লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
তথ্যসূত্র:
সফটওয়্যারের কারুকাজ
সফটওয়্যারের কারুকাজ
সফলতার সাথে সিস্টেম ট্রে আইকন ফিল্টার করা
উইন্ডোজ ৭ সিস্টেম ব্যবহারকারীকে মেসেজ দিয়ে আপডেট রাখে। তারপরও নির্দিষ্ট করতে পারেন কোন আইকন এবং নোটিফিকেশন আবির্ভূত হবে। এজন্য কনটেন্টকে অ্যাডজাস্ট করে নিতে পারেন। টাস্কবারে ডান ক্লিক করুন এবং সিলেক্ট করুন কনটেক্সট কমান্ড properties. এখানে Taskbar ট্যাবকে সক্রিয় করুন এবং ‘Notification area’-এর অন্তর্গত ‘Customize’-এ ক্লিক করুন। এর ফলে পরবর্তী ডায়ালগবক্স উপস্থাপন করে সম্ভাব্য সব অ্যাপ্লিকেশন ও আইকন, যা সিস্টেম ট্রেতে থাকতে পারে। প্রতিটি এন্ট্রির জন্য পাবেন একটি ড্রপডাউন মেনু, যার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনের আচরণকে নির্দিষ্ট করতে পারবেন। সিলেকশনের জন্য নিচের অপশনগুলো রয়েছে।
‘Show icon and notifications’ অপশন সিস্টেম ট্রের ভেতরে আইকন অনুমোদন করে এবং সম্পৃক্ত করে প্রয়োজনীয় মেসেজ। ‘Hide icon and notifications’ অপশন উভয়কে দমন করে। এই সেটিং অ্যাপ্লিকেশনকে প্রতিরোধ করবে, যা আপনাকে সঙ্কট মুহূর্ত সম্পর্কে তথ্য দেয়। ‘Display only notifications’ অপশন দিয়ে সিস্টেম থেকে অ্যাপ্লিকেশনের আইকন লুকিয়ে রাখতে পারবেন, তবে মেসেজ পেতে থাকবেন। Ok-তে ক্লিক করে পরিবর্তনকে নিশ্চিত করুন এবং ডায়ালগবক্স বন্ধ করুন।
মনিটরিং ছাড়াই কয়েকটি ডিস্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিফ্র্যাগমেন্ট করা
নিয়মিতভাবে ডিফ্র্যাগমেন্টেশনের মাধ্যমে সিস্টেমের পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা যায়। ম্যানুয়ালি কয়েকটি ড্রাইভে সম্পূর্ণরূপে ডিফ্র্যাগমেন্টেশনের কাজটি বেশ বিরক্তিকর হতে পারে।
উইন্ডোজের গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেসে ডিফ্র্যাগমেন্টার কয়েকটি ড্রাইভকে একের পর এক ডিফ্র্যাগমেন্ট করতে পারে না কোনো অপশন না থাকায়। বিশেষ করে উইন্ডোজ এক্সপির ক্ষেত্রে। কিন্তু এটি সর্বোতভাবে সত্য নয়। কেননা, উইন্ডোজে রয়েছে একটি বাড়তি কমান্ড লাইন টুল, যা defrag.exe নামে পরিচিত। এটি ব্যাচ প্রসেসিংয়ের উপযোগী। এই টুলকে ব্যবহার করা যেতে পারে কয়েকটি ড্রাইভকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিফ্র্যাগমেন্টেশনের কাজে। যদি আপনার সিস্টেমটি হয় C, D এবং E ড্রাইভযুক্ত তাহলে নোটপ্যাডে নিচের লাইনগুলো লিখতে হবে :
@echo off
defrag.exe –f c
defrag.exe –f d
defrag.exe –f e
এবার ফাইলটিকে defrag.cmd হিসেবে সেভ করুন। যদি আপনি আরো অন্যান্য ড্রাইভ নেম ব্যবহার করেন বা আরো বেশি ড্রাইভ থাকে তাহলে সেই অনুযায়ী ফাইল পরিবর্তন করতে হবে। এই ফাইলে ডাবল ক্লিক করতে হবে সব হার্ডডিস্ক পার্টিশন একের পর এক স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোনো বিরতি ছাড়াই ডিফ্র্যাগমেন্ট করার জন্য। তবে ফাইল রান করানোর জন্য আপনাকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে লগ করতে হবে। –f প্যারামিটার ব্যবহার করা হয়েছে হার্ডডিস্ক ডিফ্র্যামেন্টেশন করার জন্য যদি হার্ডডিস্কে ১০%-এর কম স্পেস থাকে। তবে এক্ষেত্রে অনেক সময় নিতে পারে। তাই অপ্রয়োজনীয় বড় ফাইল ডিলিট করা উচিত।
ভিস্তা এবং উইন্ডোজ ৭ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিডিউল করার ভিত্তিতে ডিফ্র্যাগমেন্টেশন করে। এছাড়া আপনি ‘defrag.exe’-এর মাধ্যমে ব্যাচ প্রসেসিং অপারেশন ব্যবহার করতে পারেন। অথবা গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস ব্যবহার করে যুগপৎভাবে কয়েকটি ড্রাইভ সিলেক্ট করতে পারেন।
এজন্য একটি ড্রাইভ এন্ট্রিতে ডান ক্লিক করুন উভয় ভার্সনের জন্য এবং কনটেক্সট কমান্ড Properties সিলেক্ট করুন। এরপর সক্রিয় করুন Tools ট্যাব এবং ‘Defragment now’ বাটনে ক্লিক করুন। ভিস্তার ক্ষেত্রে Select Volume বাটনে ক্লিক করুন এবং এরপর কয়েকটি ড্রাইভ সক্রিয় করতে পারেন ডিফ্র্যাগমেন্টেশনের জন্য। অথবা সিলেক্ট করুন ‘Select all data carrier’ আর উইন্ডোজ ৭-এর ক্ষেত্রে Ctrl-কী চেপে কাঙ্ক্ষিত ড্রাইভে ক্লিক করে সিলেক্ট করুন।
শামীম আহমেদ
সাহেব বাজার, রাজশাহী
............................................................................................................
কমপিউটার বন্ধের সময় বাড়িয়ে নিন
নানা ধরনের সমস্যার কারণে কমপিউটার বন্ধের সময় অর্থাৎ শাটডাউনের সময় বেশি লাগে। তবে কমপিউটার বন্ধের এ সময় কমিয়ে নেয়া যায়। এজন্য Start থেকে Run-এ গিয়ে Regedit লিখে এন্টার চাপুন। এবার HKEY_CURRENT_USER\ControlPanel\Desktop-এ গিয়ে WaitTokillAppTimeout নির্বাচন করুন এবং ১০০০ লিখে Ok দিন।
আবার একই জায়গা থেকে HungAppTimeout নির্বাচন করুন। Modify মাউসের ডান পাশে ক্লিক করে এর ভ্যালুও ১০০০ লিখে Ok দিন। আবার HKEY_USERS\DEFAULT\Control Panel\Desktop-এ গিয়ে WaitTokillAppTimeout নির্বাচন করুন। এবার একইভাবে Modify-এ রাইট ক্লিক করে ভ্যালু ১০০০ করে Ok দিন এবং একই জায়গা থেকে HKEY_Local_Machine\System\Current Control Set\Control-এ গিয়ে WaitTokillService Timeout নির্বাচন করে Modify রাইট ক্লিক করে এর ভ্যালু ১০০০ করে Ok দিন। এ প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে আপনার কমপিউটার বন্ধের গতি দ্রুত হবে।
দ্রুত ফাইল কপি পেস্ট করুন
নানা কারণে কমপিউটারে বিভিন্ন ধরনের ফাইল কপি পেস্ট করতে হয়। অনেক সময় ফাইল কপি পেস্টের প্রক্রিয়াটি ধীরগতির মনে হয়। তখন সুপার কপিয়ার ব্যবহার করতে পারেন। ৪৭৫ কিলোবাইটের ছোট এই সফটওয়্যারটি http://soprojatra.blogspot.com/2010/08/super-copiersoftware.html ঠিকানা থেকে নামিয়ে পিসিতে ইনস্টল করুন। সফটওয়্যারটি ইনস্টল করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করবে। যার ফলে কমপিউটারে কোনো ফাইল/ফোল্ডার কপি/পেস্ট কিংবা মুভ করলে, তা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে সম্পন্ন হবে।
ফাহিম
মুসলিমপাড়া, টাঙ্গাইল
............................................................................................................
হাইবারনেশন ডিজ্যাবল করা
উইন্ডোজ এক্সপিতে হাইবারশেন ডিজ্যাবল করতে Control Panel-এ গিয়ে Power Options ওপেন করুন। এরপর Hibernation ট্যাবে নিষ্ক্রিয় করুন ‘Enable Hibernation’।
উইন্ডোজে অটো লগঅন
যদি কমপিউটারের একমাত্র ব্যবহারকারী আপনিই হয়ে থাকেন, তাহলে ইচ্ছে করলে ওয়েলকাম স্ক্রিনকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে যেতে পারেন। ফলে সরাসরি ডেস্কটপে চলে যেতে পারবেন। নিচে বর্ণিত ধাপগুলো অনুসরণ করে এক্সপির জন্য অটো লগঅন করতে পারবেন-
০১.
Start-এ ক্লিক করে Run-এ ক্লিক করুন। লক্ষণীয়, ইউজার নেম মনে রাখতে হবে। কেননা এটি পরে কাজে লাগতে পারে।
০২.
Open বক্সে Control Userpassword2 টাইপ করে Ok করুন।
০৩.
Users must enter a user name and password to use this computer চেকবক্স ক্লিয়ার করে Ok-তে ক্লিক করুন।
০৪.
User name বক্সে ক্লিক করুন। এবার Start মেনুতে যে ইউজার নেম প্রদর্শিত হয়েছিল সেই নেম টাইপ করুন। যদি লগঅনে পাসওয়ার্ড টাইপ করে থাকেন, তাহলে Password এবং Confirm Password উভয়ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড বক্সে টাইপ করতে হবে। অন্যথায় এই বক্সটি খালি রেখে দিয়ে Ok করুন।
পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়