• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ডিজিটাল বাংলাদেশের বাজেট
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মোস্তাফা জব্বার
মোট লেখা:১৩৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৭ - জুন
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
বাজেট
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ডিজিটাল বাংলাদেশের বাজেট
১ জুন ২০১৭ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন। বাজেটের আকার-আকৃতি এবং এর অন্তর্গত বিষয়াদি নিয়ে মিডিয়া এখন সরগরম। বাজেট নিয়ে পত্রিকার পাতায় যেমন আলোচনা হচ্ছে, তেমনি চলছে টকশো। অন্যদিকে ফেসবুকেও নানা মন্তব্য চলছে বাজেট নিয়ে। ২ জুন ১৭ বিকেলে অর্থমন্ত্রী বাজেটোত্তর সাংবাদিক সম্মেলনও করেছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই বাজেটের সব দিক নিয়ে আলোচনা করা সত্যিই কঠিন। সেই কারণেই বাজেটের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আমি কখনও আলোচনা করি না। আমার নিজের জগৎ নিয়েই আমি সন্তুষ্ট থাকি। সেই জগৎটা ডিজিটাল বাংলাদেশ। সরকারের বিবেচনায় বিষয়টি এখনও তথ্যপ্রযুক্তি। এভাবে শুধু তথ্যপ্রযুক্তি বলে আমাদের মূল্য লক্ষ্য জ্ঞানভিত্তিক সমাজকে ছোট করে দেখা হয়। আমি মনে করি, এক সময়ে সব বাণিজ্যকে ডিজিটাল বাণিজ্য বলা হবে। সরকার বলতে ডিজিটাল সরকার বোঝানো হবে। শিক্ষা বলতেও ডিজিটাল শিক্ষা বোঝাবে। বস্ত্তত আমাদের জীবনধারাই হবে ডিজিটাল। তেমন সময়ে বাজেট মানেই হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের বাজেট বা জ্ঞানভিত্তিক সমাজের বাজেট।
অর্থমন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুসারে এবার ডিজিটাল বাংলাদেশ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হিসেবে উঠে এসেছে। এই খাতে এবার বরাদ্দ অতীতের সব সময়কে অতিক্রম করেছে। অর্থমন্ত্রীর এমন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এই সরকারের প্রথম বাজেট ২০০৯-১০ সালের বাজেট থেকেই। আমার মনে আছে, ২০০৯-১০ সালের বাজেট পেশের আগে আমি এবং আমার অতি প্রিয় বন্ধু স্থপতি ইয়াফেস ওসমানকে তিনি ডেকে পাঠান। তার কাছেই জানলাম, ইয়াফেস ভাইয়ের মন্ত্রণালয়ের বাজেট মাত্র ৭৪ কোটি টাকা। মাত্র কয়েক মাসের অভিজ্ঞতায় স্থপতি ইয়াফেস ভাই তখনও বাজেটের অলিগলি বুঝে উঠতে পারেননি। তার মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন আমলারা ভেবেছে এবং যেমনটা বলেছে বাজেটে তেমন প্রস্তাবনাই পেশ করা হয়েছে। আমি ইয়াফেস ভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলাম, ভাই এবার আমাদের কী কী উন্নয়ন কাজ হবে। তিনি জানালেন, এই ৭৪ কোটি তো বেতনেরই টাকা। তাহলে উন্নয়ন কোথায়? আমরা কেউ জানি না। অর্থমন্ত্রী জানালেন, তার কাছে এমন কোনো প্রকল্প প্রস্তাবনা নেই, যাতে তিনি কোনো বরাদ্দ দিতে পারেন। আমরা দুই বন্ধুতে মিলে অর্থমন্ত্রী বা আমাদের মুহিত ভাইকে ১০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ দেয়ার আবেদন পেশ করলাম। তিনি এক টাকাও না কমিয়ে ১০০ কোটি টাকারই থোক বরাদ্দ রেখে দিলেন। পরের দিন ইয়াফেস ভাই আমাকে তার দফতরে ডেকে নিয়ে গিয়ে বললেন, ভাই টাকা তো তিনি দেবেন, খরচ করব কোথায়? আমার লোকেরা তো খরচের খাত খুঁজে পায় না। কীভাবে আমরা খরচের খাত পেলাম সেটি না বলে এটুকু বলতে পারি, বছর শেষে থোক বরাদ্দ ১০০ থেকে ১১০ কোটিতে দাঁড়ায়। তেমন একজন মানুষ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এমন কোনো বিষয় নেই যার প্রতি আন্তরিক নন। ডিজিটাল বাংলাদেশের অবকাঠামো গড়ে তোলাই হোক আর এই খাতকে সরাসরি সহায়তা করাই হোক মুহিত ভাইয়ের তুলনা শুধু তিনি নিজেই। এবারও তিনি তার সেই আসন থেকে সরে দাঁড়াননি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের বরাদ্দ : আসুন দেখি এবার ডিজিটাল বাংলাদেশের বাজেট কেমন অবস্থায় রয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য ৮ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, যা মোট বাজেটের ২.৪৪ শতাংশ ছিল। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে এ খাতের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ১০৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে বিদায়ী অর্থবছরে বাড়তি ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ পেয়েছিল এ খাতটি। ২০১৭-১৮ সালে আগের বছরের ৮ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ ১১ হাজার কোটি টাকায় উঠেছে। বাজেটের আকার বাড়ার সাথে তুলনা করলে এই অঙ্কটি আরও বড় হতে পারত। অন্যদিকে আগের অর্থবছরের তুলনায় বিদায়ী অর্থবছরে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের জন্য ৬২২ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এই খাতে বিদায়ী বছরে আইসিটি ডিভিশনের জন্য ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২১০ কোটি টাকা। এই বছর তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বরাদ্দ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এবার বরাদ্দ ৩ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা। এটি উল্লেখ না করলেও চলে যে, এই পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ এই খাতে আর কখনও হওয়ার প্রশ্নই নেই। ভাবা যায়, ১৯৭২-৭৩ সালের বাজেট ৪ লক্ষাধিক কোটি টাকায় আর তথ্যপ্রযুক্তির ১৭৪ কোটি টাকা ৩ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকায় উঠে যেতে পারে।
বাজেট পেশ করার আগে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের বাজেটের কিছু আকাঙক্ষার কথা তুলে ধরেছিলাম। একটি ব্যতিক্রমের কথা বলতেই হবে যে, আমাদের এই প্রচেষ্টায় সর্বাত্মক সহযোগিতা ছিল তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের। প্রসঙ্গত, আমি এই বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং এলআইসিটির শামির কথা অবশ্যই এখানে উল্লেখ করতে চাই। সেইসব আকাঙক্ষার মাঝে তথ্যপ্রযুক্তি রফতানিতে নগদ সহায়তার বিষয়টি সম্ভবত একটি জাতীয় কমিটির বিবেচনার অপেক্ষায় আছে। বাণিজ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে আমরা জেনেছি, নগদ সহায়তার বিষয়টি সেই কমিটি স্থির করে দিলে তথ্যপ্রযুক্তিতে রফতানি সহায়তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাবে। আমি নিশ্চিতভাবে ধারণা করি, সরকার রফতানি টার্গেট পূরণ করার কাজে সহায়তা করার জন্য অবশ্যই আমাদের এই দাবিটি পূরণ করবে।
আমদানিকারক থেকে উৎপাদক : ২০১৭-১৮ সালের বাজেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে কমপিউটারের যন্ত্রপাতির শুল্ক ও ভ্যাট কাঠামোতে পরিবর্তন। এই বাজেটে ডিজিটাল যন্ত্র যেমন ল্যাপটপ, ট্যাব ও স্মার্টফোন সংযোজন এবং উৎপাদন করার জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে মাত্র ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটি দেশের ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে। আমরা এখন আশা করতেই পারি- দেশে স্মার্টফোন, ট্যাব ও ল্যাপটপ সংযোজিত হবে বা এমনকি উৎপাদিতও হবে। ৬ আগস্ট ২০১৫ অনুষ্ঠিত ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদন ও রফতানির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটি এখন বাস্তবে রূপায়িত হওয়ার সময় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা পূরণে সরকারি প্রতিষ্ঠান টেমিস এখন দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদকে পরিণত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুসারে আমি এই সংস্থার দায়িত্বে থাকলে অন্তত এই কাজটি এবার করতে পারতাম। এবার এই সুযোগ দেয়ার ফলে সামনের বাজেটের আগেই আমরা দেশে কয়েকটি দেশীয় ব্র্যান্ডের ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদন ও সংযোজন হতে দেখার পাশাপাশি বিদেশী ডিজিটাল যন্ত্র নির্মাতাদেরকে এদেশে কারখানা স্থাপনে উৎসাহিত হতে দেখব। এজন্য হাইটেক পার্কের সুবিধার ক্ষেত্রে একটি নতুন ধারা যুক্ত করা যেতে পারে। বর্তমানে হাইটেক পার্কগুলোর সুবিধা হচ্ছে শুধু রফতানির জন্য। ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই সুবিধাকে দেশীয় বাজারের জন্যও সম্প্রসারিত করা যেতে পারে। মনে রাখা দরকার, দেশীয় বাজারে ডিজিটাল ডিভাইস বাজারজাতকরণ বস্ত্তত আমদানি বিকল্প এবং এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রাও বাঁচবে। এবারের বাজেটে শুল্ক কমানোর ক্ষেত্রে কিছু সফটওয়্যারের দামও কমানো হয়েছে। কিন্তু একটি মজার বিষয় হলো সিডিতে সফটওয়্যার আনলে সেই সুবিধা পাওয়া যাবে অথচ অনলাইনে আনা হলে সেই সুবিধা পাওয়া যাবে না। বড় অদ্ভুত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মানসিকতা।
খুচরা ভ্যাট : ১ জুলাই থেকে কার্যকর ভ্যাট আইন ২০১২-এর ফলে খুচরা স্তরে ভ্যাটের বিষয়টি এই বাজেটের সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়। এবারের বাজেটে কমপিউটার, কপিউটারের যন্ত্রপাতি ও দেশীয় সফটওয়্যারকে ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এমনকি প্রশিক্ষণের জন্যও ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে এই পদক্ষেপ দারুণভাবে সহায়তা করবে। ফলে ১ জুলাই থেকে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য বা সেবায় এই ভ্যাট আরোপিত হওয়ার কথা নয়। অবশ্য এই খাতে শতকরা ১৫ ভাগ ব্যাট আরোপের বিষয়টি নিয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। এই ভ্যাট আইন বলবৎ হলে খুচরা পর্যায়ে ডিজিটাল ডিভাইস, সফটওয়্যার ও আইটি সেবার ওপরও ভ্যাট আরোপিত হবে কি না, সেটি সুস্পষ্ট নয়। আমরা বাজেট ঘোষণা থেকে এটি ধরে নিতে পারি, ডিজিটাল পণ্য খুচরা ভ্যাট থেকে অব্যাহতি পাবে। এটি বলে রাখা ভালো, ডিজিটাল পণ্য যদি খুচরা ভ্যাটের আওতায় আসে, তবে এর নেতিবাচক প্রভাব ব্যাপকভাবে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রয়াসকে বাধাগ্রস্ত করবে। প্রসঙ্গত, এই আইনের মূল কাঠামো ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প সম্পর্কে দুটি কথা বলা দরকার। এই প্রকল্পে এখনও বাংলা ভাষা ব্যবহার করা হয়নি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেশের মুদি দোকানদার থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের জন্য যদি শুধু ইংরেজি ব্যবহার করে, তবে কাজটি আত্মঘাতী হবে। অন্যদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা শুধু অনলাইন সফটওয়্যার পেলেই সেটিকে বলবৎ করতে পারবে, সেটি মনে করার কোনো কারণ নেই। এনবিআরের কর্মকর্তারা নিজেরা ডিজিটাল না হলে ভ্যাট বা ট্যাক্স কোনোটাই ডিজিটাল হবে না। ব্যবসায়ীরা বরাবরই তাদেরকে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে সেটি গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে। এফবিসিসিআইয়ের দুই-চারজন সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এমন বিপুল আকারের কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করা যাবে না। ব্যবসায়ীদের হাতে ডিজিটাল যন্ত্র না পৌঁছিয়েও এই মহাযজ্ঞে সফলতা আসবে না।
২০২৪ পর্যন্ত আয়কর অব্যাহতি : আমরা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করব, সরকার আমাদের সফটওয়্যার ও সেবা খাতকে ২০২৪ পর্যন্ত আয়কর অব্যাহতি দিয়ে রেখেছে। এবারের বাজেটে সেটি অব্যাহত রয়েছে। তবে বাজেটের আগে আমরা এই অব্যাহতির ক্ষেত্রে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব পেশ করেছিলাম। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সেইসব প্রস্তাব মেনে নিয়েছিল। আমরা আইটি এনাবল সেবার পরিধিকে সম্প্রসারিত করার যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, সেটি যদি বাস্তবায়িত হয়ে থাকে তবে আমাদের এই খাতের অগ্রগতি আরও দ্রুত হবে। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এই অব্যাহতি পাওয়ার জন্য প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহের যে যন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়া ছিল, সেটি নাকি তুলে নেয়া হয়েছে। এর ফলে আমাদের জীবনযাপন আরও সহজ হবে।
ইন্টারনেটের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক রয়েই গেল : বিদ্যমান শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাটের চাপে দেশে ইন্টারনেটের কানেকশনের সংখ্যা বাড়লেও প্রকৃত ব্যবহার বাড়েনি। ইন্টারনেট মানে এখন ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। ইন্টারনেটের বাড়তি মূল্য ও গতিহীনতা এর অন্যতম কারণ। ফলে এবারও আমরা ইন্টারনেটকে শুল্ক ও ভ্যাটমুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলাম। এই দাবিটি আমাদের অনেক পুরনো। কেনো জানি মনে হয়, রাজস্ব আহরণ করার সহজ উপায় হিসেবে এনবিআর টেলিকমকে কোনো ছাড় দিতে আগ্রহী নয় এবং তারা ইন্টারনেট সভ্যতার মূল বিষয়টিই উপলব্ধি করতে চায় না। আমি নিজে মনে করি, ইন্টারনেটের প্রতি এই অবিচার করাটা ডিজিটাল বাংলাদেশবান্ধব নয়। ইন্টারনেটের সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট ছাড়াও ইন্টারনেটের কিছু যন্ত্রপাতি যেমন মডেম, রাউটার ইত্যাদির শুল্ক কাঠামো আমাদের ইন্টারনেট প্রসারের অনুকূল নয়। বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য আবারও অনুরোধ করছি
ফিডব্যাক : mustafajabbar@gmail.com


পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৭ - জুন সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস