লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৩ - সেপ্টেম্বর
তথ্যসূত্র:
ট্রাবলশুটার টিম
পিসির ঝুটঝামেলা
সমস্যা : আমি উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করি। আমার পিসির মাদারবোর্ডে কী গ্রাফিক্স কার্ড আছে এ সম্পর্কিত তথ্য কীভাবে দেখা সম্ভব?
-সুজয় দাস
সমাধান : বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে গ্রাফিক্স কার্ডের তথ্য পাওয়া সম্ভব। কন্ট্রোল প্যানেল থেকে ডিস্প্লে প্রোপার্টিজে গিয়ে সেটিংস ট্যাবের ভেতরের অ্যাডভান্সড বাটনে ক্লিক করে গ্রাফিক্স কার্ড বা ডিসপেস্ন অ্যাডাপ্টারের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যাবে। কোনো টেক্সট ফাইল ক্রিয়েট করে এর এক্সটেনশনঃীঃ মুছে হভড় করে সেভ করলে তা তথ্য ফাইলে পরিণত হবে। তাতে ক্লিক করে পুরো কমপিউটারের নাড়ি-নক্ষত্র জানা যাবে। আরও ভালো করে তা জানতে হলে থার্ড পার্টি সফটওয়্যারের সাহায্য নিতে হবে। এজন্য সিপিইউ- জেড বা স্পেসসি নামের সফটওয়্যার ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
সমস্যা : কমপিউটার জগৎ-এর পিডিএফ ফরম্যাটের কপিগুলো আমার কমপিউটারে ক্লিয়ার আসে না। লেখা কেমন যেনো ঝাপসা লাগে। এর কারণ কী? অন্য যেকোনো পিডিএফ ফাইল ক্লিয়ার পড়া যায়। আমি অ্যাডোবি পিডিএফ রিডার ইলেভেন ব্যবহার করি। আমার পিসির কনফিগারেশন হলো কোরআই-৩ ৩.০৬ গিগাহার্টজ প্রসেসর, গিগাবাইট এইচ৫৫এম-এস২ভি মাদারবোর্ড, ২ গিগাবাইট র্যা্ম ও ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক।
-মুহি, ঢাকা
সমাধান : কমপিউটার জগৎ-এর স্ক্যান করা কপিগুলো কিছুটা লো রেজ্যুলেশনে স্ক্যান করা হয়, যাতে পিডিএফ ফাইলের আকার বেশি বড় হয়ে না যায়। আমাদের দেশের ইন্টারনেটের স্পিডের কথা চিন্তা করে এ কাজ করা হয়েছে। ফাইলের সাইজ বেশি বড় হলে তা ডাউনলোড করা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। শুধু স্পিডের সমস্যাই নয়, অনেক ডাটা ডাউনলোড লিমিটের কারণে বড় ফাইল ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকেন। লো রেজ্যুলেশনের কারণে কিছুটা হালকা দেখায়, কিন্তু তা এমনভাবে স্ক্যান করা হয়, যাতে পাঠক লেখা বুঝতে পারেন। আপনি মনিটরের ব্যাপারে কিছু লেখেননি। মনিটর বড় আকারের হয়ে থাকলে ঝাপসা দেখাটাই স্বাভাবিক। আমরা চেষ্টা করব যাতে স্ক্যানের কোয়ালিটি আরও উন্নত করা যায়। পিডিএফ কোয়ালিটির বিষয়টি নিয়ে আমাদের জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
সমস্যা : মরটাল কমব্যাট কমপ্লিট এডিশন গেমের স্টোরি মোড ও টাওয়ার মোডে আটকে গেছি। কিছুতেই তা পার করতে পারছি না। স্টোরি মোডে লিউ কাংকে নিয়ে শাও খানকে মারতে পারছি না। শাও খানের ড্যামেজ হয় খুব কম এবং সামনে যাওয়াই যায় না। দূরে দূরে থাকলে বর্শা ও হাতুড়ি ছুড়ে মারে। অনেকবার চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি। শাও খানের লাইফ অর্ধেকও কমাতে পারিনি। শাও খানকে লিউ কাংকে নিয়ে পরাজিত করার কোনো বিশেষ পদ্ধতি আছে কী? জানালে বেশ উপকৃত হব। কারণ এ স্টেজটি পার না করতে পারলে গেমের বাকি কাহিনী দেখতে পারছি না। শাও খানকে হারাতে পারলেই কি স্টোরি মোড শেষ হয়ে যাবে? স্টোরি মোডে আটকে যাওয়ায় টাওয়ার মোড খেলা শুরু করি, কিন্তু এখানেও এসে ১৮৫ নম্বর স্টেজ ফোর আর্মসে আটকে গেছি। এখানে বারাকাকে নিয়ে শিভা, গোরো ও কিনটারোকে হারাতে হবে এক লাইফে। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে দু’জনকে শেষ করে কিনটারোর কাছে পৌঁছতে পেরেছি, কিন্তু কিনটারোর কাছে যেতে যেতে লাইফ কিছুটা বাকি থাকে। যেটুকু লাইফ থাকে, সেটুকু দিয়ে কিনটারোকে কোনোমতেই হারাতে পারছি না। এ স্টেজ পার করার কোনো সহজ উপায় আছে কী? গেমে গড অব ওয়ারের হিরো ক্রাটোস রয়েছে, কিন্তু ক্যারেক্টার সিলেক্ট মেনুতে ক্রাটোস নেই। এটা কি কোনো ডাটা ফাইল মিসিংয়ের কারণে হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো উপায়ে ক্রাটোসের ক্যারেক্টার আনলক করা যায়?
-পিয়াস, ঢাকা
সমাধান : স্টোরি মোডে খেলার সময় লিউ কাং মুখোমুখি হয় শাও খানের সাথে গেমের মাঝামাঝির দিকে। তাই গেমের শেষ এখানেই নয়। আরও অনেক বাকি আছে। কাহিনী বলে দিলে গেমের মজা নষ্ট হয়ে যাবে। নিজেই খেলে খেলে পুরো কাহিনীর মজা উপভোগ করুন। লিউ কাংকে নিয়ে শাও খানকে হারানোর বেশ সহজ পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমত, শাও খানের কাছ থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই ভালো। স্ক্রিনের এক পাশে চলে যেতে হবে খেলা শুরু হওয়ার সাথে সাথে খুব দ্রুত ড্যাশ বা ব্যাক জাম্প করে। এরপর একনাগাড়ে লো ফায়ারবল ছুড়ে মারতে হবে শাও খানের দিকে। হাই ফায়ারবলের চেয়ে লো ফায়ারবল ব্লক করা কঠিন। শাও খান যাতে কাছে আসতে না পারে, সেজন্য ফায়ারবল মারার মধ্যে কোনো বিরতি দেয়া চলবে না। খুব দক্ষতার সাথে এ কাজ করতে হবে। ফায়ারবলের বিপরীতে শাও খান বর্শা ছুড়ে মারবে, কিন্তু তা ডজ দেয়া কোনো ব্যাপারই নয় যদি লিউ কাং বসে থাকে। লো ফায়ারবল মারার সময় এমনিতেই লিউ কাং বসে থেকে হিট করে, তাই এ নিয়ে কোনো চিমত্মা করতে হবে না। কিন্তু সমস্যা হবে যখন শাও খান হাতুড়ি ছুড়ে মারবে। হাতুড়ি বসে ডজ দেয়া যায় না। হয় ব্লক করতে হবে, নয়তো লাফ দিয়ে ডজ দিতে হবে। হাতুড়ির আঘাত লাগলে লিউ কাং কিছু সময়ের জন্য অপ্রস্ত্তত হয়ে যাবে। এ সামান্য সময়ই শাও খান সামনে চলে আসবে, তাই এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। শাও খানের লাইফ বেশ কম যায়, তাই এক্সরে অ্যাটাক না করে পাওয়ার অ্যাটাক জমলে তা ফায়ারবলের সাথে যুক্ত করে আঘাত করলে বেশি লাইফ যাবে। এভাবে সহজেই লিউ কাংকে নিয়ে শাও খানকে হারানো যাবে।
টাওয়ার মোডের ১৮৫ নম্বর স্টেজটি আসলেই বেশ কঠিন। তবে কিছু নিয়ম মেনে খেলতে পারলে সহজেই তা টপকে যাওয়া যাবে। শিভা ও গোরোকে আপারকাট দিয়ে কুপোকাত করতে হবে। সময় মতো এবং সুযোগ বুঝে আপারকাট প্রয়োগ করতে হবে। কিনটারোর জন্য এক্সরে অ্যাটাক জমিয়ে রাখতে হবে। গোরোকে এক্সরে অ্যাটাক করে বেশি লাইফ কমানো যায় না, তাই এর ওপর ব্যবহার না করে সুযোগ পেলে কিনটারোর ওপর তা প্রয়োগ করতে হবে। কিনটারোকে আপারকাট দিয়ে হারানো যাবে না। কারণ তাকে সামনে থেকে কোনো আঘাত করে ফেলে দেয়া সহজ নয়। তাই কিনটারো কোনো অ্যাটাক করলে তার মাথার ওপর লাফ দিয়ে ডিঙ্গিয়ে যাওয়ার সময় কিক করতে হবে। কিক করে কিছুটা অপ্রস্ত্তত করে যদি কোনো কম্বো মারা যায় তবে বেশ ভালো। যদি কম্বো না মারতে পারেন তবে লাফিয়ে লাফিয়ে কিক মেরেই কাজ সারতে হবে। মরটাল কমব্যাট ৯ বা কমপ্লিট এডিশনের পিসি ভার্সনে গড অব ওয়ারের ক্রাটোসকে নিয়ে খেলা যায় না। প্লেস্টেশন ভার্সনে ক্রাটোসকে নিয়ে খেলা যাবে।
সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন হলো ইন্টেল কোরআই-৫ ৩৪৫০ ৩.১ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ইন্টেল ডিএইচ৬৭সিএলবি৩ মাদারবোর্ড, ট্রান্সসেন্ড ৮ গিগাবাইট ১৬০০ মেগাহার্টজ বাসস্পিড ডিডিআর৩ র্যা ম, বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড, স্যামসাং এলইডি ১৮.৫ ইঞ্চি মনিটর এবং ৫০০ ওয়াট পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট (ক্যাসিংয়ের সাথে যেটা দেয়া থেকে সেটা নয়, আলাদাভাবে কেনা)। আমার পিসির সমস্যা হলো সিস্টেম প্রোপার্টিজে র্যাাম ৮ গিগাবাইট দেখায়, কিন্তু পাশে ব্রাকেটে লেখা দেখায় ৩.৪১ গিগাবাইট র্যাকম ব্যবহারযোগ্য। একই ব্র্যান্ডের র্যাোম আমার এক বন্ধুর পিসিতে লাগানো, কিন্তু তাতে ৭.৩৭ গিগাবাইট র্যা্ম ব্যবহারযোগ্য। আমার পিসির র্যাগমের কি কোনো সমস্যা আছে? সমাধান জানাটা আমার জন্য খুব জরুরি।
-সাকিব চৌধুরী, ঢাকা
সমাধান : আপনি কি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন তা উল্লেখ করেননি। তবে আপনার সমস্যা দেখে বোঝা যাচ্ছে, আপনি যে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছেন তা ৩২ বিট। ৩২ বিট অপারেটিং সিস্টেম ৪ গিগাবাইটের বেশি র্যা ম হ্যান্ডেল করতে পারে না। ৪ গিগাবাইটের বেশি র্যা ম হলে ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে। আপনার বন্ধুর পিসিতে ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা আছে বলেই র্যািমের পরিমাণ বেশি দেখাচ্ছে। উইন্ডোজ ৭ বা ৮ যাই ব্যবহার করেন, তা ৬৪ বিট এডিশন কি না তা দেখে কিনে ইনস্টল করলে আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন কোরআই-৫ ৩৫৭০কে গিগাহার্টজ প্রসেসর, আসুস পি৮জেড৭৭-ভি মাদারবোর্ড, ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল ১ টেরাবাইট ক্যাভিয়ার বস্ন্যাক হার্ডডিস্ক, ট্রান্সসেন্ড ৮ গিগাবাইট ২১৩৩ মেগাহার্টজ র্যা ম, এমএসআই এনভিডিয়া জিফোর্স জিটিএক্স ৫৬০ টিআই গ্রাফিক্স কার্ড, ভ্যালু-টপ ক্যাসিং ও ৪০০ ওয়াট পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট। আমার পিসির সমস্যা হলো গেম খেলার সময় হঠাৎ করে পিসি রিস্টার্ট করে বা বন্ধ হয়ে যায়। আমার পিসি কনফিগারেশনে কোনো সমস্যা নাকি ভাইরাসজনিত কারণে এমনটা হচ্ছে।
-শাহরিয়ার, ফরিদপুর
সমাধান : আপনার পিসির কনফিগারেশন ভালোই বলা চলে। অনেকেই পিসির প্রসেসর, মাদারবোর্ড, র্যা ম, গ্রাফিক্স কার্ড ইত্যাদির বেশ ভালোমানের বা বাজারের সেরাগুলো কেনার ব্যাপারে নজর দেন বা বেশ তোড়জোড় করে তা বাছাই করেন অনেক সময় নিয়ে। কিন্তু এ শক্তিশালী ডিভাইসগুলো চালানোর জন্য যে সাধারণ পিসির চেয়ে অনেক বেশি পাওয়ার লাগে তা ভুলে যান। এত টাকা খরচ করে মনের মতো পিসি কেনার পর যদি তা সমস্যা করে, তবে কার মেজাজই না খারাপ হয়। পিসি কিনতে যাওয়ার সময় অবশ্যই সাথে একজন অভিজ্ঞ লোক নিয়ে যাওয়া উচিত। আপনার যে ভুলটি হয়েছে তা হলো সাধারণ মানের ক্যাসিং ও পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কেনা। এ ধরনের শক্তিশালী পিসির জন্য আরও বেশি পাওয়ারের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কেনা উচিত। আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী ৬০০-৬৫০ ওয়াটের পিএসইউ কেনা উচিত। ভালো ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা আছে এমন ক্যাসিং কিনতে হবে, যাতে ডিভাইসগুলো বেশি গরম না হয়। পাওয়ার ফেইলুর বা লো পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কারণে এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে, কিন্তু এ সমস্যা পিসি মাত্রাতিরিক্ত গরম হয়ে গেলেও হয়ে থাকে। ভাইরাসজনিত কারণে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে, কিন্তু আপনার বেলায় সমস্যাটি পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কমতির কারণেই হয়েছে। ভালো পিএসইউ কিনে নিলেই এ সমস্যা আর হবে না। পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কিনতে ৫-৬ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে।
সমস্যা : আমার পিসির বয়স তিন বছর। দুদিন আগে থেকে পিসি হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেছে। পাওয়ার বাটন অন করলে খুব শব্দ হয়, যা অনেকটা অ্যাম্বুলেন্সের মতো শোনায়। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান দিলে উপকৃত হব।
-রানা, ঢাকা
সমাধান : বিপকোড অনুযায়ী যথাসম্ভব আপনার পিসির র্যানমে সমস্যা হয়েছে। ক্যাসি খুলে র্যা ম স্পট থেকে র্যা ম খুলে স্পট ও র্যা মের গেদ্বাডেন নচ পরিষ্কার পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে ভালোভাবে আবার লাগিয়ে দিন। এ ধরনের সমস্যা সাধারণত র্যা ম লুজ হয়ে গেলে বা ঠিকমতো কানেকশন না পেলে হয়ে থাকে। যদি এতে সমস্যা সমাধান না হয় তবে বুঝতে হবে র্যাামে সমস্যা আছে এবং তখন টেকনিশিয়ানের কাছে নিয়ে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আশা রাখি এখানে যে সমাধান দেয়া হয়েছে তাতেই কাজ হয়ে যাবে, টেকনিশিয়ানের কাছে নিতে হবে না
ফিডব্যাক : jhutjhamela@comjagat.com