেসর ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেমে ৩২ বিট অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে বেশি ডাটা হ্যান্ডেল করতে পারে। তবে ৪ গিগাবাইট বা তার বেশি র্যা২ম হলে তবেই ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেমের কার্যকারিতা বোঝা যাবে। সাধারণত যারা অনেক বেশি ডাটা, বড় আকারের ফাইল, ভিডিও এডিটিং নিয়ে কাজ করেন বা হার্ডকোর গেমার তাদের জন্য ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম। র্যা মে অনেক বড় আকারের ফাইল লোড করতে সুযোগ করে দেয় ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম। তবে ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্টেড সফটওয়্যারের সংখ্যা কম এবং পুরনো সফটওয়্যারগুলো এতে কাজ করবে না। যদি প্রয়োজন মনে করেন, তবে ডুয়াল উইন্ডোজ হিসেবে একটি ৩২ বিট ও অপরটি ৬৪ বিট ব্যবহার করতে পারেন। কারণ অ্যাডোবি আফটার ইফেক্টস ও আরো কিছু হাই-এন্ড সফটওয়্যার ৬৪ বিট ছাড়া চলে না। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য ৩২ বিট অপারেটিং সিস্টেমই ভালো।

প্রশ্ন-১২ : মাদারবোর্ডের ফিচারে দেখা যায় চিপসেট, অনবোর্ড ল্যান, আইডিই কানেকশনস, অনবোর্ড সাটা-এ (সাপোর্টেট অন দ্য উইন ২০০০/এক্স-পি অপারেটিং সিস্টেমস) লেখা আছে। উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেম চালু করলে ব্রডব্যান্ড লাইন বা অন্য কোনো ইন্টারনেট লাইনে সমস্যা হবে কি না? চিপসেটের ক্ষেত্রে উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেম চালু করলে কি ধরনের সমস্যা হবে?

উত্তর-১২ :
উইন্ডোজ সেভেন বেশিরভাগ এক্সপি সাপোর্টেড ড্রাইভার সাপোর্ট করে। আবার অনেক সময় দেখা যায় কিছু মাদারবোর্ডের বিল্ট-ইন ল্যানকার্ড ও সাউন্ড কার্ড অটো ডিটেক্ট করে তার উপযোগী ড্রাইভার সে নিজেই ইনস্টল করে নেয়। আপনার মাদারবোর্ড উইন্ডোজ সেভেনে কাজ করবে, তাই তা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। চিপসেটের সাথেও উইন্ডোজ কোনো সমস্যা করবে না।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
পাঠকের মন্তব্য
৩০ আগস্ট ২০১১, ১১:০৮ AM
৩০ আগস্ট ২০১১, ১১:০৮ AM
আমি আমার PC- এর সমস্যা নিয়ে আপনাদের নিকট কিভাবে লিখতে পারি ? আমার Yahoo মেইল হতে jhutjhamela@comjagat.com-এর প্রতি লিখব,নাকি আপনাদেরcomjagat.com ও্য়েব ঠিকানায় ঢুকে সেখান থেকে সরাসরি কোন বিভাগে গিয়ে লিখব।?দ্য়া করে বিস্তারিত জানাবেন।s_ahmed7024@yahoo.com
৩০ আগস্ট ২০১১, ১১:০৮ AM
আমি আমার PC- এর সমস্যা নিয়ে আপনাদের নিকট কিভাবে লিখতে পারি ? আমার Yahoo মেইল হতে jhutjhamela@comjagat.com-এর প্রতি লিখব,নাকি আপনাদেরcomjagat.com ও্য়েব ঠিকানায় ঢুকে সেখান থেকে সরাসরি কোন বিভাগে গিয়ে লিখব।?দ্য়া করে বিস্তারিত জানাবেন।s_ahmed7024@yahoo.com
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস