গত সংখ্যায় ভি-রে রেন্ডারিং বেসিকের ৩য় অংশ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। চলতি সংখ্যায় ভি-রে রেন্ডারিংবেসিকের শেষ অংশ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
১০ম ধাপ
চিত্র-৪৫
চিত্র-৪৬
আরকিউএমসি স্যাম্পলার :
আরকিউএমসি স্যাম্পলার খুবই গুরুত্বপূর্ণ রোল-আউট। এটির প্যারামিটার কন্ট্রোল দিয়ে অনেক নিচুমানের ইমেজকে উঁচুমানের ইমেজে পরিণত করা যায়। আবার ভ্যালু সমন্বয় না হলে ১ সেকেন্ডের রেন্ডারটিই বেড়ে ১ ঘণ্টা হয়ে যেতে পারে। রোল-আউট ‘ইমেজ স্যাম্পলার’ রোল-আউটের সাথে একত্রে কাজ করে এবং ভি-রের সবকিছুর মানকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর বিভিন্ন অংশের মান পরিবর্তন করলে সেটা জি-আই ক্যালকুলেশন, এন্টিএলাইজিং, স্যাডো, ডেপ্থ অফ ফিল্ড, মোশন ব্লার, ব্লারি রিফ্লেকশন এবং রিফ্রাকশন ইত্যাদির ওপরে প্রভাব ফেলে। পরীক্ষামূলকভাবে নয়েজ থ্রেশল্ডের মান বাই-ডিফল্ট .০১-এর স্থানে .১ টাইপ করে দৃশ্যটি রেন্ডার করলে দেখবেন দৃশ্যের নয়েজের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে; চিত্র-৪৫। আবার নয়েজ থ্রেশল্ডের মান .০০১ টাইপ করে আরেকবার রেন্ডার করলে দেখবেন দৃশ্যের নয়েজ প্রায় নেই বললেই চলে এবং ইমেজ কোয়ালিটি অনেক উন্নত হয়েছে; চিত্র-৪৬। এখানকার প্রত্যেকটি অপশন ভ্যালুকে কমবেশি করে তাদের কার্যকারিতা ভালোভাবে বুঝে নিলে আপনি নিশ্চিতভাবে ভি-রের ক্ষেত্রে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবেন একথা জোর দিয়ে বলা যায়।
১১তম ধাপ
কস্টিকস :
মূলত ভি-রের এই রোল-আউটটির তেমন ব্যবহার নেই। কারণ ভি-রে জি-আই অপশন থেকেই জিআই লাইটের কস্টিককে ক্যালকুলেশন করে নেয়। আবার ভি-রে লাইটগুলোতেও বিশেষজ্ঞ রয়েছে। যে কারণে লাইটগুলো থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কস্টিক অ্যাপ্লাই হয়ে যায়। শুধু ম্যাক্স লাইট (ওমনি, ডাইরেক্ট, স্পট) থেকে কস্টিক পেতে চাইলে এই রোল-আউটটি ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। তবে তার জন্য অবজেক্ট ও লাইটে ফুটন অ্যাপ্লাই করতে হবে। মেন্টাল-রে রেন্ডারিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছিল; চিত্র-৪৭।
১২তম ধাপ
চিত্র-৪৮
চিত্র-৪৯
চিত্র-৫০
কালার ম্যাপিং :
কালার ম্যাপিং সাধারণত ইমেজের কালার কারেকশনের জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন-‘লিনিয়ার মাল্টিপল টাইপ’ ইমেজের লাইট এরিয়াগুলোকে বার্ন করে; চিত্র-৪৮। কিন্তু এক্সপোনেনশিয়াল সেগুলোকে ব্রাইট লাইট দিয়ে রিকভার করে। সেক্ষেত্রে ডার্ক ও ব্রাইট মাল্টিপ্লায়ারের মান অথবা HDRI-এর মাল্টিপ্লায়ারের মান বাড়ালে স্থানগুলো বার্ন করবে না; চিত্র-৪৯। উল্লেখ্য, ডার্ক বা ব্রাইট মাল্টিপ্লায়েরর মান কমবেশি করেও সিনের লাইটকে কমবেশি করা যায়। ক্লাম্প আউটপুট এবং সাব-পিক্সেল ম্যাপিং অপশন ০-২৫৫ কালার পিক্সেলকে ফিক্স করে এবং খুব ব্রাইট সিনের লাইট ও রিফ্লেকশনকে এন্টিএলাইজ করতে সাহায্য করে; চিত্র-৫০। ‘গামা’ অপশন কোনো কোনো ক্ষেত্রে খুবই জরুরি হয়ে পড়ে; কিন্তু বিষয়টি অল্প কথায় বুঝানো কঠিন হওয়ায় এখানে আলোচনা করা সম্ভব হলো না।
১৩তম ধাপ
চিত্র-৫১
চিত্র-৫২
চিত্র-৫৩
ভি-রে ক্যামেরা :
ম্যাক্স ক্যামেরার ভিউ অফ পয়েন্টকে ঠিক রেখে ভি-রে ক্যামেরা এর প্রোপার্টিজকে পরিবর্তন করতে পারে। রোল-আউটটিতে কয়েকটি মজার অপশন রয়েছে। যেমন-ফিশ-আই, সিলিন্ডারিক্যাল, স্ফেরিক্যাল ইত্যাদি স্টাইলিস রেন্ডারিং অপশন; চিত্র-৫১, ৫২, ৫৩। এছাড়া এই রোল-আউট থেকে আপনি ইচ্ছে করলে ডেপথ্ অফ ফিল্ড, মোশন ব্লার ইত্যাদিকে কন্ট্রোল করতে পারবেন। বিশেষ করে এনিমেটেড দৃশ্যের ক্ষেত্রে যেটা প্রয়োজন হয়।
১৪তম ধাপ
চিত্র-৫৪
চিত্র-৫৫
ডিফল্ট ডিসপ্লেসমেন্ট :
রোল-আউটটি ডিসপ্লেস মেটিরিয়াল/ম্যাপের মডিফায়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ডিসপ্লেস ম্যাপের প্যারামিটার থেকে শুধু এর ডেপথ্ এবং টাইলিং কন্ট্রোল করা যায়; কিন্তু এর সাইজ বা সংখ্যাকে কন্ট্রোল করা যায় না। আর এগুলোকে কন্ট্রোল করার জন্য ডিফল্ট ডিসপ্লেসমেন্ট রোল-আউটের কয়েকটি কন্ট্রোলিং প্যারামিটার রয়েছে। ৫৪ নম্বর চিত্রটিতে এজলেন্থ = ৪ এবং অ্যামাউন্ট = ১ মান বসিয়ে আউটপুট দেয়া হয়েছে। আর ৫৫ নম্বর চিত্রটির ক্ষেত্রে এজলেন্থ = ১.০ এবং অ্যামাউন্ট = ৩ দেয়া হয়েছিল; চিত্র-৫৪, ৫৫।
১৫তম ধাপ
ভি-রে সিস্টেম :
ভি-রের শেষের রোল-আউটটি ভি-রে সিস্টেম। এই রোল-আউটের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অপশনটি হলো ‘ডাইনামিক মেমরি লিমিট’। বাই-ডিফল্ট এর মান ৪০০ দেয়া থাকে। বিষয়টি জানা না থাকলে কোনো বেশি পলির দৃশ্যের রেন্ডারের সময় আপনি নিশ্চিত সমস্যায় পড়বেন। প্রকৃত অর্থে এই মানটি পিসির র্যাযমের সাথে সম্পৃক্ত। সুতরাং ভারি দৃশ্যের জন্য ৪০০ মেমরি ফিক্সড থাকলে দৃশ্যটি রেন্ডারের সময় ৪০০-র বেশি মেমরি ডিমান্ড করলে সিস্টেমে আপনার র্যা ম যত বেশিই থাকুক না কেন, সেটা কোনো কাজেই আসবে না। কারণ, ভি-রে ইঞ্জিন সেটা নিতে দেবে না। সেক্ষেত্রে আপনার উচিত চাহিদা অনুযায়ী এই মানটিকে ফিক্স করা। তবে ৮০০ মেগাবাইটকে মোটামুটিভাবে স্ট্যান্ডার্ড ধরে নিতে পারেন, যদি আপনার পিসিতে অন্তত ১.৫ গি.বা. পরিমাণ র্যা ম থাকে।
চিত্র-৫৬
‘রেন্ডার রিজিওন’ অপশন থেকে বাকেট সাইজ, রেন্ডারিং স্টাইল ইত্যাদি পরিবর্তন করতে পারবেন। বাই-ডিফল্ট সাইজ = ৬৪, রিজিওন সিকুয়েন্স = ট্রাইয়েঙ্গুলেশ, প্রিভিয়াস রেন্ডার = আনচেঞ্জড দেয়া থাকে। অপশনগুলোকে পরিবর্তন করে রেন্ডার করে আপনার পছন্দের সেটিংসটি করে নিন। বিষয়টি খুবই সহজ। তাই এ সম্পর্কে আর কিছু লেখার প্রয়োজন নেই বলে মনে হয়। এক্ষেত্রে ব্যবহার হওয়া সেটআপটি হলো বাকেট সাইজ = ১৬, রিজিওন সিকুয়েন্স = স্পাইরেল, প্রিভিয়াস রেন্ডার = আনচেঞ্জন্ড; চিত্র-৫৬।
চিত্র-৫৭
অন্য আরেকটি অপশন ‘ফ্রেম স্ট্যাম্প’। এটি ব্যবহার করে আউটপুট ইমেজে যেকোনো ইনফরমেশনকে স্ট্যাম্পিং করতে পারবেন; যেমন-আপনার নাম, রেন্ডারিং টাইম ইত্যাদি। অপশনটি চেক করে দিলে ডানের লেখাগুলো এনাবল হয়ে যাবে। রেন্ডার টাইম স্ট্যাম্পিংয়ের জন্য % লিখে কোনো স্পেস না দিয়ে ‘রেন্ডার টাইম’ কথাটি একসাথে লিখুন, আর নাম বা ইত্যাদি লেখাটি যতদূরে লিখতে চান ততটুকু স্পেস দিয়ে লিখুন। ফন্ট বা ফন্ট সাইজ পরিবর্তন করতে চাইলে ডানের ফন্ট বাটনে ক্লিক করে ওপেন হওয়া চার্টটি থেকে সিলেক্ট করে দিন। লেফ্ট, সেন্টার বা রাইট অ্যালাইনের জন্য ‘জাস্টিফাই’ অপশন থেকে কাজটি করুন; চিত্র-৫৭।
আলোচনার বিষয়বস্ত্ত সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন বা আরও কিছু জানার থাকলে মেইল করতে পারেন।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : tanku3da@yahoo.com