• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ফটোশপ বেসিক
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: আহমেদ ওয়াহিদ মাসুদ
মোট লেখা:৯৮
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - অক্টোবর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
অ্যাডোবি ফটোশপ
তথ্যসূত্র:
গ্রাফিক্স
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ফটোশপ বেসিক
ফটোশপ ছাড়া আধুনিক ছবি এডিটের চিন্তাও করা যায় না। বিভিন্ন মুভি, পোস্টার, ফ্যাশন ইত্যাদি জায়গায় ফটোশপের ব্যবহার দেখা যায়। আর তাই সাধারণ মানুষের মাঝে ফটোশপের ব্যবহার ধীরে ধীরে বেড়েই চলছে। তবে নতুনদের জন্য প্রথম প্রথম বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফটোশপে রয়েছে অসংখ্য টুল ও অপশন। এদের একেকটি দিয়ে একেক ধরনের কাজ করা যায়। কিন্তু নতুনদের জন্য এসব অপশন ব্যবহার করা বা এগুলোর কাজ বুঝতে পারা বেশ কঠিন ব্যাপার। কোথা থেকে শুরু করতে হবে, কোন অপশনের বা বাটনের কাজ কী, একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য কোন কোন টুল ব্যবহার করা উচিত ইত্যাদিসহ আরও অনেক ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাই এ লেখায় ফটোশপের কিছু বেসিক টুল বা ফিচার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

টুলবক্স : ফটোশপের যত ধরনের বেসিক টুল আছে, সব এ টুলবক্সে পাওয়া যাবে (চিত্র-১)। একেকটি টুলে আবার অনেকগুলো করে টুল রাখা থাকে। ইউজার যেকোনো টুলে রাইট বাটনে ক্লিক করে পছন্দমতো টুল সিলেক্ট করতে পারেন। ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে, প্রতিটি টুলের নিচের দিকে কোনায় একটি ছোট অ্যারো সাইন আছে। দুই-একটা টুলে নাও থাকতে পারে। এর অর্থ যেখানে অ্যারো সাইন আছে, সেখানে একই সাথে আরও অনেক টুল আছে। উদাহরণ হিসেবে সিলেকশন টুলের কথা বলা যায়। সিলেকশনের জন্য তিন ধরনের টুল দেখা যায়। তিনটি টুলের কাজ তিন রকম। তবে তাদের সবার মূল কাজ হলো সিলেকশন করা।

এখন ইউজার যদি সিলেকশন টুলের ঘরে লেফট বাটনে ক্লিক করেন, তাহলে যে টুলটি দেখা যাচ্ছে সেটিই সিলেক্ট হবে। কিন্তু ইউজার যদি চান অন্য সিলেকশনের টুলগুলো ব্যবহার করতে, তাহলে রাইট বাটনে ক্লিক করলে সিলেকশন টুলের আরেকটি মেনু দেখা যাবে। সেখান থেকে ইউজার অন্য সিলেকশনের টুল সিলেক্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন। নতুন টুল সিলেক্ট করা হলে তা আগের টুলের জায়গায় বসে যাবে। আর প্রতিটি টুলের জন্যই আলাদা শর্টকাট কি রাখা আছে। টুলের মেনু ওপেন করলে প্রতিটি টুলের ডান দিকে তার শর্টকাট কি দেখানো হয়। আর টুলের মেনু ওপেন করা না হলে যেকোনো টুলের ওপর মাউস পয়েন্টার ধরলেই পপআপ ম্যাসেজে তার শর্টকাট কি দেখানো হয়।

ইউজারের মনে হতে পারে, শুধু সিলেকশনের জন্যই তিনটি টুলের কি দরকার। ফটোশপ খুব অ্যাডভান্সড একটি এডিটিং সফটওয়্যার। তাই ইউজারের বিভিন্ন চাহিদা যাতে পূরণ হয়, সেজন্য একই ধরনের টুলের বেশ কয়েকটি ভার্সন তৈরি করা হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে সিলেকশন টুলগুলোর কাজ উদাহরণ হিসেবে দেয়া হলো।

সিলেকশন ছবি এডিটিংয়ে খুবই প্রয়োজনীয় একটি টুল। ছবির যেকোনো এলিমেন্টকে আলাদা করতে চাইলে বা আলাদাভাবে এডিট করতে চাইলে সিলেকশন টুলের দরকার হয়। সিলেকশন অনেকভাবে করা যায়। ফটোশপে টুল হিসেবে তিনটি সিলেকশন টুল আছে। যেমন- ল্যাসো টুল, পলিগোনাল ল্যাসো টুল ও ম্যাগনেটিক ল্যাসো টুল। যদিও এ তিনটি টুলের মূল কাজ একই, কিন্তু এগুলো ভিন্নভাবে কাজ করে। সাধারণ ল্যাসো টুল হলো ফ্রি হ্যান্ড টুল। অনেকটা পেন্সিল দিয়ে ড্র করার মতো। পলিগোনাল ল্যাসো টুল সবসময় সরল রৈখিকভাবে কাজ করে। যেকোনো ধরনের বক্স বা প্লেন সারফেস বা এমন কিছু যার সারফেস রৈখিক এ ধরনের অবজেক্ট সিলেক্ট করতে পলিগোনাল ল্যাসো টুল বিশেষভাবে উপযোগী। আর ম্যাগনেটিক ল্যাসো টুল একটু ভিন্নভাবে কাজ করে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুঁজে বের করে ক্যানভাসের কোথায় কালারের পার্থক্য আছে। যেখানে কালারের পার্থক্য আছে, সেখান দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিলেক্ট হয়ে যায়। এই টুলটি ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখতে হবে মাউস পয়েন্টার ধীরে ধীরে নাড়াতে হবে। তা না হলে ক্যালকুলেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সময় এবং সারফেস পাবে না, তাই ভুল সিলেকশন হবে। ম্যাগনেটিক ল্যাসো টুল দিয়ে সিলেক্ট করার সময় সাধারণত ক্লিক করার দরকার পড়ে না। মাউস পয়েন্টার যেখান দিয়ে নেয়া হয়, সেখান দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিলেকশন হয়ে যায় এবং কতগুলো পয়েন্ট তৈরি হয়। তবে ইউজার চাইলে ইচ্ছেমতো জায়গায় ক্লিক করে পয়েন্ট তৈরি করে নিতে পারেন। ওই পয়েন্টগুলোই হলো সিলেকশনের পরিধি।

সিলেকশনের জন্য আরও একটি চমৎকার অপশন আছে। সিলেক্টষ্কালার রেঞ্জ অপশনটি দিয়ে যেকোনো একই কালারের সব অবজেক্ট সিলেক্ট করা যায়। যদি অবজেক্টের কিনারা নিয়মিত না হয়, তাহলে ল্যাসো টুলগুলো দিয়ে সিলেক্ট করা বেশ কষ্টসাধ্য হয় এবং অনেক সময়সাপেক্ষ হয়ে ওঠে। সে ক্ষেত্রে কালার রেঞ্জ দিয়ে অল্প সময়ে সিলেকশনের কাজটি করা সম্ভব। কালার রেঞ্জ দিয়ে সিলেক্ট করার সময় দুটি অপশন থাকে। একটি লোকালাইজড কালার ক্লাস্টার ও অপরটি ফাজিনেস। ফাজিনেস বাড়িয়ে বা কমিয়ে খুব সহজেই কালারের রেঞ্জ বাড়ানো বা কমানো যায়। আসলে এটি অনেকটা ব্রাইটনেসের মতো কাজ করে। নিচের প্রিভিউ দেখলেই এটি সম্পর্কে ভালোভাবে বোঝা যাবে। আর লোকালাইজড কালার ক্লাস্টার দিয়ে একটু ভিন্ন রেঞ্জের কালার অথবা একই কালার রেঞ্জের শুধু এক পাশের অংশকে সিলেক্ট করা যায়।

লেয়ার প্যালেট : ফটোশপের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হলো একাধিক লেয়ারের ব্যবস্থা। ফটোশপ একজন ইউজারকে মাল্টিপল ছবি বা লেয়ার একই ক্যানভাসে নিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। ইউজার চাইলে একটি ছবির বিভিন্ন অংশ ভিন্ন ভিন্নভাবে এডিট করতে পারেন, যাতে একটি অংশের জন্য অপরটির ক্ষতি না হয়। মূলত এ কারণেই লেয়ার ফিচারটি দেয়া হয়েছে। আসলে ফটোশপের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ফিচার হিসেবে লেয়ার প্যালেটকে বলা যেতে পারে। প্রথমে একটি ছবি ওপেন করা হলে তা বাই ডিফল্ট একটি লেয়ারে থাকে। নিচের ডান দিকে লেয়ার প্যালেট থাকে (চিত্র-২)।

মূল লেয়ারকে ব্যাকগ্রাউন্ড লেয়ার বলে। শুরুতে এটি সাধারণত লক করা থাকে (চিত্র-৩)। লক করা থাকলে অনেক লেয়ার অপশন কাজ করবে না। তবে এটি সাধারণ একটি ঘটনা। চিত্রে লক্ষ করলে দেখা যাবে, লেয়ার লক করা থাকলে এর ডান পাশে একটি সাইন থাকে। তবে ইউজার চাইলে লক খুলে নিতে পারেন। এটি একেবারেই সহজ, শুধু ব্যাকগ্রাউন্ড লেয়ারের ওপর ডাবল ক্লিক করলে একটি পপআপ মেসেজ আসবে, ওকে ক্লিক করলেই একটি নতুন লেয়ার তৈরি হয়ে যাবে, যা আনলক অবস্থায় থাকবে। তাই সব লেয়ার অপশন কাজ করবে।

অপশন বার : অপশন বারটি ওয়ার্কস্পেসের অন্যদের থেকে একটু ভিন্ন ধরনের। যতবার কোনো নতুন টুল সিলেক্ট করা হয়, অপশন বার এর সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে যায়। বাম দিক থেকে বিভিন্ন টুল সিলেক্ট করলে একেকটি টুলের জন্য ওপরের অপশন বার একেক ধরনের দেখায়। অপশন বারে বিভিন্ন টুলের অতিরিক্ত ও অ্যাডভান্সড অপশনগুলোই দেখানো হয়। উদাহরণ : যখন ব্রাশ টুল সিলেক্ট করা হয়, তখন অপশন বারে যেসব অতিরিক্ত অপশন দেয়া হয়, এদের সাহায্যে ব্রাশের আকার, আকৃতি, অপাসিটি ইত্যাদি পরিবর্তন করা যায়। আবার যখন টেক্সট টুল সিলেক্ট করা হবে, তখন অপশন বারের অপশনগুলোর সাহায্যে টেক্সটের ফন্ট, ফন্ট সাইজ, কালার ইত্যাদি পরিবর্তন করা যাবে।

ওয়ার্কস্পেস উইন্ডো : ওয়ার্কস্পেস হলো ফটোশপ ওপেন করার পর প্রথম যে উইন্ডোটি আসে সেটি। এখানে ফটোশপে ব্যবহার করা যায় এমন সব টুল ও অপশন থাকে। একজন সত্যিকারের আর্টিস্টের মতো এখানেও ক্যানভাস, ব্রাশ, ইরেজার, পেইন্ট ইত্যাদি সব ধরনের টুল পাওয়া যায়। যদিও ফটোশপের একেক ভার্সনে একেক ধরনের ওয়ার্কস্পেস থাকতে পারে, তবুও সব ভার্সনেই মোটামুটি সব ধরনের টুল পাওয়া যায়। পরবর্তী ভার্সনগুলোতে কিছু বাড়তি টুলও থাকে। অ্যাডবির সাইটে সফটওয়্যারটির ফ্রি ভার্সন পাওয়া যাবে। ফটোশপে কোনো ছবি ওপেন করলে চিত্র-৪-এর মতো তা ওয়ার্কস্পেসে দেখাবে। সুতরাং দেখাই যাচ্ছে এখানে চারদিকে অসংখ্য টুল রয়েছে।

মেনু বার : সাধারণ যেকোনো প্রোগ্রামের মতো ফটোশপেও মেনু বার আছে। তবে এখানে অনেক বেশি অপশন দেখা যায়। অপশনের পাশাপাশি এখানে বিভিন্ন টুলও রাখা হয়েছে। আর যেকোনো টুলের অ্যাডভান্সড অপশন ব্যবহার করলে তা মেনু বার থেকে করাটাই তুলনামূলক সহজ। এখানে সাধারণ অপশনের পাশাপাশি কিছু অতিরিক্ত অপশন আছে, যেগুলো ইউজার নাও জানতে পারেন। যেমন- ইমেজ, লেয়ারস, ফিল্টার ইত্যাদি। এখান থেকে অপশন সিলেক্ট করা হলে নিচে ড্রপডাউন মেনু আসবে। সেখানে আরও অ্যাডভান্সড অপশনের সুবিধা রয়েছে, যা অনেকের কাছেই অপরিচিত।

অ্যাকটিভ ইমেজ এরিয়া : এটি হলো ইউজারের ক্যানভাস। এখানেই ছবি ওপেন করা, এডিট করা, নতুন ছবি আঁকা ইত্যাদি করা যায়। কোনো ছবি ওপেন করলে অথবা নতুন ফাইল তৈরি করলে তা ক্যানভাসের মাধ্যমে ওপেন হয়। ক্যানভাসের একদম নিচে অবস্থান করে স্ট্যাটাস বার। বর্তমানে ওপেন করা ছবি বা ক্যানভাস সম্পর্কে স্ট্যাটাস বারে বিভিন্ন তথ্য দেয়া থাকে। ডিফল্ট সেটিংয়ে স্ট্যাটাস বারে জুম ও ডকুমেন্ট সাইজ দেয়া থাকে। স্ট্যাটাস বারের একদম বাম পাশে একটি পার্সেন্টেড সংখ্যা দেখানো হয়। এটি দিয়ে বোঝানো হয় ছবি কতটুকু জুম করে দেখানো হচ্ছে। এটি যত বেশি হবে, ছবি তত জুম করে দেখাবে। সাধারণত ৩৩.৩৩ শতাংশে এ ছবি দেখানো হয়। কিন্তু অনেক সময় এডিট করার জন্য ছবি জুম করার প্রয়োজন হয়। তখন এ সংখ্যাটি বাড়িয়ে দিলেই ছবি এর সাথে সাথে জুম হয়ে যাবে। সরাসরি এখানে ক্লিক করে নতুন মান দিয়ে ছবি জুম করা যায়, অথবা ইউজার চাইলে শর্টকাট ব্যবহার করেও জুম করতে পারেন। অখঞ বাটন চেপে মাউসের স্ক্রল ঘোরালে জুমইন/জুমআউট হবে। ঈঞজখ বাটন চেপে স্ক্রল ঘোরালে ছবি ডানে/বামে স্ক্রল করবে। আর শুধু মাউসের স্ক্রল ঘোরালে ছবি উপরে/নিচে স্ক্রল করবে। ছবি যদি অনেক বেশি জুম করা হয়, তাহলে তা স্ক্রল করার জন্য এ ধরনের শর্টকাট কি’র সাহায্য নেয়া যেতে পারে। কারণ, শুধু মাউসের সাহায্যে এডিট করার চেয়ে কিবোর্ড ও মাউস একসাথে ব্যবহার করলে এডিটিং আরও দ্রুততর হবে।

হিস্ট্রি প্যালেট : ফটোশপের কয়েকটি বিশেষ ফিচারের মাঝে একটি হলো এর হিস্ট্রি প্যালেট। এটি ইউজারদের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ। এর নাম শুধু হিস্ট্রি প্যালেট হলেও যে জিনিসটি এটিকে এত প্রয়োজনীয় করে তুলেছে, তা হলো হিস্ট্রি প্যালেটের মাধ্যমে শুধু এডিটের হিস্ট্রিই দেখা যায় না, তা ইচ্ছে মতো আন্ডু/রিডু করা যায়। তাই ভুলক্রমে যদি কোথাও ব্রাশস্ট্রোক পড়ে অথবা কোথাও যদি দুর্ঘটনাক্রমে অতিরিক্ত ইরেজ হয়ে যায় অথবা অন্য যেকোনো ধরনের ভুল সহজেই হিস্ট্রি প্যালেটের মাধ্যমে আন্ডু করা যায়। এটি সাধারণত ওপরের ডান দিকে থাকে। তবে ইউজার ইচ্ছে করলে পজিশন পরিবর্তন করতে পারেন।

ইউজার যতগুলো এডিট করেন, তার একটি নির্দিষ্টসংখ্যক ফটোশপ সেভ করে রাখেন। তাই ইউজার যদি কোনো এডিট ভুল করে ফেলেন, তাহলে তা সহজেই হিস্ট্রি প্যালেটের মাধ্যমে আন্ডু করা সম্ভব। তবে ফটোশপের এই প্রতিটি এডিটিংয়ের স্টেপ সেভ করে রাখা, এটি কিন্তু আনলিমিটেড নয়। অর্থাৎ ফটোশপ একটি নির্দিষ্টসংখ্যক স্টেপ রেকর্ড করে রাখে, তাই ইউজার প্রতিবারই একটি নির্দিষ্টসংখ্যক স্টেপ আন্ডু/রিডু করতে পারবেন। অবশ্য এটি ইউজার ইচ্ছে করলে বাড়াতে বা কমাতে পারেন। এজন্য প্রেফারেন্সে গিয়ে অপশন পরিবর্তন করে দিলেই হবে। ফটোশপ যত বেশিসংখ্যক স্টেপ সেভ করে রাখবে, পারফরম্যান্স ধীরে ধীরে ততই খারাপ হবে, অর্থাৎ কমপিউটার সেস্না হয়ে যেতে পারে। আর কমসংখ্যক স্টেপ সেভ করলে ফটোশপের পারফরম্যান্স অনেক ভালো হবে এবং তা অনেক দ্রুত কাজ করতে সক্ষম হবে। তবে এটি সম্পূর্ণ ইউজারের এডিট করার পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। কারণ, অনেকে আছেন যারা ছোট ছোট স্টেপ নিয়ে এডিট করেন। কারণ, তাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আর ভুল হলেও সহজে আন্ডু করা যায়। সুতরাং এ ক্ষেত্রে যত বেশি স্টেপ সেভ হয়ে থাকবে, ইউজারের জন্য এডিট করা ততই সহজ হবে। আবার এমন অনেক ইউজার আছেন যারা এতটাই দক্ষ যে, অনেক কম স্টেপ নিয়েই এডিট করতে পারেন। স্টেপ কমসংখ্যক হলেও একটি দীর্ঘ সময়ের হয়। সুতরাং তাদের জন্য বেশি হিস্ট্রি সেভ করার দরকার হয় না। সে ক্ষেত্রে হিস্ট্রির স্টেপ কমিয়ে পারফরম্যান্স বাড়িয়ে দিলেই বরং তাদের জন্য সুবিধা হবে।

ফটোশপে সুন্দর সুন্দর এডিট শেখার আগে এর বেসিক ভালোভাবে জানতে হবে। বেসিক জানা না থাকলে কোনো এডিটই ঠিকভাবে করা যাবে না।

ফিডব্যাক : wahid_cseaust@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস