• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ডিজিটাল বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: জুনাইদ আহমদ পলক-
মোট লেখা:২
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৭ - এপ্রিল
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
প্রতিবেদন
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ডিজিটাল বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
বাঙালি জাতির স্বপ্নপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন ছিল একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ এবং সেই বাংলাদেশকে তিনি সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি আমাদেরকে রাজনৈতিক মুক্তি দিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ষড়যন্ত্রের কালো থাবায় সপরিবারে প্রাণ দেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশকে উল্টো পথে নিয়ে যেতে সচেষ্ট হলেও দেশের মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশবাসী অন্ধকারের সরলরেখায় এগিয়ে চলা প্রিয় বাংলাদেশকে নতুন করে সাজাতে ঘোষণা করেন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক আকাঙিক্ষত এক যুগান্তকারী দর্শন। সেই দর্শন বাস্তবায়নে দেশ প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে। সেই নেতৃত্বে যুক্ত হয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও নির্দেশনা। তার অর্জিত বিদ্যার সবটুকুই দেশের উন্নয়নে নিবেদন করেছেন বলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দেশে-বিদেশে ‘ফিলোসফি অব রেভ্যুলিউশন’ হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে।
তথ্যপ্রযুক্তি-সংশিস্নষ্ট নানা ধরনের সংবাদ, প্রবন্ধ, তথ্য-উপাত্ত পরিবেশনের মাধ্যমে পাঠককে সমৃদ্ধ ও সচেতন করার পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমাদের সংবাদ মাধ্যমগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। আর এ ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকায় ছিল বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমপিউটার ম্যাগাজিন ‘মাসিক কমপিউটার জগৎ’। কমপিউটার জগৎ-এর ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমার কাছে মাসিক কমপিউটার জগৎ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক একটি লেখা আহবান করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগ, উদ্যোগ সম্পাদনে কর্মপরিকল্পনা ও আগামীর সম্ভাবনা নিয়েই এ খাতের একজন যোদ্ধা হিসেবে আমি আমার এই সংক্ষিপ্ত লেখনীর মাধ্যমে পাঠককে তৃপ্ত করার প্রচেষ্টা নিলাম।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের মূল ভিত রচিত হয় জাতির জনকের হাত ধরে, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুনে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে। আর এ খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভিত্তি গড়ে ওঠে মূলত ১৯৯৬ সালে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা কমপিউটারের ওপর থেকে শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক তথ্য-মহাসড়কে বাংলাদেশকে যুক্ত করা, ডিজিটাল টেলিফোন চালু করা, মোবাইল ফোন ব্যবসায় একটি কোম্পানির মনোপলির অবসান ঘটিয়ে আরও তিনটি কোম্পানিকে লাইসেন্স দেয়া, জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন ইত্যাদি ছিল অন্যতম যুগান্তকারী উদ্যোগ। উন্নয়নের স্বপ্নকা-ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সেই মেয়াদে দেশকে সমৃদ্ধির নতুন এক সোপানে উন্নীত করেন। ২০০১ সালের পর দীর্ঘ কয়েক বছর দেশের সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। ২০০৯ সালে আবারও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে নতুন উদ্দীপনা যোগ হয় তথ্যপ্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ের মাধ্যমে।
যেকোনো দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। সব ক্ষেত্রে সুশাসন, সব কার্যক্রমের দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা, দারিদ্র্য, দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যেই আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সার্বিক ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ সাধন, দেশব্যাপী কানেকটিভিটি প্রতিষ্ঠা করা এবং সর্বোপরি দ্রুততার সাথে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতির পথে দেশকে ধাবিত করা।
নতুন উদ্যোগ ও কর্মকা-- চ্যালেঞ্জ থাকবে। আমরা সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে নীতিগত ও মানসিকভাবে প্রস্ত্তত ছিলাম বলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দৃশ্যমান। কিন্তু আমরা দেখেছি, কিছু কিছু দল ও ব্যক্তি ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কটাক্ষ ও উপহাস করেছে। কিন্তু সেসব সমালোচনা শুধু রাজনৈতিক বিরোধিতা ও চেতনাগত বৈপরীত্যই প্রতিফলিত হয়েছিল বলে জনগণের কাছে তা বাস্তবতা-বিবর্জিত ছিল। ফলে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো আমরা সহজেই অতিক্রম করতে পেরেছি। এরপর দেশব্যাপী একটি কানেকটিভিটি প্রতিষ্ঠাও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। সে চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণে আমরা বাংলাগভ ও ইনফো সরকার-২ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সব জেলা ও উপজেলাকে উচ্চগতির ফাইবার অপটিক ক্যাবলের আওতায় এনেছি এবং বর্তমানে ইনফো সরকার-৩ ও কানেকটেড বাংলাদেশ প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিয়নগুলোকে সংযুক্ত করতে কর্মকা- চলমান রয়েছে।
শিল্পের বিকাশে জনতা টাওয়ারে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক চালু করতে সক্ষম হয়েছি। এ ছাড়া কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি, যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কসহ সারাদেশে মোট ২৮টি আইটি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ১৯৯৯ সালে বিনিয়োগ বোর্ডের ১৩তম সভায় কালিয়াকৈরে হাইটেক সিটি প্রতিষ্ঠার জন্য জমি বরাদ্দ করা হলেও পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে সরকারে না থাকার কারণে এবং তৎকালীন সরকারের প্রযুক্তিবিমুখতার ফলে দীর্ঘ সময় এ পার্ক প্রতিষ্ঠার কাজ বন্ধ থাকে। এ ছাড়া জনতা টাওয়ারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক বরাদ্দ দেয়া হলেও মামলার কারণে সেখানে জায়গা বরাদ্দ স্তিমিত হয়ে পড়ে। আমরা আলাপ-আলোচনা ও আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সেসব বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছি।
বাংলাদেশের অফুরান সম্ভাবনা তার তারুণ্য এবং তারুণ্যের কর্মস্পৃহা। এই তরুণ গোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা সহজসাধ্য বিষয় নয়। তাই পপুলেশন ডিভিডেন্ড যেন যথাযথভাবে বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারে, সে জন্য আমরা নানা ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল থেকে ইন্টারনেট অব থিংস ও এলআইসিটি প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি লার্নিং অ্যান্ড আর্নিংসহ আরও বেশ কিছু প্রশিক্ষণও চলমান রয়েছে এবং সেসব প্রশিক্ষণ যাতে সঠিক ও যথাযথভাবে দেয়া হয় সে জন্য আমরা মিনটরিং সফটওয়্যারও ডেভেলপ করেছি। সিলেবাসে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০০১টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবসহ প্রায় ছয় হাজার ডিজিটাল ল্যাব চালু করা, প্রাথমিক শিক্ষায় ইন্টারেক্টিভ মাল্টিমিডিয়া বুক চালু করা এবং শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োজনীয় উপকরণ দিলেই যে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থাপনা চালু করা যায় তা কিন্তু সত্য নয়। ডিজিটাল শিক্ষায় বিদ্যমান অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে সেসব বাধা দূর করতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। প্রায় ৬ লাখ তরুণ আউটসোর্সিংয়ের মাঠে সক্রিয়। ফ্রিল্যান্সারদের লেনদেন নির্বিঘ্ন করতে তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল দেশে পেপ্যালকে নিয়ে আসা। আনন্দে বিষয় যে, বাংলাদেশে পেপ্যালের কনসার্ন জুম চালু করতে ইতোমধ্যে সোনালী ব্যাংককে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ফলে তাদের সে দাবি পূরণের একেবারেই দ্বারপ্রামেত্ম। এ ছাড়া পেইজা ও পেইউনিয়ারসহ আরও কয়েকটি পেমেন্ট গেটওয়ে বর্তমানে চালু রয়েছে। ব্যাংকগুলো ডিজিটালাইজড হয়ে গেছে বহু আগেই। যার ফলে অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ইত্যাদি সুবিধা জনগণের দ্বারপ্রামেত্ম।
প্রত্যন্ত অঞ্চল ও তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি সেবা দ্রুততম সময়ে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আইসিটি ডিভিশন বর্তমানে সব ইউডিসি উদ্যোক্তাকে তৃণমূলের জন্য তথ্য-জানালা কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। পণ্যের উৎপাদন ও যথাযথ বিপণন নিশ্চিত করতে ই-শপ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, ১৮ হাজার ১৩২টি সরকারি অফিসকে ইন্টারনেট কানেকটিভিটির আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে জনগণের ই-সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। ই-টেন্ডার, ই-জিপি ইত্যাদি ব্যবস্থা চালুর ফলে দুর্নীতির সুযোগ অনেকাংশেই কমেছে। ই-টিআইএন চালুর ফলে ট্যাক্স ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধিদফতরসহ সরকারি দফতরে বেশিরভাগ কার্যক্রম এখন ই-ফাইলিংয়ে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এ ছাড়া জমির পর্চা, জীবন বীমা, পলস্নী বিদ্যুতের বিল পরিশোধ, সরকারি ফরম, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, অনলাইনে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ভিজিএফ-ভিজিডি তালিকা, নাগরিক সনদ, কৃষি তথ্য, স্বাস্থ্য পরামর্শ, চাকরির তথ্য, ভিসা আবেদন ও ট্র্যাকিং ইত্যাদি সেবা এখন হাতের মুঠোয়। এসব কার্যক্রমের ফলে জনগণের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ফলে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো দূর করতে আমাদের আন্তরিকতা ও সক্ষমতা প্রমাণিত।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার প্রেক্ষিতে বিনিয়োগের বিরাট এক সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশকে ডিজিটাল ইকোনমির পথে এগিয়ে নেয়ার অবারিত সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসাও শুরু হয়েছে। তাই প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে আমরা একেকটি সম্ভাবনা হিসেবেই বিবেচনা করছি। আশা করি, সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় নিশ্চিত করা ও ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে আমরা উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব। সে যাত্রায় দেশের আপামর জনসাধারণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে অংশ নিয়ে আমাদের কর্মকা-- সহযোগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা পাবে একটি সমৃদ্ধ ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ হিসেবে, সে প্রত্যাশাই রইল


পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৭ - এপ্রিল সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা