লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
তথ্যসূত্র:
প্রচ্ছদ প্রতিবেদন
আগামী দিনের স্কুল
আগামী দিনের স্কুল
গোলাপ মুনীর
বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়ন অব্যাহতভাবে পাল্টে দিচ্ছে
মানুষের জীবন ও কর্মক্ষেত্র। বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থা μমেই
যেন বিচ্ছিনড়ব হয়ে পড়ছে এই বাস্তবতা থেকে। বৈশ্বিক সমাজ ও
অর্থনীতির প্রয়োজন মেটানোয় আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সমতালে
এগিয়ে যেতে পারছে না। এর ফলে চাকরির ক্ষেত্রে সৃষ্টি হচ্ছে নানা
ধরনের বাধাবিপত্তি; সৃষ্টি হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন মেরুকরণ অনেকেই
হারাচ্ছেন তাদের প্রচলিত কাজ বা চাকরি। বলার অপেক্ষা রাখে
না, এই চাহিদা মেটানোর জন্য আমাদের এখন সতর্ক প্রস্তুতি নেয়া
অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের স্কুল-ব্যবস্থাকেও
পালন করতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। স্কুল-ব্যবস্থাকে এমনভাবে
সাজাতে হবে, যাতে আমরা আমাদের নাগরিকদের তৈরি করতে পারি
যোগ্য ‘বৈশ্বিক নাগরিক’ হিসেবে; আমরা বিশ্বমাঝে নিজেদের গড়ে
তুলতে পারি যথযোগ্য কর্মশক্তি হিসেবে। আমাদের শিক্ষা-মডেল
হতে হবে এমন, যাতে শিক্ষার্থীরা সুসজ্জিত হতে পারবে অধিকতর
অন্তর্ভুক্তিমূলক, আসক্তিশীল ও উৎপাদনশীল দক্ষতা নিয়ে। আমাদের
নয়া শিক্ষা-মডেল হবে চর্তু শিল্পবিপ্লবের চাহিদা মেটানোর উপযোগী;
যাকে আমরা বলতে পারব আমাদের রয়েছে, সরসরি শেখার প্রমিত
মডেল। যদিও এরই মধ্যে বেশিরভাগ চালু শিক্ষাব্যবস্থা হচ্ছে বিদ্যমান
ব্যবসায়ভিত্তিক। কিন্তু নতুন নতুন উদ্ভাবন বিভিনড়ব দেশের অর্থনীতিকে
তাড়িত করছে উৎপাদনশীলতার নতুন মডেল অবলম্বন করে। সেখানে
আমাদের উপস্থিতি জোরালো করতে শিক্ষার নতুন মডেল ছাড়া কোনো
গত্যন্তর নেই।