• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ই-কমার্সপ্রেমীদের বৃহত্তম মিলন মেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মইন উদ্দীন মাহমুদ
মোট লেখা:২৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - অক্টোবর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ই-কমার্স
তথ্যসূত্র:
প্রচ্ছদ প্রতিবেদন
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ই-কমার্সপ্রেমীদের বৃহত্তম মিলন মেলা
মেলার তিন দিনের আয়োজনে ছিল ৪৫টি প্রতিষ্ঠান, ৬টি সেমিনার, ৪০টি পিসিসহ গেমিং জোন,
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, অ্যাওয়ার্ড নাইট, জাতীয় মহিলা সংস্থার তথ্যআপা প্রকল্প ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন,
ই-কমার্স ডিরেক্টরির মোড়ক উন্মোচন এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রেস্ট প্রদান

মাসিক কমপিউটার জগৎ-এর অভিযাত্রা শুরু হয় ১৯৯১ সালের ১ মে ‘জনগণের হাতে কমপিউটার চাই’ সেস্নাগান নিয়ে। এর প্রতিষ্ঠাতা মরহুম অধ্যাপক আবদুল কাদের তথ্যপ্রযুক্তির অফুরান সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আন্দোলনে এ পত্রিকারটিকে করে তোলেন অনন্য হাতিয়ার। এ পত্রিকাটিকে কেন্দ্র করে তিনি পত্রিকা প্রকাশের বাইরে পরিচালনা করেন নানামাত্রিক কর্মতৎপরতা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫-২৭ সেপ্টেম্বর কমপিউটার জগৎ ঢাকায় আয়োজন করে তিন দিনের এক ই-কমার্স মেলা। এটি ছিল কমপিউটার জগৎ আয়োজিত এ ধরনের ষষ্ঠ ই-কমার্স মেলা।

এক নজরে ই-কমার্স মেলা

মেলার তিন দিনের আয়োজনে ছিল ৪৫টি প্রতিষ্ঠান, ৬টি সেমিনার, ৪০টি পিসিসহ গেমিং জোন, মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, অ্যাওয়ার্ড নাইট, জাতীয় মহিলা সংস্থার তথ্যআপা প্রকল্প ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন, ই-কমার্স ডিরেক্টরির মোড়ক উন্মোচন, মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

তিন দিনব্যাপী এ ই-কমার্স মেলার তত্ত্বাবধানে ছিল বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক লাইব্রেরি। এ মেলার পস্ন্যাটিনাম স্পন্সর ছিল দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাসিফায়েড ওয়েবসাইট ‘এখানেই ডটকম’ ও ‘তথ্যআপা’। ‘টিম ইঞ্জিন’ এবং ‘ওয়েব টিভি নেক্সট’ ছিল এ মেলার গোল্ড স্পন্সর এবং ‘আড়ং’ ছিল সিলভার স্পন্সর।

মেলার পার্টনার হিসেবে রয়েছে দি ডেইলি স্টার, জাতীয় মহিলা সংস্থা ও গিগাবাইট। এছাড়া সিকিউরিটি পার্টনার অ্যাভিরা, অনলাইন অ্যাডভার্টাইজমেন্ট পার্টনার গ্রিন অ্যান্ড রেড টেকনোলজিস, ইন্টারনেট পার্টনার ঢাকাকম লিমিটেড, টিভি পার্টনার ৭১ টিভি, রেডিও পার্টনার ঢাকা এফএম, ওয়েব পার্টনার বাংলানিউজ২৪.কম, বস্নগ পার্টনার সামহোয়্যার ইন বস্নগ, কুয়িরার পার্টনার সোনার কুয়িরার সার্ভিস লি., অনলাইন প্রমোশন পার্টনার ইনফিনিট আউটপুট, লজিস্টিক পার্টনার ধ্রুবতারা, নলেজ পার্টনার বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক, অ্যাপস পার্টনার রেভারি কর্পোরেশন, সেমিনার পার্টনার উইনাইটেড পিপলস ট্রাস্ট।

যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেয়, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : এখানেই ডটকম, তথ্যআপা, আড়ং, বাংলাদেশ ব্যাংক, এসএসএল ওয়্যারলেস, ব্যাংক এশিয়া, সেমিকন প্রাইভেট লি., বাসবিডি ডটকম, সহজ ডটকম, ম্যাক্রোপার্টস ইউএসএ লি., ই-সুফিয়ানা, সূর্যমুখী লি., যেমনখুশী ডটকম, শপিং২৪বিডি, উৎসববিডি ডটকম, সোনার কুরিয়ার সার্ভিস লি., অ্যাভিরা, আপনজোন, রেভারি কর্পোরেশন লি., ধ্রুবতারা, বিডিওএসএন, টি-জোন, অধুনা, অনলাইন কেনাকাটা, অপ্সরা ডটকম, এটসেট্রা, নিজোল ক্রিয়েটিভ, বিজয় ডিজিটাল, ক্রাফটিক আর্ট, ইয়োর ট্রিপ মেট লি., নুফা এন্টারটেইনমেন্ট, ঢাকা পিক্সেল, মনিহারী ইশপ, নূরজাহান ডট অর্গ এবং ইমেলা বিডি ডট নেট।

ঢাকা ই-কমার্স মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত মেলা চলে। মেলা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানা যায় e-commercefair.com সাইট থেকে।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

‘ক্লিকের ছোঁয়ায় বাণিজ্য’ সেস্নাগান নিয়ে ঢাকায় বেগম সুফিয়া কামাল পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় ই-কমার্স মেলা-২০১৪। সকাল ১০টায় মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি। তিনি তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, ছোট একটি কমপিউটার বিশ্বকে হাতের কাছে নিয়ে এসেছে। দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে তথ্যপ্রযুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, ই-কমার্স নিয়ে যত বেশি এ ধরনের মেলা হবে, দেশে তত বেশি ই-কমার্সের প্রসার ঘটবে।

মেলার আহবায়ক আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, কমপিউটার জগৎ-এর যাত্রা শুরু ১৯৯১। প্রায় ২৪ বছর ধরে আইসিটি খাতকে উন্নত করার জন্য কমপিউটার জগৎ কাজ করে চলছে এবং বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়ে এসেছে। চীন ও ভারতে ই-কমার্স এগিয়ে গেছে কিন্তু বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে আছে। দেশে ই-কমার্সকে বেগবান করার লক্ষ্যে কমপিউটার জগৎ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ই-কমার্স নিয়ে বিভিন্ন সেমিনার, মেলা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তাফা জববার বলেন, বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো ই-কমার্স। এ সেবাকে বাড়াতে পারলে দেশকে ডিজিটাল করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, সামনের দিনগুলোতে ইন্টারনেট ছাড়া চাকরি অসম্ভব। ই-কমার্সের সফল বাস্তবায়নে চাই আইনের সহায়তা, সেই সাথে সরকারের যথার্থ দায়িত্ব পালন। তিনি আরও বলেন, কোনো একদিন কমার্স বলতে শুধু ই-কমার্সকে বুঝাবে।

জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মততাজ বেগম বলেন, দেশে ই-কমার্সকে বেগবান করার লক্ষ্যে জাতীয় মহিলা সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। কমপিউটার জগৎ আয়োজিত লন্ডনসহ বিভিন্ন ই-কমার্স মেলায় জাতীয় মহিলা সংস্থা পার্টনার হতে পেরে গর্বিত।

এখানেই ডটকমের পরিচালক আরিল্ড বলেন, ই-কমার্স দেশে প্রথম দিকে তেমন কোনো সাড়া ফেলতে পারেনি ঠিকই, তবে দুই বছর ধরে ব্যাপক হারে সাড়া ফেলেতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের জন্য ই-কমার্স খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। এ খাতকে আরও বড় আকার দিতে হবে। এ জন্য চাই সস্তায় ইন্টারনেট সংযোগ। শিখতে হবে অনলাইনে কেনাকাটা, যাতে আরও দ্রুতগতিতে ই-কমার্স সম্প্রসারিত হয়। ই-কমার্স মেলার মতো একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নেয়ার জন্য আমি কমপিউটার জগৎ-কে ধন্যবাদ জানাই।

আড়ংয়ের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি। জীবন-মান উন্নয়নে ই-কমার্সের ভূমিকা অপরিসীম। এ দেশে ই-কমার্স খাতকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দরকার ব্যবসায়ে সততা। তিনি আরো বলেন, এ ব্যবসায়ে সততার কোনো বিকল্প নেই।

কমপিউটার জগৎ-এর প্রকাশক নাজমা কাদের বলেন, ই-কমার্স মেলা আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দেশের জনসাধারণের মাঝে ই-কমার্স সর্ম্পকে যে ভয়ভীতি ছিল তা দূর করা এবং এ ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে ই-কমার্স খাতের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা। আমরা সে লক্ষ্য অর্জনে কিছুটা হলেও সফলকাম হয়েছি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ২০১৩ সালে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, লন্ডনে ও এ বছরের শুরুতে বরিশালে এবং এখন এ মেলা আয়োজন করি। ঢাকা ই-কমার্স মেলার সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি এবং পৃষ্ঠপোষকদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ই-কমার্স ডিরেক্টরির মোড়ক উন্মোচন

বাংলাদেশে ই-কমার্সের যাত্রা শুরু ৯০ দশকের শেষের দিকে। বর্তমানে আমাদের দেশের অনেকেই ই-কমার্স সম্পর্কে জানতে পারছেন। আর তাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে এখন অনেকেই জিনিস-পত্র বেচা-কেনা করছেন আস্থার সাথে এবং এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ই-কমার্স সেক্টর সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক পত্রিকা মাসিক কমপিউটার জগৎ দেশে-বিদেশে বেশ কিছু ই-কমার্স মেলার আয়োজনের পাশাপাশি সম্প্রতি প্রকাশ করল এ দেশের প্রথম ই-কমার্স ডিরেক্টরি। উল্লেখ্য, ১৯৯৩-৯৪ সালে কমপিউটার জগৎ এ দেশে কমপিউটার ব্যবহারে ভীতি দূর করতে এবং জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে সবার কাছে সহজবোধ্য করতে সর্বপ্রথম আটটি অ্যাপ্লিকেশনের ওপর বাংলায় সহায়িকা প্রকাশ করে, যা সে সময়ে ছিল এক দুঃসাহসিক কাজ। কমপিউটার জগৎ-এর ই-কমার্স ডিরেক্টরি প্রকাশের উদ্যোগ তারই ধারাবাহিক সফলতার ফসল।

কমপিউটার জগৎ-এর প্রকাশিত এই ডিরেক্টরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ‘e-Commerce in Bangladesh’ এবং ‘e-Commerce Around the World : Some Reflections’ শীর্ষক দুটি নিবন্ধ। প্রথম নিবন্ধে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশের ই-কমার্স সেক্টরের ইতিহাস, বর্তমান অবস্থা, বিরাজমান সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা। আর দ্বিতীয় নিবদ্ধে তুলে ধরা হয় এশিয়ার অন্যান্য দেশ, ইউরোপ, আমেরিকা, দক্ষেণ আমেরিকায় ই-কমার্সের বাজারের সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও পরিসংখ্যন। এ দুটি লেখা থেকে পাঠকেরা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বর্তমান ই-কমার্সের অবস্থানের সাথে বাংলাদেশের অবস্থানের একটি পরিষ্কার ধারণা পাবেন।

ডিরেক্টরিটিতে রয়েছে বাংলাদেশে অনলাইনে পণ্য/সেবা কেনাবেচার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠানের তালিকা। যেমন ই-কমার্স সাইট, ক্লাসিফায়েড ওয়েবসাইট, ওয়েব হোস্টিং প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, ক্রেডিট কার্ড, কুরিয়ার সার্ভিস, মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেট, অনলাইন বিজ্ঞাপন পস্নাটফরম এবং ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট।

এ ডিরেক্টরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট, অফিস ঠিকানা, ই-মেইল, ফোন নম্বর এবং প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সংক্ষেপ্ত বিবরণী। ডিরেক্টরিটির মূল্য ২০০ টাকা, যা কমপিউটার জগৎ, বিসিএস কমপিউটার সিটি, আইডিবি ভবন থেকে পাওয়া যাবে।

তিন দিনের এ ই-কমার্স মেলায় মোট ৬টি সেমিনার আয়োজন করা হয়। মেলার প্রথম দিনে রিভেরি কর্পোরেশনের সৌজন্যে আয়োজিত ‘দি প্রগ্রেস অব মোবাইল অ্যাপস অ্যান্ড গেমস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইএটিএল অ্যাপসের প্রধান প্রযুক্তি পরামর্শক এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. রাজেশ পালিত। এ সেমিনারের আলোচনায় অংশ নেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও কমপিউটার বিভাগের প্রধান ড. হাসান সারওয়ার, ফ্যানটাস্টিক ল্যাবের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান রেজা টুপু, কমজগৎ টেকনোলজিসের গবেষক প্রকৌশলী মঞ্জুর উল মামুন এবং রিভেরি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিমা আক্তার। মেলার প্রথম দিনে ‘ই-বাণিজ্য : শুরু ও চালিয়ে নেওয়া’ শীর্ষক দ্বিতীয় সেমিনারের আয়োজন করে বিডিওএসএন। এ সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে রকমারি ডটকম। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন রকমারি ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান সোহাগ, প্রিয়শপ ডটকমের প্রধান নির্বাহী অফিসার আশিকুল আলম খান, প্রাইসড হোস্টের সিইও আসাদ ইকবাল, ই-বিপণনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএম ইশাতিয়াক সারওয়ার।

মেলার দ্বিতীয় দিনে ধ্রুবতারার সৌজন্যে আয়োজিত হয় ‘আইসিটি ফর ইয়ুথ এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড ইনোভেশন’ শীর্ষক সেমিনার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার। আলোচনায় অংশ নেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ এবং লুজ মাঙ্কিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিয়া সামরিন নিজাম, ধ্রুবতারার নির্বাহী পরিচালক অমিয় প্রাপন চক্রবর্তী এবং ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক মিজানুর রহমান।

মেলার তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সৌজন্যে আয়োজিত ‘ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং সার্ভিসেস পেভড দ্য ওয়ে ফর ই-কমার্স ইন দ্য কান্ট্রি’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন খান। সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ম্যানেজার, খন্দকার আলী কামরান আল জাহিদ। আলোচনায় ছিলেন ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের এভিপি মোহাম্মদ রবিউল আলম ও অন্যান্যরা। এ দিনের দ্বিতীয় সেমিনার আয়োজন করে গ্রিন অ্যান্ড রেড টেকনোলজিস। ‘লোকাল ই-কমার্স অ্যান্ড আপকামিং বাংলাদেশ মার্কেট’ শীর্ষক এই সেমিনারে মডারেটর হিসেবে ছিলেন জি অ্যান্ড আর অ্যাড নেটওয়ার্কের হেড অব এজেন্সি রিলেশন্স লুৎফি চৌধুরী। আলোচনায় ছিলেন আজকের ডিল ডটকমের হেড অব অপারেশন দেবাশীষ ফানি, সবজিবাজার ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিন, প্রিয়শপ ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান, আড়ং ডটকমের সিওও আবদুর রউফ এবং পেজা বাংলাদেশের বিপণন প্রধান ফারিয়া সামরিন নিজাম। এ দিনের তৃতীয় সেমিনার আয়োজন করে এসএসএল কমার্জ। ‘ই-কমার্সের সফল ভবিষ্যতের জন্য বর্তমান বাংলাদেশের প্রস্ত্ততি- আমরা কোথায়?’ শীর্ষক সেমিনারের আলোচনায় ছিলেন এসএসএল ওয়্যারলেসের জেনারেল ম্যানেজার আশীষ চক্রবর্তী, বেসিসের নির্বাহী পরিচালক সামি আহমেদ, ইসুফিয়ানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর শাহেদ আলী এবং রংবাহার ডটকমের মৌসুমী শারমিন।

মেলা আয়োজনের পূর্ব প্রস্ত্ততি

ই-কমার্স মেলা উপলক্ষে গত ১২ আগস্ট ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স রুমে এবং ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মেলার আয়োজকেরা সাংবাদিকদের মেলার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেন এবং মেলা সম্পর্কে আলোচনা করেন।

এছাড়া মেলা সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণার উদ্দেশ্য সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, শাহবাগ মোড় এবং বিসিএস কমপিউটার সিটির আইডিবি ভবন রাস্তায় তিনটি বিলবোর্ড টানানোসহ জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।

এই ই-কমার্স মেলা সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে অবহিত করতে কমপিউটার জগৎ আয়োজন করে বেশ কিছু কর্মকা- যেমন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে মেলার সেমিনারে অংশ নেয়ার জন্য ১০-১১ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রেশন ও গিগাবাইট রোড শো ।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান গ্রিন অ্যান্ড রেড টেনোলজিসের সৌজন্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘অনলাইনে ব্যবসায় পরিচালনার কৌশল’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি ১৪-১৫ সেপ্টেম্বর মেলার সেমিনারে অংশ নেয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন ও গিগাবাইট রোড শো’র আয়োজন করা হয়।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান গ্রিন অ্যান্ড রেড টেনোলজিসের সৌজন্যে ‘অনলাইনে ব্যবসায় পরিচালনার কৌশল’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। পাশাপাশি ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স মেলার সেমিনারে অংশ নেয়ার জন্য আয়োজন করা হয় রেজিস্ট্রেশন ও গিগাবাইট রোড শো।

ই-কমার্স ফেয়ার ২০১৪ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ ২০ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করে কমপিউটার জগৎ। মোবাইল অ্যাপটি তৈরি করে স্মার্টফোন অ্যাপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিভেরি কর্পোরেশন লি:। অ্যাপটির মাধ্যমে ই-কমার্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। গুগল প্লে স্টোরে কমপিউটার জগৎ লিখে সার্চ করে বিনামূল্যেই অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।

কমপিউটার জগৎ অ্যাওয়ার্ড নাইট ২০১৪

কমপিউটার জগৎ ২০১৩ সালে আইটি/আইটিইএস খাতে দেশের ১৭ জন আইসিটি ব্যক্তিত্বকে ‘মোভার্স অ্যান্ড শেকার্স’ হিসেবে ঘোষণা করে তাদের সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ উপলক্ষে ই-কমার্স মেলার প্রথম দিন অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণের শওকত ওসমান মিলনায়তনে কমপিউটার জগৎ অ্যাওয়ার্ড নাইট ২০১৪ আয়োজন করে। অ্যাওয়ার্ড নাইটে আইসিটি খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।

বিভিন্ন দিকে অবদান রাখার জন্য মোট ১৭ জন ব্যক্তিকে সম্মাননা দেয়া হয়। এর মধ্যে তিন জনকে মরণোত্তর সম্মাননা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মরণোত্তর ব্যক্তিদের সম্মানে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। তারা হলেন সাংবাদিকতায় নাজিম উদ্দিন মোস্তান। হার্ডওয়্যার শিল্পে ফ্লোরা লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান এম এন ইসলাম। টেলিকমে বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ।

২০১৩ সালের বর্ষসেরা আইসিটি ব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মাননা পান সাবেক আইসিটি সচিব এবং বর্তমান শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী তাকে সম্মাননা প্রদান করেন।

অ্যাওয়ার্ড নাইট অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কমপিউটার জগৎ-এর সম্পাদক গোলাপ মুনীর এবং উপস্থাপনা করেন আইসিটি ব্যক্তিত্ব মোস্তাফা জববার।

সরকারি সেক্টর থেকে দুইজনকে সম্মাননা দেয়া হয়। তারা হলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল, ডাটা সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক তারেক এম বরকতুলস্নাহ। ব্যাংকিং সেক্টর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা। আইটি/আইটিইএস শিল্প সেক্টর থেকে রিভ সিস্টেমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম রেজাউল ইসলাম, জিপিআইটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান শামসী ও সিএসএল সফটওয়্যার রিসোর্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম রাউলি। নারী সেক্টরে অবদান রাখার জন্য জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম অ্যাডভোকেট। শিক্ষা সেক্টরে ড. মোস্তফা আকবর, অধ্যাপক, সিএসই, বুয়েট। সুশীল সমাজে বাংলাদেশ এনজিওএস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম বজলুর রহমান। ই-বাণিজ্য সেক্টরে এখনি ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আহসান। ই-বাণিজ্যে তরুণ উদ্যেক্তা হিসাবে ইসুফিয়ানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর শাহেদ আলী। আইসিটিফোরডি সেক্টরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের ফরহাদ শেখ। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে শরীফ মুহাম্মদ শাহজাহান।

অ্যাওয়ার্ড নাইটে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মাননা প্রদান করেন প্রসিকিউটর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, লিডস কর্পোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আবদুল আজিজ, দি এশিয়ান-ওশেনিয়ান কমপিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও) চেয়ারম্যান আব্দুলস্নাহ এইচ কাফি, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) সভাপতি আক্তারুজ্জামান মঞ্জু, বাংলাদেশ কমপিউটার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এএমটিওবি) মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির, থাকরাল ইনফরমেশন সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেডের উপদেষ্টা শাহ জামান মজুমদার ও সিওও বাসব বাগচী, স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো: মাজহারুল ইসলাম এবং স্মার্ট প্রিন্টিং সলিউশনস লিমিটেডের পরিচালক মিজানুর রহমান সরকার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কমপিউটার জগৎ-এর প্রকাশক নাজমা কাদের। অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন কমপিউটার জগৎ-এর কারিগরি সম্পাদক মো: আবদুল ওয়াহেদ তমাল ও সহকারী সম্পাদক মো: আবদুল হক। অনুষ্ঠানটি থাকরাল ইনফরমেশন সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড এবং স্মার্ট প্রিন্টিং সলিউশনস লিমিটেডের সৌজন্যে আয়োজন করা হয়।

মেলায় ছিল বিশেষ অফার ও সেবাসমূহ

আইসিটি পণ্যের সাধারণ মেলার মতো এ ই-কমার্স মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দর্শনার্থীদের সামনে তাদের সেবা ও পণ্য প্রদর্শন করে। এ ছাড়া গ্রাহক-ক্রেতাদের বিশেষ মূল্যছাড়সহ নানা সুবিধা দেয়। এ মেলায় অন্যতম পৃষ্ঠপোষক পস্নাটিনাম স্পন্সর ‘এখানেই ডটকম’ মেলা উপলক্ষে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা ও সেবা দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরে। এছাড়া এখানেই ডটকম মেলায় মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিনা খরচে ব্রাউজিং সুবিধা দেয়। মেলার সিলভার স্পন্সর ‘তথ্যআপা’ তুলে ধরে তাদের ই-কমার্সসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম। এর পাশাপাশি এরা বিনা পয়সায় দর্শনার্থীদের বস্নাড প্রেসার, ওজন মাপে ও বস্নাড সুগার মেপে দেয়। ফলে এ স্টলটিতে সবসময় উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষেত হয়। ‘ব্যাংক এশিয়া’ দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরে ই-কমার্সসংশ্লিষ্ট তাদের সেবামূলক কর্মকা-। ‘সেমিকন প্রাইভেট লি:’ অনলাইনে বাস টিকেট কেনার সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরে। কিউপের মাধ্যমে সর্বোচ্চ চারটি টিকেট কাটার সুযোগ দেয় তাদের রেজিস্টার্ড গ্রাহকদের। এরা ভিসা, মাস্টারকার্ড, ডিবিএল এবং ইউক্যাশ সাপোর্ট করে। কিউপের রেজিস্টার্ড গ্রাহকেরা জনপ্রিয় সাতটি বাস সার্ভিসের মধ্য থেকে যেকোনো একটি থেকে একটি বাসের টিকেট কাটার সুযোগ পাবে। ‘মাইক্রোপার্টস ইউএসএ লি.’ মেলায় ওয়েবরুট অ্যান্টিভাইরাস অফার করে ৫০ শতাংশ ছাড়ে এবং কর্পোরেট গ্রাহকদেরকে অফার করে বিশেষ ছাড়। সূর্যমুখী লি. এর ‘সূর্যরাজ্য ডটকম ডট বিডি’ বিনা খরচে নিবন্ধ করা এবং সৃজনশীল কাজগুলো বেচার জন্য আপলোডের সুযোগ দেয়। ‘সূর্যমুখী পেপয়েন্ট’ (পেপয়েন্ট ডটকম ডটবিডি) তাদের গ্রাহকদেরকে পাবলিক ও প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর পণ্য ও সেবা ঘরে বসে কেনার সুযোগ দেয়। এদের রয়েছে বেশ কিছু পেমেন্ট অপশন এবং এদের বাড়তি কোনো চার্জ নেই।

‘নুফা এন্টারটেইনমেন্ট’ মেলা উপলক্ষে ১০ হাজার টাকার বেশি ডিপোজিটে ১০ শতাংশ ছাড় দেয়। ১০ হাজার টাকার বিজ্ঞাপনে ডিজাইন ফ্রি। ‘বাসবিডি ডটকম’ অনলাইনে বাসের ই-টিকিট কেনার অফার দেয়। ঈদ উপলক্ষে বাসবিডি ডটকম প্রতি টিকেটে ১০ শতাংশ ছাড় দেয়। ‘সহজ ডটকম’ বাসের টিকেট ঘরে বসে কেনার সুবিধাসহ হোম ডেলিভারির সুযোগ দেয়। মেলার লজিস্টিক পার্টনার ‘ধ্রুবতারা সোশ্যাল অ্যান্ড অর্গানাইজেশন’ অফার করে সদস্যদেরকে বিনা পয়সায় আউটসোর্সিং ট্রেনিং। ‘আপনজন ডটকম’ মেলায় ৪ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছে ট্যাব। এছাড়া এরা অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য আকর্ষণীয় মূল্যছাড়ে বিক্রি করে। এছাড়া আপনজন ডটকম ৬০০ টাকার বেশি দামের পণ্য কিনলে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় দেয়। ‘টি-জোন’ বাংলাদেশের একটি টি-শার্ট স্টোর। এরা প্রতি তিনটি শার্টে একটি শার্ট ফ্রি দেয়। এছাড়া কর্পোরেট সার্ভিসে ১০ শতাংশ ছাড় দেয়। ‘উৎসব বিডি ডটকম’ বর্তমানে খুলনা ও বরিশাল বিভাগ ছাড়া সারাদেশে হোম ডেলিভারি সার্ভিস দিচ্ছে ৫ শতাংশ ছাড়ে। উৎসব বিডি বর্তমানে বিশ্বে ১১টি দেশে ই-কমার্স সেবা দিয়ে আসছে। ‘বিজয় ডিজিটাল’ মেলায় বিজয় ৭১-এর ওপর দেয় বিশেষ ছাড়। এছাড়া প্রতিটি শিশু শিক্ষা সিডিতে দেয় ৫০ টাকা ছাড়। ‘ই-সুফিয়ানা’ ঢাকাসহ বাংলাদেশের যেকোনো জেলা শহরে দ্রুততম সময়ে নিজস্ব সংগ্রহশালা থেকে আপনার পছন্দের পণ্যটি সরবরাহ করে থাকে। ই-সুফিয়ানার ঢাকার গ্রাহকদের জন্য কোনো ধরনের ডেলিভারি চার্জ নেই। ‘শপিং ২৪ ডটকম’ মেলায় অফার দিয়েছে স্টল থেকে পণ্য কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড়। সর্বনিমণ ১ হাজার টাকার পণ্য স্টল থেকে অর্ডার দিলে অফার করে ছাড়সহ ফ্রি ডেলিভারি। এছাড়া নতুন অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতাকে দিচ্ছে বোনাস ২০০ রিওয়ার্ড পয়েন্ট। ‘যেমন খুশি ডটকম’ মেলায় তাদের সব পণ্যে ৫ শতাংশ ছাড় দেয়। এছাড়া ম্যাজিক মগে ১০ শতাংশ ছাড় দেয়। স্মার্ট টেকনোলজিসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘ডিজিমল’ মেলা উপলক্ষে স্মার্ট টেকনোলজিসের পণ্যের জন্য অফার করে ফ্রি ক্যাশ অন ডেলিভারি। ‘অ্যাভিরা’ ইন্টারনেট সিকিউরিটি টুলে ১ ইউজার বা ৩ ইউজারের জন্য ফ্রি দেয় একটি ওয়্যারলেস মাউস বা অ্যাভিরা মগ। ‘ইজিকেনাকাটা ডটকম’ ইলেকট্রনিক, গ্যাজেট, হস্তশিল্প, খেলার সামগ্রীর জন্য আকর্ষণীয় মূল্যসহ ফ্রি হোম ডেলিভারি সার্ভিস দেয়। ‘সোনার কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেড’ অফার করে তাদের সফটওয়্যারের অ্যাকাউন্ট ফ্রি অ্যাক্সেস সুবিধা। ‘ক্র্যাফটিক আর্ট’ তাদের প্রতিটি পণ্যে ১০ শতাংশ ছাড় এবং ১ হাজার টাকার চেয়ে বেশি টাকায় পণ্য কিনলে ফ্রি ডেলিভারি। ‘মনিহারী ইশপ’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পছন্দের ডিজাইনের, রংয়ের ও সাইজের টি-শার্ট ডেলিভারি দিয়ে থাকে। যেকোনো সংখ্যক টি-শার্টের জন্য অনলাইনে অর্ডার নেয়। তবে ডেলিভারি চার্জ প্রযোজ্য। ‘রেভারি কর্পোরেশন লি.’ মেলায় বাংলাদেশী গেমারদের ডেভেলপ করা গেম/অ্যাপস ফ্রি ডাউনলোডের অফার দেয়।

মেলার শেষ দিন

মেলার শেষ দিন দর্শনার্থীদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। শেষ দিনে উন্মোচন করা হয় বাংলাদেশের প্রথম ই-কমার্স ডিরেক্টরি। এটি প্রকাশ করে কমপিউটার জগৎ। এছাড়া জি-ওয়ান গেমিং কনটেস্ট বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় এবং মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রেস্ট দেয়া হয় ।


ফিডব্যাক : mahmood@comjagat.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা