• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ফটোশপে টিউটোরিয়াল : সিলেকশন
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: আহমেদ ওয়াহিদ মাসুদ
মোট লেখা:৯৮
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৩ - অক্টোবর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
অ্যাডোবি ফটোশপ
তথ্যসূত্র:
গ্রাফিক্স
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ফটোশপে টিউটোরিয়াল : সিলেকশন
ছবি এডিটের জন্য অনেক ধরনের সফটওয়্যার থাকলেও ফটোশপই একমাত্র সফটওয়্যার, যেখানে সব ধরনের এডিটিংয়ের অপশনের সুবিধা রাখা হয়েছে। বেশিরভাগ সফটওয়্যারে দেখা যায় এক ধরনের এডিটিংয়ের অপশন আছে, কিন্তু আরেক ধরনের নেই।
বিভিন্ন ধরনের এডিটিংয়ের মাঝে কিছু এডিটিং আছে যেগুলো অনেক কমন, প্রায় সব ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার করতে হয়। এ ধরনের একটি এডিটিং হলো সিলেকশন। একজন ইউজার একটি ছবিতে যে ধরনের এডিটিংয়ের কাজই করুক না কেনো, তাকে আগে ছবির নির্দিষ্ট অংশ সিলেক্ট করে নিতে হবে। তাই এ লেখায় ফটোশপের সিলেকশনের বিভিন্ন টুল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সাথে আরও দেখানো হয়েছে লেয়ার মাস্কিং ব্যবহার করে কীভাবে সিলেকশনের কাজ সহজ ও নিখুঁত করা যায়।

সিলেকশন টুলের ব্যবহার
ফটোশপে বিভিন্ন ধরনের এডিটের মাঝে সবচেয়ে বেশি সিলেকশনের কাজই করা হয়। সিলেক্ট করা বলতে যে শুধু নির্দিষ্ট অংশকেই বোঝায় তা নয়। একটি ছবি থেকে নির্দিষ্ট কালার সিলেক্ট করাও এক ধরনের সিলেকশন। এছাড়া কোনো ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করতে গেলেও সবচেয়ে বেশি সিলেকশন টুল ব্যবহার করতে হয়। আর এর সাথে লেয়ারের কাজ করাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লেয়ারের কাজ ছাড়া সিলেকশনের কাজ অনেক সময়ই অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

ফটোশপের খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বৈশিষ্ট্যের মাঝে একটি হলো লেয়ার। ভিন্ন ভিন্ন লেয়ারে কাজ করার জন্য ছবির গঠন, ব্লেন্ডিং ইত্যাদির ওপর পুরো নিয়ন্ত্রণ পাওয়া সম্ভব। এছাড়া ভিন্ন ভিন্ন লেয়ার ব্যবহার করে একাধিক ছবি মার্জ করাও সম্ভব। সাধারণত যারা ফটোশপে নতুন, তারা ম্যাগনেটিক ল্যাসো টুল অথবা ক্যুইক সিলেকশন টুল ব্যবহার করে ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তনের কাজটি করে থাকেন। কিন্তু লেয়ার মাস্ক দিয়ে কাজটি করলে আরও সূক্ষ্মভাবে করা সম্ভব। আর সিলেকশন টুল দিয়ে সিলেক্ট করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি সময়সাপেক্ষ। তাই ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন বা অন্য কোনো লেয়ার নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে এ ধরনের সিলেকশন টুল ব্যবহার না করাই ভালো। যদিও লেয়ার মাস্ক দিয়ে রিমুভের কাজটি করতে গেলে তা অটো সিলেকশনের থেকে কিছুটা বেশি সময় নিলেও সিলেকশনের মান আরও ভালো হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে, শুধু সিলেকশন টুলের মাধ্যমেই যে নির্দিষ্ট অংশ সিলেক্ট করা যায়, তা নয়। ফটোশপে সিলেক্ট করার জন্য আরও অনেক উপায় আছে।

ফটোশপে টুল হিসেবে তিনটি সিলেকশন টুল আছে। যেমন ল্যাসো টুল, পলিগনাল ল্যাসো টুল এবং ম্যাগনেটিক ল্যাসো টুল। এ তিনটি টুলের মূল কাজ একই হলেও এগুলো ভিন্নভাবে কাজ করে। সাধারণ ল্যাসো টুল হলো ফ্রি হ্যান্ড টুল। অনেকটা পেন্সিল দিয়ে ড্র করার মতো। পলিগনাল ল্যাসো টুল সবসময় সরল রৈখিকভাবে কাজ করে। যেকোনো ধরনের বক্স বা পেস্নন সারফেস বা এমন কিছু, যার সারফেস রৈখিক ধরনের অবজেক্ট সিলেক্ট করতে পলিগনাল ল্যাসো টুল বিশেষভাবে উপযোগী। আর ম্যাগনেটিক ল্যাসো টুল একটু ভিন্নভাবে কাজ করে। এটি নিজে থেকেই খুঁজে বের করে ক্যানভাসের কোথায় কালারের ডিফারেন্স আছে। যেখানে কালারের পার্থক্য আছে, সেখান দিয়ে নিজে থেকেই সিলেক্ট হয়ে যায়। এই টুলটি ব্যবহারের সময় মাউস পয়েন্টার ধীরে ধীরে নাড়াতে হবে। তা না হলে ক্যালকুলেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সময় এবং সারফেস পাবে না, তাই ভুল সিলেকশন হবে। ম্যাগনেটিক ল্যাসো টুল দিয়ে সিলেক্ট করার সময় সাধারণত ক্লিক করার দরকার হয় না। মাউস পয়েন্টার যেখান দিয়ে নেয়া হয় সেখান দিয়েই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিলেকশন হয়ে যায় এবং কতগুলো পয়েন্ট তৈরি হয়। তবে ইউজার যদি চান তাহলে ইচ্ছে মতো জায়গায় ক্লিক করে পয়েন্ট তৈরি করে নিতে পারেন। ওই পয়েন্টগুলোই হলো সিলেকশনের পরিধি।
সিলেকশনের জন্য আরও একটি চমৎকার অপশন আছে। সিলেক্ট→কালার রেঞ্জ অপশনটি দিয়ে যেকোনো একই কালারের সব অবজেক্ট সিলেক্ট করা যায়। যদি অবজেক্টের ধার নিয়মিত না হয়, তাহলে ল্যাসো টুলগুলো দিয়ে সিলেক্ট করা বেশ কষ্টসাধ্য হয় এবং অনেক সময়সাপেক্ষ। সেক্ষেত্রে কালার রেঞ্জ দিয়ে অল্প সময়ে সিলেকশনের কাজটি করা সম্ভব। কালার রেঞ্জ দিয়ে সিলেক্ট করার সময় দুটি অপশন থাকে। একটি লোকালাইজড কালার ক্লাস্টার এবং অপরটি ফাজিনেস। ফাজিনেস বাড়িয়ে বা কমিয়ে খুব সহজেই কালারের রেঞ্জ বাড়ানো বা কমানো যায়। আসলে এটি অনেকটা ব্রাইটনেসের মতো কাজ করে। নিচের প্রিভিউ বক্সে দেখলেই এ সম্পর্কে ভালোভাবে বোঝা যাবে। আর লোকালাইজড কালার ক্লাস্টার দিয়ে একটু ভিন্ন রেঞ্জের কালার অথবা একই কালার রেঞ্জের শুধু একপাশের অংশকে সিলেক্ট করা যায়।
এবার সিলেকশনের সাথে লেয়ার মাস্কের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা যাক। লেয়ার মাস্কের বেসিক কাজ হলো বস্ন্যাক অ্যান্ড হোয়াইট নিয়ন্ত্রণ করে অপাসিটি বা একটি নির্দিষ্ট লেয়ারের ট্রান্সপারেন্সি নিয়ন্ত্রণ করা। এছাড়া লেয়ার মাস্ক দিয়ে কোনো নির্দিষ্ট অংশ হাইড করে এডিট করাটা ইরেজার দিয়ে এডিট করা থেকে অনেক ভালো। কারণ, ইরেজার দিয়ে কোনো অংশ মুছে ফেললে সব ক্ষেত্রে তা আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। কিন্তু লেয়ার মাস্ক তৈরি করে শুধু তা হাইড করে রাখলেই নির্দিষ্ট অংশ ছাড়া ছবির বাকি অংশ দেখাবে। আবার প্রয়োজন মতো যেকোনো সময় লেয়ার মাস্ক আনহাইড করে ওই অংশটুকু ফিরিয়ে আনা যাবে।

ম্যাজিক ওয়ান্ড, কুইক সিলেকশন টুল এবং ম্যাগনেটিক ল্যাসো টুল হলো অটো সিলেকশন টুল। এগুলো খুব সহায়ক। অনেক ক্ষেত্রেই এডিটের কাজকে সহজ করে দেয়। কিন্তু অ্যাডভান্সড সিলেকশনের ক্ষেত্রে এগুলো দিয়ে খুব একটা ভালো ফল পাওয়া যায় না। এ ধরনের টুল দিয়ে এডিট করলে ছবিতে মাঝেমধ্যেই কিছু pixellated edges বা artifacts দেখা যায়। এসব টুল এমন সব অ্যালগরিদমের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যাতে এরা কালার ভ্যালুর ওপর নির্ভর করে পিক্সেল সিলেক্ট করে। তবে পেস্নন ব্যাকগ্রাউন্ড থাকলে নিঃসন্দেহে এসব টুল খুবই কাজে দেয়। কিন্তু যখন জটিল ব্যাকগ্রাউন্ড থাকে তখন এসব টুল আর ভালো কাজ করে না। লেয়ার মাস্ক দিয়ে সিলেক্ট/রিমুভের কাজটি করলে অটো সিলেকশন টুল থেকে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়া শার্প এজ, সফট এজ যেমন পশুর লোম যদি একসাথে থাকে, তাহলেও সিলেকশনের জন্য মাস্ক লেয়ার অনেক ভালো ফল দেয়।
যেকোনো একটি ছবি ওপেন করে প্রথমে শুধু অবজেক্টের একটি লেয়ার তৈরি করুন। এটি সবসময় করা ভালো। এবার নতুন লেয়ারের একটি মাস্ক তৈরি করুন। লেয়ার মাস্ক তৈরি করার জন্য লেয়ারটিকে সিলেক্ট করে ওপরের আইকনগুলো থেকে লেয়ার মাস্কের আইকনে ক্লিক করলেই মাস্ক তৈরি হয়ে যাবে। এবার ব্রাশ টুল সিলেক্ট করে এর হার্ডনেস সফট করে নিন। হার্ডনেস ঠিক করার অপশনটি তাড়াতাড়ি পাওয়ার জন্য মাউস পয়েন্টার ক্যানভাসের যেকোনো জায়গায় নিয়ে ডান বাটন ক্লিক করলেই হবে। ফোরগ্রাউন্ড কালার কালো সিলেক্ট করা অবস্থায় ছবির অবজেক্ট ছাড়া বাকি অংশ পেইন্ট করুন। অর্থাৎ যে অংশ থাকবে সেই অংশ ছাড়া বাকি সবকিছু পেইন্ট করুন। ছবি এডিট করার জন্য ১৩ পিক্সেলের সফট এজের ছোট ব্রাশ ব্যবহার করা ভালো। যদি সিলেকশনের সময় একটু ভুল হয়ে যায়, তাহলে Cntrl+Z চেপে আনডু করা যাবে। তবে এতে শুধু একটি ধাপ আনডু হবে। একাধিক ধাপ আনডু করতে হলে Cntrl+Alt+Z চাপতে হবে। এবার পলিগনাল ল্যাসো টুল সিলেক্ট করে সে অংশ জুড়ে সাদা কালার করা হলো তার সাথে আশপাশের ব্যাকগ্রাউন্ড সিলেক্ট করে কালো কালার দিয়ে ভরে দিলেই ওই সিলেক্টেড ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে যাবে। এভাবে শর্টকাটে তাড়াতাড়ি সিলেক্ট করা যায়। সিলেকশনে রাইট ক্লিক করে ফিল পাথ সিলেক্ট করলেই ফিল করা যাবে। মনে রাখা ভালো, ব্রাশের সাইজ যত ছোট হবে তত সূক্ষ্মভাবে এজ সিলেক্ট করা সম্ভব হবে।

চুলের মতো কোনো অংশ থাকলে তা সিলেক্ট করা বেশ জটিল একটি কাজ। এক্ষেত্রে ব্রাশের সাইজ বাড়িয়ে নিয়ে আরও বেশি ফেদারের এজ পাওয়া সম্ভব। এবার আলোচনা করা যাক চুলের মতো অনেক সূক্ষ্ম এবং জটিল অংশ কীভাবে সিলেক্ট করতে হয়।

পোর্ট্রেট সাইজের ছবি এডিটে সবচেয়ে বেশি সমস্যাটি হলো হেয়ার সিলেকশন। ছবিতে সম্পূর্ণ হেয়ার সিলেক্ট করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। দেখা যায় বেশিরভাগ সময় সম্পূর্ণ হেয়ার সিলেক্ট করা যায় না। কিছু অংশ কাটা পড়বেই। কারণ চুলের যে অংশগুলো খুব সূক্ষ্ম থাকে, তা ঠিক মতো সিলেক্ট হয় না। এছাড়া এ ধরনের সূক্ষ্ম চুল যদি অসংখ্য থাকে তাহলে তো সিলেকশন এক ধরনের অসম্ভব হয়ে যায়, অথবা সিলেক্ট করলেও সিলেকশন খুব একটা ভালো হয় না। আর তাই সাধারণ সিলেকশন টুল ব্যবহার করে এ ধরনের জটিল সিলেকশন করা সম্ভব নয়। এ ধরনের সিলেকশনের জন্য মাস্ক টুলের সাহায্য নিলে অনেক সহজেই তা করা সম্ভব।
এডিটিংয়ের জন্য চিত্র-১ নির্বাচন করা হয়েছে, যাতে চুলের অংশ বেশ জটিল এবং এটি সাধারণ সিলেকশন টুল দিয়ে ভালোমতো সিলেক্ট করা সম্ভব নয়।

প্রথমে ছবিটি ফটোশপ দিয়ে ওপেন করম্নন। এখানে ফটোশপ সিএস-৬ ব্যবহার করা হয়েছে। এবার ক্যুইক সিলেকশন টুল ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ছবিটি সিলেক্ট করুন। এখানে ডিটেইল সিলেক্ট করার দরকার নেই। শুধু বডি এবং চুলের একটি রাফ সিলেকশন হলেই চলবে। এবার উইন্ডো→মাস্ক ট্যাবে গেলে মাস্কের একটি উইন্ডো ওপেন হবে। এখানে পিক্সেল মাস্ক অপশনটি সিলেক্ট করলে দেখা যাবে সিলেক্টেড অংশ ছাড়া বাকি অংশ রিমুভ হয়ে গেছে (চিত্র-২)।

এবার মাস্ক এজে ক্লিক করম্নন। অপেক্ষাকৃত ছোট একটি উইন্ডো ওপেন হবে। এখানে ভিউ মোড থাম্বনেইলটিতে ক্লিক করে বস্ন্যাক অ্যান্ড হোয়াইট সিলেক্ট করম্নন। এ উইন্ডোতে এজ ডিটেকশন নামে একটি সস্নাইড বার আছে। নিজের পছন্দ মতো এর মান ঠিক করম্নন। এজ ডিটেকশনের মানের ওপর নির্ভর করবে ছবির অ্যাডভান্সড হেয়ার সিলেকশন। তবে ডিটেকশনের মান খুব বেশি দেয়া ভালো নয়। কারণ তাহলে চুলের সাথে সাথে অতিরিক্ত কিছু অংশও সিলেক্ট হতে পারে। যেহেতু বিভিন্ন ছবি অনুযায়ী এ ডিটেকশনের মান ভিন্ন ভিন্ন হয়, তাই এটি ইউজারকেই বের করতে হবে যে কোন পর্যায়ে সিলেকশন পারফেক্ট হচ্ছে। তবে ডিটেকশনের সাধারণ মান ৪০-৫০ পিক্সেলের মাঝেই হয়ে থাকে। এজ ডিটেকশন বারের ওপর একটি চেকবক্স আছে স্মার্ট রেডিয়াস নামে, তা সিলেক্ট করলে চিত্র-৩-এর মতো একটি ছবি পাওয়া যাবে।

এবার আবার ভিউ মোডে গিয়ে রিভিল লেয়ার অপশনটি সিলেক্ট করুন। সিলেকশনের কাজ প্রায় শেষ। ইউজার এ পর্যায়েই এডিট শেষ করতে পারেন। তবে ছবির কিছুটা ফাইন এডিট করা বাকি। ডিটেকশনে বারের পাশে একটি ব্রাশের আইকন আছে, সেটি ক্লিক করুন এবং রিফাইন রেডিয়াস টুল সিলেক্ট করুন। এবার আবার ছবিতে গিয়ে রিফাইন টুল দিয়ে কিছু বিশেষ জায়গা সিলেক্ট করতে হবে। শুরুতেই একটি কথা বলে নেয়া ভালো, রিফাইন টুল দিয়ে সিলেক্ট করার সময় মাউস বাটন ক্লিক করে ধরে রাখতে হবে, ছেড়ে দেয়া যাবে না। এ রিফাইন টুল দিয়ে ছবির চুল পেইন্ট করুন, সম্পূর্ণ চুল সবুজ না হওয়া পর্যমত্ম পেইন্ট করুন। খেয়াল রাখতে হবে, যেনো চুল ছাড়া অন্য কোনো অংশ পেইন্ট না হয়। আর পেইন্ট করা অবস্থায় যদি মাউস বাটন ভুলে ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে আবার শুরু থেকে পেইন্ট করতে তাই এ ব্যাপারে আগে থেকেই সাবধান থাকা ভালো। সম্পূর্ণ চুল পেইন্ট করা হয়ে গেলে মাউস বাটন ছেড়ে দিলে সবুজ কালারটি চলে যাবে। এতে চিন্তার কিছু নেই। কারণ আসল যে কাজ, পেইন্ট করা, সেটা হয়ে গেছে। এবার মাস্ক উইন্ডোতে ফিরে গিয়ে ভিউ মোডে ক্লিক করে অন্য লেয়ার অপশনটি সিলেক্ট করুন। এখন যে ছবিটি দেখা যাচ্ছে এটিই লেয়ারের অরিজিনাল ভিউ। তবে ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে চুলের কিছু কিছু অংশ, মূলত এজের অংশগুলো অস্পষ্ট বা ট্রান্সপারেন্ট হয়ে আছে। অর্থাৎ আরও কিছুটা ফাইন এডিট করতে হবে। Ctrl+J চেপে বর্তমান লেয়ারের ডুপ্লিকেট তৈরি করুন। যতক্ষণ না পর্যমত্ম মনমতো ছবি না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ডুপ্লিকেট করুন। তবে সাধারণত ২-৩ বারের বেশি ডুপ্লিকেট করার দরকার হয় না। কয়েকবার ডুপ্লিকেট করলেই দেখা যাবে চুলের সূক্ষ্ম ধারসহ সিলেক্ট হয়ে গেছে। এভাবে সম্পূর্ণ হেয়ারসহ যেকোনো ছবির অ্যাডভান্সড সিলেকশন করা সম্ভব (চিত্র-৪)।

সর্বশেষ চিত্রে মূল ছবির পেছনে ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে সাদাকালো চেক বক্স আছে। যার অর্থ হলো সেখানে কিছুই নেই। তাই এ অবস্থায় Ctrl+A চাপলে চুলসহ সম্পূর্ণ হেয়ার সিলেক্ট হয়ে যাবে। কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডে যেহেতু কিছুই নেই, তাই সেখানে কিছুই সিলেক্ট হবে না। এখন মূল ছবির লেয়ারের আগে যদি অন্য একটি লেয়ার তৈরি করে কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড পেস্ট করা হয় তাহলে তা অরিজিনাল ছবির মতো দেখাবে, শুধু পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড ভিন্ন থাকবে

ফিডব্যাক : wahid_cseaust@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস