• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পিসির ঝুটঝামেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১২ - অক্টোবর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সমস্যা ও সমাধান
তথ্যসূত্র:
ট্রাবলশুটার টিম
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পিসির ঝুটঝামেলা
সমস্যা : ইংরেজি থেকে বাংলা ডিকশনারি সফটওয়্যার ইন্টারনেটে পাওয়া যায় যেগুলো শব্দের ভিত্তিতে অনুবাদ করে। যেমন Cat = বিড়াল। I eat rice = আমি ভাত খাই। এরকম বাক্যকে অনুবাদ করার মতো কোনো সফটওয়্যার আছে কি? থাকলে দয়া করে জানাবেন। না থাকলে ভবিষ্যতে এরকম কিছু বানানোর সম্ভাবনা আছে কি? -মো: সাজ্জাদ হোসেন

সমাধান : ইংরেজি টু বাংলা ট্রান্সলেশন করার জন্য বেশ কয়েকটি প্রোগ্রাম রয়েছে, তবে তার কোনোটিই পুরোপুরি শুদ্ধভাবে অনুবাদ করতে সক্ষম নয়। এগুলো আরো নির্ভুল ও কার্যকর করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এমন প্রোগ্রামের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অনুবাদক ও গুগল ট্রান্সলেট। দুটিই অনলাইন প্রোগ্রাম। অনুবাদকের ঠিকানা হচ্ছে- http://bengalinux.sourceforge.net/cgibin/anubadok/index.pl। গুগল ট্রান্সলেটের ঠিকানা হচ্ছে- http://translate.google.com। ছোটখাটো সহজ ইংরেজি বাক্যগুলোর গুগল ট্রান্সলেট মোটামুটি ভালোভাবেই অনুবাদ করে দিতে পারে, কিন্তু জটিল বা বেশি বড় বাক্য এবং আনকমন কিছু ওয়ার্ড থাকলে তা সঠিকভাবে বাংলা করতে পারে না। ইংরেজি থেকে বাংলা ট্রান্সলেটগুলোর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়, তাই এগুলোর ওপরে নির্ভর করাটা উচিত হবে না। ছোটখাটো বাক্য অনুবাদ ও ডিকশনারি হিসেবে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। ডিকশনারি হিসেবে ব্যাবিলনও বেশ ভালোমানের সফটওয়্যার।

সমস্যা : আমি পিসিতে রেজ গেমটি ইনস্টল করেছি, কিন্তু সেটি চালু হচ্ছে না। গেম ঠিকভাবে ক্র্যাক করেছি। চালু হওয়ার সময় বিজি সাইন আসে আবার চলে যায়, কিন্তু গেম চালু হয় না। আমি গেমটি কিভাবে চালাতে পারি? আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে-ইন্টেল কোর আই থ্রি ৫৪০, ইন্টেল ডিএইচ৫৫পিজে মাদারবোর্ড, ২ গিগাবাইট ডিডিআর৩ র‌্যাম ও ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক।

-নিয়াজ মোর্শেদ, তেজগাঁও

সমাধান : গেমটি চালানোর জন্য যে পিসি কনফিগারেশন দরকার তা হচ্ছে- ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ২
গিগাহার্টজের প্রসেসর বা এএমডি ৬৪ এক্সটু ৩৬০০+, এনভিডিয়া জিফোর্স জিটি ২২০ বা এএমডি
(এটিআই) রাডেওন এইচডি ৫৪৫০ গ্রাফিক্স কার্ড, ২ গিগাবাইট র‌্যাম ও ২৫ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস।

এ অনুযায়ী আপনার পিসির প্রসেসর ও র‌্যাম গেমটি চালানোর ক্ষমতা রাখে। গেম খেলার জন্য মুখ্য ব্যাপারটি হচ্ছে গ্রাফিক্স কার্ড। আপনার পিসির কনফিগারেশনে গ্রাফিক্স কার্ডের কথা উল্লেখ করেননি, তাই আমি ধরে নিচ্ছি আপনার পিসিতে আলাদাভাবে কোনো গ্রাফিক্স কার্ড লাগানো নেই। মাদারবোর্ডের সাথে যে গ্রাফিক্স কার্ড আছে, তা ব্যবহার করেই গেমটি চালানোর চেষ্টা করছেন। এখনকার গেমগুলো গ্রাফিক্স কার্ডের ক্ষমতার ওপরে অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাই নতুন গেম খেলার জন্য আলাদাভাবে গ্রাফিক্স কার্ড কেনা দরকার। বাজেট কম হলে মিড রেঞ্জের একটি গ্রাফিক্স কার্ড কিনে নিতে পারেন। এজন্য এনভিডিয়ার জিফোর্স ৫০০ সিরিজ বা এএমডি রাডেওন এইচডি ৫৬০০/৫৭০০/৬৬০০/৬৭০০/৭৬০০/৭৭০০ সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড কিনে নিতে পারেন। গ্রাফিক্স কার্ডের সাথে পাওয়ার কনজাম্পশনের মিল রেখে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কিনে নিতে ভুলবেন না। তা না হলে পাওয়ার ফেইল্যুরের জন্য সিস্টেমের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ৫৫০-৬৫০ ওয়াটের মধ্যে নিলে ভালো হয়। নতুন গ্রাফিক্স কার্ড কিনে ড্রাইভার ও ডিরেক্টএক্স আপডেট করে নতুন গেমগুলো সহজেই চালাতে পারবেন।

সমস্যা : আমার বর্তমান গ্রাফিক্স কার্ড হচ্ছে ১ গিগাবাইট মেমরির ডিডিআর৩ এটিআই রাডেওন এইচডি ৫৪৫০। আমি রাডেওন এইচডি ৭৭৭০ গ্রাফিক্স কার্ডটি কিনতে চাচ্ছি। এজন্য কি আমার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট বদল করতে হবে? পিসি কেনার সময় ক্যাসিংয়ের সাথে ৫০০ ওয়াটের যে পাওয়ার সাপ্লাইটি ছিল, তা দিয়েই এতদিন চলেছে। পিএসইউটি কি নতুন গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য যথেষ্ট? না নতুন আরেকটি কিনতে হবে? আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে- ৩.০৬ গিগাহার্টজ ইন্টেল কোর আই থ্রি ৫৪০ প্রসেসর, এইচ৫৫এমএক্সভি মাদারবোর্ড, ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৩ র‌্যাম, ১ গিগাবাইট রাডেওন এইচডি ৫৪৫০ গ্রাফিক্স কার্ড, ৩২০+৮০ গিগাবাইট সাটা হার্ডডিস্ক, একটি ডিভিডি রাইটার, একটি ডিভিডি রম। -আকাশ, রামপুরা

সমাধান : এইচডি ৫৪৫০ গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য ৪০০ ওয়াটের পিএসইউ দরকার পড়ে, তাই আগের ৫০০ ওয়াটের সাধারণ মানের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটে পিসি চালাতে আপনি কোনো সমস্যায় পড়েননি। নতুন গ্রাফিক্স কার্ডটির জন্য ন্যূনতম ৫০০ ওয়াট ক্ষমতার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট দরকার পড়বে, যার ৭৫ ওয়াটে ৬ পিন কানেক্টর রয়েছে। নতুন গ্রাফিক্স কার্ডের সাথে ভালোমানের ও ভালো ব্র্যান্ডের ৫০০ ওয়াটের পিএসইউ কিনলেই ভালোভাবে পিসি চালাতে পারবেন। কিন্তু আরেকটি ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। বাকি যন্ত্রাংশগুলোও কিছু না কিছু পাওয়ার নষ্ট করে। সে কথা বিবেচনা করে পিসির সুরক্ষার জন্য আরো বেশি ওয়াটের পিএসইউ কিনে নিতে পারেন। সাধারণত এ কনফিগারেশনের পিসির জন্য ৬৫০ ওয়াটের পিএসইউ কেনাটা ভালো। আপনি একটি এক্সট্রা হার্ডডিস্ক ও অপটিক্যাল ড্রাইভ ব্যবহার করছেন, যা পাওয়ারের চাহিদা কিছুটা বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই ৬৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই কেনাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আরো ভালো কাজ হবে যদি এক্সট্রা হার্ডডিস্ক ও অপটিক্যাল ড্রাইভ ব্যবহার না করেন। এতগুলো ডিভাইস একসাথে চললে ক্যাসিংয়ে তাপমাত্রাজনিত সমস্যা হতে পারে, তাই ক্যাসিংয়ে যদি ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা ভালো না থাকে বা কুলিং সিস্টেম ভালো না থাকে তবে কিছু খরচ করতে হবে। ক্যাসিংয়ের এক্সট্র কুলিং ফ্যান লাগানোর ব্যবস্থা থাকলে তা লাগিয়ে নিন বা ক্যাসিং বদল করে গেমিং ক্যাসিং নিন, যার ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা চমৎকার ও অনেকগুলো কুলিং ফ্যান লাগানোর ব্যবস্থা থাকে। ৫০০ ওয়াটের পিএসইউতে কাজ করতে তেমন সমস্যা হবে না, তবে ইউএসবিগুলোতে একাধিক ডিভাইস যুক্ত করলে, ফুল ডিটেইলে গেম খেললে বা এইচডি মুভি দেখলে প্রসেসর ও পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের ওপরে চাপ পড়তে পারে। এতে পিসি হ্যাং বা শাটডাউন হয়ে যেতে পারে। যন্ত্রাংশের ক্ষতিও হতে পারে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ভালোমানের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ও ভালো ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।

সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে-ইন্টেল কোর আই থ্রি, গিগাবাইট এইচ৫৫এম এস২ভি, ২ গিগাবাইট ডিডিআর৩ র‌্যাম, স্যামসাং ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক, আসুস ইএএইচ৫৪৫০ ডিডিআর৩ ১ গিগাবাইট গ্রাফিক্স কার্ড। আমি উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ২ ব্যবহার করলে গেম খেলার সময় স্লো হয়ে যায় ও অনেক সময় হ্যাং করে এবং রিস্টার্ট নেয়। উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ৩ স্টাইল এডিশন ব্যবহার করলে কিছুটা ভালো হয়। কিন্তু জিটিএ ৪ খেলার সময় হ্যাং করে এবং আউট অব মেমরি দেখিয়ে পিসি রিস্টার্ট নেয়। আমার পিসির গ্রাফিক্স কার্ডের তুলনায় র‌্যাম কি কম হয়েছে? যদি র‌্যাম বাড়াতে হয় তবে কোন ব্র্যান্ডের র‌্যাম ভালো হবে এবং আমার গ্রাফিক্স কার্ড অনুযায়ী কত মাপের মনিটর ব্যবহার করলে ভালো হবে জানালে উপকৃত হবো। -মাহতাব

সমাধান : অনেকের মাঝে ভুল ধারণা রয়েছে- যে গ্রাফিক্স কার্ডে যত গিগাবাইট মেমরি থাকবে, তা তত শক্তিশালী। নতুন গেমগুলোর সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টে ২৫৬-৫১২ গিগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড চাওয়া হয়, তাই অনেকে মনে করেন, আমার তো ১ গিগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে যা অনেক বেশি। তাই আমার পিসিতে গেম দ্বিগুণ বা চারগুণ ভালো চলার কথা। কিন্তু তারা ভুলে যান গ্রাফিক্স কার্ডের চিপসেট, ক্লকস্পিড, স্লট টাইপ, র‌্যাম টাইপ ও কিছু গ্রাফিক্স টেকনোলজির কথা। গ্রাফিক্স কার্ডের মূল পারফরম্যান্স নির্ভর করে গ্রাফিক্স কার্ডের ক্লকস্পিডের ওপর। তাই তা দেখা বেশি জরুরি। বর্তমানের নতুন গেমগুলো খেলার জন্য ২ গিগাবাইটের ডিডিআর৩ ১৩৩৩ বাসস্পিডের র‌্যামগুলোই যথেষ্ট। তবে হাই ডিটেইলে খেলার জন্য ৪ গিগাবাইট র‌্যাম থাকা ভালো। ১৬০০-২৪০০ মেগাহার্টজ হলে আরো ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায়।

আপনার গ্রাফিক্স কার্ডের পারফরম্যান্সের কথা বিবেচনা করলে তাকে মাঝারি মানের গ্রাফিক্স কার্ডের তালিকাতেও ফেলা যায় না। এর ক্ষমতা এনভিডিয়ার ৯৪০০ জিটি গ্রাফিক্স কার্ডের অনুরূপ। দুটোই দুর্বল গ্রাফিক্স কার্ড এবং যা নতুন গেমগুলো ভালোভাবে চালানোর উপযুক্ত নয়। এটি দিয়ে লো ডিটেইলে গেম চালাতে হবে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে গেম আটকে যেতে পারে। নতুন গেম খেলার শখ থাকলে কম দামের মধ্যে এটিআইয়ের ৫৬০০ বা ৫৭০০ সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড কিনতে পারেন। এনভিডিয়ার গ্রাফিক্স কার্ড কিনতে চাইলে ৫০০ সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড কিনতে পারেন। মনিটর ১৯ ইঞ্চি ব্যবহার করা ভালো। আরো বড় আকারের মনিটরে এইচডি মুভি দেখার সময় অতটা ভালো মান পাওয়া যাবে না। ৬০০০-৭০০০ টাকা খরচ করলেই আরো ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ড কিনতে পারবেন, যা দিয়ে হাই ডেফিনেশন মুভি ও নতুন নতুন গেমের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন। আপাতত উইন্ডোজ এক্সপির বদলে উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করে দেখতে পারেন এতে জিটিএ ৪ ভালো চলবে। আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করা উচিত। উইন্ডোজ সেভেনে ডিরেক্টএক্স ১১ সাপোর্ট করে এবং আপনার গ্রাফিক্স কার্ডেও তার সমর্থন রয়েছে। এক্সপিতে আপনার গ্রাফিক্স কার্ডের পুরো ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে না, তাই উইন্ডোজ বদল করা আবশ্যক। এরপরও যদি গেম আটকে যায়, তবে নতুন গ্রাফিক্স কার্ড কেনা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। র‌্যামের ব্যাপারে তেমন একটা চিন্তা না করলেও চলবে, তবে খরচের ব্যাপারে চিন্তা না থাকলে র‌্যাম ৪ গিগাবাইটে আপগ্রেড করে নিতে পারেন।

সমস্যা : আমি কয়েক মাস আগে একটি কমপিউটার কিনেছি। এর কনফিগারেশন হলো-ইন্টেল কোর আই থ্রি ৩.০৬ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৩ র‌্যাম, বায়োস্টার এইচ৫৫এইচডি মাদারবোর্ড, এক্সএফএক্স এটিআই রাডেওন ৫৭৫০ মডেলের ১ গিগাবাইট ডিডিআর৩ গ্রাফিক্স কার্ড ও ১ টেরাবাইট সাটা হার্ডডিস্ক। এতে আমি উইন্ডোজ সেভেন আল্টিমেট ৩২ বিট ভার্সন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছি। কিছুদিন আগে আমি মনিটর আপগ্রেড করেছি, যার মডেল হচ্ছে-আসুস এমএস২২৬এইচ এলইডি ২১.৫ ইঞ্চি। উল্লেখ্য, আমার গ্রাফিক্স কার্ড, মাদারবোর্ড ও মনিটর সবই এইচডিএমআই সমর্থন করে। মনিটরের সাথে দেয়া এইচডিএমআই ক্যাবলটি আমি গ্রাফিক্স কার্ড ও মনিটরের এইচডিএমআই পোর্টে সংযুক্ত করেছি। কিন্তু কমপিউটার চালু করার সময় মনিটরে এইচডিএমআই নো সিগন্যাল লেখাটি ভেসে ওঠে। মনিটরের রেজল্যুশন ১৯২০ বাই ১০৮০-তে সেট করা থাকলেও মনিটরের চারপাশে প্রায় ১ ইঞ্চি খালি স্থান থেকে যায়। কিন্তু গেম খেলার সময় ওই খালি স্থানটি আর থাকে না। এটি কি মনিটরের না গ্রাফিক্স সেটিংসের কোনো সমস্যা? -ফয়সাল, চট্টগ্রাম

সমাধান : মনিটরটির চালু হওয়ার স্পিড অনেক বেশি, তাই পিসি স্টার্ট হয়ে মাদারবোর্ড থেকে গ্রাফিক্স কার্ডে সিগন্যাল পৌঁছানোর আগের তা চালু হয়ে যায় এবং গ্রাফিক্স পোর্টে সিগন্যাল না পাওয়ায় সে এ বার্তা প্রদর্শন করে। আগেরই সিআরটি মনিটর অনেক সময় নিয়ে স্টার্ট হতো ততক্ষণে গ্রাফিক্স পোর্টে সিগন্যাল পৌঁছে যেত, তাই তা বোঝা যেত না। কিন্তু এ মনিটরে সিগন্যাল না পেলে কালো হয়ে থাকার বদলে এ মেসেজ দেখানোর নির্দেশ দেয়া আছে, তাই তা দেখাচ্ছে। পিসি বন্ধ করে দেয়ার পরও এ বার্তা প্রদর্শন করে সিগন্যাল না পাওয়ার কারণে। এটি কোনো সমস্যা নয়। মনিটরের চারপাশে ১ ইঞ্চি করে খালি জায়গা থাকতে পারে রেজল্যুশন সেটিংয়ে সমস্যার কারণে। তাই মনিটরের টাচ প্যানেল থেকে মেনু বাটন চেপে আসপেক্ট রেশিও এবং রেজল্যুশন সেটিং ঠিক করে নিন। যদি মেনুর অপশন বুঝতে না পারেন, তবে মনিটরের সাথে দেয়া ম্যানুয়াল গাইডটির সহায়তা নিন। এএমডি ভিশন ইঞ্জিন কন্ট্রোল সেন্টার নামের প্রোগ্রামটি এএমডি গ্রাফিক্স কার্ড ড্রাইভার ইনস্টল করার সাথেই ইনস্টল হয়। ডেস্কটপে রাইট বাটন ক্লিক করে এএমডি ভিশন ইঞ্জিন কন্ট্রোল সেন্টার চালু করে সেখানের স্কেলিং অপশন থেকে মাই ডিজিটাল ফ্ল্যাট-প্যানেল ট্যাব থেকে স্কেলিং অপশনস (ডিজিটাল ফ্ল্যাট-প্যানেল) নির্বাচন করলে ডান পাশে একটি মনিটর ও স্লাইডারের ছবি দেখতে পাবেন। স্লাইডারটি নড়াচড়া করে আন্ডারস্ক্যান ও ওভারস্ক্যান পজিশন ঠিকভাবে সেট করে মনিটরের সেটিংস ঠিক করে নিন।

সমস্যা : আমি নতুন একটি এলইডি এলসিডি মনিটর কিনেছি। কেনার পর দেখলাম মনিটরের পাশে কালো ফোঁটার মতো দেখা যাচ্ছে। ফোঁটা দেখে মনে হচ্ছে ওইখানে কালার মিলছে না। প্রথমে মনে করেছিলাম কোনো দাগ লেগেছে, তাই তা মোছার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু দাগটি মনিটরের স্ক্রিনের ভেতরে। আমার মনিটরের মডেল আসুস ভিএইচ১৯৭ডি ১৮.৫ ইঞ্চি। এটি সারানোর উপায় কি? এটি কি মনিটরে কোনো সমস্যা করতে পারে?

-অর্ণব

সমাধান : কালো ফোঁটার মতো এ জিনিসটিকে ডেড পিক্সেল বলে। এ পিক্সেলটি আলোর তারতম্যের সাথে কোনো সাড়া দেবে না এবং সবসময় কালোই দেখাবে। এলসিডি মনিটরে দুয়েকটা ডেড পিক্সেল পড়াটা স্বাভাবিক। তবে বেশি পড়লে তা খারাপ দেখা যায়। কমপিউটার বিক্রেতারা নির্দিষ্ট সংখ্যক ডেড পিক্সেল পড়া পর্যন্ত ওয়ারেন্টি দেন। বিক্রেতার কাছে যোগাযোগ করে জানান যে আপনার মনিটরে ডেড পিক্সেল রয়েছে এবং এ সম্পর্কে তাদের ওয়ারেন্টি অপশন বিস্তারিত জেনে নিন।

সমস্যা : আমার কমপিউটারের ফ্যানে কিছুদিন ধরে সমস্যা হচ্ছে। কমপিউটার স্টার্ট করার সাথে সাথে ফ্যানে এমন আওয়াজ হচ্ছে যেনো কিছু আটকে আছে। পিসি অন করার সময় ৩-৪ বার ইউপিএস অফ করতে হয়। আমি কেসিং খুলে চালালেও একই সমস্যা হচ্ছে। অথচ কোনো কিছু আটকে থাকতে দেখিনি। -আশিষ, মগবাজার

সমাধান : কমপিউটারে সাধারণত দুটি ফ্যান থাকে। একটি প্রসেসরের কুলিং ফ্যান, আরেকটি কেসিংয়ের সাথে যুক্ত থাকা কুলিং ফ্যান। অনেক সময় ফ্যানে সমস্যা থাকলে তা ঘোরা শুরু করার আগে একটু আওয়াজ করতে পারে, তবে চালু হওয়ার পর আর কোনো শব্দ করে না। আপনার পিসির ফ্যান চলার সময় শব্দ করে কি না, তা উল্লেখ করেননি। ফ্যানের হুইলে সামান্য একটু লুব্রিকেটেড অয়েল দিয়ে দেখতে পারেন। যদি আওয়াজ প্রসেসরের ওপরে থাকা কুলিং ফ্যানে হয়ে থাকে তবে তার নিচের হিটসিঙ্কটি খুলে তার ভেতরে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিমাসে অন্তত দুবার কেসিংয়ের ভেতরের অংশ পরিষ্কার করা এবং দুই মাসে একবার প্রসেসরের হিটসিঙ্কটি পরিষ্কার করা উচিত। ইউপিএস বারবার অন-অফ করাটা ঠিক নয়, এতে পিসির ক্ষতি হতে পারে।

সমস্যা : ডিভিডি রাইটার ও কম্বো ড্রাইভের মধ্যে পার্থক্য কি? কোন ব্র্যান্ডের অপটিক্যাল ড্রাইভ ভালো?

-মামুন

সমাধান : কম্বো ড্রাইভ ও ডিভিডি রাইটার নিয়ে অনেকেরই ধারণা পরিষ্কার নয়। তাই অপটিক্যাল ড্রাইভ কেনার সময় হিমশিম খেতে হয় অনেককেই। কম্বো ড্রাইভ সিডি/ডিভিডি রিড করতে পারে এবং সিডি রাইট করতে পারে, কিন্তু ডিভিডি রাইট করতে পারে না। কম্বো ড্রাইভগুলোর পারফরম্যান্স তেমন একটা ভালো নয়। ডিভিডি রাইটার দিয়ে সিডি/ডিভিডি রিড বা রাইট করা যায়। বাজারে বেশ কয়েক ব্র্যান্ডের অপটিক্যাল ড্রাইভ পাওয়া যায়, তার মধ্যে আসুস, স্যামসাং, লাইটঅন, এইচপি, ফিলিপস, বেনকিউ ইত্যাদি ব্র্যান্ড জনপ্রিয়। অপটিক্যাল ড্রাইভ যত্ন সহকারে ব্যবহার করলে তা অনেক দিন টিকে। অপটিক্যাল ড্রাইভ ট্রের ধুলোবালি পরিষ্কার রাখা, বেশিক্ষণ ধরে ডিভিডি না চালানো অর্থাৎ ডিভিডি ড্রাইভে ডিস্ক ঢুকিয়ে একটানা কয়েক ঘণ্টা মুভি না দেখে তা কপি করে হার্ডডিস্কে নিয়ে দেখা, স্ক্র্যাচ পড়া ডিস্ক বা ময়লা লেগে থাকা ডিস্ক ড্রাইভে না ঢোকানো ইত্যাদি কাজ করলে অপটিক্যাল ড্রাইভ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

ফিডব্যাক : jhutjhamela@comjagat.com

সমস্যা : বাজারে কিছু ডিভিডি ড্রাইভ দেখলাম যাতে লেখা লাইটস্ক্রাইব টেকনোলজিযুক্ত, যা অন্যান্য ডিভিডি রাইটারের চেয়ে বেশি দামি। এ ব্যাপারে দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করায় সে লাইটস্ক্রাইব টেকনোলজি সম্পর্কে তেমন কিছু বলতে পারলেন না। আমি জানতে চাচ্ছি এ টেকনোলজি কি কাজে লাগে? ->>>>>

সমাধান : লাইটস্ক্রাইব টেকনোলজির সাহায্যে ডিস্কের সারফেসে ইচ্ছেমতো ছবি বা লেখা প্রিন্ট করা যায়। তবে যেকোনো ডিস্কে তা করা যাবে না। এ জন্য লাইটস্ক্রাইব ডিস্কের দরকার হবে। বাজারে লাইটস্ক্রাইব ডিস্ক খুব একটা প্রচলিত নয়, তবে খুঁজে দেখলে ভারবাটিম বা মিতসুবিশি কোম্পানির লাইটস্ক্রাইব ডিস্ক পেয়ে যেতে পারেন। ডিস্কের উপরে প্রিন্ট করা ইমেজ গ্রে-স্কেল মোডে থাকবে তা রঙিন হবে না। এসব ডিস্কের দাম সাধারণ ব্ল্যাঙ্ক ডিস্কের তুলনায় কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। বাজারে লাইটঅন লেভেল ট্যাগ নামে নতুন ডিভিডি রাইটার এসেছে। এর সাহায্যে ডিস্কের কোনায় ডিস্কের নাম লিখে রাখা যাবে। লাইটস্ক্রাইব ডিস্কের একটি সমস্যা হচ্ছে তার সারফেসে বার্ন করা ছবি ধীরে ধীরে হালকা হতে থাকে এবং বেশ কিছুদিন পর ওপরের ছবি আর ভালো করে বোঝা যায় না। লাইটস্ক্রাইব ডিস্ক বেশ যত্ন করে ফোল্ডারে রেখে দিলে তা অনেক দিন টিকিয়ে রাখা সম্ভব। বেশিবার ব্যবহার করা হবে এমন ডাটা বা কনটেন্ট লাইটস্ক্রাইব ডিস্কে রাইট না করাই ভালো। লাইটস্ক্রাইব ডিস্কের সারফেসে বার্ন করার জন্য নেরোতেই রয়েছে ডিস্ক সারফেস বা ডিস্ক কভার বার্নার সফটওয়্যার, যা দিয়ে খুব সুহজেই নিজের পছন্দমতো ডিজাইন বা ছবি ডিস্কের সারফেসে প্রিন্ট করিয়ে নেয়া যাবে। এক্ষেত্রে ডিস্ক আমরা ড্রাইভের ভেতরে সাধারণত যেভাবে ট্রেতে রেখে তা চালু করি, তার বিপরীতভাবে অর্থাৎ ডিস্ক উল্টো করে ড্রাইভে ঢোকাতে হবে। লাইটস্ক্রাইব ডিস্কের সারফেস বার্ন করার সময় ডিপ কালার ব্যবহার করা ভালো। এতে তা বেশিদিন স্থায়ী হবে।

সমস্যা : ডেস্কটপের ইমেজ ক্যাপচার করার কোনো সফটওয়্যার আছে কি? থাকলে সে সম্পর্কে বিশদ আলোচনা আশা করছি। -মাহবুব, শ্যামলী

সমাধান : মনিটরের স্ক্রিনশট নেয়ায় জন্য অনেক ধরনের সফটওয়্যার পাওয়া যায়। এর সাহায্যে খুব সহজেই স্ক্রিনশট নেয়া যায়। কিন্তু উইন্ডোজেই স্ক্রিনশট নেয়ার সুবিধা দেয়া আছে। উইন্ডোজে স্ক্রিনশট নেয়ার জন্য কিবোর্ডের PrtSc বা PrintScreen নামে বাটনটি চাপুন। এতে আপনার স্ক্রিনের ইমেজ তোলা হয়ে যাবে। তোলা ইমেজ সংরক্ষণ করার জন্য মাইক্রোসফট পেইন্ট বা অন্য কোনো ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার খুলে তাতে পেস্ট করুন এবং তার একটি নাম দিয়ে তা সেভ করে রাখুন। এক্ষেত্রে প্রতিবার বাটন চেপে সেভ করে নিতে হবে প্রত্যেক ছবির জন্য। কিন্তু অন্যান্য সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বাটনে চাপতে থাকলেই হবে, তা পূর্বনির্ধারিত স্থানে নিজে নিজেই তোলা ছবি সংরক্ষণ করতে থাকবে পর্যায়ক্রমে নাম দিয়ে। উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা হয়েছে। স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে নিচের সার্চবক্সে snipping tools লিখলে একটি প্রোগ্রাম আসবে, তা চালু করলেই স্ক্রিনের ইমেজ নেয়ার অপশন পাওয়া যাবে এবং নিজের ইচ্ছেমতো ইমেজ অংশ ছোট-বড় করে নেয়া যাবে। তারপর তা সেভ করে রাখা যাবে। উইন্ডোজের সাথে দেয়া স্ক্রিনশট নেয়ার প্রোগ্রামগুলোর সমস্যা হচ্ছে তা মনিটরের রেজল্যুশন যে মানে সেট করা আছে তার বেশি রেজল্যুশনে ইমেজ সেভ করতে পারে না। কিন্তু আলাদা সফটওয়্যারগুলোয় আরো অনেক বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। গুগলে desktop screen print software লিখে সার্চ দিলে অনেক সফটওয়্যার পাওয়া যাবে। সেখান থেকে একটা ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন।

সমস্যা : আমি দুটি এটিআই রাডেওন এইচডি ৬৭৭০ গ্রাফিক্স কার্ড কিনে ক্রসফায়ার করতে চাই। এজন্য কী কী লাগবে? আমার পিসির কনফিগারেশন এএমডি ফেনম টু এক্সফোর ৩.২ গিগাহার্টজ প্রসেসর, এমএসআই ৮৯০জিএমএ-জি৬৫, ২ গিগাবাইট ডিডিআর৩ ১৩৩৩ বাসস্পিডের র‌্যাম, ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক, সিএসএম ১৮০৫ এটিএক্স ক্যাসিং ও আসুস এমএস২২৮এইচ ২২ ইঞ্চি মনিটর। নতুন গেমগুলো ফুল ডিটেইলসে খেলতে চাই, তাই এ কনফিগারেশন ঠিক আছে কি না সে ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিলে খুশি হব।

-ফাহিম, চট্টগ্রাম

সমাধান : এটিআই রাডেওন এইচডি ৬৭৭০ গ্রাফিক্স কার্ড গেমিংয়ের জন্য মোটামুটি বেশ শক্তিশালী কার্ড। দুটি কার্ড ব্যবহার করে ক্রসফায়ার করলে বেশ ভালো পারফরম্যান্স পাবেন আপনার প্রসেসরের সাথে। কোয়াড কোরের প্রসেসরের ফলে গেমিং পারফরম্যান্স অনেক বেড়ে যাবে। আপনার মাদারবোর্ডের মডেল অনুযায়ী তাতে দুটি পিসিআই এক্সপ্রেস স্লট আছে, যার ফলে অনায়াসে দুটি কার্ড তাতে লাগাতে পারবেন। মাদারবোর্ডে হাইব্রিড ক্রসফায়ারএক্স থাকার কারণে বাড়তি সুবিধা পাবেন। হার্ডকোর গেমিংয়ের জন্য আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী প্রসেসর, মাদারবোর্ড ও মনিটর ঠিক আছে। কারণ গেমিংয়ের জন্য ২ মিলিসেকেন্ড রেসপন্স টাইমের

মনিটর থাকা ভালো, যা আপনার মনিটরে আছে। সেই সাথে মনিটরটিতে এলইডি এলসিডি, ফুল এইচডি এবং ১০,০০০,০০০:১ অনুপাতের অতি উঁচুমানের কন্ট্রাস্ট রেশিও দেয়া আছে, যা গেমিংয়ের জন্য ভালোর কাতারে ফেলা যায়। আপনার র‌্যাম বেশ দুর্বল হাই-এন্ড গেমিং পিসি হিসেবে। চেষ্টা করুন ৪-৮ গিগাবাইট র‌্যাম নেয়ার। তবে ভালো হয় হাই-পারফরম্যান্স গেমিং র‌্যাম কিনতে পারলে, যার দাম কিছুটা বেশি। মোটামুটি দামের মধ্যে ১৬০০-১৮৬৬ মেগাহার্টজ সম্পন্ন র‌্যাম কিনে নিতে পারেন। ২ গিগাবাইট করে দুটি কেনা ভালো, একটি ৪ গিগাবাইট র‌্যাম কেনার চেয়ে। ৮ গিগাবাইটের বেলায় ৪ গিগাবাইটের দুটি কিনতে হবে। দুটি স্লটে দুটি র‌্যাম বসিয়ে ডুয়াল চ্যানেল সাপোর্টে বেশ ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে। বর্তমানে বাজারে ৮ গিগাবাইটের সিঙ্গেল মডুলের র‌্যাম পাওয়া যাচ্ছে। গেমিংয়ের জন্য সাধারণ মানের হার্ডডিস্ক না কিনে বেশি ক্যাশযুক্ত ও বেশি আরপিএমের হার্ডডিস্ক কেনা উচিত। এতে গেম লোড হওয়ার সময় বেশ কাজে দেয়। গেমিংয়ের জন্য সবচেয়ে ভালো এসএসডি বা সলিড স্টেট হার্ডড্রাইভ। এগুলোর দাম অনেক বেশি এবং ধারণক্ষমতা কম। ভালো হয় গেমিংয়ের জন্য সাধারণ হার্ডডিস্কের পাশাপাশি একটি এসএসডি হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা। এবার আসা যাক ক্যাসিং প্রসঙ্গে। গেমারদের জন্য এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গেম খেলার সময় সিস্টেমের ওপরে বেশ লোড পড়ে, তাই তা বেশ গরম হয়ে যায়। গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য গেমিং ক্যাসিংগুলোতে বেশ কয়েকটি কুলিং ফ্যানের ব্যবস্থা থাকে। গ্রাফিক্স কার্ডবিহীন অবস্থায় আপনার ক্যাসিং আপনার পিসির জন্য যথেষ্ট ছিল, কিন্তু এর কুলিং সিস্টেম ও ৪০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গেমিংয়ের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এটিআই রাডেওন এইচডি ৬৭৭০ গ্রাফিক্স কার্ড চালানোর জন্য ন্যূনতম ৫০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই প্রয়োজন হয়। তাই দুটি গ্রাফিক্স কার্ড একসাথে চালানোর জন্য স্বাভাবিকভাবেই আরো বেশি ক্ষমতার পিএসইউ লাগবে। পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী ৮৫০-১০০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই দরকার হবে। গেমিং ক্যাসিংয়ের দাম ৪০০০ টাকা থেকে শুরু। দুটি গ্রাফিক্স কার্ড ও পর্যাপ্ত কুলিং সিস্টেম বসানোর জন্য ক্যাসিংয়ের ভেতরে বেশ জায়গার দরকার পড়বে, তাই মিড টাওয়ারের বদলে ফুল টাওয়ার ক্যাসিং কেনাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সাধারণত গেমিং ক্যাসিংয়ে ২-৩টি হাই-পারফরম্যান্স কুলিং ফ্যান দেয়া থাকে এবং আরো কয়েকটি ফ্যান লাগানোর জন্য জায়গা দেয়া থাকে। প্রয়োজনে আরো কয়েকটি কুলিং ফ্যান কিনে লাগিয়ে নিতে পারেন। ওভারক্লক করার ইচ্ছে থাকলে ওয়াটার কুলিং বা হিটসিঙ্ক ব্যবহার করতে পারেন। পিসি কনফিগারেশন ওপরে উল্লিখিত মানের হলে নতুন গেমগুলো ফুল ডিটেইলসে খেলতে আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।

সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে-৩. ০ গিগাহার্টজের ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ই৮৪০০, ১৩৩৩ বাস স্পিড ও ৬ মেগাবাইট এলটু ক্যাশ, ইন্টেল ডিজি৪১ডব্লিউভি মাদারবোর্ড, ৪ গিগাবাইট র‌্যাম ও ৮০ গিগাহাইট হার্ডডিস্ক। পিসি কেনার পর থেকে হঠাৎ করেই কোনো ওয়ার্নিং বা মেসেজ দেয়া ছাড়াই কমপিউটার রিস্টার্ট হয়ে যায়। এ সমস্যার সমাধান কি? আমার আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে, আমি কি পিসিতে ৮ গিগাবাইট র‌্যাম লাগাতে পারব? -নাবিল, ফটিকছড়ি

সমাধান : কমপিউটার বারবার রিস্টার্ট করার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে, তাই পিসি পরীক্ষা করে না দেখে সঠিক করে বলা যাচ্ছে না কি সমস্যা? পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা, হার্ডডিস্ক ব্যাড সেক্টর, কুলিং সিস্টেম ফেইলুর, ওভারহিট, র‌্যামের সমস্যা, ভাইরাসজনিত সমস্যা ইত্যাদি আরো অনেক কারণে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রাথমিকভাবে পিসির অপারেটিং সিস্টেম বদল করে দেখুন। এরপর তাতে ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে তা আপডেট করে পুরো পিসি স্ক্যান করে নিন। ভালো ডিফ্র্যাগমেন্ট সফটওয়্যার দিয়ে হার্ডডিস্ক ডিফ্র্যাগ করুন। ড্রাইভগুলোতে পর্যাপ্ত জায়গা ফাঁকা রাখুন (কমপক্ষে ১৫ শতাংশ)। আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী হার্ডডিস্কটি কিছুটা পুরনো। সম্ভব হলে ১৬০ গিগাবাইট হার্ডডিস্কে আপগ্রেড করে নিন। তারপরও কোনো সমস্যা হলে পিসিটি কোনো সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে গিয়ে চেক করিয়ে আনুন। মাদারবোর্ডের মডেল অনুযায়ী আপনি তাতে ডিডিআর৩ র‌্যাম ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু তা ৮০০ ও ১০৬৬ বাসস্পিডের হতে হবে। এ মাদারবোর্ডের মডেলে ডিডিআর৩-এর প্রথমদিকের র‌্যামগুলো কাজ করবে। নতুন ডিডিআর৩ র‌্যামগুলো সাধারণত ১৩৩৩ বাসস্পিডের হয়ে থাকে। এখনকার সিস্টেমে কত বাসস্পিডের র‌্যাম আছে তা দেখে আপনার নতুন র‌্যাম কিনে নিতে হবে। কমপিউটার মার্কেটে এ গতির র‌্যাম না পেলে এলিফ্যান্ট রোডের পুরনো পার্টস বিক্রেতাদের কাছ থেকে কিনে নিতে পারেন। র‌্যাম স্লটগুলোর প্রত্যেকটি ৪ গিগাবাইট মেমরির র‌্যাম ধারণ করার ক্ষমতা রাখে। তাই ৮ গিগাবাইট র‌্যাম ব্যবহার করতে পারবেন অনায়াসে।

সমস্যা : এটিআই সিরিজের কিছু গ্রাফিক্স কার্ডের গায়ে লেখা দেখা যায় ক্রসফায়ারএক্স রেডি। এ ক্রসফায়ারএক্সটি কি, এবং তা কী কাজে লাগে? -তপন, মহাখালী

সমাধান : ক্রসফায়ার টেকনোলজির সাহায্যে দুই বা ততোধিক গ্রাফিক্স কার্ডের মাঝে সমন্বয় সাধন করে তার ক্ষমতা বাড়ানো যায়। এজন্য মাদারবোর্ডে দুই বা ততোধিক গ্রাফিক্স কার্ড পোর্ট বা পিসিআই এক্সপ্রেস পোর্ট থাকতে হবে। যে গ্রাফিক্স কার্ডগুলো দিয়ে ক্রসফায়ার করতে হবে সেগুলো একই মেমরি, একই ব্র্যান্ড ও একই মডেলের হতে হবে। মূল কথা, ক্রসফায়ারে ব্যবহার করা গ্রাফিক্স কার্ডগুলো যমজ হতে হবে, তাহলেই তা ভালোভাবে কাজ করবে। কিন্তু একই সিরিজের যেমন ৬৮৩০ বা ৬৮৫০ দিয়েও এটিআইয়ের ক্ষেত্রে ক্রসফায়ার করা যায়। সহজ কথায়, মডেলের প্রথম দুটিতে মিল থাকতে হবে, যেমন ৬৮০০ মডেলের মধ্যে ৬৮৩০, ৬৮৫০, ৬৮৭০ ও ৬৮৯০ এগুলোর মধ্যে ক্রসফায়ার করা সম্ভব। বাজারে ২-৩ গিগাবাইটের বেশি মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড নেই। তাই দুটি ২-৩ গিগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে ক্রসফায়ার টেকনোলজির মাধ্যমে গ্রাফিক্স কার্ডের মেমরির পরিমাণ ৪-৬ গিগাবাইট ও ক্লকস্পিড দ্বিগুণ করার পাশাপাশি পারফরম্যান্স দ্বিগুণ করে নেয়া সম্ভব। ক্রসফায়ার টেকনোলজি শুধু এটিআই সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ডের সাহায্যে করা সম্ভব। এনভিডিয়ার গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে ক্রসফায়ার করা যায় না। এনভিডিয়ার গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য রয়েছে এসএলআই টেকনোলজি। গ্রাফিক্স কার্ডের বক্সের গায়ে ক্রসফায়ারএক্স রেডি লেখা থাকার অর্থ হচ্ছে গ্রাফিক্স কার্ডটি দিয়ে ক্রসফায়ার করা সম্ভব।

সমস্যা : বাসায় আমি ক্যাননের লেক্সমা আইপি ২৭৭২ প্রিন্টার ব্যবহার করি। খরচ বাঁচাতে কালি রিফিল করার পর থেকে প্রিন্টার বেশ সমস্যা করছে। প্রিন্ট কমান্ড নেয় না, প্রিন্টারের ইঙ্ক ট্যাঙ্ক শূন্য দেখায় এবং পেজ আটকে যায় ইত্যাদি নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমি প্রিন্টারটি বদলে অন্য প্রিন্টার নিতে চাচ্ছি। কোন ব্র্যান্ডের প্রিন্টার কালার ও ফটো প্রিন্টিংয়ের জন্য ভালো? অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টারগুলোর পারফরম্যান্স কেমন? প্রিন্ট করার সময় কালি বাঁচানোর জন্য কি করা যেতে পারে?

-রবিন, মুগদা

সমাধান : অরিজিনাল কালি বা আসল কার্টিজের কালি নকল কালির চেয়ে অনেক বেশি প্রিন্ট দিতে পারে। তাই আসল কালি কেনার চেষ্টা করুন, এতে বেশি প্রিন্ট করতে পারবেন। এছাড়া সাধারণ প্রিন্ট করার সময় স্ট্যান্ডার্ড বা হাই কোয়ালিটি মোডের বদলে ইকোনমি, ড্রাফট বা ফাস্ট মোড ব্যবহার করলে বেশ কিছুটা কালি বাঁচানো যায়। নিয়মিত প্রিন্টারের রক্ষণাবেক্ষণ করলে প্রিন্টারের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। প্রিন্টার সবসময় ঢেকে রাখতে হবে যাতে ধুলোবালি না ঢুকে। একেবারে অনেক দিন ধরে প্রিন্ট না করে ফেলে রাখা যাবে না। সপ্তাহে অন্তত একবার প্রিন্ট করা উচিত। মাসে একবার প্রিন্টারের মেইনটেনেন্স অপশনে গিয়ে ক্লিনিং, প্রিন্ট হেড অ্যালাইনমেন্ট, নজেল চেক, বটম প্লেট ক্লিনিং, রোলার ক্লিনিং ইত্যাদি অপশন ব্যবহার করে দেখা ভালো। কোন ব্র্যান্ডের প্রিন্টারের কালির দাম কম এবং সহজলভ্য তা বিবেচনা করে প্রিন্টার কিনতে হবে, তাই কোন ব্র্যান্ড কিনবেন তা নিজেকেই ঠিক করতে হবে। কোনো ব্র্যান্ডের প্রিন্টারই খারাপ নয়। তাদের মাঝে পারফরমেন্সের দিক থেকে কিছুটা উনিশ-বিশ হতে পারে, তবে সেটি হোম ইউজারদের জন্য তেমন একটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। কালার বা ফটো প্রিন্টার হিসেবে আলাদা কিছু প্রিন্টার রয়েছে। কম দামের মধ্যে ইঙ্কজেট এবং বেশি দামের মধ্যে লেজার প্রিন্টার বাজারে পাওয়া যায়। হোম ইউজারদের জন্য ইঙ্কজেট এবং অফিসে ব্যবহারের জন্য লেজার পিন্টার উত্তম। মাল্টি-ফাংশনাল প্রিন্টার বা অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টারগুলোর ক্ষমতা প্রায় সিঙ্গেল প্রিন্টারের কাছাকাছি, তবে তা তুলনামূলকভাবে বেশি দিন টেকে না। তাই খুব বেশি প্রয়োজন না হলে মাল্টি-ফাংশনাল প্রিন্টারের দিকে হাত না বাড়ানোই ভালো। কালির খরচ বাঁচানোর জন্য কিছু প্রিন্টার বাজারে পাওয়া যায়, যার সাথে ইঙ্ক ড্রাম বা ইঙ্ক ট্যাঙ্ক যুক্ত থাকে। এসব ইঙ্ক ট্যাঙ্কে অনেক কালি ধরে, যা দিয়ে কয়েক মাস নিশ্চিন্তে প্রিন্ট করতে পারবেন। আবার এগুলোর কালিও বেশ কম দামে পেয়ে যাবেন। রিফিল কালি কেনার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করুন, কারণ ভালোমানের কালি না কিনলে প্রিন্টারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে ব্র্যান্ডের কালি ব্যবহার করবেন সবসময় তাই কেনার চেষ্টা করুন, এতে প্রিন্টার বেশিদিন টিকবে।

সমস্যা : আমি ডার্কসাইডারস ২ গেমটির থার্ড চ্যাপ্টারে আটকে গেছি। এখানে এক জায়গায় দেয়ালে কিছু হুক রয়েছে, যা ডেথ দেয়াল বেয়ে দৌঁড়ানোর সময় ধরে কিন্তু তারপর এগোতে পারে না। দেয়ালে বিমের মতো কিছু অংশ থাকলে তা ধরে স্পিড বুস্ট করে এগিয়ে যায়, কিন্তু হুকের বেলায় নিচে পড়ে যায়। আমি কোনোভাবেই দেয়াল পার করতে পারছি না। এটি কিভাবে পার করব? -সালমান, ঝিগাতলা
সমাধান : গেমের থার্ড চ্যাপ্টারে যাওয়ার আগে ডেথ একটি স্পেশাল পাওয়ার পাবে, যার নাম ডেথ গ্রিপ। এই ডেথ গ্রিপ পাওয়ারের সাহায্যে দেয়াল বেয়ে দৌড়ানোর সময় দেয়ালে থাকা হুকগুলোকে লম্বা জাদুর হাত দিয়ে ধরে তাতে ঝুলে দেয়াল পার হতে হবে। আগের স্টেজে ফিরে গিয়ে ডেথ গ্রিপটি খুঁজে বের করুন। এটি খুঁজে পাওয়ার জন্য ইউটিউবে গেমটির ওয়াকথ্রু দেখে নিন।
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস