লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
অজিত কুমার সরকার
মোট লেখা:৫
লেখা সম্পর্কিত
আইটি খাতে কর্মসংস্থান এবং এন আই খানের চার ধাপের কর্মপরিকল্পনা
বিশ্বে উন্নয়ন ঘটেছে মূলত তিনটি ধাপে। সভ্যতার সূচনা পর্বে প্রথম ধাপের উন্নয়ন ছিল মানুষের কায়িক পরিশ্রমনির্ভর। এরপর দ্বিতীয় ধাপে শিল্পবিপস্নব নামে যে উন্নয়ন ঘটে, তা শিল্পনির্ভর। বিংশ শতাব্দীর প্রায় পুরো সময় চলে শিল্পনির্ভর উন্নয়ন। তবে এ সময়ের শেষদিকে উন্নত দেশগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি বিপস্নবের পথ ধরে শুরু হয় তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন। তৃতীয় ধাপের এ উন্নয়ন বতর্মানে উন্নয়নশীল অনেক দেশেই চলছে পুরোমাত্রায় এবং পূর্ণোদ্যমে।
একটি দেশে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন কার্যকর টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, অর্থ ব্যবস্থা ও সেবার ডিজিটালায়ন, দক্ষ কর্মশক্তি এবং তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব পরিবেশ। স্বীকার করতেই হবে এদেশে ঘাটতি রয়ে গেছে দক্ষ মানবসম্পদের। ডিজিটালায়নের পথে দেশ যত এগিয়ে যাবে, ততই তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা তৈরি হবে। দক্ষ মানবসম্পদ ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাঙিক্ষত লক্ষ্য অর্জন কখনই সম্ভব হবে না। আর মানুষ যত দক্ষ হবে, কর্মসংস্থানও তত বেশি হবে। এ বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিয়েই সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলায় এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। এজন্য চার ধাপের একটি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে সরকার। প্রথম ধাপে গড়ে তোলা হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত মানুষ। দ্বিতীয় ধাপে ফ্রিল্যান্সার (মুক্ত পেশাজীবী), তৃতীয় ধাপে এন্টারপ্রেণর (উদ্যোক্তা) এবং চতুর্থ ধাপে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) পেশাজীবী।
চার ধাপের এ কর্মপরিকল্পনার উদ্ভাবক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব মো: নজরুল ইসলাম খান (এন আই খান)। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামেরও জাতীয় প্রকল্প পরিচালক। চার ধাপের কর্মপরিকল্পনায় রয়েছে মেধা, প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতার ছাপ। দেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষিত তরুণ-তরুণীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করে তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আইটি খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রম্নতি রয়েছে এ কর্মপরিকল্পনায়। একে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশকে বাস্তব রূপ দেয়ার ‘কারিগর তৈরির রূপরেখা’ বললেও অত্যুক্তি হবে না।
চার ধাপের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অত্যন্ত কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং। কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, এ নিয়ে কথা হয় এন আই খানের সাথে। তিনি বলেন, ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর এমন একটি চ্যালেঞ্জিং কর্মসূচির যাত্রা শুরু হয়েছিল তৃণমূল থেকে। কর্মসূচিটি বাস্তবায়িত হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম ও স্থানীয় সরকার বিভাগের যৌথ উদ্যোগে। গ্রামের মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য সারাদেশের ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়ন পরিষদে চালু করা হয় ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র (ইউআইএসসি)। এ কর্মসূচি শুরুর দিকে অনেকে বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ- ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে গ্রামের মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তি নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। যাতে তারাও তথ্যপ্রযুক্তির সুফল পায়। সে কারণে চ্যালেঞ্জিং হওয়া সত্ত্বেও সারাদেশে একযোগে ইউআইএসসি স্থাপন করা হয়।
দীর্ঘ আলাপচারিতায় এন আই খানের কাছ থেকে তার চিন্তাপ্রসূত চার ধাপের কর্মসংস্থান ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির একটা সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেল।
ধাপ ০১ : কমপিউটার লিটারেট তৈরি
২০১০ সালের ১১ নভেম্বর যখন ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়, তখন শুধু অনলাইন এবং অফলাইনে বিভিন্ন ধরনের সেবা দেয়া হতো। পরবর্তী সময়ে এসব কেন্দ্রে কমপিউটার প্রশিক্ষণ চালুর ধারণা জন্মে একটি সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য থেকে। গ্রামে মাধ্যমিক থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি পাস অনেক তরুণ-তরুণী রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেকার। এসব তরুণ-তরুণীকে যদি কমপিউটার লিটারেট তৈরি করা যায় হয়তো একসময় এরাই হবে উদ্যোক্তা। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাথে আলোচনা করা হয়। এরা অ্যাসেসমেন্ট করে ইউআইএসসি থেকে পাস করা কমপিউটার প্রশিক্ষিতদের সার্টিফিকেট দেবে। শুরু হয় গ্রাম পর্যায়ে ইউআইএসসিতে কমপিউটার প্রশিক্ষণ। তথ্যপ্রযুক্তি সচিব এন আই খান বলেন, শুধু ইউআইএসসি নয়, ভোকেশনাল ট্রেনিং এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার কমপিউটার লিটারেট তরুণ-তরুণী বের হচ্ছে। যাদের আইটি খাতের জন্য দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
ধাপ ০২ : ফ্রিল্যান্সার তৈরি
দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার তৈরি। ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্রসহ ভোকেশনাল ট্রেনিং, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে যেসব কমপিউটার লিটারেট তরুণ-তরুণী বের হচ্ছে, তাদের ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তোলা। ২০১৩ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ফিল্যান্সার উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করবে। কর্মসূচিটির নাম দেয়া হয় লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রোগ্রাম। আইটি প্রশিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের মধ্য থেকে এসব ফ্রিল্যান্সার তৈরির লক্ষে সফটওয়্যার, গ্রাফিক্স, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ৭০ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ২০ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা হয়েছে।
ধাপ ০৩ : ফ্রিল্যান্সার টু এন্টারপ্রেনর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম
তৃতীয় ধাপে তৈরি হবে উদ্যোক্তা। ফ্রিল্যান্সারদের মধ্য থেকেই তৈরি হবে উদ্যোক্তা, যাতে এরা নিজেরা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সার তৈরি করতে পারেন। সাধারণত যারা সরকারের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্প থেকে ফ্রিল্যান্সার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং এ কাজে যাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদের মধ্য থেকে উদ্যোক্তা বাছাই করা হবে। এন আই খান বলেন, ফ্রিল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা তৈরির এ উদ্যোগ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।
ধাপ ০৪ : এন্টারপ্রেনর থেকে আইটি ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট
চতুর্থ ধাপের কর্মসূচি হচ্ছে একজন উদ্যোক্তাকে আইটি ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুয়োগ তৈরি করে দেয়া। দেশের যেসব বিভাগ ও শহরে হাইটেক এবং সফটওয়্যার পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, সেখানে জায়গার ব্যবস্থা করা হবে উদ্যোক্তাদের জন্য। যারা সক্ষম এবং সফল উদ্যোক্তা, তাদের জন্যই অগ্রাধিকার থাকবে এসব পার্কে। এন আই খান জানান, বিদেশী আইটি ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি এ দেশের উদ্যোক্তারাও হাইটেক পার্কে ব্যবসা করবেন। নিজেরা বড় কোম্পানির মালিক হবেন। এভাবেই দেশে এন্টারপ্রেনর থেকে আইটি ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট তৈরি হবে। এর ফলে দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান যেমন হবে, তেমনি আইটি খাত থেকে রফতানি আয়ও বাড়বে।
ব্যতিক্রমী আয়োজনে ফ্রিল্যান্সার থেকে এন্টারপ্রেনর তৈরির যাত্রা শুরু
ফ্রিল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগটি বাস্তবায়নের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালের ১১ মে। কর্মসূচির নাম দেয়া হয় ‘ফ্রিল্যান্সার টু এন্টারপ্রেনর ডেভেলপমেন্ট’। ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে। সরকারের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্প থেকে ফ্রিল্যান্সাররা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং এ কাজে যাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের মধ্য থেকে উদ্যোক্তা বাছাই করা হবে।
ফ্রিল্যান্সার টু এন্টারপ্রেনর ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে আয়োজন করা হয় এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের। এদিন এক প্রান্তে মেন্টরদের সাথে নিয়ে ৬৪ জন জেলা প্রশাসক তাদের নিজ নিজ অফিসের সম্মেলন কক্ষে এবং অপর প্রান্তে আগারগাঁওয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো: নজরুল ইসলাম খান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অবস্থান নেন। উদ্দেশ্য লোগো উন্মোচনের মাধমে ‘ফ্রিল্যান্সার টু এন্টারপ্রেনর ডেভেলপমেন্ট’ কর্মসূচি উদ্বোধন। সবার সামনেই জায়ান্ট স্ক্রিনের মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর। বেলা ১১টার সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে ৬৪ জেলায় লোগো উন্মোচনের মধ্য দিয়ে ‘ফ্রিল্যান্সার টু এন্টারপ্রেনর ডেভেলপমেন্ট’ কর্মসূচি চালু করা হয়। বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতিতে যোগ হয় আরেকটি পালক।
ফ্রিল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির কর্মসূচিকে হিসেবে অভিহিত করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, এ কর্মসূচি চালুর ফলে তরুণ উদ্যোক্তারা স্বাধীন সত্তা নিয়ে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। দেশে হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে। আইটি খাত তৃণমূল পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে অচিরেই আউটসোর্সিং খাত থেকে আয় বর্তমান ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত হবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি রূপকল্পকে সামনে নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রা শুরু হয়। লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। এরই মধ্যে সরকারি নানা উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে নতুন নতুন প্রকল্প ও কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা তৈরির কর্মসূচি এসব উদ্যোগেরই একটি। বর্তমান সরকারের আমলে ডিজিটালায়নের উদ্যোগগুলো সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।
ফ্রিল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা তৈরির কার্যক্রমকে বাস্তব রূপ দিতে আগাম প্রস্ত্ততি নেয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। প্রতিটি জেলায় মেন্টর নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রতি জেলায় ফ্রিল্যান্সার টু এন্টারপ্রেনর ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচিতে একজনকে মেন্টর হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এ উদ্যোগে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংককে যাদের জেলা পর্যায়ে শাখা রয়েছে তাদের একজন প্রতিনিধিকে মেন্টর হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার নির্দেশ দেয়। অনুরূপভাবে পিকেএসএফ এনজিওদের, জীবন বীমা তাদের শাখাকে নির্দেশ দেয়। মনোনয়ন পাওয়ার পর জেলা প্রশাসকরা তাদেও নিজ নিজ জেলায় শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যাংকার, এনজিও, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ফ্রিল্যান্সার টু এন্টারপ্রেনর ডেভেলপমেন্ট মেন্টর টিম গঠন করেছে। এ টিম উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রশিক্ষণ, ঋণ দেয়াসহ উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে