মোবাইল গেম ও উইন্ডোজ প্লাটফর্মের গেম হিসেবে বেশ নাম করেছে এনগ্রি বার্ড নামের এ গেমটি। গেমটি ডেভেলপ করেছে ফিনল্যান্ডের রোভিও মোবাইল নামের প্রতিষ্ঠান। গেমটি প্রথম মুক্তি পেয়েছিল ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে অ্যাপলের আইওএসের জন্য। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকে গেমটি ১২ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে। ব্যাপক এ সফলতার ধারা বজায় রাখার জন্য কোম্পানিটি সিদ্ধান্ত নেয় শুধু অ্যাপলের পণ্যের জন্যই নয়, গেমটি অন্যান্য প্লাটফর্মের জন্য ডেভেলপ করা হবে। এরপর এটি সিমবিয়ান, অ্যানড্রয়েড, মিমো, পাম ওয়েবওএস, পিএসপি, প্লে-স্টেশন ৩, ম্যাক ওএসএক্স, ওয়েবজিএল এবং উইন্ডোজসহ আরো কিছু প্লাটফর্মের জন্য ডেভেলপ করা হয়েছে। গেমটি ডিজাইন করেছেন জাক্কো ইসালো ও মিন্টার রিএভেও। গেমের প্রডিউসার হচ্ছেন রাইনে মাকি ও হাররো গ্রোঞ্জবার্গ। গেমটি বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে বক্সটুডি নামের গেম ইঞ্জিন। পিএসপি ও প্লে-স্টেশনের জন্য গেমটি যৌথভাবে ডেভেলপ করেছে চিল্লিনগো ও ক্লিকগেমার। স্মার্টফোন প্লাটফর্মের জন্য তা ডেভেলপ করেছে রোভিও মোবাইল। রোভিও মোবাইলের ডেভেলপ করা আরো কয়েকটি গেমের মধ্যে রয়েছে- Bounce Tales, Bounce Touch, Bounce Boing Voyage, Burger Rush, Burnout, Collapse Chaos, Cyber Blood, Darkest Fear 2, Darkest Fear 3, Dragon & Jade, Formula GP Racing, Gem Drop, Marine Sniper, Mole War, Need for Speed, Paid to Kill, Paper Planes, Patron Angel, Playman Winter Games, Shopping madness, Star Marine, Sumea Ski Jump, Swat Elite Troops, Totomi, War Diary Burma, War Diary Torpedo, Wolfmoon ইত্যাদি।
গেমটি খুবই সাধারণ কিন্তু বেশ মজার। ছোটবেলায় অনেকেই গুলতি বস স্লিংশট দিয়ে পাখি শিকার করেছেন। কিন্তু গেমে করতে হবে ব্যতিক্রম কাজ। গেমে বিশাল এক গুলতির সাহায্যে পাখিকেই ছুড়ে মারতে হবে সবুজ রঙের বুনো কিছু পশু ও তাদের বানানো সুরক্ষা দুর্গের ওপর। গেমের মূল লক্ষ্য হবে সবুজ সুরক্ষিত জংলিগুলোকে খতম করা। গেমে পাঁচ ধরনের আলাদা রঙ ও ক্ষমতার পাখি রয়েছে। এদের পাখা ছোট এবং তারা উড়তে পারে না। তাদের ডিম চুরি করে পালিয়ে যায় জংলিরা। তাই পাখিরা রেগে গিয়ে জংলিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এজন্য গেমে পাখিগুলোর নাম রাখা হয়েছে এনগ্রি বার্ড বা রাগী পাখি। প্রথমেই খেলতে হবে লাল রঙয়ের পাখি নিয়ে, যা কাঠের তৈরি বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম। কাঠের ফ্রেমের আড়ালে যদি জংলি লুকিয়ে থাকে তবে লাল পাখির হাত থেকে তার নিস্তার নেই। পরে লেভেল পার হতে থাকলে নতুন নতুন পাখি যোগ হবে। এভাবে কাঠ, পাথর ও বরফের স্ট্রাকচারের আড়ালে লুকিয়ে থাকবে শত্রুপক্ষ এবং একেক রকমের পাখির (লাল, নীল, হলুদ, কালো ও সাদা) সাহায্যে তাদের খতম করতে হবে। গেম খেলার সময় কৌণিক দূরত্ব, বেগ, প্রজেক্টাইল ও আরো কিছু পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ক ধারণা থাকলে ভালো। কোন পাখি দিয়ে স্ট্রাকচারের কোন অংশে আঘাত করলে সর্বোচ্চ ক্ষতিসাধন করা যাবে, তা বেশ বুদ্ধিমত্তার সাথে নির্ণয় করতে হবে। যত কম পাখি ব্যবহার করে যত বেশি স্ট্রাকচার ভাঙা যাবে তত বেশি পয়েন্ট অর্জন করা যাবে। সব প্লাটফর্ম মিলিয়ে গেমটি ডাউনলোড করা হয়েছে প্রায় ২০০ মিলিয়ন বার। মোবাইল গেমিংয়ের জগতে রেকর্ড সৃষ্টি করা এ গেমের চরিত্রগুলো নিয়ে নির্মাতা কোম্পানির মুভি ও টিভি সিরিজ বানানোর ইচ্ছে রয়েছে
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : shmt_21@yahoo.com